অর্থনীতি
অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: বাংলাদেশ ব্যাংক

উচ্চ মূল্যস্ফীতি অব্যাহত থাকলেও বাংলাদেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
আজ বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) ঘোষিত মুদ্রানীতিতে এ কথা বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
‘পর্যালোচনার পর মুদ্রানীতি কমিটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে, মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত বর্তমান কঠোর মুদ্রানীতি অব্যাহত রাখতে হবে। একইসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ।’
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, সম্প্রতি মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কিছুটা কমলেও তা অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি চালু রেখেছে। যেখানে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়েছে এবং সরকারি ব্যয়ের জন্য নতুন অর্থ ছাপানো বাদ রাখা হয়েছে।
এদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর শেষে মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি
৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার কোটি টাকা

দেশের ইতিহাসে রেমিট্যান্স আসায় একের পর এক রেকর্ড হয়েছে। সর্বোচ্চ এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যথাক্রমে মার্চ ও এপ্রিলে। রেমিট্যান্স আসার সেই ধারা এখনো অব্যাহত রয়েছে। চলমি মাস মে’র প্রথম সাত দিনেই ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় দেশে এসেছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) যার পরিমাণ প্রায় ৯ হাজার কোটি (৮ হাজার ৯৬৭ কোটি) টাকা। আর প্রতিদিন আসছে ১০ কোটি ৫০ লাখ ডলার বা ১২৮১ কোটি টাকা। এভাবে রেমিট্যান্স এলে চলতি মাসে আবারও রেকর্ড হতে যাচ্ছে অর্থাৎ তিন বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, মে মাসের প্রথম সাত দিনে ৭৩ কোটি ৫০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা তার আগের বছরের একই সময়ে (মে, ২০২৪) সাড়ে ১৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২৪ সালের মে মাসের প্রথম সাত দিনে এসেছিল ৬০ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
আর চলতি অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে মে মাসের সাতদিন পর্যন্ত দেশে মোট ২ হাজার ৫২৭ কোটি ৩০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই থেকে মে মাসের সাতদিন পর্যন্ত এসেছিল এক হাজার ৯৭২ কোটি ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরের তুলনায় এখন পর্যন্ত সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার বেশি এসেছে। অর্থবছরের হিসাবে চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ২৮.২ শতাংশ।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলার রেমিট্যান্স এসেছে, আগস্টে এসেছে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলার, সেপ্টেম্বরে এসেছে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ, অক্টোবরে এসেছে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার, নভেম্বর মাসে এসেছে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে এসেছে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার এবং সবশেষ এপ্রিলে আসে ২৭৫ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান

উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশের যাত্রায় অংশীদার হতে বিশ্বের ব্যবসায়ী নেতাদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। তিনি বলেছেন, প্রযুক্তি ও অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার (১১ মে) জাপানের ওসাকার কানসাই এ ‘ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫’ এর ‘বাংলাদেশ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, প্যাভিলিয়নে বাংলাদেশের সমৃদ্ধ ইতিহাস, কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরা হয়েছে। ঐতিহ্যের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সমাজের সেতুবন্ধের প্রতীক হিসেবে প্যাভিলিয়ন কাঠের কাঠামো দিয়ে তৈরি করা হয়েছে, যা শূন্য কার্বন ও টেকসই অনুশীলনের উদাহরণ।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বে বাংলাদেশ এখন প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের এক অনন্য উদাহরণ। আর্থ-সামাজিক ব্যাপক উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দেশটি এখন ২০৩১ সালের মধ্যে একটি উচ্চমধ্যম আয়ের দেশ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করছে। ক্রমবর্ধমান তরুণ জনসংখ্যা এবং স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি দেশের মানুষকে সমৃদ্ধির স্তরে উন্নীত করেছে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ক্রমবর্ধমান অভ্যন্তরীণ বাজারের পাশাপাশি, আসিয়ান দেশগুলোর কৌশলগত কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। এ কারণে এই অঞ্চলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত বাণিজ্য অংশীদার হওয়ার অপার সম্ভাবনা রয়েছে বাংলাদেশের।
তিনি বলেন, উদার বিনিয়োগ ব্যবস্থার সুযোগ গ্রহণ করে বিশ্বের উন্নত দেশসমূহ তৈরি পোশাক, চামড়া, ওষুধ, হালকা প্রকৌশল, আইটি, পাট ও পাটজাত পণ্য, সিরামিক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ গ্রহণ করতে পারে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, ১৯৭২ সাল থেকে জাপান বাংলাদেশের সঙ্গে কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্কে আবদ্ধ। প্রতিনিয়ত এ সম্পর্ক গতিশীল হচ্ছে। ২০২৬ সালে বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণ প্রক্রিয়ায়ও জাপানের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার ফোরামের

স্বচ্ছ, কার্যকর ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার নিয়ে নির্বাচনী মাঠে নেমেছে ফোরাম। টেকসই পোশাক শিল্পের ভবিষ্যতের জন্য ৯টি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরেছে সংগঠনটি।
রবিবার (১১ মে) দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ফোরামের নেতারা তাদের পরিকল্পনা তুলে ধরেন। প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু লিখিত বক্তব্য তুলে ধরেন।
মাহমুদ হাসান খান বলেন, পোশাক শিল্প জাতীয় অর্থনীতি, জিডিপি, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, কর্মসংস্থান এবং নারীর ক্ষমতায়নে বিশাল ভূমিকা রাখছে। তবে দীর্ঘ ৪৫ বছরের পথচলায় এ খাতটি এখনও পুরোপুরি টেকসই হয়ে উঠতে পারেনি।
তিনি বলেন, বিজিএমইএর পক্ষ থেকে অতীতে যতটা শক্তিশালী ভূমিকা আশা করা গিয়েছিল, ততটা দেখা যায়নি। বরং একটি গোষ্ঠী সরকারের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি করেছে। তবে পোশাকখাতের মালিকরা সবসময় একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক বিজিএমইএ চেয়েছেন।
প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান জানান, ফোরাম ৩৫ জন পরিচালক পদপ্রার্থী নির্বাচন করেছে। এ প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা, তরুণ নেতৃত্ব, দূরদর্শিতা এবং অভিজ্ঞতাকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন, ফোরামের প্রার্থীরা নির্বাচিত হলে একটি নতুন বিজিএমইএ গঠিত হবে এবং তারা দৃঢ়তার সঙ্গে পোশাক খাতকে ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন।
পোশাক খাতের অগ্রগতি, উন্নয়ন এবং আন্তর্জাতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ফোরাম নেতারা ৯টি কৌশলগত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন। তাদের অগ্রাধিকারের তালিকায় রয়েছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি (এসএমই) উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা নিশ্চিত করা, ব্যাংক ও কাস্টমস সংক্রান্ত হয়রানি দূর করা, রুগ্ণ শিল্পগুলোর জন্য বিশেষ নীতি সহায়তা প্রদান এবং অনিয়ন্ত্রিত কারণে রুগ্ণ হওয়া কারখানাগুলোর জন্য একটি সুস্পষ্ট এক্সিট পলিসি প্রণয়ন করা।
তিনি আরও জানান, তাদের প্যানেলে এমন প্রার্থীদের নির্বাচন করা হয়েছে যারা শুধু পরিচালক হওয়ার জন্য আসেননি, বরং শিল্পের জন্য কাজ করতে চান। নির্বাচিত হলে বিজিএমইএ আর শুধু কার্ডধারী পরিচালকদের বা দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত হবে না।
ফোরাম নেতারা অভিযোগ করেন, বিগত দিনে অনেক মালিক বিজিএমইএতে গিয়ে সহযোগিতা পাননি বরং হয়রানির শিকার হয়েছেন। তবে ফোরাম নেতৃত্ব পেলে সংগঠনটি মালিক ও শ্রমিক উভয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হবে এবং এখানে রাজনৈতিক বিবেচনা স্থান পাবে না।
এক প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য বেশ কয়েকজন উদ্যোক্তা পালাতক রয়েছেন এবং অনেকের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তবে তাদের কেউই বিজিএমইএর সভাপতি পদে ছিলেন না। এটি তাদের ব্যক্তিগত কর্মের ফল।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ফোরামের মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী, প্রধান নির্বাচন সমন্বয়ক ফয়সাল সামাদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে সম্মত জাপান-বাংলাদেশ

বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে জাপানের অর্থনীতি, বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বৈঠকে করেছেন। এসময় জাপান ও বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে উভয় দেশ সম্মত হয়েছে। বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্ভাবনা এবং সহযোগিতার ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা হয়।
রবিবার (১১ মে ) দুপুরে ওয়ার্ল্ড এক্সপো ২০২৫-এর ভেন্যুর জাপান প্যাভিলিয়নে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ জাপানের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর ও সুদৃঢ় করতে আগ্রহী। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ইতোমধ্যে অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (এপিএ) সইয়ের পঞ্চম রাউন্ডের আলোচনা ফলপ্রসূভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
জাপানের প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করতে জাপান সরকার অঙ্গীকারাবদ্ধ। অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি বাস্তবায়নে দুদেশের মধ্যে যে সকল মতপার্থক্য রয়েছে আলোচনার মাধ্যমে দূর করে দ্রুত সময়ের মধ্যেই তা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশ তরুণ শ্রেণির—যাদের বয়স ১৬- ৩০ বছরের মধ্যে। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের দক্ষ ও যোগ্য জনশক্তিতে রূপান্তর করে জাপানের শ্রম বাজারে পাঠাতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে। তার অংশ হিসেবে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এসময় তিনি বাংলাদেশে আরও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে তৈরি ও আন্তর্জাতিকমানের প্রশিক্ষণদানের সুযোগ তৈরিতে জাপান সরকারের সহযোগিতা কামনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, জাপানের মিতসুবিশি করপোরেশন ইতোমধ্যে বাংলাদেশে সার কারখানায় বিনিয়োগ করেছে যা বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এসময় তিনি বাংলাদেশে আরও বেশি জাপানি বিনিয়োগের জন্য জাপান সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসার আহবান জানান।
জাপানের প্রতিমন্ত্রী ওগুশি মাসাকি বলেন, জাপানে দক্ষ শ্রমিকের খুব প্রয়োজন। বাংলাদেশের দক্ষ জনশক্তি এদেশের শ্রমবাজারে আসলে বাণিজ্যের একটি নতুন দিক উন্মোচন হতে পারে, যা দুদেশের জন্যই সুখকর হবে। এসময় তিনি দক্ষ জনশক্তি তৈরিতে জাপানের সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. দাউদ আলী, জাপানের ট্রেড পলিসি ব্যুরোর দক্ষিণ পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক পরিচালক শিমানো তোশিয়ুকি, ট্রেড পলিসি ব্যুরোর ইকোনমিক পার্টনারশিপ ডিভিশনের পরিচালক উচিনো হিরুতো এবং জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মোরারজী দেশাই বর্মনসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

বুদ্ধপূর্ণিমার ছুটি উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানিসহ কাস্টমসের কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। তবে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক রয়েছে।
আজ রোববার বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের আহ্বায়ক রেজাউল করিম শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বুদ্ধপূর্ণিমায় সরকারি ছুটি থাকায় রোববার বাংলাবান্ধা দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ। সোমবার (১২ মে) সকাল থেকে পুনরায় বন্দরের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য সচল হবে।
বাংলাবান্ধা চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফিরোজ কবির জানান, বুদ্ধপূর্ণিমা উপলক্ষে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও দুই দেশের ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে পাসপোর্টধারী যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক থাকবে।