ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০৯৭ কোটি টাকার বাজেট ঘোষণা

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ২ হাজার ৯৭ কোটি ৩১ লাখ ৪০ হাজার টাকার বাজেট ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শনিবার (১৩ জুলাই) জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সিনেট হলে ২৬তম অধিবেশনে এ বাজেট ঘোষণা করা হয়।
সিনেটের চেয়ারম্যান জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমানের সভাপতিত্বে বাজেট ঘোষণা করেন ট্রেজারার প্রফেসর আবদুস সালাম হাওলাদার।
প্রস্তাবিত বাজেটের মধ্যে রাজস্ব ৭২১ কোটি ৬৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির জন্য এক হাজার ৩৭৫ কোটি ৬৬ লাখ ৮৬ হাজার টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা দীর্ঘ আলোচনা শেষে সিনেট কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে। এছাড়া সিনেট অধিবেশনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ৫৬৪ কোটি ৬০ লাখ ২৬ হাজার টাকার সংশোধিত বাজেট অনুমোদিত হয়।
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মশিউর রহমান বলেন, আমাদের সামনে একমাত্র পথ-সঠিক পদক্ষেপ ও পরিচর্যার মাধ্যমে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে সমন্বিত উপায়ে উৎকৃষ্ট শিক্ষা, দর্শন ও সময় উপযোগী মানবসম্পদ সৃষ্টি। এর জন্য প্রয়োজন শ্রেণিকক্ষে মানসম্মত শিক্ষক, শিক্ষকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ, পরিমার্জিত কারিকুলাম, যুগোপযোগী বিষয়সমূহ প্রবর্তন, নতুন নতুন দক্ষতাভিত্তিক কোর্স প্রবর্তন, উচ্চশিক্ষায় শিক্ষার্থীর সংখ্যা যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা।
সিনেট অধিবেশনে বক্তব্য দেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এমপি, সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, সংসদ সদস্য শহীদুজ্জামান সরকার, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন, ইউজিসির সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দর্শন বিভাগের অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া ও ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার উম্মে সালমা তানজিয়াসহ ১৬ জন সিনেট সদস্য।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির নতুন প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র (ডিআইইউ) নতুন প্রো-ভিসি নিয়োগ দিয়েছে সরকার। বিশ্ববিদ্যালয়টির ফ্যাকাল্টি অব বিজনেস এন্ড এন্ট্রেপ্রেনিউরশিপের ডিন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এ সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ এর ধারা ৩২ (১) অনুযায়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালকে তিন শর্তে এই নিয়োগ প্রদান করা হয়।
এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে, প্রো-ভিসি পদে অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাসুম ইকবালের নিয়োগের মেয়াদ হবে যোগদানের তারিখ হতে ৪ বছর। তবে রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর যে কোনো সময় এ নিয়োগ আদেশ বাতিল করতে পারবেন; তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্ধারিত বেতন-ভাতাদি প্রাপ্য হবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করবেন; তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করবেন।
জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের দাবি

সব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র রাজনীতি উন্মুক্ত করার দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। পাশাপাশি শিক্ষার ওপর আরোপিত ১০ শতাংশ কর অবিলম্বে প্রত্যাহারেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
আজ (বুধবার) সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক যৌথ বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনটির সভাপতি রাকিবুল হাসান সুজন ও সাধারণ সম্পাদক সুবহে সাদিক সন্ধি এ দাবি জানান।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেন, ২০১৫ সালের ‘নো ভ্যাট অন এডুকেশন’, ২০১৮ সালের ‘নিরাপদ সড়ক’ এবং ২০২৪ সালের গণ-আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ প্রমাণ করেছে তারা রাজনৈতিকভাবে সচেতন। তাই এখন সময় এসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও গণতান্ত্রিক চর্চা ও ছাত্র সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার।
তারা আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আর্থসামাজিক বাস্তবতায় অভিন্ন টিউশন ফি নির্ধারণ, অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাস্তবায়ন, গবেষণায় বাজেট বাড়ানো, শিক্ষকের সংকট নিরসন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে ছাত্র প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ছাত্র সংসদই কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
তারা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, যেসব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিমধ্যে ছাত্র সংসদের তফসিল ঘোষণা হয়েছে, সে দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে হবে। না হলে ছাত্র ইউনিয়ন শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিজেরাই নির্বাচন আয়োজন করবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একদিকে শিক্ষার্থীদের সাংবিধানিক অধিকার খর্ব করছে, অন্যদিকে সাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী গোপন সংগঠনের কার্যকলাপের বিষয়ে নীরব রয়েছে। এটা দ্বিচারিতা, যা আর চলতে দেওয়া যায় না। বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে শিক্ষাকে বাণিজ্যিক পণ্যে পরিণত করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর ১০ শতাংশ কর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। এটি বৈষম্যমূলক। এই কর প্রত্যাহার ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা, ভোট ৯ সেপ্টেম্বর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন আগামী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে নির্বাচন কমিশনের প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম এ ঘোষণা দেন। এ সময় অন্যান্য রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ৯ সেপ্টেম্বর। সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলবে ভোটগ্রহণ।
নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি অনুযায়ী, খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৩০ জুলাই এবং চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১১ আগস্ট।
তপশিলে বলা হয়, ডাকসুর নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র বিতরণ করা হবে ১২ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র জমার শেষ সময় ১৯ আগস্ট, বিকেল ৩টা। আর মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ২০ আগস্ট। প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা প্রকাশ করা হবে ২১ আগস্ট।
কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আসন্ন ডাকসু নির্বাচনের জন্য মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ২৫ আগস্ট। এরপর ২৬ আগস্ট প্রকাশ করা হবে চূড়ান্ত প্রার্থীতালিকা। ৯ সেপ্টেম্বর ভোটগ্রহণ শেষে রাতেই ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের ফলাফল।
জানা গেছে, এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা আজ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের তপশিল আজ মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঘোষণা করা হবে।
সোমবার (২৮ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন–২০২৫-এর চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আগামী ২৯ জুলাই (মঙ্গলবার) বিকেল ৪টায় নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনের দ্বিতীয় তলার কনফারেন্স রুমে ডাকসু ও হল সংসদ নির্বাচন-২০২৫ এর নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে, গত ২০ জুলাই তপশিল ঘোষণার তারিখ এবং ডাকসু নির্বাচনের সময় ঘোষণা দেওয়া হয়। সেদিনই ২৯ জুলাই তপশিল ঘোষণার কথা প্রথম জানানো হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হতে পারে। এ বছর হল থেকে ভোটকেন্দ্রগুলো ৬টি নিরপেক্ষ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে প্রথমবারের মতো হলের বাইরে ভোটকেন্দ্র থাকবে।
কেন্দ্রগুলো হল- ১. কার্জন হল কেন্দ্রে (পরীক্ষার হল) ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল, অমর একুশে হল ও ফজলুল হক হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবেন।
২. শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রে জগন্নাথ হল, শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল ও সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দেবে।
৩. ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ভোট দেবেন রোকেয়া হল, শামসুন নাহার হল ও কবি সুফিয়া কামাল হলের শিক্ষার্থীরা।
৪. ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলের শিক্ষার্থীরা।
৫. সিনেট ভবন কেন্দ্রে (অ্যালামনাই ফ্লোর, সেমিনার কক্ষ, ডাইনিং রুম) ভোট দিতে পারবেন স্যার এ এফ রহমান হল, হাজী মুহম্মদ মহসীন হল ও বিজয় একাত্তর হলের শিক্ষার্থীরা।
৬। উদয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে সূর্য সেন হল, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল, শেখ মুজিবুর রহমান হল ও কবি জসীম উদ্দীন হলের শিক্ষার্থীরা ভোট দিতে পারবেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাচ্ছেন দশম গ্রেড, প্রজ্ঞাপন জারি

দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ নিয়ে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আনুষ্ঠানিক প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। ফলে এখন থেকে দেশের ৬৫ হাজার ৫০২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সব প্রধান শিক্ষক দশম গ্রেড অনুযায়ী বেতন-ভাতা পাবেন।
সোমবার (২৮ জুলাই) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ শিবলী সাদিকের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষকরা জাতি গঠনের মূল কারিগর। তাদের আর্থিক সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য অপরিহার্য। সম্প্রতি ১২৪/২০২২ নম্বর সিভিল রিভিউ পিটিশনে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের আদেশ অনুসারে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪৫ জন প্রধান শিক্ষকের বিদ্যমান ১১তম থেকে দশম গ্রেড বেতন স্কেলে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
‘এর ধারাবাহিকতায় দেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীতকরণ যৌক্তিক বিবেচিত হওয়ায় সরকার সারাদেশে ৬৫ হাজার ৫০২ জন প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল বিদ্যমান ১১তম গ্রেড (প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত) ও ১২তম গ্রেড (প্রশিক্ষণবিহীন) থেকে দশম গ্রেডে উন্নীতকরণে সম্মতি দিয়েছে।’
এতে আরও বলা হয়, যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা পূরণ করা হলো। গৃহীত উদ্যোগ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের আর্থিক নিরাপত্তা নিশ্চিত এবং তাদের সামাজিক মর্যাদা সুসংহত করবে। ফলে তারা প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে আরও সৃজনশীল ও উদ্দীপ্ত ভূমিকা পালন করবে। এতে প্রাথমিক পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য আরও উন্নত ও গতিশীল শিক্ষাব্যবস্থা নিশ্চিত হবে।
দশম গ্রেড দিয়ে সরকার প্রধান শিক্ষকদের প্রতি দায়বদ্ধতা ও সম্মান দেখিয়েছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের বেতন স্কেল দশম গ্রেডে উন্নীত করার মাধ্যমে তাদের প্রতি তার দায়বদ্ধতা ও সম্মান প্রদর্শন করছে সরকার।
সরকারের এ পদক্ষেপ প্রাথমিক শিক্ষাব্যবস্থার সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকরা অন্যান্য শিক্ষকমণ্ডলী, অভিভাবক ও সর্বস্তরের অংশীজনের সহায়তায় প্রাথমিক শিক্ষার মান কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে উন্নীত করবেন, এটি সরকারের প্রত্যাশা।