পুঁজিবাজার
ডিএসইর লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে বিএসইসির কমিটি

ভবিষ্যতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) লেনদেনে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে এবং লেনদেন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে একটি কমিটি গঠন করেছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সেই সঙ্গে ডিএসইর অর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ওএমএস) ও মোবাইল অ্যাপের কার্যক্রম পরিদর্শন করবে এই কমিটি। গতকাল সোমবার (১৫ জুলাই) বিএসইসি থেকে এ বিষয়ে একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
সূত্র মতে , সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) উপব্যবস্থাপনা শরীফ আলী ইরতেজা ও সেন্ট্রাল কাউন্টার পার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) আইটি এনাবলড সার্ভিসেস প্রধান মোহাম্মদ মোরশেদ আলমের সমন্বয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ডিএসইর ভার্সন কন্ট্রোল পলিসি, এপিআই ইনফ্রাস্ট্রাকচার কন্ট্রোল পলিসি, ওএমএস, মোবাইল অ্যাপ এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয় পরিদর্শন করতে বলা হয়েছে। পরিদর্শন শেষে ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিশনের কাছে এ কমিটিতে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ভবিষ্যতে যাতে ডিএসইর লেনদেনে কোনো ধরনের বিঘ্ন না ঘটে সেজন্য এ কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটি ডিএসইর তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবস্থা সঠিকভাবে ও নিয়ম অনুসারে পরিচালিত হচ্ছে কিনা সেটি দেখবে।
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ডিএসইতে কারিগরি ত্রুটির কারণে বিভিন্ন সময়ে লেনদেন কার্যক্রম বিঘ্ন হয়েছে। এর কারণে বিভিন্ন সময়ে লেনদেন বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। সর্বশেষ এ বছরের ১০ মার্চ কারিগরি ত্রুটির কারণে এক্সচেঞ্জটির ওয়েবসাইটে সূচকের অদ্ভুতুড়ে পরিসংখ্যান দেখা গিয়েছিল। দিনভর চেষ্টা করেও সে সময় এ সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় সে সময় ডিএসইর তথ্যপ্রযুক্তি ও সূচক ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের ওপর পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনা করতে দুই সদস্যের একটি কমিটি করেছিল বিএসইসি। তাছাড়া বিএসইসির বর্তমান চেয়ারম্যান প্রথম দফায় দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট ডিএসইর ওয়েবসাইট ও ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটি অনুসন্ধানের জন্য সংস্থাটির পক্ষ থেকে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে দেয়া হয়। এ কমিটির প্রতিবেদনে ডিএসইর ওয়েবসাইট ও ট্রেডিং সিস্টেমের ত্রুটিবিচ্যুতি বিশদভাবে উঠে আসে।
সেসময় কমিটির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছিল, ডিএসইর ওয়েবসাইটটি বেশ পুরনো। এটি বর্তমান সময়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। একই সঙ্গে এটি দুর্বলও বটে। তাছাড়া পুঁজিবাজারে লেনদেন সম্পন্নের জন্য যে ওএমএস সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয় সেটি ত্রুটিপূর্ণ। বাড়তি লেনদেনের চাপ নেয়ার সক্ষমতা নেই সিস্টেমটির। তাছাড়া সিস্টেমটি চালু হয়েছে ছয় বছর হতে চলেছে। এ ধরনের সফটওয়্যারের মেয়াদ সাধারণত ৮-১০ বছর হয়। ফলে দুই-চার বছরের মধ্যে ডিএসইর ওএমএস সিস্টেম হালনাগাদ কিংবা নতুন সফটওয়্যার আনার সুপারিশ করে কমিটি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর পতনের শীর্ষে নিউলাইন ক্লোথিংস

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ারদর পতনের শীর্ষে উঠে এসেছে নিউলাইন ক্লোথিংস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানির দর কমেছে ১৫ দশমিক ৪৬ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৮.২০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এস আলম কোল্ড রোল্ড স্টিলের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৫.৪০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে থাকা সোনারগাঁও টেক্সটাইলের শেয়ার দর কমেছে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ৩৮.০০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- বিচ হ্যাচারির ১৩ দশমিক ০৯ শতাংশ, ফু-ওয়াং ফুডসের ১১ দশমিক ৯৩ শতাংশ, সেন্ট্রাল ফার্মার ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ, হামিদ ফেব্রিক্সের ১১ দশমিক ১১ শতাংশ, হাক্কানি পাল্পের ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ, এসোসিয়েটেড অক্সিজেনের ১০ দশমিক ৬৩ শতাংশ এবং শার্প ইন্ডাস্ট্রিজের ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক শেয়ারদর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে হাইডেলবার্গ ম্যাটেরিয়ালস লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত সপ্তাহে কোম্পানির দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৬১ শতাংশ। শেয়ারটির সমাপনী মূল্য ছিল ২৭৩.৬০ টাকা। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে ২৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ফান্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৪.২০ টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের ইউনিট দর বেড়েছে ২০ শতাংশ। ফান্ডটির সমাপনী মূল্য ছিল ৫.৪০ টাকা।
তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টসের ১৮ দশমিক ০৬ শতাংশ, এলআর গ্লোবাল মিউচুয়াল ফান্ডের ১৭ দশমিক ১৪ শতাংশ, ইস্টার্ন ক্যাবলসের ১৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ, এমবি ফার্মার ১৪ দশমিক ৯১ শতাংশ, বিডি ল্যাম্পসের ১৪ দশমিক ১৪ শতাংশ, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ১৪ দশমিক ০৫ শতাংশ এবং জেএমআই সিরিঞ্জের ১৩ দশমিক ৬১ শতাংশ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির ২৪ কোটি ৮৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৫ দশমিক ২৫ শতাংশ। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা বেক্সিমকো ফার্মার ২৩ কোটি ৩৪ লাখ ২০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৪ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
তৃতীয় স্থানে থাকা বিচ হ্যাচারির ১৭ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
লেনদেনের তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- শাইনপুকুর সিরামিকসের ৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্সের ৬০ কোটি ৩০ লাখ টাকা, এসিআই লিমিটেডের ৪৭ কোটি ২১ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ৪৫ কোটি ৬৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ৪৪ কোটি ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা, এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ৪২ কোটি ৮৬ লাখ টাকা এবং নাভানা ফার্মার ৪২ কোটি ৩১ লাখ টাকার শেয়ার।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমলো দুই হাজার ২২৩ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (৬ এপ্রিল থেকে ১০ এপ্রিল) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বা বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৭৩ হাজার ৮৬৬ কোটি টাকা। আর সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ৩৩ শতাংশ।
সমাপ্ত সপ্তাহে ডিএসইএক্স বাদে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ১৩ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ২৭ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ১৩ দশমিক ২১ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৪ দশমিক ৮৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৪২ শতাংশ।
সূচকের উত্থান-পতনের পরও ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৪৩৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৬২৭ কোটি ১১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৮০৯ কোটি ২৬ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৪৮৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪০৬ কোটি ৭৭ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৮০ কোটি ৫০ লাখ টাকা বা ১৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪১টি কোম্পানির, কমেছে ২৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৯টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্সের নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ইস্টল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স পিএলসি গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১০ শতাংশ হারে নগদ লভ্যাংশ দেবে।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৭ পয়সা। যা আগের বছর ১ টাকা ১৪ পয়সা ছিল।
গত ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২১ টাকা ১২ পয়সা।
সর্বশেষ বছরে শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৭৬ পয়সা, যা আগের বছর ৮৩ পয়সা ছিল।
আগামী ৩০ জুন বিকাল ৩টায় ডিজিটাল প্ল্যাটফরমের মাধ্যমে কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২ জুন।
এসএম