কর্পোরেট সংবাদ
বেসিসের ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ার হলেন নগদের ইডি এলিট

বাংলাদেশের অন্যতম সেরা এমএফএস ও ফাস্টেট ইউনিকর্ন নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।
নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের এ নিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্টে নগদের ভূমিকার বহিঃপ্রকাশ ঘটল। বিস্তৃত দূরদর্শী উদ্ভাবক নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের নিয়োগের মাধ্যমে দেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতে আরও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে বেসিস নির্বাহী কমিটি মন্তব্য করেছেন।
সফটওয়্যার খাতের সংগঠনের (বেসিস) ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট উদ্ভাবনী চিন্তা ও ডিজিটাল পেমেন্ট পদ্ধতি পুনর্গঠনের লক্ষ্য পূরণে কাজ করবেন। তা ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া ও কমিটির সদস্যদের অনুপ্রাণিত করতেও তিনি ভূমিকা রাখবেন।
স্ট্যান্ডিং কমিটি নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ নিয়ে কথা বলতে গুরুত্ব দেবে ও ডিজিটাল পেমেন্ট সল্যুশনকে আরও বেশি জনপ্রিয় করতে ও ফিনটেক স্টার্টআপের সমৃদ্ধিতে সহায়তা করবে।
নগদের নির্বাহী পরিচালক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নতুন দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, ফিনটেক ও ডিজিটাল পেমেন্ট স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় সম্মানিত বোধ করছি। বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তর ও অন্তর্ভূক্তিমূলক আর্থিক অবকাঠামো তৈরিতে ইন্ডাস্ট্রির নেতা ও অংশীজনদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে চাই।
তরুণ উদ্যোক্তা হিসেবে নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বেশ কিছু সফল ব্যবসা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত আছেন। তিনি পেশাজীবী, ক্রীড়া, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কয়েকটি সংগঠনের সঙ্গে কাজ করছেন। বর্তমানে তিনি বড়তাকিয়া গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, জেসিআই চট্টগ্রামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেসিআই বাংলাদেশের দুবারের সফল সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অন্যদিকে জেসিআই বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারপারসন ও চট্টগ্রাম আঞ্চলিক ক্রিকেট কাউন্সিলের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এলিট।
এমআই

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, এফসিএ, এফসিএস, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খান, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বার্ষিক সাধারণ সভায় যোগদানের ক্ষেত্রে রেকর্ড ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে ২৩ সেপ্টেম্বর।
কর্পোরেট সংবাদ
মধুখালীতে কৃষকদের মধ্যে প্রাইম ব্যাংকের প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় কৃষকদের মাঝে প্রকাশ্যে কৃষি ঋণ বিতরণ করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান প্রাইম ব্যাংক পিএলসি। বাংলাদেশের কৃষি খাতের উন্নয়ন ত্বরান্বিত করার অংশ হিসেবে ব্যাংকটি এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলায় এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কৃষকদের মাঝে এই ঋণ বিতরণ করা হয়। এসময় প্রায় দেড় শতাধিক কৃষক অনুষ্ঠানে অংশ নেন। অনুষ্ঠানে সময়মতো ঋণ পরিশোধ করে অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করায় আটজন কৃষককে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করে প্রাইম ব্যাংক, যা অন্যান্য কৃষকদের জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক।
এ আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগের অতিরিক্তি পরিচালক টি এম ফরহাদ রেজা জুয়েল; উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবু রাসেল; কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মো. মাহবুব ইলাহী; প্রাইম ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী; এসভিপি ও কৃষি ব্যবসা বিভাগের প্রধান শাহানা পারভীন; ভাইস প্রেসিডেন্ট ও জোনাল হেড তরিকুল হাসান; মধুখালী ব্রাঞ্চের ম্যানেজার এবং ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে প্রাইম ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর এম. নাজিম এ. চৌধুরী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য বিমোচনে কৃষি খাতের গুরুত্ব অপরিসীম। কৃষকের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে প্রাইম ব্যাংক সবসময় অঙ্গীকারবদ্ধ। বর্তমানে প্রাইম ব্যাংক খাদ্য শস্য উৎপাদনের জন্য ‘আবাদ’; খামার ব্যবস্থাপনার জন্য ‘খামার’ এবং কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের জন্য ‘নবান্ন’ নামে কৃষকদের কৃষি ঋণ সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে। সেই ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ঋণ বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে প্রাইম ব্যাংক।
এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাইম ব্যাংক বাংলাদেশের কৃষি খাতের টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশের মেটা বিজনেস কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করল রোর গ্লোবাল

দেশের মেটা ম্যানেজড পার্টনার রোর গ্লোবাল বাজারে তাদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের ডিজিটাল প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছে।
রোর গ্লোবালের বাংলাদেশি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান রোর বাংলার মাধ্যমে দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য উপযোগী বিশেষায়িত মেটার বিজ্ঞাপন সেবা ও সমাধান প্রদান করে আসছে। মেটার এপিএসি টিমের সাথে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসব সেবা প্রদান করে আসছে রোর গ্লোবাল। এ অংশীদারিত্বের ফলে বাংলাদেশের গ্রাহকেরা কৌশলগত দিক-নির্দেশনা ও প্ল্যাটফর্মের বিভিন্ন ইনসাইটসহ মেটা থেকে সরাসরি গ্রাহক সেবা উপভোগ করতে পারেন।
স্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতায়নে রোর গ্লোবাল স্থানীয় মুদ্রায় (টাকা) বিলিং সেবা চালু করেছে। এ উদ্যোগের ফলে আর্থিক প্রক্রিয়াকে সব বিজ্ঞাপনদাতারাই এখন আরও সহজে মেটা বিজ্ঞাপন সেবা গ্রহণ করতে পারবেন এবং বিজ্ঞাপন ব্যবস্থাপনাকে সহজ করতে পারবেন।
এনিয়ে রোর গ্লোবালের চিফ মার্কেটিং অফিসার উমায়ের ওয়ালিদ বলেন, শুরু থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল মেটার বিজ্ঞাপন প্ল্যাটফর্ম এবং বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল ব্যবসায়িক খাতের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করা।
তিনি আরও বলেন, স্থানীয় মুদ্রায় (টাকা) বিলিং সুবিধা চালু করা এবং আমাদের কারিগরি ও কৌশলগত সেবা বাড়ানোর মাধ্যমে আমরা দেশের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ব্র্যান্ডের প্রবৃদ্ধি ও লক্ষ্যভিত্তিক গ্রাহকের কাছে পৌঁছানোর কাজকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সহজ করেছি।
রোয়ার গ্লোবাল বাংলাদেশের বিভিন্ন বড় এজেন্সি ও শিল্পখাতের অংশীদারদের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তুলে তাদের কার্যক্রম সম্প্রসারণ করছে। এই সমন্বিত উদ্যোগ আরও বেশি ব্যবসায়ীর জন্য উচ্চমানের সহায়তা, উন্নত বিজ্ঞাপন সরঞ্জাম এবং উদ্ভাবনী কৌশল প্রয়োগের সুযোগ তৈরি করছে, যা একটি ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত করবে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্যাংকাস্যুরেন্সের মাধ্যমে গার্ডিয়ানের ৫ হাজার পলিসি বিক্রি করেছে সিটি ব্যাংক

গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স লিমিটেডের সাথে পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যাংকাস্যুরেন্স চ্যানেলে পাঁচ হাজার ইন্স্যুরেন্স পলিসির গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক অর্জন করেছে সিটি ব্যাংক। অল্প সময়ের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক পলিসি বিক্রির মাধ্যমে এখন দেশের শীর্ষ ব্যাংকাস্যুরেন্স পার্টনার হিসেবে অবস্থান করছে প্রতিষ্ঠানটি।
দেশজুড়ে গার্ডিয়ানের বিভিন্ন ইন্স্যুরেন্স প্রোডাক্ট এর প্রতি ধারাবাহিকভাবে গ্রাহকদের আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। গ্রাহকদের জন্য সিটি ব্যাংক গার্ডিয়ানের যেসব প্রোডাক্ট অফার করছে, তার মধ্যে রয়েছে: গার্ডিয়ান চাইল্ড প্রটেকশন প্ল্যান, গার্ডিয়ান ফোর স্টেজ প্ল্যান, গার্ডিয়ান সঞ্চয়, গার্ডিয়ান পেনশন প্ল্যান ও গার্ডিয়ান প্রবৃদ্ধি।
বাংলাদেশে গার্ডিয়ান প্রথম ব্যাংকাস্যুরেন্স পলিসি ইস্যু করার মধ্য দিয়ে সিটি ব্যাংক এই খাতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। তাদের এ দ্রুত অর্জিত সাফল্য গার্ডিয়ানের উদ্ভাবনী ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের প্রতি গ্রাহকদের আস্থার প্রতিফলন। তাছাড়া, পলিসি বিক্রির সাফল্য ব্যাংকটির বিস্তৃত ও সমন্বিত আর্থিক সেবা দেওয়ার সক্ষমতা প্রমাণ করে।
গার্ডিয়ানের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ রাকিবুল করিম বলেন, প্রথম দিন থেকেই সিটি ব্যাংক আমাদের নতুন কিছু করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, আর এই মাইলফলক তাদের সেই প্রতিশ্রুতিরই বাস্তব রূপ। আমি বিশ্বাস করি সিটি ব্যাংক এর মাধ্যমে আমরা আমাদের গ্রাহক সেবা আরও বিস্তৃত করতে পারবো এবং এজন্য আমি আন্তরিকভাবে সিটি ব্যাংককে ধন্যবাদ জানাই।
২০২৪ সালের মার্চে ব্যাংকাস্যুরেন্সের যাত্রা শুরু করার পর বছর শেষেই দেশের মোট ব্যাংকাস্যুরেন্স বিক্রয়ের ৭৯ শতাংশ বাজার দখল করে নেতৃত্বস্থানীয় অবস্থানে চলে যায় গার্ডিয়ান। সিটি ব্যাংকের সাথে শক্তিশালী অংশীদারিত্বের মাধ্যমে গার্ডিয়ান দেশের ব্যাংকাস্যুরেন্স, পাশাপাশি ইন্স্যুরটেক ও মাইক্রো ইন্স্যুরেন্স খাতেও তাদের নেতৃত্ব ধরে রেখেছে। প্রযুক্তিনির্ভর এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বিমা সেবার মাধ্যমে দেশের কোটি গ্রাহকের আর্থিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রতিষ্ঠানটি কাজ করে যাচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের যৌথ উদ্যোগে এসএমই উদ্যোক্তাদের প্রশিক্ষণ শুরু

বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচির আওতায় দেশের সম্ভাবনাময় এসএমই উদ্যোক্তাদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রশিক্ষণ কর্মসূচি শুরু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
‘স্কিলস ফর ইন্ডাস্ট্রি কম্পিটিটিভনেস অ্যান্ড ইনোভেশন প্রোগ্রামের (এসআইসিআইপি)’ আওতায় উদ্যোক্তাদের জন্য এই সক্ষমতা বৃদ্ধি কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের ক্ষুদ্র, কুটির, ছোট ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) খাতের নতুন উদ্যোক্তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন করা হবে।
সোমবার (২৫ আগস্ট) ঢাকায় ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে ‘উদ্যোক্তা উন্নয়ন কর্মসূচি’ শীর্ষক এ বিশেষ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির প্রথম ব্যাচের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার প্রধান অতিথি হিসেবে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এবং অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও এসআইসিআইপি’র নির্বাহী প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ ওয়ালিদ হোসেন।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের পরিচালক নওশাদ মোস্তফা, একই ডিপার্টমেন্টের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. নজরুল ইসলাম এবং ব্র্যাক
ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন।
ব্র্যাক ব্যাংকের আয়োজনে এক মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন সিএমএসএমই উদ্যোক্তারা। প্রশিক্ষণে বিভিন্ন সেশন পরিচালনা করবেন বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংকের দক্ষ ও অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকরা। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সম্ভাবনাময় উদ্যোক্তাদের উদ্যোক্তা ও ব্যবস্থাপনা দক্ষতা বিকাশে সহায়তা করা হবে, যা তাঁদের ব্যবসা সম্প্রসারণ ও টেকসইতা অর্জনে সহায়ক হবে।
প্রশিক্ষণ কর্মসূচিটি এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের (এডিবি) অর্থায়নে পরিচালিত হবে। এটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকবে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের এসআইসিআইপি প্রকল্প এবং বাস্তবায়ন করবে বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্ট।
এই উদ্যোগের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক সবসময় নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য সহজ অর্থায়ন সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করে। তাঁদের ব্যবসা পরিচালনার জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করে থাকি আমরা। এ প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন দেশের তৃণমূল উদ্যোক্তা উন্নয়নে আমাদের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
তিনি আরও বলেন, এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ব্যবসা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জন করবেন, যা তাঁদের ব্যবসাকে এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বাংলাদেশ ব্যাংকের এ উদ্যোগ দেশের অর্থনীতির গতি আরও বাড়িয়ে দেবে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ও ইমপ্যাক্টফুল কর্মসূচি আয়োজনের সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত ও কৃতজ্ঞ।