জাতীয়
জুনে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৬৪২ জন

বিদায়ী জুন মাসে সারাদেশে ৭৩০টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এসব দুর্ঘটনায় ৬৪২ জন মানুষ মারা গেছেন। একইসঙ্গে আহত হয়েছেন ৭৯৬ জন মানুষ।
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান গৌতম চন্দ্র পালের গত ১০ জুলাই স্বাক্ষরিত সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়। বিআরটিএর বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে সারাদেশের সড়ক দুর্ঘটনার পরিসংখ্যান সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানায়।
এসবের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬৬টি দুর্ঘটনায় ১৫১ জন নিহত এবং ১৩৯ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ১৪৮টি দুর্ঘটনায় ১১৮ জন নিহত এবং ২৪৭ জন আহত হয়েছেন; রাজশাহী বিভাগে ৯৬টি দুর্ঘটনায় ৯২ জন নিহত এবং ৫২ জন আহত হয়েছেন; খুলনা বিভাগে ৬৭টি দুর্ঘটনায় ৬৪ জন নিহত এবং ৬২ জন আহত হয়েছেন; বরিশাল বিভাগে ৪৭টি দুর্ঘটনায় ৪৬ জন নিহত এবং ৭০ জন আহত হয়েছেন; সিলেট বিভাগে ৩৯টি দুর্ঘটনায় ৩৭ জন নিহত এবং ৪৮ জন আহত হয়েছেন; রংপুর বিভাগে ১০১টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত এবং ৯৮ জন আহত হয়েছেন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৬৬টি দুর্ঘটনায় ৪৩ জন নিহত এবং ৮০ জন আহত হয়েছেন।
জুন মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় সংগঠিত মোটরযানের মধ্যে মোটরকার/জিপ ৩৫টি, বাস/মিনিবাস ১৪১টি, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান ২০৩টি, পিকআপ ৫৭টি, মাইক্রোবাস ২৮টি, অ্যাম্বুলেন্স ৫টি, মোটরসাইকেল ২৩৩টি, ভ্যান ৩৬টি, ট্রাক্টর ১৩টি, ইজিবাইক ৪৪টি, ব্যাটারিচালিত রিকশা ৩৩টি, অটোরিকশা ৮১টি ও অন্যান্য যান ২১৫টিসহ সর্বমোট ১১২৪টি যানবাহন রয়েছে।
এসবের মধ্যে মোটরকার /জিপ দুর্ঘটনায় ১৮ জন, বাস/মিনিবাস দুর্ঘটনায় ৩৭ জন, ট্রাক/কাভার্ডভ্যান দুর্ঘটনায় ৭৩ জন, পিকআপ দুর্ঘটনায় ২৩ জন, মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১৯ জন, অ্যাম্বুলেন্স দুর্ঘটনায় ৪ জন, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৯৯ জন, ভ্যান দুর্ঘটনায় ২৭ জন, ট্রাক্টর দুর্ঘটনায় ১ জন, ইজিবাইক দুর্ঘটনায় ৩৩ জন, ব্যাটারিচালিত রিকশা দুর্ঘটনায় ২২ জন, অটোরিকশা দুর্ঘটনায় ৫৬ জন ও অন্যান্য যান দুর্ঘটনায় ১৩০ জনসহ সর্বমোট ৬৪২ জন নিহত হন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশকে ৭২৪ কোটি টাকা দেবে জার্মানি

জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন প্রচেষ্টায় বাংলাদেশকে ৫২ দশমিক ৫ মিলিয়ন ইউরো (প্রায় ৭২৪ কোটি টাকা) দেবে জার্মানি। বুধবার (১৬ এপ্রিল) জার্মান দূতাবাস এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও বাংলাদেশে জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার আজ দুই দেশের সরকারের পক্ষে এই বিষয়ে একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এই চুক্তির আওতায় জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজিত নগর উন্নয়ন কর্মসূচি প্রকল্পের (অষ্টম) জন্য তহবিল বিতরণ করা হবে।
২০২৪ সালের ডিসেম্বরে দুই দেশের সরকারের মধ্যে স্বাক্ষরিত বাংলাদেশ-জার্মান জলবায়ু ও উন্নয়ন অংশীদারিত্ব (সিডিপি) নিয়ে যৌথ অভিপ্রায় ঘোষণার (জেডিআই) পর এটিই প্রথম তহবিল। এই তহবিলের আওতায় প্রকল্পটি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে অভিযোজন সক্ষমতা জোরদার করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করে ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই তহবিল জলবায়ু-সংবেদনশীল পরিকল্পনা ও জলবায়ু অভিযোজনের জন্য অবকাঠামো প্রকল্প বাস্তবায়নেও সহায়তা করবে।
এই তহবিল জার্মান সহযোগিতা প্রকল্পের পরিপূরণ ও ভবিষ্যতে পরবর্তী প্রকল্পগুলোর জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
জুনের মধ্যে বিডিআর হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত: কমিশন

বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তদন্ত কার্যক্রম পুরোদমে এগিয়ে চলছে জানিয়ে তদন্ত প্রতিবেদন আগামী জুনের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশন।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় অতিথিভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তদন্ত কমিশনের সদস্যরা তাকে তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে অবহিত করেন। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিশন প্রধান মেজর জেনারেল (অব.) আলম ফজলুর রহমান বলেন, ‘আমরা বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। যেহেতু ১৬ বছর আগের ঘটনা তাই অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে গিয়ে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। অভিযুক্ত অনেকেই দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। আমরা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে তাদের বিষয়ে খোঁজ নিচ্ছি।’
‘আমরা কারাগারে থাকা কয়েকজনের সাক্ষাৎকার নিয়েছি। তদন্তের জন্য যোগাযোগ করা প্রয়োজন এমন ২৩ জন বিদেশে অবস্থান করছেন। তার মধ্যে ৮ জন সাক্ষাৎকার দেওয়ার জন্য যোগাযোগ করেছেন,’— বলেন তিনি।
কমিশন প্রধান আরও বলেন, ‘আমরা হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনের প্যাটার্নটা নিয়ে তদন্ত করছি। ডিজিকে হত্যার পর বাকিদের হত্যা করা হয়েছিল। এটি ছিল একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। পরিকল্পনা ছাড়া এমন হত্যাকাণ্ড হতে পারে না।’
‘এটা যেন একটা পলাশীর পুনরাবৃত্তি। এটার শেকড় আমাদের খুঁজে বের করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
কমিশনের সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার বলেন, ‘এমন জঘন্য হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় একজন কর্মকর্তা/কর্মচারীকেও সরানো হয়নি। কাউকে দায়ী করা হয়নি। এটি গোয়েন্দা সংস্থা, সামরিক বাহিনী এবং রাজনৈতিক ব্যর্থতা।’
তদন্ত কমিশনকে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘নৃশংসভাবে নিজেদের অফিসারদেরই তারা মেরেছিল। মসৃণভাবে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে।’
পুরো জাতি তদন্ত কমিশনের দিকে তাকিয়ে আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা সবাই উত্তর খুঁজছি। কমিশনকে এ ঘটনা তদন্তে সফল হতেই হবে। এ রহস্য উদঘাটন করতেই হবে।’
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিশনের সদস্য বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. সাইদুর রহমান, মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, ড. এম আকবর আলী, মো. শরীফুল ইসলাম, শাহনেওয়াজ খান চন্দন, এ টি কে এম ইকবাল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আ.লীগের এমপিকে হাতিয়ার করে সীমান্তে অবৈধ ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন অনুমোদন

জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে কোনো প্রকার ফিলিং স্টেশন স্থাপন করা যাবে না। বাংলাদেশ সরকারের গেজেটে জারিকৃত এমন আইন থাকা সত্ত্বেও বিপুল অর্থের বিনিময়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত এলাকায় মাত্র ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে অবৈধভাবে অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। এতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ-০২ এর সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) মু. জিয়াউর রহমানকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করা হয়। ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে যমুনা অয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করেন এমপি মু. জিয়াউর রহমান। তখন তিনি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতিও ছিলেন।
সূত্র জানায়, সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। সে সময়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি পদে থাকায় এমপির জন্য এই অসাধ্য কাজটি করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। প্রতিটি ক্ষেত্রেই এমপি সরাসরি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে গিয়ে হুমকি ও তার পরামর্শ মোতাবেক পরবর্তীতে মালিক আব্দুল লতিফ অর্থ প্রদানের চুক্তিতে বিভিন্ন দফতর হতে অবৈধ এনওসি বা অনুমোদন লাভ করে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফ অর্থসংবাদকে বলেন, অভিযোগের বিষয়ে স্বাক্ষাতে কথা বলবো। আমি মোবাইলে বক্তব্য দেই না।
যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোস্তফা কুদরত-ই-ইলাহীর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। বেশ কয়েকবার তার মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
আইন অনুযায়ী, প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। এবিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ গেজেট জারি করা হয়। যা জ্বালানী তেল বিক্রয়ের লক্ষ্যে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন স্থাপনে ডিলার নিয়োগ সংক্রান্ত নীতিমালা (সংশোধিত), ২০১৪ অনুযায়ী মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনটি অবৈধ। ২০১৪ সালের সরকারি গেজেটে বিপিসি কর্তৃক কোন নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপনের প্রস্তাব অনুমোদিত হওয়ার পর বিপণন কোম্পানীগুলো কর্তৃক বেশকিছু শর্তসমূহ প্রতিপালন করতে হবে বলে উল্লেখ করা হয়। তার মধ্যে অন্যতম হলো প্রস্তাবিত ফিলিং স্টেশনটি সীমান্তের শূন্য লাইন হতে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ৮ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা যাবে না। তবে আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের অবৈধ অনুমোদন নেওয়া হয়।
এছাড়া, এরআগে বিপিসির সাবসিডিয়ারি কোম্পানি পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কর্তৃক সারাদেশে ফিলিং স্টেশনের কিছু ডিলারের বিরুদ্ধে ভেজাল ও পরিমাপে কম তেল সরবরাহের অভিযোগে নতুন ফিলিং স্টেশন/সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন বন্ধ রাখে সরকার।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ভেজাল তেল ও পরিমাপে কম সরবরাহের কারণে ভোক্তা সাধারণ প্রতারিত ও আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। এতদসত্ত্বেও, দেশের প্রত্যন্ত বা বিভিন্ন স্থানে নতুন ডিলার নিয়োগের আবেদন পাওয়া যাচ্ছে এবং পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা কর্তৃক ডিলার নিয়োগের কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রত্যন্ত এলাকায় আরো নতুন ফিলিং স্টেশন স্থাপিত হলে ভেজাল রোধ ও সঠিক পরিমাপে জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করা দূরূহ হবে। বিপিসি ও এর সাবসিডিয়ারি কোম্পানী কর্তৃক জ্বালানি তেল বিপণন ব্যবস্থায় ভেজাল রোধে ও সঠিক পরিমাপে জ্বালানি সরবরাহে কার্যকর্মী জরুরী ব্যবস্থা গড়ে তোলা না পর্যন্ত নতুন কোন ফিলিং স্টেশন বা সার্ভিস স্টেশন স্থাপনের অনুমোদন আপাতত বন্ধ থাকবে। অথচ এমন আদেশ থাকলেও আইন বর্হিভূতভাবে মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের অনুমোদন দেওয়া হয়।
সম্প্রতি তদন্ত পূর্বক অবৈধ, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার অনুরোধ জানিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বারবর চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, আইনভঙ্গ করে, বিপুল অর্থের বিনিময়ে ও প্রভাব খাটিয়ে ভোলাহাট উপজেলা, চাঁপাইনবাবগঞ্জে সীমান্ত এলাকায় ২.৪ কিলোমিটারের মধ্যে ‘মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশন’ নামে যমুনা ওয়েল কোম্পানী লিমিটেড হতে অবৈধ অনুমোদন নেওয়া হয়েছে। সাবেক এমপি মু. জিয়াউর রহমান মেসার্স ভোলাহাট ফিলিং স্টেশনের স্বত্তাধিকারী মো. আব্দুল লতিফের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তিতে এই অবৈধ অনুমোদনের ব্যবস্থা করে দেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার নিজেই নতুন কোন ফিলিং স্টেশন অনুমোদনের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল কিন্তু উল্লিখিত নিষেধাজ্ঞাকালীন সময়েই ফিলিং স্টেশনটি অনুমোদন করে।
বিষয়টি তদন্ত পূর্বক অবৈধ, দুর্নীতি ও বিপুল অর্থের বিনিময়ে আইন বর্হিভূতভাবে অনুমোদিত ফিলিং স্টেশনটির অনুমতি বাতিলসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আইনের আওতায় আনার জন্য চিঠিতে অনুরোধ করা হয়।
অর্থসংবাদ/এসএম/কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের

ছয় দফা দাবি নিয়ে চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকাসহ সারাদেশে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দিয়েছেন সরকারি ও বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা মোড়ে এ ঘোষণা দেন কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি জুবায়ের পাটোয়ারী।
তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শোয়াইব আহমাদ খান, ঢাকা পলিটেকনিকের অধ্যক্ষ মো. মোস্তাফিজুর রহমানসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হয়েছে। তবে বৈঠকে আমরা একমত হতে পারিনি। তারা লিখিতভাবে আমাদের দাবিগুলো মেনে নেননি। তাই আমরা আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) রেলপথ ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করছি।
জুবায়ের পাটোয়ারী বলেন, কর্তৃপক্ষ আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো বাস্তবায়নে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারের যদি সাধারণ একজন প্রিন্সিপালকে বদলি করতে সারা দিন লেগে যায়, সেই সরকার কর্তৃপক্ষ কীভাবে আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করবে? দেশের উন্নয়নে কারিগরি শিক্ষার্থীদের ভূমিকা কীভাবে তবে রাখবে?
তিনি বলেন, আমরা সরকারকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঢাকাসহ সারা বাংলাদেশে রেলপথ অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করছি। এরমধ্য দিয়ে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হলো।
জুবায়ের পাটোয়ারী আরও বলেন, দেশের সংস্কারে, জাতির সংস্কারে শিক্ষার্থীদের ভূমিকার কথা যদি আপনারা অস্বীকার করেন, তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেন তাহলে দেশের উন্নয়ন কখনোই সম্ভব না।
এ সময় তিনি সড়ক অবরোধ কর্মসূচি আজকের মতো স্থগিত করার ঘোষণা দেন এবং যানচলাচল স্বাভাবিক করতে শিক্ষার্থীদের অনুরোধ জানান।
আরেক আন্দোলনকারী মাশফি রহমান বলেন, জনভোগান্তি বিবেচনায় কর্মসূচি আজকের মতো প্রত্যাহার। আগামীকাল রেলপথ অবরোধ কখন শুরু হবে, তা আমাদের কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা ছয় দাবিতে রাজধানীর তেজগাঁও সাতরাস্তা সড়ক অবরোধ করে দিনব্যাপী বিক্ষোভ করেন। বিক্ষোভে অংশ নেন মহিলা পলিটেকনিকের ছাত্রীরাও। শিক্ষার্থীদের অবরোধে সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে সড়কে চলাচলকারী মানুষ পড়েন সীমাহীন দুর্ভোগে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার: আইন উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বিএনপির মতামত অত্যন্ত গুরত্বের সঙ্গে নিয়েছে সরকার।
তিনি বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যে যাই বলুক জুনের পরে নির্বাচন যাবে না।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির প্রতিনিধি দলের বৈঠক শেষে এ বিফ্রিংয়ের আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, সংস্কারের ব্যাপারে বিএনপি অত্যন্ত আন্তরিক। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে খোলামেলা পরিবেশে কথা হয়েছে। বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছে বলেও জনান আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
আসিফ নজরুল সংবাদ সম্মেলনে আরও বলেন, ‘নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে সরকারের কালবিলম্বের বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নেই। ডিসেম্বর থেকে জুন মানে ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে না, তেমন নয়। আমরা বলেছি, এই সময়র মধ্যে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের চেষ্টা করা হবে।’
বৈঠক নিয়ে বিএনপির অসন্তোষ প্রসঙ্গে আসিফ নজরুল বলেন, ‘বৈঠকে ওনাদের (বিএনপির প্রতিনিধি দল) হ্যাপি মনে হয়েছে। ওনারা অনেক বিষয়ে আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন এবং তাদের সন্তুষ্ট মনে হয়েছে।’
নির্বাচনসহ নানা ইস্যুতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করতে বুধবার দুপুর ১২টার দিকে যমুনায় প্রবেশ করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। মিটিং শেষে দুপুর ২টার দিকে বিএনপির প্রতিনিধি দল যমুনা থেকে বের হয়ে আসে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
কাফি