আন্তর্জাতিক
ভারতে গাড়ি বিক্রি কমেছে ৭ শতাংশ

ভারতে গত মাসে ভারতে যাত্রীবাহী গাড়ির খুচরা বিক্রির হার কমেছে ৭ শতাংশ। তাপপ্রবাহের কারণে গাড়ির শোরুমমুখী ক্রেতা সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমে গেছে। শুক্রবার (১২) ভারতের ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার অ্যাসোসিয়েশন এই তথ্য জানিয়েছে।
এফএডিএর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের জুনে ৩ লাখ ২ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি হয়েছিল ৷ সেই তুলনায় ২০২৪ সালের জুন মাসে সামগ্রিকভাবে যাত্রীবাহী গাড়ির খুচরা বিক্রি কমে ২ লাখ ৮১ হাজার ৫৬৬ ইউনিটে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ, গত বছরের জুনের তুলনায় এ বছর জুনে দেশে গাড়ির খুচরা বিক্রির হার ৭ শতাংশ কমেছে । সারা দেশে ১ হাজার ৫৬৭টি আরটিওর থেকে জুন মাসের গাড়ির রেজিস্ট্রেশনের তথ্য অনুযায়ী ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের এই বিশ্লেষণ মিলেছে।
ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মণীশ রাজ সিংহানিয়া বলেন, উন্নত পণ্যের প্রাপ্যতা এবং চাহিদা বৃদ্ধির লক্ষ্যে যথেষ্ট ছাড় দেওয়া সত্ত্বেও, প্রচণ্ড গরম আর বর্ষা দেরিতে আসার কারণে বাজারের লেনদেন থমকে ছিল ৷ এর ফলে শোরুমে আসা গ্রাহক সংখ্যা ১৫ শতাংশ কমেছে
তার মতে, প্রচণ্ড গরমে গ্রাহক অনুৎসাহিত হয়ে পড়ায় গাড়ির ডিলারদের প্রতিক্রিয়া কম মিলেছে ৷ গাড়ি কেনার সিদ্ধান্তকেও প্রভাবিত করেছে এই পরিস্থিতি ৷ তার মতে, উৎসবের মৌসুম শুরু হতে এখনও কিছু সময় বাকি রয়েছে ৷ তাই যাত্রীবাহী যানের আসল সরঞ্জাম প্রস্তুতকারকদের বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ! পাশাপাশি, উচ্চ সুদের ব্যয় থেকে আর্থিক চাপ কমানোর জন্য কার্যকর আনুসঙ্গিক ব্যবস্থাপনা কৌশল অপরিহার্য। ফলে বাজারের ঝুঁকি বুঝে পরিস্থিতি অনুযায়ী সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেন মণীশ রাজ সিংহানিয়া ৷
ফেডারেশন অব অটোমোবাইল ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জানান, জুন মাসে দু-চাকার (টু-হুইলার) গাড়ির রেজিস্ট্রেশন বার্ষিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১৩ লাখ ৭৫ হাজার ৮৮৯ ইউনিট হয়েছে । তবে তার পরেও প্রচণ্ড গরমের জেরে শোরুমে গ্রাহকরা ১৩ শতাংশ কম এসেছে ৷ বর্ষার দেরি এবং ভোট-সম্পর্কিত বাজারের মন্দা বিশেষত দেশের গ্রামীণ বাজারের বিক্রিকে প্রভাবিত করেছে ৷ এর ফলে মে মাসে গাড়ির বিক্রি ৫৯.৮ শতাংশ থেকে জুনে ৫৮.৬ শতাংশে নেমে এসেছে ।
বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি গত মাসে ৫ শতাংশ কমে ৭২ হাজার ৭৪৭ ইউনিট হয়েছে, যা ২০২৩ সালের জুনে ৭৬ হাজার ৩৬৪ ইউনিট ছিল। জুন মাসে ট্রাক্টরের বিক্রি গত বছরের তুলনায় ২৮ শতাংশ কমে ৭১ হাজার ২৯ ইউনিট হয়েছে। জুন মাসে তিন চাকার গাড়ির (থ্রি-হুইলার) রেজিস্ট্রেশন ৫ শতাংশ বেড়ে ৯৪ হাজার ৩২১ ইউনিট হয়েছে, যা গত বছরের জুন মাসে ৮৯ হাজার ৭৪৩ ইউনিট ছিল। জুনে গাড়ির সামগ্রিক খুচরা বিক্রি গত বছরের তুলনায় সামান্য বেড়ে ১৮ লাখ ৯৫ হাজার ৫৫২ ইউনিট হয়েছে।
কাফি

আন্তর্জাতিক
ইয়েমেনে নৌকাডুবি, ৬৮ অভিবাসীর মৃত্যু

ইয়েমেনের উপকূলে একটি নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ৬৮ জন শরণার্থী এবং অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, ইয়েমেন উপকূলে নৌকাডুবে যাওয়ার ঘটনায় কমপক্ষে ৬৮ জন আফ্রিকান শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে এবং ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
ইয়েমেনে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) প্রধান আবদুসাত্তোর এসোয়েভ রোববার বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানিয়েছেন, ১৫৪ জন ইথিওপীয়কে নিয়ে নৌকাটি ইয়েমেনের আবিয়ান প্রদেশের উপকূলে ডুবে যায়।
তিনি জানিয়েছেন, নৌকাডুবির ঘটনায় ১২ জন বেঁচে গেছেন। খানফার জেলায় ৫৪ জন শরণার্থী ও অভিবাসীর মৃতদেহ ভেসে এসেছে এবং আরও ১৪ জনকে বিভিন্ন স্থানে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং তাদেরকে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ইয়েমেনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ এর আগে জানিয়েছিল যে, দুর্ঘটনায় ৫৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তীতে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে।
জাঞ্জিবারের স্বাস্থ্য অফিসের পরিচালক আব্দুল কাদের বাজামিল বলেছেনদ, স্থানীয় কর্তৃপক্ষ শাকরা শহরের কাছে নিহতদের সমাহিত করার ব্যবস্থা করছে এবং কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও অনুসন্ধানের সুযোগ অব্যাহত রয়েছে।
ইয়েমেন এবং আফ্রিকার শৃঙ্গ অঞ্চলের মধ্যেকার সমুদ্রপথ উভয় দিকের ভ্রমণকারী শরণার্থী এবং অভিবাসীদের জন্যই একটি সাধারণ রুট কিন্তু এটি বেশ বিপজ্জনক পথ। ২০১৪ সালে গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই অঞ্চলে ইয়েমেনিদের দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাওয়ার প্রবণতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০২২ সালের এপ্রিলে হুথি বিদ্রোহীরা এবং সরকারি বাহিনী একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছেছিল যার ফলে ইয়েমেনে সহিংসতা হ্রাস পেয়েছে এবং চলমান মানবিক সংকট কিছুটা লাঘব হয়েছে।
তবে আফ্রিকার সংঘাত, বিশেষ করে সোমালিয়া এবং ইথিওপিয়া থেকে পালিয়ে আসা কিছু লোক ইয়েমেনে আশ্রয় নিয়েছে অথবা দেশটি ব্যবহার করে উপসাগরীয় দেশগুলোতে ভ্রমণের চেষ্টা করেছে। আইওএম-এর তথ্য অনুসারে, এই পথটি বিশ্বের ‘সবচেয়ে ব্যস্ত এবং সবচেয়ে বিপজ্জনক’ অভিবাসন রুটের মধ্যে একটি।
ইয়েমেনে পৌঁছানোর জন্য পাচারকারীরা প্রায়ই বিপজ্জনক পথে অতিরিক্ত যাত্রীবাহী নৌকায় করে লোহিত সাগর বা এডেন উপসাগর হয়ে লোকজনকে পারাপার করে।
আইওএমের তথ্যমতে, ২০২৪ সালে ৬০ হাজারের বেশি শরণার্থী এবং অভিবাসী ইয়েমেনে পৌঁছেছেন যা আগের বছরের মোট উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম। আগের বছর এই সংখ্যা ছিল ৯৭ হাজার ২০০।
আন্তর্জাতিক
আবারও ‘স্বাস্থ্যকর শহরের’ স্বীকৃতি পেলো মদিনা

আবারও ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে সৌদি আরবের মদিনা নগরী। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) মদিনা শহরকে এই স্বীকৃতি দিয়েছে। ইসলামের দ্বিতীয় পবিত্রতম নগরী মদিনা এবার ৮০ পয়েন্ট অর্জন করে এই স্বীকৃতি পেয়েছে বলে জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ)।
এই স্বীকৃতির মাধ্যমে জেদ্দার পরই মধ্যপ্রাচ্যের দ্বিতীয় বৃহত্তম ‘স্বাস্থ্যকর নগরী’ হিসেবে নিজের অবস্থান আরও দৃঢ় করলো মদিনা শহর।
একটি আনুষ্ঠানিক আয়োজনে স্বাস্থ্য মন্ত্রী ফাহাদ আলজালাজেলের কাছ থেকে এই স্বীকৃতি সনদ গ্রহণ করেন মদিনা অঞ্চলের গভর্নর প্রিন্স সালমান বিন সুলতান।
প্রিন্স সালমান বলেন, এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে যে, নাগরিকদের জীবনের মান উন্নয়নে নেতৃত্ব কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শুধু স্থানীয়ভাবে নয়, বরং আন্তর্জাতিকভাবে একটি উন্নয়ন মডেলে পরিণত হচ্ছে মদিনা শহর। যা সৌদি আরবের ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
ডব্লিউএইচও-এর এই স্বীকৃতি অর্জনের জন্য একটি শহরকে ৮০টি মানদণ্ড পূরণ করতে হয়,যার মধ্যে রয়েছে— পার্ক ও খোলা জায়গা, হাঁটার উপযোগী এলাকা, প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র ও স্কুলের মাধ্যমে স্বাস্থ্যসচেতনতা বৃদ্ধি ইত্যাদি।
ডব্লিউএইচও মদিনা ছাড়াও সৌদি আরবের আরও ১৪টি শহরকে ‘স্বাস্থ্যকর শহর’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। শহরগুলো হলো, তায়েফ, তাবুক, আদ-দিরিয়াহ, উনায়জা, জালাজেল, আল-মানদাক, আল-জুমুম, রিয়াদ আল-খুবরা, শারুরাহ।
এখন মদিনা বিশ্বব্যাপী এমন এক উদাহরণ, যেখানে আধুনিক উন্নয়ন এবং স্বাস্থ্যসচেতনতা একত্রে কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক
বিমান থেকে গাজায় ত্রাণসামগ্রী ফেলবে ইতালি

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় বিমান থেকে ত্রাণসামগ্রী ফেলা শুরু করবে ইতালি। চলমান সংঘাতে বিপর্যস্ত গাজার বেসামরিক জনগণের জন্য জরুরি সহায়তা পৌঁছাতে এই পদক্ষেপ নিচ্ছে দেশটি। ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী শুক্রবার (১ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রোম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, ইতালির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্তোনিও তাজানি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘গাজার বেসামরিক নাগরিকদের কাছে মৌলিক প্রয়োজনীয় সামগ্রী পৌঁছে দিতে ইতালির সেনাবাহিনী ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে একটি বিমান ত্রাণ মিশনের অনুমোদন দিয়েছি।’
তিনি আরও জানান, ইতালির বিমান বাহিনী জর্ডানের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করবে। এ লক্ষ্যে বিশেষ কন্টেইনারে ত্রাণসামগ্রী ভরে তা আকাশপথে গাজায় ফেলা হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাজানি জানান, আগামী ৯ আগস্ট থেকে বিমান ত্রাণ কার্যক্রম শুরু করা হবে।
এদিকে শুক্রবার স্পেন জানিয়েছে, তারা গাজায় ব্রিটেন ও ফ্রান্সের সঙ্গে সমন্বয় করে এরইমধ্যে ১২ টন খাদ্যসামগ্রী বিমান থেকে ফেলেছে। ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশের সঙ্গে যৌথভাবে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য এ ধরনের জরুরি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে ইউরোপীয় দেশগুলো।
আন্তর্জাতিক
বাংলাদেশের শুল্ক কমায় ভারতের পোশাক বাজারের শেয়ারে দরপতন

ট্রাম্প প্রশাসনের সর্বশেষ শুল্ক সিদ্ধান্তে শুক্রবার ভারতের টেক্সটাইল শেয়ারদরগুলো ৭ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। ট্রাম্প প্রশাসন বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশে নামিয়ে আনে, যা ভারতের রপ্তানিকারকদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে প্রতিযোগিতা আরও তীব্র করে তুলেছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) এই ঘোষণার পর ভারতীয় পুঁজিবাজারে পোশাক-নির্ভর কোম্পানিগুলোর শেয়ারে ব্যাপক বিক্রির চাপ দেখা যায়। গোকালদাস এক্সপোর্টসের শেয়ার ৩.১ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ৮২৪.৫০ রুপিতে। পার্ল গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রিজের পতন ঘটে ৭.২ শতাংশ, নামতে নামতে তা দাঁড়ায় ১,৩৮০.০৫ রুপিতে। অরবিন্দ লিমিটেড ১.৮ শতাংশ কমে ৩১০.৪০ রুপিতে নামলেও, ওয়েলস্পান লিভিং ১.৯ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১২৩.৮০ রুপিতে। কেপিআর মিলের শেয়ারও ৪.৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় ১,০৯২ রুপিতে।
উল্লেখ্য, ওয়েলস্পান লিভিং, গোকালদাস এক্সপোর্টস, ইন্দো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজ এবং ট্রাইডেন্টের মতো কোম্পানিগুলো তাদের মোট আয়ের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশই মার্কিন বাজার থেকে অর্জন করে। ফলে নতুন শুল্ক নীতির কারণে তারা বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বীদের তুলনায় চাপের মুখে পড়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৭০ শতাংশ রাজস্ব পাওয়া কিটেক্স গার্মেন্টসের শেয়ার ৫ শতাংশ কমে গেছে। এ ছাড়া ট্রাইডেন্ট এবং ইন্ডো কাউন্ট ইন্ডাস্ট্রিজের মতো অন্যান্য টেক্সটাইল কোম্পানির শেয়ারও ১ থেকে ২.৫ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
বাংলাদেশের শুল্ক বর্তমানে ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ হারের সমান হয়েছে। অথচ ভারতীয় টেক্সটাইল পণ্যের ওপর এখনও ২৫ শতাংশ শুল্ক বহাল রয়েছে এবং অতিরিক্ত জরিমানার বিষয়ে এখনো মার্কিন কর্তৃপক্ষ পরিষ্কার কোনো দিকনির্দেশনা দেয়নি।
ফলে শুল্কনীতির এই অসমতা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের মুনাফার হার এবং দাম নির্ধারণে ক্ষমতা—দুই ক্ষেত্রেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বিশেষ করে যেসব ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং ভিয়েতনাম খরচ-সাশ্রয়ী উৎপাদনের মাধ্যমে মার্কিন বাজারে আধিপত্য বিস্তার করেছে, সেসব খাতে ভারতের প্রতিযোগিতা আরও কঠিন হবে।
গোকুলদাস এক্সপোর্টস এবং পার্ল গ্লোবাল তাদের ৫০-৭০ শতাংশ আয় মার্কিন বাজার থেকে অর্জন করে। অন্যদিকে, অরবিন্দ লিমিটেড এবং কেপিআর মিল যথাক্রমে ৩০ শতাংশ এবং ২১ শতাংশ আয়ের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।
চয়েস ওয়েলথ-এর অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অক্ষত গার্গ বলেন, ‘জেমস, টেক্সটাইল এবং অটো পার্টস খাতে ভারতীয় রপ্তানিকারকদের জন্য এর তাৎক্ষণিক এবং কঠোর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই যেসব খাতের মুনাফা কম, তারা এখন প্রতিদ্বন্দ্বী ভিয়েতনামের তুলনায় ৭-১০ শতাংশ খরচে পিছিয়ে পড়েছে।’
শুক্রবারের এই দরপতন বৃহত্তর এক ধারাবাহিক পতনের অংশ, যার সূচনা হয়েছিল বৃহস্পতিবার। সেদিন পার্ল গ্লোবাল ৭ শতাংশের বেশি এবং গোকুলদাস এক্সপোর্টস ৪.৫ শতাংশের বেশি দরপতন হয়। কেপিআর মিলের শেয়ারও ৩ শতাংশের বেশি এবং ওয়েলস্পান লিভিং প্রাথমিকভাবে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ালেও দিন শেষে প্রায় ৪ শতাংশ কমে যায়।
যেখানে এক সময় বাংলাদেশের তুলনায় ভারত অল্প সময়ের জন্য কিছুটা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিল, সেখানে এখন নতুন করে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতামূলক দামের দিক থেকে অনিশ্চয়তা দেখা দিচ্ছে ভারতীয় টেক্সটাইল শিল্পের জন্য।
আন্তর্জাতিক
মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ বাংলাদেশি নিহত

মালয়েশিয়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় তিন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দুইজন। শুক্রবার (১ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশটির পূর্ব উপকূল মহাসড়কের কেএম এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার দ্যা স্ট্যার নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
কুয়ান্তানের ভারপ্রাপ্ত জেলা পুলিশ প্রধান সুপারিনটেনডেন্ট মো. আদলি মাত দাউদ জানান, কুয়ান্তান থেকে কুয়ালালামপুরগামী একটি মাল্টিপারপাস যানবাহন (এমপিভি) নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক থেকে ছিটকে পড়লে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতদের মধ্যে রয়েছেন—চালক মো. সাব্বির হাসান (৩০), এবং যাত্রী মো. জাহিদ হাসান (২১) ও আব্দুল্লাহ (২৪)। দুর্ঘটনাস্থলেই তারা প্রাণ হারান।
আহতরা হলেন—মো. হাবিব বিশ্বাস (৪৫) ও মনিরাম চন্দ্র বসু (৪০)। তাদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আদলি মাত দাউদ আরো জানান, দুর্ঘটনায় ব্যবহৃত গাড়ির চালকের বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স ছিল না। এ ঘটনায় তদন্ত চলছে।
নিহত বাংলাদেশিদের গ্রামের বাড়ি কোন জেলায় তা এখনও জানা যায়নি। নিহতদের মরদেহ কুয়ান্তানের তেঙ্কু আম্পুয়ান আফজান হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।