অর্থনীতি
রপ্তানি তথ্য সংশোধনে জিডিপি কমবে না: অর্থ মন্ত্রণালয়
![রপ্তানি তথ্য সংশোধনে জিডিপি কমবে না: অর্থ মন্ত্রণালয় পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/ortho-montronaloy.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি তথ্যের মধ্যে সমন্বয় সাধনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা বর্তমানে একই পদ্ধতি অবলম্বন করছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার আশা করছে এখন থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুারো (ইপিবি) প্রকাশিত রপ্তানি তথ্যের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কোন পার্থক্য থাকবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইপিবির রপ্তানি তথ্যের মধ্যে পার্থক্য উঠে আসার প্রেক্ষিতে সম্প্রতি বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে গত ১৫ জুলাই, সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি এসব কথা বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, রপ্তানির বিপরীতে যে পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা প্রকৃতপক্ষে দেশে আসে বাংলাদেশ ব্যাংক শুধুমাত্র সেই পরিমাণ অর্থ রপ্তানির পরিমাণ হিসেবে প্রকাশ করে থাকে। মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) হিসেব করার সময় বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) কেন্দ্রিয় ব্যাংকের এই হিসেবকে বিবেচনায় নিয়ে থাকে। ফলে সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমে রপ্তানি কমে যাওয়া এবং এর ফলে জিডিপি ও মাথাপিছু আয় কমে যাওয়ার যে আশঙ্কা করা হচ্ছে তা সঠিক নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ব্যালেন্স অব পেমেন্টের চলতি হিসেব এবং আর্থিক হিসেবের কিছু ক্ষেত্রে উপাত্তের পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। তবে এর ফলে ব্যালেন্স অব পেমেন্টের সার্বিক ভারসাম্যে কোন পরিবর্তন আসবে না। পুনর্বিন্যস্ত ব্যালেন্স অব পেমেন্ট ইতোমধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।
এতে আরো বলা হয়, এছাড়া রপ্তানির ওপর নগদ আর্থিক প্রণোদনার পরিমাণ বাংলাদেশ ব্যাংক প্রকাশিত প্রকৃত রপ্তানি আয় প্রাপ্তি এবং থার্ড পার্টি অডিটের মাধ্যমে প্রকৃত ক্যাশ ইনসেনটিভ নিরূপনের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। সুতরাং রপ্তানির বিপরীতে যে নগদ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে তা সঠিক। উল্লেখ্য, রপ্তানি তথ্য সমন্বয়ের লক্ষ্যে গতকাল রোববার অর্থ ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, এনবিআর, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং ইপিবি’র উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গর্ভনর আব্দুর রউফ তালুকদার, এনবিআরের চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জমান মজুমদার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, ইপিবি’র ভাইস-চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৪ হাজার ২২০ কোটি
![গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় ৪ হাজার ২২০ কোটি পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/Grameenphone-GP-ltd-1.jpg)
২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল থেকে জুন) ৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে দেশের অন্যতম শীর্ষ মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোন (জিপি)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই), নেটওয়ার্ক উন্নয়ন এবং গ্রাহককেন্দ্ৰিক ডিজিটাল সেবায় কৌশলগত পদক্ষেপের মাধ্যমে বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকেও চলমান প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে গ্রামীণফোন। চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গ্রামীণফোন লিমিটেড ৪ হাজার ২২০ কোটি টাকা রাজস্ব আয় করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি।
তাছাড়া নতুন ২৩ লাখ গ্রাহক নিয়ে দ্বিতীয় প্রান্তিকের শেষে গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮ কোটি ৫০ লাখে। গ্রামীণফোনের মোট গ্রাহকের ৫৮ দশমিক ৩ শতাংশ বা ৪ কোটি ৯৭ লাখ গ্রাহক ইন্টারনেট সেবা ব্যবহার করছেন।
গ্রামীণফোনের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) ইয়াসির আজমান বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কঠোর নীতি, ক্রমাগত জ্বালানি সম্পদের দামের সমন্বয়, ভর্তুকি হ্রাস, সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি এবং ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাবে সামষ্টিক অর্থনীতিতে চাপ আগের বছরের তুলনায় আরও বেড়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো সত্ত্বেও জিপি প্রবৃদ্ধির কৌশলে মনোযোগী ছিল, তাই প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে ব্যবসায় স্থিতিশীলতা বজায় রেখেছে। মাইজিপি অ্যাপের বর্তমান সক্রিয় ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২ কোটি, যা অ্যাপটিকে দেশের বৃহত্তম সেলফ-সার্ভিস অ্যাপ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
তিনি আরও বলেন, এআই প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে আমরা বিভিন্ন স্মার্ট কৌশল অবলম্বন করেছি। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- এআই-চালিত ডায়নামিক নেটওয়ার্ক অপটিমাইজেশন সিস্টেম স্থাপন, যা রিয়েল টাইম মুভমেন্টের ওপর ভিত্তি করে নির্বিঘ্ন সংযোগ দিয়েছে। গ্রামীণফোনের মাধ্যমে গ্রাহকদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে এবং টেকসই ভবিষ্যৎ গড়তে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এর কর্মচারীরা।
গ্রামীণফোনের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) অটো রিসব্যাক বলেন, এ বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সাবস্ক্রিপশন ও ট্র্যাফিক রেভিনিউ ৬ দশমিক ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা আগের প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ। দক্ষতা ও অটোমেশনের ওপর ভিত্তি করে খরচের চাপ কমানো হয়েছে এবং ৬০ দশমিক ৪ শতাংশের একটি শক্তিশালী ইবিআইটিডিএ মার্জিন অর্জনে সক্ষম হয়েছে জিপি।
তিনি বলেন, গ্রামীণফোন এ নিয়ে টানা ১৩ প্রান্তিকে আর্থিক অগ্রগতি এবং ইবিআইটিডিএর ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে। ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি ও শক্তিশালী ব্যালেন্স শিটের জন্য বোর্ড এ প্রান্তিকের জন্য শেয়ারপ্রতি ১৬ টাকার অন্তর্বর্তী লভ্যাংশের সুপারিশ করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই
![দুর্যোগ মোকাবেলায় স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করবে এফবিসিসিআই পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/nfjkvfj.jpg)
দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সকালে এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে ‘ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যাসেসমেন্ট টুল অ্যান্ড প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন’ শীর্ষক এক কর্মশালায় একথা জানানো হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস সেন্টারের (এডিপিসি) সহযোগিতায় দিনব্যাপী এই কর্মশালার আয়োজন করে এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিল।
কর্মশালায় জানানো হয়, দুর্যোগ মোকাবিলা ও ব্যবস্থাপনায় প্রতি জেলায় প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম বা স্বেচ্ছাসেবক দল তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রতিটি জেলা চেম্বারে তৈরি করা হচ্ছে সেইফটি সেল। যার মাধ্যমে প্রাইভেট সেক্টর ইমার্জেন্সি রেস্পন্স টিম পরিচালিত হবে। এই স্বেচ্ছাসেবক দল জেলা প্রশাসনের অধীনে দুর্যোগ আইন, এসওডি এবং স্বেচ্ছাসেবক গাইডলাইন অনুসরণ করে কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
এসময় এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মো. আমিন হেলালী দুর্যোগ মোকাবিলায় দেশের বেসরকারি খাতের কর্ণধার হিসেবে এফবিসিসিআই এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য সবাইকে যথাপোযুক্ত পরামর্শ ও মতামত দেয়ার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আবদুল ওয়াদুদ বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ রোধ করা যাবে না, তবে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রস্তুতি রাখতে হবে। জরুরি মুহূর্তে বা দুর্যোগের সময় কে কি দায়িত্ব পালন করবে সেটি আগে থেকেই নির্ধারণ করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
কর্মশালায় গেস্ট অব অনার হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন এশিয়ান ডিজাস্টার প্রিপেয়ার্ডনেস কাউন্সিলের (এডিপিসি) টেকনিক্যাল লিড ড. মোনা সি. আনন্দ এবং সভাপতিত্ব করেন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ। কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআইর পরিচালক এবং এফবিসিসিআই ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির সহআহ্বায়ক মো. নিয়াজ আলী চিশতি, এফবিসিসিআইর মহাসচিব মো. আলমগীর, এফবিসিসিআই সেইফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহীদুল্লাহ, বিভিন্ন সংস্থা ও বাণিজ্যিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং অন্যরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রতিমন্ত্রী
![দক্ষ কর্মী নিতে চায় জাপান: প্রতিমন্ত্রী পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/07/অনুদান-দেবে-জাপান-১.jpg)
জাপান বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনবল নিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ঢাকায় নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরির সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাপানের বিভিন্ন খাত বিশেষ করে কেয়ার গিভিং, কৃষিসহ অন্যান্য খাতে প্রচুর দক্ষ শ্রমিকের প্রয়োজন রয়েছে। এজন্য রাষ্ট্রদূত জাপানি ভাষা শিক্ষার উপর জোর দিয়েছেন। আমরাও কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রতে (টিটিসি) জাপান ভাষা ও কারিগরি জ্ঞানে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দক্ষ কর্মীদের জাপানে নিয়োগ দিতে আমাদের প্রস্তুতির কথা বলেছি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহে যুগোপযোগী ও আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রশিক্ষকদের জাপান ভাষায় দক্ষ করতে তাদের সহযোগিতা চেয়েছি। আধুনিক যন্ত্রপাতির ও ভালো মানের ভাষা প্রশিক্ষকদের সমন্বয় আমরা আমাদের কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসমূহ দ্রুত সময়ে ঢেলে সাজাতে সক্ষম হব।
বৈঠকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. রুহুল আমিন, বাংলাদেশ জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক সালেহ আহমদ মোজাফফর, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো.খায়রুল আলমসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম আরও বাড়লো
![স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম আরও বাড়লো স্মারক স্বর্ণমুদ্রা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/11/স্মারক-স্বর্ণমুদ্রা-১.jpg)
আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বেড়ে যাওয়ায় আবারও স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কারেন্সি ম্যানেজমেন্ট এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক ও দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম বাড়ায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রিত ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস-২০০০’, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ১৯২০-২০২০’ এবং ‘স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১’ শীর্ষক স্মারক স্বর্ণমুদ্রার মূল্য পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।
প্রতিটি স্মারক স্বর্ণমুদ্রা ২২ ক্যারেট মানের স্বর্ণে তৈরি ও প্রতিটির ওজন ১০ গ্রাম। স্মারক স্বর্ণমুদ্রাগুলোর (বাক্সসহ) প্রতিটির দাম ৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। এতদিন মুদ্রাগুলো বিক্রি করা হতো ১ লাখ টাকায়।
উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের বাজারে ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার ৮১ টাকায়। যা দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ দাম। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৬২২ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৮ হাজার ২৪৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণ বিক্রি হচ্ছে ৮১ হাজার ২২৯ টাকায়।
এছাড়া স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত হচ্ছে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।
তবে স্মারক স্বর্ণমুদ্রার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ফাইন সিলভারের স্মারক মুদ্রার দাম।
এসব মুদ্রার মধ্যে রয়েছে: বাংলাদেশের স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বাংলাদেশ ব্যাংকের রজতজয়ন্তী ১৯৯৬, বঙ্গবন্ধু সেতু উদ্বোধন ১৯৯৮, বাংলাদেশের ৪০তম বিজয়বার্ষিকী, ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশত জন্মবার্ষিকী ২০২১, আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ডকাপ ২০১১, বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি, জাতীয় জাদুঘরের শতবর্ষ ১৯১৩-২০১৩, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবর্ষ, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ১৯৭১-২০২১। মুদ্রাগুলো বিক্রি হবে আগের দর ৬ হাজার টাকায়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
সৌরবিদ্যুতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া
![সৌরবিদ্যুতে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া পুঁজিবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/indronesia-1.jpg)
কক্সবাজারের মহেশখালীতে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে ইন্দোনেশিয়া। দেশটির জ্বালানি খাতের শীর্ষ কোম্পানি পিটি পারতামিনা পাওয়ার ও বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল) যৌথভাবে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে।
গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কোম্পানি দুটির মধ্যে এ-সংক্রান্ত সমঝোতা চুক্তি সই হয়। সিপিজিসিবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ ও পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলো উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, ‘ইন্দোনেশিয়ার সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি পারতামিনা পাওয়ারের সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই হলো। এ সমঝোতার আলোকে ৫০০ মেগাওয়াট সোলার প্রকল্পে বিনিয়োগ করবে তারা। এ প্রকল্পে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ হবে। এজন্য যৌথ একটি কোম্পানি গঠন করে ৫০ শতাংশ করে শেয়ারে মালিকানায় থাকবে পারতামিনা ও সিপিজিসিবিএল।’
অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমান সভাপতিত্ব করেন। তিনি জানান, মহেশখালীতে ৫ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সম্ভাব্য ক্ষেত্র রয়েছে। পারতামিনা ৫০০ মেগাওয়াট দিয়ে শুরু করবে। পর্যায়ক্রমে সেখানে আরো বিনিয়োগ বাড়বে।
তিনি আরো জানান, ইন্দোনেশিয়া থেকে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য জ্বালানি আমদানি করছে বাংলাদেশ, বছরে যা প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন টন। এছাড়া সেখান থেকে মিনারেল পণ্যও আমদানি হচ্ছে।
প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে বাংলাদেশে সৌরভিত্তিক বৃহৎ কোনো প্রকল্পে একক বিনিয়োগকারী হিসেবে প্রবেশ করবে ইন্দোনেশিয়া। এর আগে পটুয়াখালীর পায়রায় ৫০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এ লক্ষ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড (এনডব্লিউপিজিসিএল) এবং চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট করপোরেশনের (সিএমসি) আধা মালিকানায় ‘বাংলাদেশ-চায়না পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড (রিনিউয়েবল)’ নামে একটি যৌথ মূলধনি কোম্পানি গঠন করা হয়।
বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, দেশে বর্তমানে ১১টি সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে নয়টি পিপিএ-আইএ স্বাক্ষরিত প্রকল্প থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন হচ্ছে মোট ২৬৯ মেগাওয়াট। বেসরকারি খাতে চলমান প্রকল্পগুলোর মধ্যে ২৯টি এলওআই স্বাক্ষরিত হয়েছে। এগুলোর মোট উৎপাদনক্ষমতা ২ হাজার ৬০৮ মেগাওয়াট।
বিদ্যুৎ খাতের মহাপরিকল্পনায় ২০৪১ সালের মধ্যে মোট ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সরকার। এ পরিকল্পনায় ২০৩০ সাল নাগাদ দেশে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা তৈরি হবে তার মোট ১০ শতাংশ থাকবে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিশেষত জামালপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, পায়রা, বাগেরহাটের রামপাল ও দেশের বিভিন্ন চরাঞ্চলে সরকারি-বেসরকারি ও বিদেশী অর্থায়নে সৌরবিদ্যুতের প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।