লাইফস্টাইল
কিডনি সুস্থ রাখার উপায়

কিডনির ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত না হওয়া পর্যন্ত তেমন লক্ষণ প্রকাশ পায় না। তাহলে উপায়? রুটিনমাফিক কিছু পরীক্ষা–নিরীক্ষা করলে বোঝা যাবে, কিডনি সুস্থ আছে কি না। বিশেষ করে যেসব রোগে কিডনি আক্রান্ত হয়, যেমন ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, লুপাস। নিয়মিত কিডনি পরীক্ষা করা উচিত।
কিডনির কাজ
রক্ত পরিশোধিত করে দূষিত বর্জ্য পদার্থ প্রস্রাবের মাধ্যমে বের করে দেওয়া, ইরাইথ্রোপোয়েটিন নামের গুরুত্বপূর্ণ হরমোন তৈরি করা, যা রক্ত তৈরিতে ভূমিকা রাখে; রক্তের খনিজ, পানি ও রাসায়নিক পদার্থের ভারসাম্য রক্ষা এবং রক্তের পিএইচ নিয়ন্ত্রণ করা। এ ছাড়া কিডনিতে ভিটামিন ডি চূড়ান্তভাবে ব্যবহার উপযোগী হয়, যা হাড়ের সুরক্ষা দেয়।
কিডনি আক্রান্ত হলে ওপরের কার্যক্রমগুলো বিঘ্নিত হয়। শরীরে পানি ও লবণের ভারসাম্য নষ্ট হয়, কারও কারও শরীরে পানি জমে। রক্ত তৈরি হতে না পারায় রক্তশূন্যতা দেখা দেয়। বর্জ্য পদার্থ জমে ইউরেমিয়া হয়, যে কারণে অরুচি, অবসাদ, ওজন হ্রাস, মস্তিষ্কের কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে। ভিটামিন ডি কার্যকর ভূমিকা রাখতে না পারায় হাড় ক্ষয় হয়।
কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হয় কেন
দীর্ঘমেয়াদি কিডনি রোগ বা কিডনি ফেইলিউরের কারণ হলো ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, কিডনির প্রদাহ বা নেফ্রাইটিস, কিডনি সংক্রমণ, বংশগত কিডনি রোগ, যেমন পলিসিস্টিক কিডনি ডিজিজ, ভাসকুলাইটিস ও বাতরোগ, যেমন লুপাস। এ ছাড়া আকস্মিক কিডনি ফেইলিউর হতে পারে যেসব কারণে, তা হলো, হঠাৎ ডায়রিয়া বা বমির কারণে সৃষ্ট পানিশূন্যতা; রক্তক্ষরণ—যেমন দুর্ঘটনার পর; নেফ্রাইটিস বা প্রদাহ, ব্যথানাশক ওষুধ সেবন, কিডনি বা মূত্রথলিতে পাথর, প্রস্টেট গ্রন্থির সমস্যা।
লক্ষণ
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া, শরীরে পানি জমা বা মুখ–পা ফোলা, প্রস্রাব লাল বা দুর্গন্ধযুক্ত হওয়া, প্রস্রাবে ফেনা যাওয়া, রক্তশূন্যতা, চুলকানি, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর, বমি বা বমি ভাব, অরুচি, অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ।
যেভাবে সুস্থ থাকবেন
- ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। তিন মাসের গড় এইচবিএওয়ানসি অবশ্যই ৭–এর নিচে থাকতে হবে।
- রক্তচাপের টার্গেট ১৩০/৮০ মিমি পারদের নিচে রাখুন।
- ডায়রিয়া বা পানিশূন্যতায় দ্রুত চিকিৎসা করতে হবে।
- কিডনি বা মূত্রতন্ত্রের সংক্রমণে যথাযথ চিকিৎসা নিন।
- প্রস্টেট গ্রন্থি বা কিডনিতে পাথরজনিত সমস্যায়ও চিকিৎসা জরুরি।
- ধূমপান পরিহার করুন ও ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ সেবন করবেন না।
- রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখুন।
- প্রতিদিন কিছু ব্যায়াম ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস করুন।
বয়স ৪০ বছরের ওপরে হলে বছরে নিয়মিত একবার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করুন। দেখতে হবে ডায়াবেটিস ও রক্তচাপ আছে কি না, প্রস্রাবের রুটিন পরীক্ষা ও অ্যালবুমিন ক্রিয়েটিনিন রেশিও, সেরাম ক্রিয়েটিনিন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

লাইফস্টাইল
গভীর রাত পর্যন্ত ফোন ব্যবহার করেন? জেনে নিন কী হয়

রাতের মধ্যে স্ক্রিন টাইম আপনার ঘুমের সময়সূচী এবং মান নষ্ট করতে পারে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম আপনাকে পরের দিন ক্লান্ত, অস্থির এবং খিটখিটে করে তুলতে পারে। গভীর রাতে স্ক্রিন টাইমের অন্যান্য নেতিবাচক দিকের মধ্যে রয়েছে ঘুমাতে অসুবিধা, মেজাজের পরিবর্তন, দুর্বল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, উচ্চ চাপের মাত্রা এবং ওজন বৃদ্ধি।
স্ক্রিন থেকে বেরিয়ে আসা নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়, ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে এবং উদ্দীপক কন্টেন্ট মস্তিষ্ককে অতিরিক্ত ব্যস্ত রাখে। ধীরে ধীরে এটি ক্লান্তি, চাপ এবং এমনকি দীর্ঘমেয়াদী মস্তিষ্কের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ঘুমানোর আগে রিল স্ক্রলিং কীভাবে মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব ফেলে
ঘুমানোর আগে অনলাইনে রিল স্ক্রলিংয়ে ব্যস্ত থাকাকালীন মস্তিষ্ক ক্লান্ত হওয়ার পরিবর্তে সতর্ক অবস্থায় থাকে। এটি ডোপামিন এবং অ্যাড্রেনালিনের মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে যা শিথিল করা কঠিন করে তুলতে পারে। এর ফলে অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, বিষণ্ণতা, বিলম্বিত ঘুমের সময়সূচী এবং মানসিক ক্লান্তি দেখা দিতে পারে।
স্ক্রিন থেকে নীল আলো এবং মেলাটোনিন উৎপাদনের মধ্যে যোগসূত্র
ইলেকট্রনিক গ্যাজেট থেকে নীল আলো মেলাটোনিন উৎপাদন এবং ঘুম চক্রকে প্রভাবিত করতে পারে। মস্তিষ্ক দ্বারা নিঃসৃত ঘুমের হরমোন মেলাটোনিন নীল আলোর কারণে ব্লক হয়ে যেতে পারে যার ফলে সময়মতো ঘুমিয়ে পড়া কঠিন হয়ে পড়ে। এটি কেবল ঘুমকেই প্রভাবিত করে না বরং অনিদ্রাও সৃষ্টি করতে পারে, ঘন ঘন ঘুম থেকে ওঠা এবং সকালের ক্লান্তির কারণ হতে পারে।
হার্ভার্ড হেলথ পাবলিশিং অনুসারে, নীল আলোর সংস্পর্শে সবুজ আলোর তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ সময় ধরে মেলাটোনিন দমন করা হয় এবং সার্কাডিয়ান রিদম দ্বিগুণ স্থানান্তরিত হয়।
রাতে ইমোশনাল বা আকর্ষণীয় কন্টেন্ট দেখার প্রভাব
ঘুমানোর আগে উদ্দীপক, তীব্র, নাটকীয় বা ইমোশনাল কন্টেন্ট দেখলে তা স্ট্রেস হরমোনকে ট্রিগার করতে পারে। এর ফলে উদ্বেগ, নার্ভাসনেস, অতিরিক্ত চিন্তাভাবনা, ঘুমের ব্যাঘাত এবং এমনকী দুঃস্বপ্নও দেখা যায়।
রাতের বেলা স্ক্রলিং মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় অবদান রাখে?
রাতের বেলা ক্রমাগত নেতিবাচক খবর বা কন্টেন্ট লুপে দেখার অভ্যাস আপনাকে দুঃখিত, চিন্তিত, চাপযুক্ত, বিরক্ত, হতাশ এবং উত্তেজিত করে তুলতে পারে। এই অস্থিরতা ঘুমিয়ে পড়া কঠিন করে তোলে, যার ফলে বিষণ্ণতা বা অনিদ্রা হতে পারে।
এটি স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর কীভাবে প্রভাব ফেলে
রাতে অবিরাম সোশ্যাল মিডিয়া স্ক্রলিং আপনার স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং মস্তিষ্কের কার্যকলাপের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। সোশ্যাল মিডিয়ার কারণে ঘুমের মান খারাপ হয়ে যায়। যা মনোযোগ, ধীর প্রতিচ্ছবি ক্রিয়া, ভুলে যাওয়া, প্রেরণার অভাব, বিভ্রান্তি এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণের শক্তিকে দুর্বল করে দিতে পারে।
ঘুমানোর আগে নিয়মিত রিল স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতি
গভীর রাত পর্যন্ত স্ক্রোল করার দীর্ঘমেয়াদী পরিণতির মধ্যে রয়েছে ঘুমের সমস্যা, দীর্ঘস্থায়ী ক্লান্তি, স্মৃতিশক্তি দুর্বল, মনোযোগের সময় কমে যাওয়া, হৃদরোগ, বর্ধিত চাপ, উৎপাদনশীলতা হ্রাস, হরমোনের ভারসাম্যহীনতা এবং স্থূলতা।
আপনার যা করা উচিত
১. ঘুমানোর কমপক্ষে তিন ঘণ্টা আগে স্ক্রিন ব্যবহার করা বাদ দিন।
২. যদি ঘুমিয়ে পড়ার জন্য বিনোদন দরকার হয় তাহলে বই পড়ার চেষ্টা করুন।
৩. প্রশান্তিদায়ক সঙ্গীত শোনাও সহায়ক হতে পারে।
৪. সর্বদা নাইট মোড ব্যবহার করুন এবং উত্তেজক কোনোকিছু দেখা এড়িয়ে চলুন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
দেশে চালু হচ্ছে ‘ভালোবাসা পদক’

বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো চালু হতে যাচ্ছে ‘ভালোবাসা পদক’। ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন পর্ষদের উদ্যোগে এ পদক দেয়া হবে।
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সঞ্চালক শফিক রেহমান ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন পর্ষদের অগ্রদূত। তার যায়যায়দিন ও ইস্টিশন কমিউনিকেশন্সের যৌথ আয়োজনে চলতি বছরই এ পদক চালু হতে যাচ্ছে।
এ উপলক্ষে শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে রাজধানীর হোটেল শেরাটনে আয়োজিত হবে সংবাদ সম্মেলন।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শফিক রেহমান এবং তার স্ত্রী তালেয়া রেহমান।
সংবাদমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন পর্ষদের আহ্বায়ক ও ইস্টিশন কমিউনিকেশনসের সিইও রুদ্র হক।
বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপনের অন্যতম পথিকৃৎ শফিক রেহমান। তিনিই সর্বপ্রথম ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশে আনুষ্ঠানিকভাবে ভালোবাসা দিবস উদ্যাপন শুরু করেন। এবার তার হাত ধরেই ‘ভালোবাসা পদক ২০২৫’ প্রদানের মাধ্যমে ভালোবাসা দিবসের ৩২ বছর উদ্যাপন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
ডায়াবেটিক রোগীদের রাতের খাবার বাদ দিলে কী হয়?

দৈনন্দিন জীবনের নানা ব্যস্ততায় সবার পক্ষে রুটিন মেনে চলা সম্ভব হয় না। আর এতেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা রোগ। দেশে দিনদিন ডায়াবেটিক রোগীর সংখ্যা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও এই রোগ দানা বাঁধছে।
একে নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকেই নানা উপায় অনুসরণ করে থাকেন। কেউ ভাত খাওয়া ছেড়ে দেন, কেউ আবার আটার সঙ্গে বাজরা মিলিয়ে সেই রুটিও খান। আবার অনেকে ভাবেন, রাতে খাবার না খেলে বুঝি সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আসলেই কি তাই? রাতে খাবার না খাওয়া ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য কতটা লাভ বা ক্ষতির? চলুন, জেনে নিই—
রাতের খাবার বাদ দিলে কী হয়
ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য সময়মতো খাওয়াদাওয়া খুবই জরুরি। রাতের খাবার না খেলে শরীরে সুগারের লেভেল ওঠানামা করবে। একটা সময়ের খাবার মিস করা মানেই সমস্যা। যার ফলে মাথা ঘোরানো ও দুর্বলতা অনুভব হতে পারে।
কিছু ক্ষেত্রে শরীরে শর্করার মাত্রাও বেড়ে যায়।
টাইপ-২ ডায়াবেটিক রোগীরা চিকিৎসকের পরামর্শ নিলে অনেক সময়ই বলা হয় উপোসের কথা। এর ফলে শরীরে ইনসুলিন ঠিকঠাক কাজ করে। তার মানে এই ডায়াবেটিক রোগীর জন্যই তা লাভজনক হবে। তবে অনেকের ক্ষেত্রে খালি পেটে থাকা মানেই শর্করার মাত্রা বাড়তে পারে।
কী ক্ষতি হতে পারে
বিশেষজ্ঞদের মতে, ডায়াবেটিক রোগীদের কখনোই রাতের খাওয়া বন্ধ করা উচিত নয়। বরং খাবারের সময়টা এগিয়ে আনা উচিত। রাতের খাবার ৮টার দিকে খেয়ে নিলে সেটা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো বলেই জানান চিকিৎসকরা। ডায়াবেটিক রোগীদের জন্য প্রতি তিন ঘণ্টা অন্তর হালকা কিছু হলেও খাওয়া উচিত বলে মনে করা হয়।
সুগার নিয়ন্ত্রণের জন্য কী করবেন
রাতের খাওয়া বাদ কখনো সমাধান নয়। বরং হালকা পুষ্টিকর কোনো খাবার খাওয়া উচিত। ডাল, সবজি, রুটি, সালাদজাতীয় খাবার খেতে পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। মিষ্টি কিংবা অতিরিক্ত মসলাদার খাবার এড়িয়ে চলাই শ্রেয়। শোবার অন্তত ২-৩ ঘণ্টা আগে খাওয়া উচিত, যাতে হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় থাকে।
এ ছাড়া বড় কোনো সিদ্ধান্ত নিজে থেকে না নিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ অবশ্যই নেওয়া উচিত। এতে নিজের জন্যই ভালো হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে কী হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠেই ব্ল্যাক কফি পান করেন। কিন্তু আপনি জানেন কি, এই অভ্যাস বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে? এমনকি এর ফলে ভবিষ্যতেও নানা জটিল রোগ তৈরি করতে পারে। ব্ল্যাক কফিতে আসক্তি থাকলে আগে থেকেই সতর্ক হোন।
খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে কী হয়
অনেকেরই সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠতে না উঠতেই কফি খাওয়ার অভ্যাস থাকে।
ঘুমচোখেই তাদের হাতে থাকে কফির কাপ। কফির মিঠে কড়া গন্ধ ঘুম কাটাতেও বেশ কার্যকরী। কেউ ব্ল্যাক কফি খান। কারো আবার দুধ দিয়ে কফি খাওয়ার অভ্যাস।
দুধ, চিনি, সুগার সিরাপ ছাড়া ব্ল্যাক কফি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর। কিন্তু তাই বলে খালি পেটে ব্ল্যাক কফি? কী হতে পারে খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে—
বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রতিদিন খালি পেটে ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে। থাইরয়েডের সমস্যাও হতে পারে। বিশেষ করে যদি কারো আগে থেকেই থাইরয়েডের সমস্যা থাকে, তবে তাদের একেবারেই ব্ল্যাক কফি পান করা উচিত নয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ঘুম থেকে ওঠার অন্তত দেড়-দুই ঘণ্টা পর কফি খাওয়া উচিত। সঙ্গে পরিমাণ মতো পানি খেতে হবে। সবচেয়ে ভালো হয়, যদি কিছু খাবার খাওয়ার পর ব্ল্যাক কফি পান করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
লাইফস্টাইল
গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে খেলে কী উপকার

আমাদের মধ্যে অনেকেই ঘি খেতে পছন্দ করেন। কেউ গরম ভাত বা গরম খাবারের সঙ্গে আবার কেউ হালকা গরম পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করেন। এই ঘি-এর রয়েছে অনেক উপকারিতা। আয়ুর্বেদে, ঘি-কে ‘সোনা’ বলে বিবেচনা করা হয়।
এটি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, বরং স্বাস্থ্যের জন্যও খুবই উপকারী। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে এক চামচ ঘি মিশিয়ে পান করার অভ্যাস আপনার শরীরের নানাভাবে উপকার করতে পারে।
আয়ুর্বেদ অনুসারে, হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করা একটি প্রাকৃতিক প্রতিকার, যা হজম ব্যবস্থা শক্তিশালী করা থেকে শুরু করে ত্বক ও চুল সুস্থ রাখা পর্যন্ত অনেক উপকারে আসে। এমনকি সর্দি-কাশির সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে এটি। চলুন, জেনে নেওয়া যাক, হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করা স্বাস্থ্যের জন্য কী কী উপকারে আসতে পারে—
পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করে
ঘিতে উপস্থিত বিউটিরিক এসিড, হজম প্রক্রিয়ার জন্য খুবই উপকারী। এটি অন্ত্রের প্রদাহ কমায় এবং হজমশক্তি উন্নত করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য ও এসিডিটির মতো পেটের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এটি অন্ত্র পরিষ্কার করে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ অপসারণে সাহায্য করে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
ঘি-তে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি শরীরের বিপাক বৃদ্ধি করে, যা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে খেলে শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। এটি শরীরে শক্তি সরবরাহ করে এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে, যার ফলে অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস রোধ হয়।
ত্বক ও চুলের জন্য উপকারী
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ও ভিটামিন ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং উজ্জ্বল করে তোলে।
এ ছাড়া এটি চুলকে শক্তিশালী ও ঘন করতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে হালকা গরম পানিতে ঘি মিশিয়ে পান করলে ত্বকের রং উন্নত হয় এবং চুল পড়া কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক
ঘিতে উপস্থিত পুষ্টি উপাদান শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করে। এটি শরীরকে সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার শক্তি দেয়। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে শরীরে তাপ বজায় থাকে, যা সর্দি-কাশির মতো সমস্যা প্রতিরোধ করে।
জয়েন্টের ব্যথা থেকে মুক্তি
ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য জয়েন্টের ব্যথা ও ফোলাভাব কমাতে সাহায্য করে। এটি জয়েন্টগুলোকে নমনীয় করে তোলে এবং শক্তিশালী করে। নিয়মিত ঘি পানির সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে আর্থ্রাইটিস ও অন্যান্য জয়েন্ট সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
ঘিতে উপস্থিত ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। এটি স্মৃতিশক্তি তীক্ষ্ণ করে এবং মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে। হালকা গরম পানির সঙ্গে ঘি মিশিয়ে পান করলে মন শান্ত হয় এবং ঘুমের মান উন্নত হয়।
হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখে
ঘিতে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর চর্বি হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। ঘি নারীদের পিরিয়ড সংক্রান্ত সমস্যা কমায় এবং হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দূর করে।