আইন-আদালত
কোটা বহালের রায় বাতিল চেয়ে সরকারের লিভ টু আপিল
![কোটা বহালের রায় বাতিল চেয়ে সরকারের লিভ টু আপিল ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল দায়ের করেছে সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখা আপিলের বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এর আগে, অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তারা বলেছিলেন, লিভ টু আপিল দায়েরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আজ লিভ টু আপিল দায়ের করা হবে।
রোববার (১৪ জুলাই) প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করা হয়েছে।
বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ ২৭ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ রায়টি প্রকাশ করেন।
রায়ে বলা হয়েছে, ২০১২ সালে করা এক রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের দেওয়া রায় ও আদেশ, ২০১৩ সালের লিভ টু আপিলের প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের তা বহাল ও সংশোধিত আদেশ এবং ২০১১ সালের ১৬ জানুয়ারির অফিস আদেশের (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও নাতি-নাতনির কোটা) আলোকে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে সরকারকে নির্দেশ দেওয়া হলো। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, উপজাতি-ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটাসহ, যদি অন্যান্য থাকে, কোটা বজায় রাখতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ বিষয়ে যত দ্রুত সম্ভব, আদেশ পাওয়ার তিন মাসের মধ্যে পরিপত্র জারি করতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
রায়ে হাইকোর্ট বলেছেন, প্রয়োজনে উল্লিখিত শ্রেণির ক্ষেত্রে কোটা পরিবর্তন ও হার কমানো বা বাড়ানোর বিষয়ে এ রায় বিবাদীদের জন্য কোনো বাধা তৈরি করবে না। যেকোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করায় সরকারের স্বাধীনতা রয়েছে।
২৭ পৃষ্ঠার রায়ে রিট আবেদনকারী পক্ষের যুক্তি, ইতিহাস পর্যালোচনা তুলে ধরে বলা হয়েছে, ১৯৭৫ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর বিপুল সংখ্যক মেধাবী ও যোগ্য মুক্তিযোদ্ধাদের দৃশ্যপটের আড়ালে ঠেলে দেওয়া হয়। এমনকি মুক্তিযুদ্ধে প্রত্যক্ষ অবদান রাখা মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তানদের একটি অংশ যোগ্য-মেধাবী হওয়ার পরও প্রজাতন্ত্রের পরিষেবাগুলোতে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়নি।
রিটকারী পক্ষের এ যুক্তিতে বিবাদীদের কোনো বিরোধিতা ছিল না উল্লেখ করে রায়ে আরও বলা হয়, মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের জাতির গর্ব। সুতরাং আমরা মনে করি যে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট থেকে ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত ২১ বছর ধরে মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিরা সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন; যা দেশের নাগরিকদের মধ্যে তাদের সবচেয়ে পিছিয়ে পড়া অংশে পরিণত করেছে।
সেখানে আরও বলা হয়, এ কথা ঠিক যে, দেশের কিছু জেলা-উপজেলা বেশি উন্নত এবং এসব জেলা-উপজেলার নাগরিকরা বেশি সুবিধা ভোগ করেন। নারী, প্রতিবন্ধী, উপজাতি, ক্ষুদ্র নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর মানুষরা এখানও অনগ্রসর অংশ। মুক্তিযোদ্ধা এবং তাদের সন্তান ও নাতি-নাতনিরাও এই অনগ্রসর অংশে বিবেচনায় আসতে পারে। যদিও তাদের অনগ্রসর হিসেবে বিবেচনায় (২০১৮ সালের কোটা বাতিলের পরিপত্রে) নেওয়া হয়নি। তাই সরকারের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনগ্রসর অংশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে পারেন বিবাদীরা।
হাইকোর্ট ২০১৩ সালের আপিল বিভাগের রায় তুলে ধরে রায়ে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ কোটা সুরক্ষিত ছিল। যেহেতু আপিল বিভাগ ইতোমধ্যে (২০১৩ সালে দেওয়া রায়ে) বিষয়টি নিষ্পত্তি করেছেন। সংবিধানের ১১১ ও ১১২ অনুচ্ছেদ অনুসারে আপিল বিভাগের সেই সিদ্ধান্ত হাইকোর্টসহ রাষ্ট্রযন্ত্রের সব কর্তৃপক্ষের জন্য বাধ্যতামূলক এবং তা না মানা সংবিধানের লঙ্ঘন।
রায় প্রকাশের পর সংশ্লিষ্ট বেঞ্চের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. সাইফুজ্জামান বলেন, আপিল বিভাগ কোটার বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দিয়েছেন। আগামী ৭ আগস্ট শুনানির দিন রেখেছেন। ফলে আপাতত হাইকোর্টের রায় কার্যকর হবে না।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আইন-আদালত
জামিন পেলেন মিল্টন সমাদ্দার
![জামিন পেলেন মিল্টন সমাদ্দার ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/milton.jpg)
প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার আশ্রমের চেয়ারম্যান মিল্টন সমাদ্দারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আস সামছ জগলুল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আজকেরসহ এ নিয়ে তিন মামলায় মামলায় জামিন পেলেন মিল্টন সমাদ্দার। এর আগে দুটি মামলার একটি হাইকোর্ট থেকে ও আরেকটি জজ কোর্ট থেকে জামিন পান তিনি। ফলে এখন তার কারাগার থেকে মুক্তি পেতে আর বাধা নেই।
গত ১ মে রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তার বিরুদ্ধে জাল মৃত্যু সনদ তৈরি, টর্চার সেলে মানুষজনকে নির্যাতন ও মানবপাচারের অভিযোগে তিনটি মামলা দায়ের করা হয়। গত ২ মে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে জাল মৃত্যু সনদ তৈরির অভিযোগে মিরপুর মডেল থানার মামলায় মিল্টন সমাদ্দারের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। এরপর ৫ মে তাকে মানব পাচার আইনের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক শিকদার মাইতুল আলম। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুব তাকে মানব পাচার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। পরে রিমান্ড শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম শান্তা আক্তারের আদালত তার চার দিনের রিমান্ড দেন। পরে রিমান্ড শেষে ৯ মে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। কারাগারে থাকা অবস্থায় মারধরের আরেক মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর থেকে তিনি কারাগারে আটক রয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশে আইনি নোটিশ
![ফাঁস হওয়া প্রশ্নে নিয়োগপ্রাপ্তদের তালিকা প্রকাশে আইনি নোটিশ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/high-court.jpg)
আলোচিত সেই ফাঁস হওয়া প্রশ্নে বিসিএস পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তাদের তালিকা প্রকাশ করতে সংশ্লিষ্টদের আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। আজ রবিবার (১৪ জুলাই) ইমেইল ও ডাকযোগে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
মানবাধিকার সংস্থা ল’ অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশনের পক্ষে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব ও ব্যারিস্টার মোহাম্মদ কাওছার এ নোটিশ পাঠান।
নোটিশে বলা হয়েছে, বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা যায়, বাংলাদেশ কর্ম কমিশনের সাবেক গাড়িচালক ও অন্যান্য কর্মচারী কর্তৃক গত কয়েক দশক ধরে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পরীক্ষার্থীদের নিকট সরবরাহ করা হয়েছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় আবেদ আলীসহ কর্ম কমিশনের এ পর্যন্ত ১৭ জন কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে আবেদ আলী ছাড়াও অন্যান্য অসাধু কর্মচারীরা কীভাবে বিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র পরীক্ষার্থীদের কাছে টাকার বিনিময়ে বিতরণ করে প্রত্যেকে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন, তার বিবরণ দিয়েছেন। এমনকি পুলিশ গ্রেপ্তার আবেদ আলী ও কর্ম কমিশনের অন্যান্য কর্মচারীদের কাছ থেকে ফাঁসকৃত প্রশ্নপত্রে উত্তীর্ণ হয়ে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের তালিকা প্রণয়ন করেছে।
এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রতিযোগিতাপূর্ণ পরীক্ষা হচ্ছে বিসিএস। লক্ষ লক্ষ পরীক্ষার্থীদের লিখিত-মৌখিক বিভিন্ন স্তরে নিবিড়ভাবে যাচাই-বাছাই করে একজন যোগ্য প্রার্থীকে বেছে নেয়া হয়। আর এই পুরো প্রক্রিয়ার দায়িত্বে রয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন। কর্ম কমিশন পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও এটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সরবরাহ করার কথা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে কর্ম কমিশনের কতিপয় অসাধু কর্মকর্তা ও কর্মচারীর কারণে বিসিএস পরীক্ষা প্রশ্নপত্র নিয়মিত ফাঁস হচ্ছে। এর ফলে একদিকে যেমন অযোগ্য এবং অদক্ষ ব্যক্তিরা প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ লাভের কারণে দেশে দুর্নীতি ও অনিয়ম বাড়ছে, একইসঙ্গে যোগ্য ও দক্ষ প্রার্থীর অভাবে সাধারণ জনগণ প্রজাতন্ত্রের কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। তাই ফাঁসকৃত প্রশ্নে উত্তীর্ণ হয়ে বিভিন্ন সরকারি পদে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রতারক কর্মকর্তাদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে নোটিশে।
এতে আরও বলা হয়েছে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে বিসিএস পরীক্ষায় প্রতারণার মাধ্যমে উত্তীর্ণ হয়ে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে নিয়োগপ্রাপ্ত বিসিএস কর্মকর্তাদের নাম, ঠিকানা, বর্তমান পদবী উল্লেখপূর্বক তালিকা প্রণয়ন করে কর্ম কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার অনুরোধ জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও নোটিশে এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ নেয়ার পাশাপাশি এ পর্যন্ত বেতন-ভাতাদিসহ যাবতীয় গৃহীত আর্থিক সুবিধা ফেরত নিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধও জানানো হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
বাতিলই থাকবে ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তির আদেশ: আপিল বিভাগ
![বাতিলই থাকবে ভিকারুননিসার ১৬৯ ছাত্রীর ভর্তির আদেশ: আপিল বিভাগ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
বয়সের নিয়ম না মানার দায়ে রাজধানীর ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের স্কুল শাখায় ভর্তিকৃত প্রথম শ্রেণির ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল থাকবে বলে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল খারিজ করে দেওয়া হয়েছে।
ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমিত চেয়ে আবেদন) আজ রবিবার (১৪ জুলাই) খারিজ করে দেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে আপিল বেঞ্চ।
আদালতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম। রিট আবেদনকারী দুজন অভিভাবকের পক্ষে আইনজীবী শামীম সরদার। লিভ টু আপিল আবেদনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক ও মুস্তাফিজুর রহমান খান।
আইনজীবী মোহাম্মদ রাফিউল ইসলাম জানান, ১৬৯ জন শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল সংক্রান্ত হাইকোর্ট বিভাগ যে রায় দিয়েছিলেন, সেই রায়ের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের করা পৃথক লিভ টু আপিল করেছিলেন। দুটি আবেদনই শুনানি শেষে আজ আপিল বিভাগ খারিজ করে দিয়েছেন। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ যে ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করেছিল সেটা বাতিলই থেকে যাবে। আর অপেক্ষমাণ তালিকায় যারা রয়েছেন তারা ১৬৯ আসনে ভর্তির সুযোগ পাবেন।
তিনি বলেন, যাদের ভর্তি বাতিল করেছেন তারা স্কুলে অধ্যয়নরত না। আর আসনগুলো খালি আছে। এখন সিরিয়াল অনুসারে ভর্তি করা হবে।
গত ২১ মে হাইকোর্ট রায় দেন। ওই রায়ের ২৯ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। এরপর ভর্তি বাতিল হওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিভ টু আপিল করা হয়।
বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চের দেওয়া রায়ে বলা হয়, ১৫ দিনের মধ্যে ১৬৯ শিক্ষার্থীর শূন্য আসনে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে সিরিয়াল অনুযায়ী শিক্ষার্থী ভর্তি করতে ভিকারুননিসা নূন স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া আরও ভালো ভর্তি প্রক্রিয়া, জড়িতদের চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে একটি অনুসন্ধান কমিটি করতে বলা হয়েছে।
ভিকারুননিসায় ভর্তি নিয়ে বয়সের নিয়ম না মানার অভিযোগ এনে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি ইচ্ছুক দুই শিক্ষার্থীর মা গত ১৪ জানুয়ারি রিট করেন। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২৩ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। তার ধারাবাহিকতায় ২৮ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) একটি স্মারক হাইকোর্টে উপস্থাপন করে।
মাউশির ওই আদেশ মতে, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কর্তৃপক্ষ ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তির ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা অনুসরণ করেনি। ১ জানুয়ারি ২০১৭ সালের আগে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ভর্তি করার প্রক্রিয়া ছিল বিধিবহির্ভূত। এসব ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২০১৫ সালে জন্মগ্রহণকারী ১০ জন ও ২০১৬ সালে জন্মগ্রহণকারী শিক্ষার্থী সংখ্যা ১৫৯ জন। এসব শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল করে শিগগিরই মাউশিকে অবহিত করার অনুরোধ করা হলো।
এরপর স্কুল কর্তৃপক্ষ ১৬৯ জনের ভর্তি বাতিল করে। ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিলের পর এখন অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে এক সপ্তাহের মধ্যে শূন্য আসনে ভর্তি নিতে গত ৬ মার্চ নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। ওই আদেশের বিরুদ্ধে বাতিলকৃত শিক্ষার্থীর অভিভাবক আপিল বিভাগে আবেদন করেন।
আপিল বিভাগ ২০ মার্চ হাইকোর্টে জারি করা রুল দুই মাসের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেন। এ সময় পর্যন্ত ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল ও অপেক্ষমাণদের ভর্তির ওপর স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়। এর মধ্যে ভর্তি বাতিল হওয়া ১২০ শিক্ষার্থীর পক্ষে আরেকটি রিট করা হয়। প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৫ মার্চ হাইকোর্ট রুল দেন। পৃথক রুলের ওপর একসঙ্গে শুনানি শেষে ২১ মে রায় ঘোষণা করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সীমান্ত নিরাপত্তায় জাতীয় সংসদকে যেসব পরামর্শ হাইকোর্টের
![সীমান্ত নিরাপত্তায় জাতীয় সংসদকে যেসব পরামর্শ হাইকোর্টের ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/high-court.jpg)
বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকরভাবে রক্ষা, আন্তরাষ্ট্র সীমান্ত অপরাধ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে ও জাতীয় রাজস্ব আয়ে ফাঁকি প্রতিরোধ করতে জাতীয় সংসদকে কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
প্রায় ৩৭ বছর আগে যশোরে ১৫ পিস ভারতীয় শাড়ি উদ্ধারের এক মামলা নিষ্পত্তি করে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের একক হাইকোর্ট বেঞ্চ ২০২৩ সালের ৩ আগস্ট দেওয়া রায়ে এ পরামর্শ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ওই রায়ের ১১ পৃষ্ঠার পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ করা হয়েছে।
আদালতে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. নুরউস সাদিক চৌধুরী।
১৯৮৭ সালের ২ ডিসেম্বর যশোর শহরের ঝুমঝুমপুরে বিডিআর ক্যাম্পের কয়েকজন সদস্য চাচড়া রায়পাড়া গ্রামের মো. জাকির হোসাইন ওরফে জাকিরের বসতঘর থেকে তার উপস্থিতিতে ১৫টি ভারতীয় প্রিন্ট শাড়ি উদ্ধার করেন। যার কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। পরে আসামিকে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করে বিশেষ ক্ষমতা আইনে এজাহার দায়ের করা হয়।
এ মামলার বিচার শেষে ১৯৮৮ সালের ১৩ এপ্রিল যশোর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল জজ এম এ করিম আসামি জাকিরকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও শাড়িগুলো বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দেন। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন জাকির।
ওই আপিলের শুনানি শেষে হাইকোর্ট আসামি মো. জাকির হোসাইন ওরফে জাকিরকে খালাস দেন।
রায়ে আদালত বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত নিরাপত্তা কার্যকরীভাবে রক্ষা, আন্তরাষ্ট্র সীমানা অপরাধ শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হলে ও জাতীয় রাজস্ব ফাঁকি প্রতিরোধ করতে হলে মহান জাতীয় সংসদকে নিম্ন বর্ণিত পরামর্শসমূহকে গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করতে হবে।
পরামর্শগুলো হলো- সীমান্তরেখা থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত সীমান্ত এলাকা বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সম্পত্তি ঘোষণা করা। ওই ঘোষণার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত সব ব্যক্তিগত সম্পত্তির মালিকদের ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করে সমমূল্যের সরকারি খাস সম্পত্তি থেকে তাদের বরাদ্দ করা।
সীমান্ত লাইন থেকে ৮ কিলোমিটার ভূমি সম্পূর্ণ ফাঁকা ও সমান থাকবে। যেন এ ৮ কিলোমিটারের প্রতিটি ইঞ্চি ৮ কিলোমিটার দূর থেকে পরিষ্কারভাবে দেখা যায়। সীমান্ত রেখা থেকে ৮-১০ কিলোমিটার মধ্যবর্তী স্থান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের যাবতীয় স্থাপনা, প্রশিক্ষণসহ যাবতীয় কর্মকাণ্ডের জন্য সংরক্ষিত রাখা।
এ রায় ও আদেশের অনুলিপি জাতীয় সংসদের সব সংসদ সদস্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক ও অধস্তন আদালতের সব বিচারককে ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানোর জন্য রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের মূল অংশ প্রকাশ
![কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ের মূল অংশ প্রকাশ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/high-court.jpg)
সরকারি চাকরিতে (প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণি) মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই পরিপত্রের ওপর স্থিতাবস্থা (স্ট্যাটাসকো) জারি করে আদেশ দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) কোটা পুনর্বহাল করে দেওয়া হাইকোর্টের আলোচিত রায়ের মূল অংশ প্রকাশ করা হয়েছে। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের ডেপুর্টি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ (এসকে) সাইফুজ্জামান জামান।
এর আগে বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর একমাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
এসএম