রাজধানী
আশুলিয়ায় পোশাক কারখানায় ভয়াবহ আগুন
ঢাকা সাভারের আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় একটি কারখানার কাপড়ের গোডাউনে আগুন লেগেছে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল ৭টার দিকে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। পরে ফায়ার সার্ভিসের ৭টি ইউনিট প্রায় ২ ঘণ্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ।
জিরাব ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আবু সায়েম মাসুম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকায় শ্রাবণী নিট ওয়্যার নামে একটি টিনশেড কাপড়ের গোডাউনে আগুন লাগার খবর পাই। পরে সাভারের দুটি, ডিইপিজেড ফায়ার স্টেশনে দুটি ও আমাদের স্টেশন (জিরাব) থেকে তিনটিসহ মোট সাতটি ইউনিট নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। বর্তমানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে সম্পূর্ণ নেভেনি।
তিনি আরও বলেন, এতে কোনো হতাহত নেই। আগুন সম্পূর্ণ নেভানোর পর ক্ষয়ক্ষতিসহ আগুন লাগার কারণ জানা যাবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
কমপ্লিট শাটডাউনে স্বাভাবিক সূচিতে চলছে মেট্রোরেল
কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পূর্বঘোষিত ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে রাজধানীতে গণপরিবহন কম চলাচল করলেও স্বাভাবিক সূচিতে চলছে মেট্রোরেল।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালন করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সকাল ১০টায় সায়দাবাদ থেকে মানিকনগর হয়ে মালিবাগ রোডে অল্পকিছু বাস চোখে পড়েছে। মতিঝিল শাপলা চত্বরেও বাস কম থাকায় মেট্রোরেলের দিকেই ছুটতে দেখা গেছে যাত্রীদের।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মতিঝিল থেকে উত্তরার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ কম থাকলেও উত্তরা থেকে মতিঝিলের দিকে ছেড়ে আসা মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ অন্যান্য দিনের চেয়ে কিছুটা কম দেখা যায়।
আলিফ হাসান নামে এক ব্যাংকার জানান, তিনি থাকেন উত্তরায়। দিয়াবাড়ী থেকে কর্মস্থল ফার্মগেটে এসেছেন মেট্রোরেলে। আজ অন্যান্য দিনের চেয়ে মেট্রোরেলে যাত্রীর চাপ কিছুটা কম ছিল।
গতকাল বুধবার রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) সারা দেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
পোস্টে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত ও এক দফা দাবিতে ১৮ জুলাই সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি।
কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করে বলা হয় শুধু হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ছাড়া কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালকের কর্মসূচি সফল করুন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে যেসব মার্কেট বন্ধ বৃহস্পতিবার
বিভিন্ন প্রয়োজনে আমাদের মার্কেটে যেতে হয়। কিন্তু গিয়ে যদি দেখা যায় মার্কেট বন্ধ তাহলে মেজাজটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই যে মার্কেটে যাচ্ছেন তা খোলা নাকি বন্ধ তা জেনে যাওয়াই ভালো। তাহলে জেনে নেই বৃহস্পতিবার রাজধানীর যেসব এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
যেসব এলাকার দোকানপাট বন্ধ থাকবে
মোহাম্মাদপুর, আদাবর, শ্যামলী, গাবতলী, মিরপুর স্টেডিয়াম, চিড়িয়াখানা, টেকনিক্যাল, কল্যাণপুর, আসাদগেট, ইস্কাটন, মগবাজার, বেইলি রোড, সিদ্ধেশ্বরী, মালিবাগের একাংশ, শাজাহানপুর, শান্তিনগর, শহীদবাগ, শান্তিবাগ, ফকিরাপুল, পল্টন, মতিঝিল, টিকাটুলি, আরামবাগ, কাকরাইল, বিজয়নগর, সেগুনবাগিচা, হাইকোর্ট ভবন এলাকা, রমনা শিশু পার্ক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা, নিউমার্কেট।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
মোহাম্মাদপুর টাউন হল মার্কেট, কৃষি মার্কেট, আড়ং, বিআরটিসি মার্কেট, শ্যামলী হল মার্কেট, মুক্তিযোদ্ধা সুপার মার্কেট, মাজার করপোরেট মার্কেট, মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, শাহ আলী সুপার মার্কেট, মিরপুর স্টেডিয়াম মার্কেট, মৌচাক মার্কেট, আনারকলি মার্কেট, আয়েশা শপিং কমপ্লেক্স, কর্ণফুলী গার্ডেন সিটি, কনকর্ড টুইন টাওয়ার, ইস্টার্ন প্লাস, সিটি হার্ট, জোনাকি সুপার মার্কেট, পল্টন সুপার মার্কেট, স্টেডিয়াম মার্কেট-১ ও ২, গুলিস্থান কমপ্লেক্স, রমনা ভবন, খদ্দর মার্কেট, পীর ইয়ামেনি মার্কেট, বায়তুল মোকাররম মার্কেট, আজিজ কো-অপারেটিভ মার্কেট, সাকুরা মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শনির আখড়ায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ৬
রাজধানীর শনির আখড়ায় আজ দিনভর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে রাখার পর সন্ধ্যায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে যুক্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ বাঁধে। এ সময় দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। সর্বশেষ রাত ৯টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সেখানে সংঘর্ষ চলছিল।
এ দিকে সন্ধ্যায় সেখানে সংঘর্ষের সময় পুলিশের শটগানের গুলিতে আহত ছয়জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। আহতদের মধ্যে দুই বছরের এক শিশুও রয়েছে।
আহতরা হলেন, ইরান, সোহাগ, বাবু মিয়া ও তাঁর শিশু পুত্র রোহিত মিয়া এবং স্কুলছাত্র মাহিম আহমেদ। আহত ব্যবসায়ী বাবু মিয়া বলেন, তিনি দনিয়া এলাকায় শিশু সন্তান রোহিতকে নিয়ে বাসার ফটকে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তখন পুলিশের ছোড়া ছররা গুলি তাঁর ও ছেলের গায়ে লাগে।
আহত স্কুলছাত্র মাহিম আহমেদের বাবা মোহাম্মদ আলী বলেন, সন্ধ্যার দিকে কোচিং শেষ করে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। তখন ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মধ্যে পড়েন। এ সময় পুলিশের ছররা গুলিতে তাঁর ছেলে আহত হন।
এর আগে সকাল ১০টার দিকে শনির আখড়ায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীরা। সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁরা এই মহাসড়কটি অবরোধ করে রাখে। সন্ধ্যার দিকে পুলিশ অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে গেলে সংঘর্ষ বাঁধে। এর পর দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল শুরু
পবিত্র আশুরা উপলক্ষে রাজধানীতে শিয়া সম্প্রদায়ের তাজিয়া মিছিল শুরু হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার হোসনি দালান থেকে মিছিলটি শুরু হয়েছে। খালি পায়ে, বুক চাপড়ে ‘হায় হোসেন, হায় হোসেন’ মাতম তুলে আজীমপুর, নীলক্ষেত, নিউমার্কেট, সায়েন্সল্যাব ও ধানমন্ডি গিয়ে শেষ হবে মিছিল।
এতে শিয়া সম্প্রদায়ের হাজারো মানুষ অংশ নিয়েছে। মিছিলটি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য পুলিশ কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছে, পুরান ঢাকার লালবাগের হোসেনি দালান ইমামবাড়া, বড় কাটারা ইমামবাড়া ও এর আশপাশের শিয়া সম্প্রদায়কেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান ও ঐতিহ্যবাহী তাজিয়া (শোক) মিছিল ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।
শোকের মিছিলে আংশগ্রহণের জন্য পরনে কালো পোশাক, মাথায় কালো পট্টি, কারও হাতে আবার ঝালর দেওয়া লাল-কালো ও সোনালি রংঙের ঝাণ্ডা দেখা গেছে।
সুষ্ঠুভাবে তাজিয়া মিছিল সম্পন্ন করতে দা, ছোরা, কাঁচি, বর্শা, বল্লম, তরবারি, লাঠি বহন নিষিদ্ধ করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। একই সঙ্গে আতশবাজি ও পটকা ফাটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
বায়ুদূষণের শীর্ষে লাহোর, ঢাকার পরিস্থিতি কী?
দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের দিকে আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী ৭২ স্কোর নিয়ে ২৫ নম্বরে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, যা দূষণের দিক থেকে মাঝারি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
একই সময়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ১৬৫ স্কোর নিয়ে শীর্ষে রয়েছে পাকিস্তানের লাহোর। আবার ১৪৬ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা, ১৪১ স্কোর নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্রের রাজধানী কিনশাসা। আবারও ১৩৯ স্কোর নিয়ে চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে বাহরাইনের মানামা এবং পঞ্চম অবস্থানে ইন্দোনেশিয়ার মেদিন, যার স্কোর ১৩৯।
একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়।
২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন — বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
কাফি