অর্থনীতি
ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে বাংলাদেশিদের
![ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন কমেছে বাংলাদেশিদের ন্যাশনাল হাউজিং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/credit-card.jpg)
চলতি বছরের মে মাসে দেশের অভ্যন্তরে এবং বিদেশে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ খরচ কমিয়েছেন বাংলাদেশি নাগরিকরা। এ ক্ষেত্রে দেশের অভ্যন্তরে খরচ কমেছে ৪১ কোটি টাকা আর বিদেশে কমেছে ৫০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে চলতি বছরের মে মাসে ৩ হাজার ১৯৯ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দেশের ভেতর লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা। আর বিদেশে লেনদেন হয়েছে ৪৫৬ কোটি টাকা। আলোচ্য সময়ে সবচেয়ে বেশি ২ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে ভিসা কার্ডে। ‘মাস্টার কার্ড’-এর মাধ্যমে ৫৪৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে। আর এমেক্স কার্ডের মাধ্যমে ৩১৯ কোটি টাকা লেনদেন হয়।
সূত্র বলছে, দেশের ক্রেডিট কার্ডে মোট লেনদেনের প্রায় শতভাগই হয়েছে মার্কিন ব্র্যান্ড ভিসা, মাস্টার কার্ড ও এমেক্সের মাধ্যমে। ডিনারস কার্ড, কিউক্যাশ, জেসিভি ও ইউনিয়নপে ব্র্যান্ডের কার্ডের মাধ্যমে তেমন কোনো লেনদেনই হয়নি।
দেশের অভ্যন্তরে, বাইরে ও দেশে অবস্থানরত বিদেশী নাগরিকদের ক্রেডিট কার্ড সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হয়েছে ডিপার্টমেন্টাল স্টোরগুলোয়। দেশের অভ্যন্তরে এ খাতে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪০১ কোটি টাকা, যা মোট লেনদেনের ৫১ দশমিক ০৯ শতাংশ।
এছাড়া খুচরা কেনাকাটায় ১৩ দশমিক ৭৩ শতাংশ, সেবার বিল পরিশোধে ৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ, নগদ উত্তোলনে ৭ দশমিক ০৫ শতাংশ, ওষুধ ও ফার্মেসিতে ৫ দশমিক ৫১ শতাংশ, পোশাক কেনাকাটায় ৪ দশমিক ০৮ শতাংশ, অর্থ স্থানান্তরে ৩ দশমিক ৩০ শতাংশ, ট্রান্সপোর্টেশনে ৩ দশমিক ২০ শতাংশ, ব্যবসাসেবায় ১ দশমিক ৯৭ শতাংশ, পেশাগত সেবায় দশমিক ৭১ শতাংশ এবং সরকারি সেবায় দশমিক ৪১ শতাংশ লেনদেন হয়।
দেশভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, দেশের বাইরে লেনদেনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার হয়েছে ভারতে, ১৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ; যার পরিমাণ ৭৬ কোটি টাকা। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে ১৬ দশমিক ৬২ শতাংশ, থাইল্যান্ডে ৮ দশমিক ৩৮, সংযুক্ত আরব আমিরাতে ৭ দশমিক ৯৬, যুক্তরাজ্যে ৭ দশমিক ৬৮, সিঙ্গাপুরে ৭ দশমিক শূন্য ৩১ এবং কানাডায় ৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ লেনদেন হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী
![গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী ন্যাশনাল হাউজিং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/nasrul-hamid.jpg)
আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ বলেন, চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। তবে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে নতুন ত্রুটির কারণে তা হয়নি। সিঙ্গাপুর থেকে ডুবুরি দল আসছে। টার্মিনালে ত্রুটি মেরামতের পর আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে।
এর আগে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুই প্রতিষ্ঠান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৭টি প্রকল্প চলমান। সেখান থেকে ৩৭৪৯ দশমিক শূন্য ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প থেকে ৯৩১৮ দশমিক ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলা বক্তব্য দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত
![বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল হাউজিং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/BGMEA.jpg)
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজের বিষয়ে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ক্যাসকেলের (সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন) সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতাদের জন্য ভিন্ন আচরণবিধি এবং একাধিক অডিট সম্পাদন কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সময় এবং অর্থের অপচয় করে না, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অডিট প্রক্রিয়া জটিল এবং কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন কষ্টসাধ্য করে। এরকম প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও অডিটের জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজের ব্যাপারে তারা সম্মত হন।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি কচি বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ক্যাসকেলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দুর্দান্ত অগ্রগতি অর্জন করলেও শিল্পে আরো করণীয় আছে। আমরা সাপ্লাই চেইনের সবাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইনজুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরো বিকাশের জন্য ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেয়ার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনমূলক সমাধান প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন, ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে করে এ বিষয়গুলো প্রতিপালনে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়ে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল ও পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি ব্যবসায়ীদের
![ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি ব্যবসায়ীদের ন্যাশনাল হাউজিং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/KKK.jpg)
আমদানি-রফতানি সহজীকরণ এবং বাণিজ্য ত্বরান্বিতকরণে দ্রুত ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে দেশের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই)। সোমবার (১৫ জুলাই) এফবিসিসিআইর মতিঝিল কার্যালয়ে বাংলাদেশ সিঙ্গেল উইন্ডো (বিএসডব্লিউ) বিষয়ক এক কর্মশালায় এই দাবি জানান সংগঠনটির সভাপতি মাহবুবুল আলম।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চ্যুয়ালি অংশগ্রহণ করে মাহবুবুল আলম বলেন, দেশের অর্থনীতির আকার যত বড় হচ্ছে, ততই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সব অংশীজনের মতামত নিয়ে চলতি বছরের মধ্যেই ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন করবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। এটি বাস্তবায়নের ফলে সরকারের যেমন রাজস্ব বাড়বে, তেমনি ব্যবসায়ীদের ভোগান্তি কমবে বলেও মন্তব্য করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
মাহবুবুল আলম আরও বলেন, বিএসডব্লিউ বাস্তবায়ন হলে ব্যবসা পরিচালনার ব্যয় কমবে, বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ আরও উন্নত হবে। যা ব্যবসা, বাণিজ্য এবং অর্থনীতিকে বেগবান করবে। এই সিস্টেমের মাধ্যমে ব্যবসায়ীরা একটি মাত্র প্ল্যাটফর্ম থেকে বাণিজ্য সংক্রান্ত সব তথ্য জানতে পারবেন। এক জায়গা থেকে প্রয়োজনীয় সব লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এরইমধ্যে ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডোর ট্রেড পোর্টাল এবং ট্রেড রেজিস্ট্রেশন মডিউল সম্পন্ন হয়েছে বলে কর্মশালায় জানান আয়োজকরা। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর হবে। ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর, পরিবেশ অধিদফতর এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণের কার্যক্রমও শুরু হয়েছে। অন্যান্য সংস্থার নিবন্ধন প্রক্রিয়া এবং সিএলপি প্রক্রিয়াকরণ কার্যক্রম শিগগিরই শুরু হবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
বিএসডব্লিউ প্রকল্পের পরিচালক এবিএম শফিকুর রহমান জানান, বিএসডব্লিউ সিস্টেমে আপাতত ১৯টি এজেন্সিকে যুক্ত করা হবে, যারা বিভিন্ন লাইসেন্সিং সেবা দিয়ে থাকে। এরইমধ্যে বিএসডব্লিউ পোর্টাল তৈরির কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে এটি উন্মুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
সমাপনী বক্তব্যে এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোঃ আমিন হেলালী বলেন, বেসরকারি খাতের হাত ধরে বাংলাদেশের অর্থনীতি বর্তমানে একটি শক্তিশালী ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়েছে। যদিও এতদিন আমাদের ব্যবসা, বাণিজ্য অনেকটা অগোছালোভাবেই এগিয়েছে। তবে এখন সময় এসেছে নিজেদের শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসার। বেসরকারি খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সহযোগিতা প্রয়োজন। ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়ন হলে ব্যবসার ব্যয় কমার সঙ্গে সঙ্গে সরকারের রাজস্বও বৃদ্ধি পাবে।
কর্মশালায় এফবিসিসিআইর পরিচালক, সাধারণ পরিষদের সদস্য, ব্যবসায়ী নেতা ও সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায় শপআপ
![নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায় শপআপ ন্যাশনাল হাউজিং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Shop-Up1.jpg)
দেশের পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাপনা নিয়ে কাজ করা স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান শপআপ আগামী চার-পাঁচ বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের নাসডাক স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটি দেশের আট কোটি গ্রাহকের সঙ্গে তাদের ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলের মাধ্যমে সংযুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এসব লক্ষ্যের কথা তুলে ধরেছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।
অনুষ্ঠানে শপআপের ব্যবসায়িক অগ্রযাত্রার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। শপআপের তিনটি ব্যবসায়িক ইউনিট রয়েছে। তাদের মোকামের মাধ্যমে তারা পণ্য উৎপাদকদের সঙ্গে খুচরা ব্যবসায়ীদের সংযুক্ত করছে। রেডেক্স ইউনিটের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন সুবিধা দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। আর খুচরা ব্যবসায়ীদের আর্থিক সহযোগিতা দিতে তারা একটি আর্থিক সেবা চালুর বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে। ২০১৯ সালে শপআপ প্রথমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। ২০২১ সালে তারা সবচেয়ে বেশি তহবিল সংগ্রহ করতে সমর্থ হয়। ২০২৩ সালে শপআপ পরিচালন মুনাফা করেছে এবং এ বছর শেষে তাদের মোকাম ইউনিট নিট মুনাফা করতে সক্ষম হবে।
অনুষ্ঠানে শপআপের প্রেসিডেন্ট মামুন রশীদ বলেন, ‘আমাদের কাজ হচ্ছে বড় উৎপাদকদের কাছ থেকে পণ্য এনে ছোট দোকানে পৌঁছে দেয়া। যাতে সময়মতো ও ন্যায্যমূল্যে গ্রাহকের কাছে পণ্য পৌঁছানো যায়। আমাদের যারা বিনিয়োগকারী রয়েছেন তারা চাইছেন আমরা যাতে ছোট দোকানদার যারা রয়েছেন তাদের অর্থায়ন করি যাতে করে তাদের পণ্য মজুদের সক্ষমতা আরো বাড়ানো যায়। গতকাল আমাদের বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী ডেকেছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে এক কোটি মানুষকে ৬ হাজার ৮০০ ডিস্ট্রিবিউটরের মাধ্যমে স্বল্পমূল্যে বেশ কয়েকটি পণ্য সরবরাহ করা হচ্ছে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
মিউচুয়াল ফান্ড-বন্ডে বিনিয়োগ হবে সর্বজনীন পেনশনের অর্থ
![মিউচুয়াল ফান্ড-বন্ডে বিনিয়োগ হবে সর্বজনীন পেনশনের অর্থ ন্যাশনাল হাউজিং](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/pension.jpg)
সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু হওয়ার প্রায় ১১ মাস পর এর তহবিল বিধিমালার গেজেট জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। পেনশন কর্মসূচির আওতায় জমা হওয়া অর্থ মিউচুয়াল ফান্ড ও শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত ভালো মানের বন্ড, ট্রেজারি বিল, সুকুক এবং অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নাধীন বা বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্পের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগ করা যাবে।
পেনশনের টাকা কোন কোন খাতে বিনিয়োগ করা যাবে, তা উল্লেখ করে গত রবিবার (১৪ জুলাই) সর্বজনীন পেনশন তহবিল (বিনিয়োগ ও সংরক্ষণ) বিধিমালা জারি করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, তহবিলের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার জন্য আট সদস্যের একটি কমিটি থাকবে। এ কমিটি তহবিলের অর্থ কম ঝুঁকিপূর্ণ ও অধিক লাভজনক পোর্টফোলিওতে বিনিয়োগ করবে। তহবিলের কোনো অর্থ প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ কোনোভাবেই দেশের বাইরে বিনিয়োগ করা যাবে না। সর্বজনীন পেনশন তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটিই মূলত বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেবে এবং বিনিয়োগের তথ্য সময়-সময় পরিচালনা পর্ষদকে জানাবে।
বিধিমালা অনুযায়ী, ট্রেজারি বন্ড, ট্রেজারি বিল এবং সুকুক বা সুকুকের মতো অন্যান্য সরকারি সিকিউরিটিজ হবে তহবিলের অর্থ বিনিয়োগের প্রধান ক্ষেত্র। আর পেনশনের অর্থ স্থায়ী আমানত হিসেবে রাখা যাবে দীর্ঘ মেয়াদে ‘এএ’ এবং স্বল্প মেয়াদে ‘এসটি-ওয়ান’ মান পেয়েছে এমন কোনো তফসিলি ব্যাংকে। তবে এই মান মূল্যায়ন হতে হবে বাংলাদেশে অনুমোদিত কোনো ঋণমান সংস্থা বা স্বীকৃত কোনো আন্তর্জাতিক ঋণমান সংস্থার মাধ্যমে। একাধিক মান নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা একই প্রতিষ্ঠানকে ভিন্ন ভিন্ন রেটিং (মান) দিলে নিম্নতম মানকে প্রকৃত মান হিসেবে গণ্য করতে হবে।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অনুমোদিত বা নিয়ন্ত্রিত এবং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ‘এ’ ক্যাটাগরির বন্ড এবং মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ করার কথাও বলা হয়েছে বিধিমালায়। এ ছাড়া সরকার বা সরকারি কোনো সংস্থার মাধ্যমে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য বাস্তবায়নাধীন বা বাস্তবায়িত কোনো প্রকল্প বা প্রকল্পের সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের কথা বলা হয়েছে।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো প্রতিষ্ঠানে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের কোনো অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। আবার একক কোনো খাতে পেনশনের অর্থের ২৫ শতাংশের বেশি অর্থ বিনিয়োগ করা যাবে না। তবে সরকারি সিকিউরিটিজে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে এ নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
নতুন বিধিমালা অনুযায়ী, তহবিল ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হবেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের সদস্য (তহবিল ব্যবস্থাপনা)। অন্যদের মধ্যে থাকবেন কর্তৃপক্ষের সদস্য (বিনিয়োগ নীতি), অর্থ বিভাগের যুগ্ম সচিব পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তা, যাঁদের একজন হবেন ট্রেজারি ও ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগের, অন্যজন হবেন প্রবিধি অনুবিভাগের।
কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ ব্যবস্থাপনা অনুবিভাগ ও বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) পরিচালক পদের নিচে নন এমন পদমর্যাদার দুজন কর্মকর্তা থাকবেন। আরও থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিন্যান্স বিভাগের চেয়ারম্যান বা তাঁর মনোনীত অধ্যাপক পদমর্যাদার একজন। পেনশন কর্তৃপক্ষের মহাব্যবস্থাপক পর্যায়ের একজন কর্মকর্তা থাকবেন, যিনি হবেন কমিটির সদস্যসচিব।
বিধিমালায় বলা হয়েছে, সংখ্যাগরিষ্ঠের উপস্থিতি হবে কমিটি বৈঠকের কোরাম। বছরে চারবার কমিটির বৈঠক হতে হবে। বিশেষজ্ঞ মতামত নেওয়ার জন্য কমিটি যেকোনো ব্যক্তিকে আমন্ত্রণ জানাতে পারবেন, তবে তাঁর ভোট দেওয়ার ক্ষমতা থাকবে না।
বিধিমালার খসড়ায় বিনিয়োগের ক্ষেত্র হিসেবে ভাবা হয়েছিল বাণিজ্যিক দোকান বা এমন কোনো স্থাবর সম্পত্তি, যা থেকে নিয়মিত আয় আসার সুযোগ রয়েছে। শেষ পর্যন্ত তা বাদ দেওয়া হয়েছে। বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনা কমিটি ও অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা কমিটি নামে আলাদা দুটি কমিটি গঠনের প্রস্তাবও ছিল খসড়ায়। এমনকি বিনিয়োগের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত পরিচালনা পর্ষদ নেবে বলেও প্রস্তাব ছিল। এ দুই পরিকল্পনা থেকেও সরে এসেছে সরকার।
এসএম