জাতীয়
আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বিটিভি’র সম্প্রচার বন্ধ
আগুন লাগার চার ঘণ্টাতেও ফায়ার সার্ভিস রাষ্ট্রীয় বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবনে আসেনি বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। আগুন ছড়িয়ে পড়ায় বিটিবি’র সম্প্রচার বন্ধ হয়ে গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় পরে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানান।
এদিকে সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে টেলিভিশনের পর্দায় বিটিভি দেখা যাচ্ছে না। ভবনে আগুন ছড়ানোর কিছুক্ষণ পরেই সম্প্রচার বন্ধের এ ঘটনা ঘটে।
দুপুর ২টার দিকে বিটিভিতে হামলা করে কিছু লোক। তারা রিসিপশনে ভাঙচুর করে, পাশে থাকা বেশ কিছু গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে ঢাকা কেন্দ্র এবং ডিজাইন শাখায়ও আগুন ধরিয়ে দেয়।
ফায়ার সার্ভিস কেন আসতে পারেনি- এই প্রশ্নে বিটিভি প্রধান বলেন, তারা আমাদের বলছে, রাস্তা বন্ধ থাকায় আসতে পারছে না। বিটিভিতে আসার ৫/৬টা পথ আছে। বিজিবি আসতে পেরেছে, কিন্তু ফায়ার সার্ভিস এখনো আসেনি।
ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ সদস্যরাও সেখানে যায়নি কয়েক ঘণ্টা। তবে বিকাল পাঁচটার দিকে বিজিবি গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। তবে আন্দোলনকারীরা রামপুরায় বিটিভির আশেপাশের সড়কে অবস্থান নিয়ে রাস্তা বন্ধ করে রাখে।
অবশ্য কেবল বিটিভি ভবন না, বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি চলাকালে দুপুরের পর থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় ৪ ঘণ্টায় অর্ধশত জায়গায় আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মধ্যে বেশ কয়েকটি সরকারি ভবন আছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এবার ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও ধীরগতি
মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুনের ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সঞ্চালন লাইন।
এর ফলে ডেটা সেন্টার এবং আইআইজি থেকে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে না আইএসপিগুলো। ফলে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা।
এ বিষয়ে আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, মহাখালীর দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে আগুনের ঘটনায় ডেটা সেন্টার এবং আইআইজি থেকে প্রয়োজনীয় ব্যান্ডউইথ পাচ্ছে না আইএসপিগুলো।
তিনি বলেন, ৩ হাজার জিবিপিএস চাহিদার বিপরীতে এ মুহূর্তে ৩০ শতাংশ অর্থাৎ ৯০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ ঘাটতি রয়েছে। ফলে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও ধীরগতি পাচ্ছেন গ্রাহকরা। নতুন ক্যাবল প্রতিস্থাপন করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আগামীকাল (শুক্রবার) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজধানীর মহাখালীতে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক
উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এ কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘পর্যালোচনার পর মুদ্রানীতি কমিটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত বর্তমান কঠোর মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও তা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি চালু রেখেছে। যেখানে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে এবং সরকারি ব্যয়ের জন্য নতুন অর্থ ছাপানো বাদ রাখা হয়েছে।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় সরকার: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে সরকার শান্তিপূর্ণ সমাধানের দিকে এগোতে চায় বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে কোটা নিয়ে চলমান আন্দোলন বিষয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বেশ কিছু ইতিবাচক বার্তা পেয়েছি। তারা বলেছে যে, তারা পড়ার টেবিলে ফিরতে চায়। আমরাও চাই তারা পড়ার টেবিলে ফিরুক। তাদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তারা সরকারের কাছ থেকে দৃশ্যমান পদক্ষেপের মাধ্যমে সমাধানের পথ খুঁজছে। সরকারও সমাধানই করতে চায়।
তিনি আরও বলেন, কোটা নিয়ে আন্দোলনকারীরা আলোচনার পথে যেতে চায়। সরকারের পক্ষ থেকেও আলোচনার দরজা খোলা আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা সবচেয়ে ইতিবাচক যে বক্তব্যটি দিয়েছে তা হলো, চলমান ভাঙচুর, অগ্নিকাণ্ড ইত্যাদির সঙ্গে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনোভাবেই জড়িত নয়। অর্থাৎ, তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে, আন্দোলনের নামে সহিংসতা ও সন্ত্রাস হচ্ছে। আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই যে তারা এই সহিংসতা ও সন্ত্রাসকে নিন্দা জানিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য একই। প্রধানমন্ত্রীও বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন শিক্ষার্থীরা সহিংসতার সঙ্গে জড়িত নয়, এখানে তৃতীয় পক্ষ ঢুকে পড়েছে। আন্দোলনকারীরা আরো বলেছে, চলমান আন্দোলনে কেউ সহিংসতা করলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর দায়ভার নিবে না। আমরা মনে করি, যেহেতু আন্দোলনের ভেতরে সন্ত্রাস ও সহিংসতার উপাদানগুলো দৃশ্যমান, কাজেই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তাও ঝুঁকির মধ্যে আছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারীরা পরিষ্কার বলেছে, তাদের আন্দোলনকে কেউ যেন ভিন্নখাতে প্রবাহের প্রচেষ্টা না করে। অর্থাৎ, সন্ত্রাস ও সহিংসতার মাধ্যমে তাদের আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহের অপচেষ্টা আছে— যা আমাদেরও অভিমত এবং প্রধানমন্ত্রী তার বক্তব্যে এ বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সেতু ভবনে আগুন
রাজধানীর মহাখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন ও বানানী সেতু ভবনে আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। চারটি ইউনিট পথে আটকে দিয়েছে শিক্ষার্থীরা। ফলে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি পৌঁছাতে পারছে না।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পান ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। ফায়ার সার্ভিসের ডিউটি অফিসার খালেদা ইয়াসমিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা বিকেল ৪টা ৫০ মিনিটের দিকে মহাখালী দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের ভবন ও বানানী সেতু ভবনে আগুনের খবর পাই। খবর পেয়ে দ্রুত চারটি ইউনিট ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। তবে এখন পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটা সংস্কারে প্রয়োজনে সংসদে আইন পাস: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেছেন, কোটা সংস্কার নিয়ে আদালতের রায়ের পর রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ দেশের স্বার্থে কিছু করার প্রয়োজন হলে তা অবশ্যই করবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ আদালতের রায় বা সিদ্ধান্তই আইন হিসেবে গণ্য হবে। প্রয়োজন হলে সংসদে আইন পাস করা হতে পারে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী বলেন, শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল করার জন্য এমন অরাজকতা করেছে গত কয়েকদিন। এআই ব্যবহার করে আন্দোলনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের মাঝে এমন অনেককে খুঁজে পেয়েছে প্রশাসন।
তিনি বলেন, আদালতের আদেশের পর যা প্রয়োজন তা করবে নির্বাহী বিভাগ। আদালতে সিদ্ধান্তের পর নির্বাহী বিভাগ তা দ্রুত কার্যকর করবে। এরপর প্রয়োজন অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় কাজ করবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রী বলেন, আদালতের নির্দেশ নিশ্চয়ই শিক্ষার্থীদের পক্ষে যাবে। সরকারও চায় কোটা সংস্কার। সেটা কীভাবে কতটুকু হবে তা আদালত সিদ্ধান্ত নেবে। এরপরও যদি কিছু করার প্রয়োজন হয় দেশের স্বার্থে তা অবশ্যই করবে রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগ।