রাজধানী
রাস্তা খুঁড়ে পানির সংযোগ নেওয়ায় ৭ দিনের কারাদণ্ড
অনুমোদন ছাড়া ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের রাস্তা খুঁড়ে নিজ বাসায় পানির সংযোগ নেওয়ায় মো. শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ভ্রাম্যমাণ আদালত। একই সঙ্গে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় নির্মাণাধীন একটি ভবনের ঠিকাদার জনৈক ইমাম হোসেনকেও ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ডিএসসিসির অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সালেহ মুস্তানজির পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত কাজলার ভাঙ্গা প্রেস এলাকার ঢাকা-ডেমরা রোড ও হাজী আব্দুস সামাদ রোড এর সংযোগস্থলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্মিত একটি রাস্তা খনন করে নিজ বাসায় পানির সংযোগ দেওয়ায় মো. শহিদুল ইসলামকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
এছাড়াও অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর-রহমান আশিক পরিচালিত আরেকটি ভ্রাম্যমাণ আদালত এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় হাজারীবাগ এলাকায় বেসরকারি আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান গোল্ডেন হিলস অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মাণাধীন ভবনের ঠিকাদার ইমাম হোসেনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-৯ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী সালেহ মুস্তানজির বলেন, কাজলার ভাঙা প্রেস এলাকায় জনৈক মো. শহিদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সিটি করপোরেশনের অনুমতি না নিয়ে করপোরেশনের সড়ক খনন করে নিজ বাসায় পানির সংযোগ দেন। এই অপরাধে তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এদিকে আজ মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমের লক্ষ্যে পরিচালিত অভিযান প্রসঙ্গে অঞ্চল-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তায়েব-উর রহমান আশিক বলেন, আজ অভিযানে হাজারীবাগ এলাকায় গোল্ডেন হিলস অ্যান্ড টেকনোলজি লিমিটেড নামক বেসরকারি আবাসন উন্নয়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক নির্মাণাধীন একটি ভবনে এডিস মশার প্রচুর লার্ভা পাওয়া যায়। এ সময় সংশ্লিষ্ট ভবনের ঠিকাদার ইমাম হোসেন নিজের দোষ স্বীকার করলে তাকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। কিন্তু কিছুক্ষণ পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানির এমডি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে উদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে এবং জরিমানা দিতে অস্বীকার করেন। এসময় আদালত জনৈক ইমাম হোসেনকে ৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়।
এছাড়াও আজ ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধ ও এডিস মশার প্রজননস্থল নিধনে আরও ৫টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এক নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ টি এম মোর্শেদ ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বড় মগবাজারে, চার নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডের তাঁতীবাজার ও শাখারীবাজারের আশপাশে, পাঁচ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আমির হামজা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানিকনগরে, আট নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পংকজ চন্দ্র দেবনাথ ৬৭ নম্বর ওয়ার্ডের বক্সনগর, সারুলিয়া, ডেমরা এবং দশ নম্বর অঞ্চলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুল আরেফিন ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন শ্যামপুর, কদমতলীর হাই স্কুল রোড এলাকায় এসব অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আজকের অভিযানে সর্বমোট ৪০৯ টি বাসাবাড়ি ও স্থাপনা পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় ৬টি বাসাবাড়ি ও নির্মাণাধীন ভবনে মশার লার্ভা পাওয়ায় ৬টি মামলায় সর্বমোট ৮৩ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বেজমেন্টে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৫ ইউনিট
রাজধানীর ফার্মগেট মানসী প্লাজা নামের একটি ভবনের বেজমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট। ওই ভবনে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের একটি শাখা রয়েছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ২টার দিকে আগুনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের ডিউটি অফিসার লিমা খানম।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৯টা ২০ মিনিটের দিকে ফার্মগেটের মানসী প্লাজা নামে একটি ভবনের বেজমেন্টে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট ঘটনাস্থলে কাজ করছে আগুন নিয়ন্ত্রণে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, ভবনটির বেজমেন্টে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের প্রচুর নথিপত্র রয়েছে। আগুনে এসব নথিপত্র পুড়ছে। প্রাথমিকভাবে আগুন লাগার কারণ ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি। এছাড়া আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
শনিবার বন্ধ রাজধানীর যেসব মার্কেট-দর্শনীয় স্থান
সাপ্তাহিক ছুটির দিন শনিবার রাজধানীর যেসব এলাকার দোকানপাট, শপিং সেন্টার ও দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে, তা এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চানখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শাঁখারী বাজার।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
নয়াবাজার, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, আজিমপুর সুপার মার্কেট, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন।
যে দর্শনীয় স্থান বন্ধ থাকবে
শিশু একাডেমি ও জাদুঘর শুক্র এবং শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। রোববার থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
জুরাইনে ব্যাটারি রিকশাচালকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ
ঢাকার জুরাইনে রেললাইন অবরোধ করে আজ বুধবার বেলা ১১ টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রায় তিন ঘণ্টা বিক্ষোভ করেছেন চালকেরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে রিকশাচালকদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। ব্যাটারি রিকশা বন্ধের প্রতিবাদ ও সড়কে চলতে দেওয়ার দাবিতে তাঁরা এই অবরোধ করেন।
রেললাইন অবরোধের কারণে বেলা ১১টা থেকে থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং ঢাকা থেকে খুলনা ও রাজশাহীগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ বলছে, বেলা পৌনে একটার দিকে দুই শতাধিক ব্যাটারি রিকশাচালক জুরাইন রেলক্রসিং অবরোধ করে বিক্ষোভ করে। এ সময় তাঁরা রেললাইনের প্রতিবন্ধক নামিয়ে দেয়। এতে আশপাশের সড়কগুলোতে যানজটের সৃষ্টি হয়। বেলা একটার দিকে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে সরে যাওয়ার অনুরোধ করে। তবে রিকশাচালকেরা রেললাইনে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
এ সময় রিকশাচালক ও পুলিশের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছোড়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে চালকদের সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে ও লাঠিপেটা করে চালকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
শ্যামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়েছে এবং লাঠিপেটা করতে বাধ্য হয়েছে। বেলা দেড়টার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেছে।
ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, বেলা ১১ টা থেকে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ এবং পদ্মাসেতু হয়ে রাজশাহী ও খুলনাগামী ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। ট্রেন নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী ও খুলনা থেকে ঢাকায় আসার পথে আটকে আছে। পুলিশের পরামর্শ পাওয়ার পর আবার ট্রেন চলাচল শুরু হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ শুক্রবার
সাপ্তাহিক ছুটির দিনে অনেকে পরিবার-পরিজন নিয়ে কেনাকাটা কিংবা ঘুরতে বের হন। কিন্তু গিয়ে যদি দেখেন মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন শুক্রবার (২২ নভেম্বর) রাজধানীর কোন কোন এলাকায় দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকানপাট
বাংলাবাজার, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ, শ্যামবাজার, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজীরবাগ, দোলাইপাড়, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেণ্ডারিয়া, দয়াগঞ্জ, স্বামীবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, ওয়ারী, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, বংশাল, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, শাঁখারী বাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
আজিমপুর সুপার মার্কেট, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ধূপখোলা মাঠ বাজার, চকবাজার, বাবুবাজার, নয়াবাজার, কাপ্তানবাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাঁটারা, বড় কাঁটারা হোলসেল মার্কেট, শারিফ ম্যানসন, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজধানী
‘এতোগুলো পরিবার কী করে খাবে, কী করে চলবে?’
ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল বন্ধের নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়কে অবস্থান নিয়েছেন অটোরিকশা চালকরা। সড়ক অবরোধ করে তারা আন্দোলন করছেন।
এসময় আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা বলেন, এতোগুলো পরিবার কী করে খাবে, কী করে চলবে? অটোরিকশা বন্ধ করে এতগুলো পরিবার কি সরকার চালাবে?।