জাতীয়
এপিএ স্বাক্ষর করেছে ২৬ হাজার সরকারি অফিস
![এপিএ স্বাক্ষর করেছে ২৬ হাজার সরকারি অফিস আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime-10.jpg)
২০২৪-২৫ অর্থবছরে সারা দেশে প্রায় ছাব্বিশ হাজার সরকারি অফিস ‘বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি’ (এপিএ) স্বাক্ষর করেছে। বর্তমানে এপিএ প্রণয়ন, বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়নের কাজটি এপিএএমএস নামে একটি সফটওয়্যারের মাধ্যমে সম্পন্ন করা হচ্ছে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সমন্বয় ও সংস্কার ইউনিট এপিএ প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগসহ সব পর্যায়ের সরকারি অফিসকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) সরকারি এক তথ্যবিবরণীতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, প্রতি বছর প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়ে থাকে। আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে এপিএ স্বাক্ষর এবং এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার বিতরণ এবং মূল্যবান দিকনির্দেশনা দেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি এবং গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে বর্তমান সরকার ২০১৪-১৫ অর্থবছরে এপিএ প্রবর্তন করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব এবং সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রীর প্রতিনিধি হিসেবে সিনিয়র সচিব ও সচিবের মধ্যে প্রতিবছর এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে থাকে।
তথ্যবিবরণীতে জানানো হয়, এই চুক্তিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কৌশলগত উদ্দেশ্য, গৃহীত কার্যক্রম ও লক্ষ্যমাত্রা এবং এ সব কার্যক্রমের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পরিমাপের জন্য কর্মসম্পাদন সূচক বিধৃত রয়েছে। মন্ত্রণালয় ও বিভাগের বার্ষিক ও মধ্যমেয়াদি বাজেট কাঠামোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এপিএ’র আওতায় বিভিন্ন কার্যক্রমের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। ২০১৪-১৫ অর্থবছর থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এপিএ স্বাক্ষর করছে। পরবর্তী সময়ে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে অধীনস্ত দপ্তর, সংস্থার এপিএ স্বাক্ষর শুরু হয়।
এর ধারাবাহিকতায় ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিভাগীয়, আঞ্চলিক এবং জেলা পর্যায়ের অফিসসমূহকে এপিএ’র আওতায় আনা হয়। সব শেষে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে উপজেলা পর্যায়ের অফিসসমূহে এপিএ সম্প্রসারিত হয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ স্বাক্ষরের পাশাপাশি বিগত ২০২২-২৩ অর্থবছরে এপিএ বাস্তবায়নে মোট ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে সম্মাননা দেওয়া হয়েছে। সেরা ১১টি মন্ত্রণালয় ও বিভাগ যথাক্রমে ১. বিদ্যুৎ বিভাগ ২. জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ৩. জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ ৪. পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় ৫. কৃষি মন্ত্রণালয় ৬. সেতু বিভাগ ৭. সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ ৮. খাদ্য মন্ত্রণালয় ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় (যৌথভাবে) ৯. পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ এবং ১০. অর্থ বিভাগ।
প্রতিবছর মন্ত্রণালয় ও বিভাগের এপিএ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে শুদ্ধাচার পুরস্কারও প্রদান করা হয়ে থাকে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সিনিয়র সচিব ও সচিবগণের মধ্য হতে ব্যক্তিপর্যায়ে শুদ্ধাচার চর্চার স্বীকৃতিস্বরূপ মো. মাহবুব হোসেন, সচিব, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়-কে ‘শুদ্ধাচার পুরস্কার, ২০২৩-২৪’ প্রদান করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ
![শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/hasina-karabondhi.jpg)
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ। এক-এগারোর এই দিনে (২০০৭ সালের ১৬ জুলাই) অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেদিন ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে। যৌথবাহিনীর সদস্যরা বেআইনিভাবে বন্দি অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।
তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইন বহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সাহসিকা শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন অবৈধ সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জেগে উঠলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্র মারাত্মক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে। এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার ন্যায় আপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু হয়। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে।
জনগণের ভালোবাসায় সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন শেখ হাসিনা। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্ব দরবারেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল শেখ হাসিনা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী
![গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/nasrul-hamid.jpg)
আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ বলেন, চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। তবে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে নতুন ত্রুটির কারণে তা হয়নি। সিঙ্গাপুর থেকে ডুবুরি দল আসছে। টার্মিনালে ত্রুটি মেরামতের পর আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে।
এর আগে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুই প্রতিষ্ঠান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৭টি প্রকল্প চলমান। সেখান থেকে ৩৭৪৯ দশমিক শূন্য ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প থেকে ৯৩১৮ দশমিক ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলা বক্তব্য দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত
![বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/BGMEA.jpg)
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজের বিষয়ে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ক্যাসকেলের (সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন) সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতাদের জন্য ভিন্ন আচরণবিধি এবং একাধিক অডিট সম্পাদন কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সময় এবং অর্থের অপচয় করে না, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অডিট প্রক্রিয়া জটিল এবং কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন কষ্টসাধ্য করে। এরকম প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও অডিটের জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজের ব্যাপারে তারা সম্মত হন।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি কচি বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ক্যাসকেলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দুর্দান্ত অগ্রগতি অর্জন করলেও শিল্পে আরো করণীয় আছে। আমরা সাপ্লাই চেইনের সবাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইনজুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরো বিকাশের জন্য ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেয়ার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনমূলক সমাধান প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন, ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে করে এ বিষয়গুলো প্রতিপালনে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়ে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল ও পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৭২ ইউপি ভোট: প্রতি কেন্দ্রে ২২ জনের ফোর্স
![১৭২ ইউপি ভোট: প্রতি কেন্দ্রে ২২ জনের ফোর্স আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/05/election-commission-ec.jpg)
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ১৭২টি পদে উপ-নির্বাচনের কেন্দ্র পাহারায় নিয়োজিত থাকবে ২২ জনের ফোর্স। এছাড়া ভোটের আগে পরে নির্বাচনী এলাকায় পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য আনসার, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি প্রধান এবং জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে। ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান চিঠিটি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই ১৭২টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্য পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মোবাইল, স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিনসহ মোট চারদিন নিয়োজিত থাকবে।
পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম প্রতি নির্বাচনী এলাকায় থাকবে তিনটি। বিজিবি থাকবে এক প্লাটুন, র্যাবের থাকবে একটি করে টিম। এছাড়া কেন্দ্র পাহারায় অস্ত্রসহ পুলিশের একজন এসআই ও চারজন কনস্টেবল, অস্ত্রসহ আনসার দুজন এবং অস্ত্র ছাড়া আনসারের ১৫ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের পুলিশ সংখ্যা কেন্দ্রের ধরণ (সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ এলাকা পার্বত্য, দ্বীপাঞ্চল ও হাওড় এলাকা) বিবেচনায় নির্ধারণ করতে হবে; রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধে অথবা স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা যাবে; তবে ভোটগ্রহণ দিনের পূর্বে কমিশনকে অবহিত করতে হবে; এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি টিমের সাথে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা
![কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের নতুন কর্মসূচি ঘোষণা আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Quota-movement-National-Flag1.jpg)
হামলার প্রতিবাদ ও কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় সারাদেশে বিক্ষোভ-সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম। এই আন্দোলনে দেশের সবাইকে গণজমায়েতের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের সামনে সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন নাহিদ।
তিনি বলেন, আজ ইতিহাসের অন্যতম মর্মান্তিক দিন। পরিকল্পিতভাবে বগিরাগত ও অছাত্র এনে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। মেয়েরা আহত হলো। মোট দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে ২৫ জনের বেশি শিক্ষার্থীর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
তিনি আরও বলেন, আজকের ঘটনায় প্রক্টর নীরব ছিল। আমরা এমন প্রক্টর চাই না। যে প্রক্টর থাকার পরও বহিরাগতরা এসে হামলা চালিয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা বলছিলাম সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন সহিংসভাবে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করবে। তারই প্রমাণ মিলেছে।
নাহিদ বলেন, আমরা চেয়েছিলাম প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য প্রত্যাহার করবেন। আমরা তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করছি। সরকার প্রধানকে দুঃখ প্রকাশের আহ্বান জানাচ্ছি।
শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে বক্তব্যেরও প্রতিবাদ জানান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এই সমন্বয়ক।
ছাত্র আন্দোলনে সারাদেশের স্কুল-কলেজ ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অংশ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে নাহিদ বলেন, সামনে গণআন্দোলনের দিকে যেতে হবে। ছাত্রদের এই আন্দোলনে সারাদেশের মানুষেকে এক হতে হবে।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ৫ জুন থেকে যৌক্তিক দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করে আসছিলাম। কেউ কোথাও জ্বালাও পোড়াও দেখেনি। কিন্তু প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠন আমাদের উসকে দিলো। সারাদেশে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা করা হলো।
তিনি আরও বলেন, বাস ও ট্রাকে বহিরাগত টোকাইদের এনে ক্যাম্পাসের ভাই-বোনদের ওপর হামলা চালানো হলো। উপাচার্য ও প্রক্টর আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারেননি। আমরা এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। নয়তো আমরাও হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।
আসিফ বলেন, আমরা শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলন করতে চেয়েছিলাম। আমাদের পরিচয়পত্র দেখানোর পরও সেখানে যেতে দেয়া হয়নি। কিন্তু টোকাই ও অছাত্ররা ক্যাম্পাসে অবস্থান করছে।
এমআই