ধর্ম ও জীবন
অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা দান করলে সওয়াব হবে?
![অবৈধভাবে উপার্জিত টাকা দান করলে সওয়াব হবে? আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/donation.jpg)
উপার্জনের ক্ষেত্রে ইসলাম সবসময় হালাল-হারামে গুরুত্ব দিতে বলেছে। কারণ, হারাম পন্থায় উপার্জন করলে বরকত নষ্ট হয়ে যায়। যার উপার্জন হারাম তার সারা জীবনই ধ্বংসের মুখে। কারণ, তার খাবার-দাবার, পোশাক সবই হারাম উপার্জনের এমনকি সন্তান-সন্ততির শরীরও হারাম খাবারে পূর্ণ। এক কথায় তার পুরো জীবন প্রতিষ্ঠিত হারামের ওপর। এমন ব্যক্তি অঢেল সম্পদ উর্পাজন করলেও বরকত থেকে বঞ্চিত। আল্লাহর রহমত থেকে বিতাড়িত।
তাই হালাল উপার্জনে গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ, এতে রয়েছে বরকত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি সৎ পন্থায় সম্পদ উপার্জন করে থাকে তাকে এর মধ্যে বরকত দেওয়া হয়। (মুসলিম, হাদিস, ২৩১১)
হালাল রিজিক অনুসন্ধান করা আবশ্যক। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, অন্যান্য ফরজ কাজ আদায়ের সঙ্গে হালাল রুজি-রোজগারের ব্যবস্থা গ্রহণ করাও একটি ফরজ।’ (বায়হাকী, হাদিস, ৪৬০)।
অপর এক হাদিসে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, আল্লাহ তায়ালা কেবল পবিত্র বস্তুই কবুল করেন। যে ব্যক্তি হালাল উপার্জন থেকে এক মুষ্টি খেজুরও দান করে, আল্লাহ তা নিজ হাতে গ্রহণ করেন। এরপর তা ওই ব্যক্তির জন্য পরিচর্যা করতে থাকেন- যেমন তোমাদের কেউ উটের বাচ্চার পরিচর্যা করে। ওই সামান্য পরিমাণ খেজুর বাড়তে বাড়তে এক সময় পাহাড় পরিমাণ হয়ে যায়। (বুখারি, হাদিস, ১৪১০; মুসলিম, হাদিস, ১০১৪)
হাদিসের মাধ্যমে এ বিষয়টি স্পষ্ট যে, ইসলামে হারামে উপায়ে উপার্জনের কোনো স্থান নেই এবং একে বৈধতা দেওয়ার কোনো উপায় নেই। তবে কেউ যদি অবৈধভাবে উপার্জন করে ফেলে তাহলে তার জন্য এই সম্পদ নিজের কাছে রাখার অনুমতি নেই; প্রকৃত হকদারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। হকদারের খোঁজ না পেলে তা দান-সদকার নিয়ত না করে জনকল্যাণে ব্যয় করে দিতে হবে। এতে ওই ব্যক্তির কোনো সওয়াব হবে না। কারণ অবৈধ আয়ে ভালো কাজ করলে তা আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, আল্লাহ তায়ালা পবিত্রতা ছাড়া নামাজ কবুল করেন না এবং আত্মসাৎকৃত সম্পদের সদকা কবুল করেন না। (মুসলিম, হাদিস, ২২৪; তিরমিজি, হাদিস, ০১; নাসায়ি, হাদিস, ১৩৯)
ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু বলেন, বান্দা হারাম পথে উপার্জন করবে, এরপর তা থেকে আল্লাহর পথে খরচ করবে এবং তাতে বরকত দেওয়া হবে বা সে তা থেকে সদকা করবে এবং তা কবুল করা হবে- এমন ধারণা অমূলক। বরং ওই ব্যক্তি মৃত্যুর পর সেই সম্পদ রেখে গেলে তা তাকে আরও বেশি জাহান্নামের দিকে নিয়ে যাবে। (আহমাদ, হাদিস, ৩৬৭২; বাজ্জার, হাদিস, ২০২৬)
অন্য এক হাদিসে এসেছে, আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, যে ব্যক্তি হারাম উপার্জন করবে, এরপর তা সদকা করবে- সেই সদকায় কোনো সওয়াব হবে না; বরং অবৈধ উপার্জনের গুনাহের বোঝা তার ঘাড়ে চেপেই থাকবে। (ইবনে হিব্বান, হাদিস, ৩২১৬; হাকিম, হাদিস, ১৪৪০)
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
ধর্ম ও জীবন
হারাম উপার্জন দান করা নিয়ে যা বলেছে ইসলাম
![হারাম উপার্জন দান করা নিয়ে যা বলেছে ইসলাম আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/taka-2.jpg)
মহান আল্লাহ মানুষ সৃষ্টি করেছেন। দিয়েছেন সুন্দরতম অবয়ব। শিক্ষা দিয়েছেন হালাল-হারাম পথ। বলে দিয়েছেন, হালাল পথে রয়েছে, অফুরন্ত জান্নাতের নেয়ামত। আর হারাম উপার্জনে রয়েছে, জাহান্নামের মর্মন্তুদ শাস্তি। ইসলামে হালাল উপার্জনের গুরুত্ব অপরিসীম। ইসলামি শরিয়তের দিকনির্দেশনা হলো হালাল পথে জীবিকা উপার্জন করা।
অন্যায়, অবৈধ পন্থায় সব উপার্জন হারাম। সুদ-ঘুষ, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, জুয়া, মিথ্যাচার, চাঁদাবাজি, জবরদখল, যৌতুক, প্রতারণা ও প্রশ্নফাঁসসহ যাবতীয় অসামাজিক অনাচারে লিপ্ত হয়ে জীবিকা উপার্জন করা হারাম। এসব পন্থায় উপার্জন করার ব্যাপারে মহান আল্লাহ নিষেধ করে বলেন, তোমরা নিজেদের মধ্যে একে অন্যের সম্পদ অবৈধ পন্থায় গ্রাস কোরো না এবং মানুষের ধনসম্পত্তির কিয়দাংশ জেনে-শুনে অন্যায়ভাবে গ্রাস করার উদ্দেশ্যে তা বিচারকদের কাছে নিয়ে যেয়ো না। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৮৮)
জীবন চলার পথে সুখ-দুঃখ আসবে। তবে সব সময় হালাল পথেই চলতে হবে। এ প্রসঙ্গে মহান আল্লাহ বলেন, হে ঈমানদাররা! তোমরা পবিত্র বস্তু আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করো, যদি তোমরা একমাত্র তারই ইবাদত করে থাকো। (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৭২)
হারাম উপার্জন থেকে দান করে নেকির আশা করাটাও গুনাহের কাজ। অনেকের ধারণা অবৈধ উপার্জন করে কিছু দান করে দিলে আর হজ সম্পাদন করলে সব সম্পদ বৈধ হয়ে যায়! অথচ বিষয়টি মোটেও সত্য নয় । অবৈধ উপার্জনের জন্য অবশ্যই কিয়ামতের দিন জবাবদিহির সম্মুখীন হতে হবে।
নবীজি সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কিয়ামতের দিনে কোনো মানুষ নিজের স্থান থেকে এক বিন্দুও সরতে পারবে না, যতক্ষণ না তার কাছ থেকে চারটি প্রশ্নের উত্তর নিয়ে নেয়া হবে। তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন হচ্ছে, নিজের ধন-সম্পদ কোথা থেকে উপার্জন করেছে এবং কোথায় ব্যয় করেছে? (তিরমিজি: ২৪১৭)
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
হজ পালনে সৌদির আবাসন নিবন্ধন শুরু
![হজ পালনে সৌদির আবাসন নিবন্ধন শুরু আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/hajj-haz.jpg)
আগামী বছরের জন্য হজের প্রস্তুতি শুরু করেছে সৌদি আরব। দেশটি জানিয়েছে, আজ থেকে মদিনায় হাজিদের জন্য আবাসন নিবন্ধন শুরু হবে। শনিবার (০৬ জুলাই) গালফ নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
হাজিদের আবাসন সংক্রান্ত সৌদি কমিটি জানিয়েছে, রোববার থেকে মদিনায় আবাসনের অনুমতির জন্য আবেদন গ্রহণ করা শুরু হবে। আগামী বছর হজের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
গালফ নিউজ জানিয়েছে, আবাসন সংক্রান্ত এ কমিটি জমির মালিক ও বিনিয়োগকারীদেরকে হাজিদের আবাসন সংক্রান্ত অনুমোদনের জন্য সকল শর্ত ও মানদণ্ড পূরণের জন্য আহ্বান জানিয়েছে। রেজিস্ট্রেশন চলাকালে সকল প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার জন্য বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার তথা আরবি হিজরি ১৪৪৬ ক্যালেন্ডারের প্রথম দিন থেকে এ সব প্রক্রিয়া শুরু হবে, যা রজব মাসের শেষ তারিখ পর্যন্ত চলবে। এ মাসটি আরবি ক্যালেন্ডারের অষ্টম মাস।
সৌদি আরব জানিয়েছে, সদ্য সমাপ্ত হজের মৌসুমে সারাবিশ্ব থেকে ১৮ লাখ মুসল্লি হজ পালন করেছেন। এ সব মুসল্লিদের মধ্যে ১৬ লাখই সৌদির বাইরে বিভিন্ন দেশের নাগরিক। এ ছাড়া এবছর হজের মৌসুমে রেকর্ডসংখ্যক হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে তারা। এজন্য বৈধভাবে হজের ভিসা ও অনুমোদনহীন ভ্রমণ বন্ধ করার ওপর জোর দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই
![পবিত্র আশুরা ১৭ জুলাই আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/chad.jpg)
বাংলাদেশের আকাশে শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। সোমবার (৮ জুলাই) শুরু হচ্ছে মহররম মাস ও নতুন বছর ১৪৪৬ হিজরি। আগামী ১৭ জুলাই বুধবার (১০ মহররম) দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মু.আ. আউয়াল হাওলাদার।
সভায় অতিরিক্ত সচিব জানান, সব জেলা প্রশাসন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর, মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র ও দূর অনুধাবন কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশের আকাশে কোথাও হিজরি ১৪৪৬ সনের মহররম মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। রোববার (৭ জুলাই) জিলহজ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হবে। সোমবার থেকে মহররম মাস গণনা শুরু হবে। আগামী ১৭ জুলাই (১০ মহররম) বুধবার দেশে পবিত্র আশুরা পালিত হবে।
হিজরি সনের প্রথম মাস হচ্ছে মহররম। আশুরার দিন দেশে নির্বাহী আদেশে সরকারি ছুটি থাকে। শিয়ারা বিশেষভাবে আশুরা পালন করে থাকেন।
কারবালা প্রান্তরে হযরত মুহাম্মদ (স.) এর দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রা.) এর শাহাদতবরণের শোকাবহ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মূলত আমাদের দেশে আশুরা উদযাপিত হয়। তবে ইসলামের ইতিহাসে পবিত্র আশুরা আরও কিছু তাৎপর্যময় ঘটনায় উজ্জ্বল হয়ে আছে। আশুরার রোজা (আশুরার দিন এবং আগে বা পরে একদিন) রাখার বিষয়ে বিশেষ ফজিলতের কথা বলা হয়েছে হাদিসে।
আশুরার দিনে ফেরাউনের হাত থেকে নবী মূসা (আ.) ও তার অনুসারীদের মুক্তি পাওয়া ছাড়া আর কোনো ঘটনা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত নয়। আশুরার দিনে হযরত আদমের (আ.) তাওবা কবুল, মহাপ্লাবনের পর নূহ (আ.) এর নৌকা জুদী পর্বতের ওপর থামা ও ঈসা (আ.) জন্মগ্রহণ করার কথা অনির্ভরযোগ্য সূত্রে কোন কোন সাহাবী-তাবিই থেকে বর্ণিত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র আশুরা কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায়
![পবিত্র আশুরা কবে, জানা যাবে সন্ধ্যায় আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/moon-1.jpg)
১৪৪৬ হিজরি সনের পবিত্র মহররম মাসের চাঁদ দেখা এবং পবিত্র আশুরার তারিখ নির্ধারণের লক্ষ্যে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে শনিবার (৬ জুলাই)। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বায়তুল মোকাররম সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হবে। সভায় সভাপতিত্ব করবেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান।
শনিবার (৬ জুলাই) মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে জিলহজ মাস ২৯ দিনের হবে এবং রোববার (৭ জুলাই) মহররম মাস শুরু হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ১৬ জুলাই আশুরা হবে। আর শনিবার মহররমের চাঁদ দেখা না গেলে জিলহজ মাস ৩০ দিনে পূর্ণ হবে এবং আগামী সোমবার থেকে মহররম মাস শুরু হবে। এ ক্ষেত্রে ১৭ জুলাই আশুরা হবে।
বাংলাদেশের আকাশে কোথাও মহররম মাসের চাঁদ দেখা গেলে তা ০২-২২৩৩৮১৭২৫, ০২-৪১০৫০৯১২, ০২-৪১০৫০৯১৬, ০২-৪১০৫০৯১৭ টেলিফোন ও ০২-২২৩৩৮৩৩৯৭, ০২-৯৫৫৫৯৫১ ফ্যাক্স নম্বরে বা সংশ্লিষ্ট জেলার জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) জানানোর অনুরোধ জানিয়েছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ধর্ম ও জীবন
পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হবে যখন
![পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তন করা হবে যখন আরএকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/hajj-haz.jpg)
হিজরি নববর্ষের রাতে পবিত্র কাবাঘর নতুন গিলাফ দিয়ে মোড়ানো হবে। ১৪৪৬ হিজরির ১ মহররম রাতে সৌদি আরবের মক্কায় পবিত্র মসজিদুল হারাম প্রাঙ্গণে গিলাফ পরিবর্তনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হবে। ঐতিহ্যবাহী এ কাজে অংশ নেবেন ১৫৯ জন বিশেষজ্ঞ কারিগর।
গতকাল বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সৌদি সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
তবে হিজরি নববর্ষের মহররম মাসের সূচনা চাঁদ দেখা সাপেক্ষে নির্ধারিত হয়। তাই আজ সৌদি আরবের কোনো অঞ্চলে চাঁদ দেখা গেলে আগামীকাল শনিবার (৬ জুলাই) থেকে মহররম মাসের গণনা শুরু হবে। এমতাবস্থায় আজ রাতে পবিত্র কাবাঘরের কিসওয়া বা গিলাফ পরিবর্তনের কাজটি সম্পন্ন হবে। আর আজ চাঁদ দেখা না গেলে আগামীকাল রবিবার (৭ জুলাই) রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হবে।
আরব নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, পবিত্র কাবাঘরের গিলাফ প্রতিবছর পরিবর্তন করা হয়। পুরনো গিলাফ সরিয়ে নতুন গিলাফ পরানো হয়। মূলত এর চারটি কাপড়ের টুকরো থাকে এবং দরজার একটি অংশ থাকে। নতুন কাপড়ের টুকরোগুলো ওপরের দিকে তুলে পুরনো কাপড়ের টুকরোগুলো ধীরে ধীরে নিচে নামিয়ে দেওয়া হয়।
এর আগে গত ১৮ জুন সৌদি বাদশাহর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে কাবাঘরের সদ্যঃপ্রয়াত প্রধান রক্ষক শায়খ আবদুল মালিক আল-শায়বির কাছে নতুন গিলাফ হস্তান্তর করা হয়। বর্তমানে প্রধান রক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শায়খ আবদুল ওয়াহাব বিন জয়নুল আবেদিন আল-শায়বি।
মূলত ইসলামের প্রথম যুগ থেকে প্রায় দেড় হাজার বছর ধরে জিলহজ মাসের ৯ তারিখ আরাফাত দিবসে কাবাঘরের গিলাফ পরিবর্তনের রীতি ছিল। ২০২২ সাল মোতাবেক ১৪৪৪ হিজরি থেকে কাবার গিলাফ পরিবর্তনের সময়সূচিতে পরিবর্তন করে সৌদি সরকার। তখন থেকে হিজরি নববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে মহররমের প্রথম রাতে গিলাফ পরিবর্তন করা হয়।
৬৫৮ বর্গমিটারের গিলাফটি তৈরিতে ৬৭০ কেজি কালো রেশম ব্যবহার করা হয়। ৪৭টি কাপড়ের টুকরা দিয়ে পুরো গিলাফ সেলাই করা হয়। ১৬ মিটার দৈর্ঘ্যের বিশ্বের সর্ববৃহৎ সেলাই মেশিনে করা হয় এসব কাজ। কারুকার্যের অনেক কাজ হাতেও করা হয়। কাপড়ের ভিন্ন ভিন্ন পাঁচটি অংশ একত্রে সেলাই করা হয় এবং তামার রিং দিয়ে গোড়ায় স্থির করা হয়।
এমআই