জাতীয়
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে যা লেখা ছিল

রাষ্ট্রপতিকে স্মারকলিপি দিয়েছে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যান এবং ৩টায় বের হয়ে আসেন। ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল পুলিশের নিরাপত্তায় বঙ্গভবনে যান।
প্রতিনিধিদলে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আরিফ সোহেল, সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আব্দুল হান্নান মাসউদ, আসিফ মাহমুদ, রাশিদুল ইসলাম রিফাত, আব্দুল কাদের, মো. মাহিন সরকার, আশিক ও হাসিব আল ইসলাম। এ ছাড়াও ছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও ইডেন কলেজের দুই নারী প্রতিনিধি সুমাইয়া জাহান ও মেহেরুন নেসা।
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্তে না যায় তাহলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
রাষ্ট্রপতিকে দেওয়া স্মারকলিপিতে যা লেখা ছিল
‘১৪ জুলাই, ২০২৪
বরাবর,
মহামান্য রাষ্ট্রপতি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ।
বিষয় : জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরির সব গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে আইন প্রণয়ন প্রসঙ্গে।
মহামান্য,
যথাযথ সম্মান প্রদর্শনপূর্বক নিবেদন এই যে, সাম্প্রতিক সময়ে চলমান কোটা সংস্কারসংক্রান্ত বিতর্কের প্রেক্ষিতে আমরা চাকরিপ্রত্যাশী শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আপনার কাছে নিম্নোক্ত বক্তব্য পেশ করছি। আপনি অবগত আছেন, ২০১৮ সালে সারা বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের গণআন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকারি চাকরি (নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেড) থেকে কোটাপদ্ধতি বিলুপ্ত করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজে জাতীয় সংসদে কোটা বিলুপ্তির ঘোষণা দেন। ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে সরকারি চাকরি থেকে কোটাপদ্ধতি বাতিল ও মেধাভিত্তিক নিয়োগের ঘোষণা দিয়ে পরিপত্র জারি করা হয়। কোটা সংস্কার ছিল শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীতদের প্রাণের দাবি। বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে চাকরিতে কোটা পদ্ধতির পুনর্বিবেচনা করে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছিল শিক্ষার্থীরা। সরকার সার্বিক বিবেচনায় নবম থেকে ত্রয়োদশ গ্রেডে কোটার বিলুপ্তিকে সমাধান মনে করেছিল। ২০১৮ সালের এই পরিপত্র জারি হবার পরে কোটামুক্তভাবে কয়েকটি সরকারি চাকরির পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
কিন্তু ওই পরিপত্রটি সংবিধানের আলোকে ত্রুটিযুক্ত থাকায় ২০১১ সালে ৬ ডিসেম্বর মহামান্য হাইকোর্ট একটি রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এই পরিপত্র কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না মর্মে রুল জারি করেন এবং গত ৫ জুন, ২০২৪ এই রুলকে অ্যাবসলিউট হিসেবে রায় দেন আদালত।
রায়ে এই পরিপত্রকে হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন। যার ফলে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের চাকরির নিয়োগে কোটা পুনর্বহাল হয়। পরবর্তীতে গত বুধবার (১০ জুলাই) সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে কোটাপদ্ধতি বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের ওপর এক মাসের স্থিতাবস্থা দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। ২০১৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলে পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করে রায়ের কিছু অংশ গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে।
আমরা মনে করি, ২০১৮ সালের পরিপত্রে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের আশা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটেনি। কেননা শিক্ষার্থীরা সকল গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কার চেয়েছিল। প্রথমত, কোটার অসহনীয় মাত্রা মানে দেশের লাখ লাখ তরুণ-তরুণীদের দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে রাষ্ট্রযন্ত্রের প্রহসন। মুক্তিযুদ্ধের যে মূলমন্ত্র সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার তা নিশ্চিত করতে ও একটি দক্ষ প্রশাসন গড়তে মেধাভিত্তিক নিয়োগের কোনো বিকল্প নেই। দ্বিতীয়ত, কোটা পদ্ধতি না থাকলে নাগরিকদের অনগ্রসর অংশ প্রজাতন্ত্রের কর্মে উপযুক্ত প্রতিনিধিত্ব লাভ থেকে বঞ্চিত হবে। তৃতীয়ত, ওই পরিপত্রটি শুধু ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারির চাকরির জন্য প্রযোজ্য। কিন্তু সরকারি চাকরিতে সব গ্রেডে ৫ শতাংশ কোটাকে ছাত্রসমাজ যৌক্তিক মনে করো তাই আমাদের দাবি হচ্ছে- সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে সংবিধানে উল্লিখিত অনগ্রসর গোষ্ঠী ও বিশেষ চাহিদা সম্পন্নদের জন্য কোটাকে ন্যায্যতার ভিত্তিতে ন্যূনতম পর্যায়ে (সর্বোচ্চ ৫%) এনে সংসদে আইন পাস করে কোটাপদ্ধতিকে সংস্কার করতে হবে।
মহামান্য, ছাত্রসমাজের শেষ আশ্রয়স্থল হিসেবে আপনার নিকট আকুল আবেদন জানাচ্ছি, জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করে বাধিত করবেন। মহামান্য, হাইকোটের রায়ে বলা হয়েছে, সরকার চাইলে কোটা পরিবর্তন বা পরিবর্ধন করতে পারবে। ছাত্রসমাজ দীর্ঘদিন ধরে ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জন করে রাজপথে ঝড়-বৃষ্টি-খরতাপকে উপেক্ষা করে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছে। অথচ সরকারের পক্ষ থেকে আমাদের দাবি মেনে নেওয়ার ব্যাপারে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। আমাদের কারণে জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হোক তা আমরা কখনোই চাই না। আমরা দ্রুতই পড়ার টেবিলে ফিরে যেতে চাই। ছাত্রসমাজ আশা রাখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে সরকারি চাকরিতে সকল গ্রেডে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করতে উদ্যোগ গ্রহণ করে বাধিত করবেন।
অন্যথায় ছাত্রসমাজ নিজেদের অধিকার রক্ষায়, বৈষম্যমুক্ত ও মেধাভিত্তিক বাংলাদেশ নির্মাণে সর্বাত্মক আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে বাধ্য হবে।
এমআই

জাতীয়
সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে রদবদল

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি পদে রদবদল হয়েছে। এ সময় দুজন কর্মকর্তাকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বদলির অংশ হিসেবে বগুড়ার এরিয়া কমান্ডার ও জিওসি মেজর জেনারেল এস এম আসাদুল হককে নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও সাভারের এরিয়া কমান্ডার হিসেবে বদলি করা হয়েছে। ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পদাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট মেজর জেনারেল তৌহিদুল আহমেদকে বগুড়ার জিওসি করা হয়েছে।
একইভাবে কুমিল্লার জিওসি মেজর জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ তারিককে ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের পদাতিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের কমান্ড্যান্ট হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল হাবিব উল্লাহকে বদলি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।
পাশাপাশি মিলিটারি অপারেশনসের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাজিম-উদ-দৌলাকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে কুমিল্লার জিওসি করা হয়েছে। আর সেনাসদরের ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেনকে মেজর জেনারেল পদে পদোন্নতি দিয়ে সেনা কল্যাণ সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
আমরা শেষ পর্যন্ত সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবো: সিইসি

আসন্ন নির্বাচন নিয়ে কোনো ধরনের ‘ব্লেম’ বা অপবাদ নিতে রাজি নই। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য শেষ পর্যন্ত সর্বশক্তি দিয়ে লড়াই করবো বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিন।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি। এর আগে মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি বৈঠক করেন।
সিইসি জানান, মার্কিন প্রতিনিধি দলটি নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে এসেছিলেন। তিনি তাদের বলেছেন, এটি একটি বিশেষ পরিস্থিতি এবং একটি বিশেষ ধরনের সরকার। প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচনের ইঙ্গিত দিয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন এবং রমজানের আগে ভোট গ্রহণের কথা বলেন। এ কারণেই নির্বাচন কমিশন (ইসি) প্রস্তুতি জোরদার করেছে, যদিও প্রস্তুতি আগেই শুরু করা হয়েছিল।
তিনি বলেন, নানান ধরনের টানাপোড়েন থাকায় নির্বাচনের সময়সূচি চূড়ান্ত করতে কিছুটা সময় লেগেছে। পর্যাপ্ত প্রস্তুতির অভাবের অভিযোগ যেন না আসে, আমরা কোনো ধরনের ব্লেম নিতে রাজি নই। সেজন্যই আমরা আগে থেকে কাজ শুরু করেছি।
সিইসি আশা প্রকাশ করে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থ সবার ওপর স্থান দেয়। শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতা হবে। গতকাল থেকে প্রধান উপদেষ্টা আবার আলোচনা শুরু করেছেন। বিশ্বাস করি একটা সমঝোতা হবে।
মার্কিন প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে গুজব ও ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে জানতে চাওয়া হলে সিইসি বলেন, এই দেশটা গুজবের দেশ। আমি বলেছি, গুজব কানে না নিতে। আমরা পুরো নির্বাচন বাতিলের ক্ষমতা ফেরত আনার ব্যবস্থা করেছি।
মার্কিন প্রতিনিধি ৯৫ শতাংশ সরকারি লোকবল দিয়ে নির্বাচন পরিচালনার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলে সিইসি বলেন, সরকারকে বাদ দিয়ে ভোট সম্ভব নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী লাগবে, বাজেট লাগবে। তাদের সহযোগিতা ছাড়া ভোট সম্ভব নয়। সরকারের কোনো হস্তক্ষেপ ছাড়া আমরা সহযোগিতা পেয়েছি।
সিইসি বলেন, মার্কিন দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠকে কালো টাকার কথা এসেছে, এটা একেবারে বন্ধ করতে তো পারবো না। ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বসেছি সেটাও জানিয়েছি। আমি আশাবাদী, সর্বশক্তি দিয়ে শেষ পর্যন্ত ফাইট করবো। দেশবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করবো যেন একটি সুন্দর নির্বাচন হয়।
সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, প্রবাসীদের ভোটের ব্যবস্থা করা হবে। যারা ভোটের দায়িত্বে থাকতেন তারা তো আগে ভোট দিতে পারতেন না। এবার সে ব্যবস্থাও করা হবে। এক্ষেত্রে আইটি সাপোর্টের পোস্টাল ব্যালটের কথা বলেছি।
জাতীয়
ঢাকায় আসছেন টিআই চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়াঁ

বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারপারসন ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়া মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) তিন দিনের সফরে ঢাকায় আসছেন বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। ২০২৩ সালে টিআই পরিচালনা পর্ষদের চেয়ার নির্বাচিত হওয়ার পর এটি তার প্রথম বাংলাদেশ সফর। একশটিরও বেশি দেশের জাতীয় চ্যাপ্টারের মাধ্যমে কর্মরত বৈশ্বিক দুর্নীতিবিরোধী কোয়ালিশন টিআই-এর সর্ববৃহৎ ও অন্যতম সক্রিয় চ্যাপ্টার হিসেবে স্বীকৃত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অতিথি হিসেবে বাংলাদেশে আসছেন তিনি।
টিআইবির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দুর্নীতি প্রতিরোধ ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ের অভিজ্ঞতা বিনিময়, টিআইবির কার্যক্রম, সম্ভাবনা এবং চ্যালেঞ্জসমূহের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা বিনিময় তার এই সফরের মূল উদ্দেশ্য। তিন দিনের সফরে টিআইবির কর্মী, টিআইবির উদ্যোগে দেশের ৪৫টি অঞ্চলে স্বেচ্ছাসেবাভিত্তিক সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি, তরুণদের প্ল্যাটফরম ৬৫টি ইয়ুথ এনগেজমেন্ট অ্যান্ড সাপোর্ট (ইয়েস) নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সুযোগ নেবেন তিনি। পাশাপাশি, তিনি সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের সংশ্লিষ্ট অংশীজন, নাগরিক সমাজ সদস্য এবং গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ ও গবেষক ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়া টিআই-এর আন্তর্জাতিক পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে ২০১৯ সাল থেকে সক্রিয় ছিলেন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে কাজ করেছেন। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তিনি টিআই-ফ্রান্সের বোর্ড সদস্য হিসেবে অবৈধ অর্থ প্রবাহ ও পাচার, সংশ্লিষ্ট কৌশলগত আইনি পদক্ষেপ ও রাজনৈতিক শুদ্ধতা ইত্যাদি বিষয়ে কাজ করেছেন। এর আগে তার নেতৃত্বে টিআই সেক্রেটারিয়েটের উদ্যোগে ব্যবসায়িক শুদ্ধতার অংশ হিসেবে জি-২০ পর্যায়ে আর্থিক নিয়ন্ত্রণ ও দুর্নীতিরোধ বিষয়ক অধিপরামর্শ কার্যক্রম শুরু হয়।
ফ্রান্সের খ্যাতনামা ইকোলে পলিটেকনিক এবং ইকোলে ডেস মাইনস ডি প্যারিস থেকে ফ্রাঁসোয়া ভ্যালেরিয়া ইতিহাসে স্নাতক ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। পেশাগত জীবনে তিনি সরকারি ও বেসরকারি উভয় খাতে কাজ করেছেন। তিনি ফ্রান্সের খ্যাতনামা ব্যবসা ও পেশাগত উৎকর্ষ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান সিএনএএম এর সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস সেনাপ্রধানের

অন্তর্বর্তী সরকারকে প্রতি পূর্ণ সহযোগিতা করবেন বলে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আশ্বাস দিয়েছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে এ আশ্বাস দেন তিনি। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বর্তমান পরিস্থিতিতে বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ধারাবাহিক অবদানের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার সরকারি এক বিবৃতির বরাত দিয়ে এ তথ্য জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা সেনাবাহিনীর ভূমিকা সুসংহত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন, যার মধ্যে একটি সুস্পষ্ট কমান্ড কাঠামো এবং নির্বাচন পর্যন্ত আগামী মাসগুলোতে সব বাহিনীর ঘনিষ্ঠ সমন্বয় অন্তর্ভুক্ত।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমি জাতির কাছে একটি গম্ভীর অঙ্গীকার করেছি—এমন একটি নির্বাচন উপহার দিতে যা ভোটার উপস্থিতি, নতুন ও নারী ভোটারদের অংশগ্রহণ, নিরাপত্তা ও সুরক্ষার প্রতি বৈশ্বিক আস্থা, এবং গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের উৎসবমুখর পরিবেশের দিক থেকে অনন্য হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, সরকারের সব উদ্যোগ ও কর্মসূচি সফল করতে পুরো সেনাবাহিনী অঙ্গীকারবদ্ধ। তিনি গুজব উপেক্ষা করার আহ্বান জানান।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সোমবার (০১ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বাসভবন যমুনায় সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে বঙ্গভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
এর আগে রোববার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন সেনাপ্রধান।
এদিকে ২১ আগস্ট সরকারি সফরে চীনে যান সেনাবাহিনী প্রধান। বুধবার রাতে তিনি দেশে ফেরেন। আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানায়, সফরে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইসহ চীনের উচ্চপদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়সহ রোহিঙ্গা প্রত্যাবর্তনে সহায়তা নিয়ে আলোচনা করেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আইএসপিআরের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী প্রধান ২২ আগস্ট চীনের পিএলএ সদরদপ্তরে পৌঁছালে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে তিনি পিএলএর স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিসার জেনারেল চেন হুইর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাতে তারা দু-দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা, জনগণের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তনে সহায়তা বিষয়ে আলোচনা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নতিতে চীনের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ার বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়।
অন্যদিকে রোববার দেশের প্রধান তিনটি দল বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা। ওই বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
এ ছাড়া আগামীকাল মঙ্গলবার (০২ সেপ্টেম্বর) আরও ৭টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা।
সোমবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে জানানো হয়েছে, আরও সাতটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। মঙ্গলবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।