পুঁজিবাজার
লেনদেনের শীর্ষে সি পার্ল
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৯৭টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। এদিন লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে সি পার্ল বিচ রিসোর্ট।
ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সি পার্ল বিচ রিসোর্টের ২৪ কোটি ৫০ লাখ ৯৯ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। তাতে লেনদেনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
লেনদেনের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা সালভো কেমিক্যালের আজ ২১ কোটি ৬৭ লাখ ৫৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আর ২০ কোটি ১৪ লাখ ৭৬ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন করায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ওরিয়ন ফার্মা।
বৃহস্পতিবার লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- লাভেলো আইসক্রিম, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, আফতাব অটো, ওয়াইম্যাক্স, গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল, সানলাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং দেশবন্ধু পলিমার লিমিটেড।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
সংবাদ প্রকাশের পর ফ্লোরপ্রাইস সমন্বয় হয়েছে বেক্সিমকোর: দায়মুক্ত কি ডিএসই?
প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) তালিকাভুক্ত কোম্পানি বাংলাদেশ এক্সপোর্ট ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করেছে। গতকাল মঙ্গলবার অনলাইন বিজনেস নিউজ পোর্টাল অর্থসংবাদে এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর নিয়ন্ত্রক সংস্থার নজরে আসলে কমিশনের মৌখিক নির্দেশনায় তা সমন্বয় করেছে ডিএসই। তবে বিনিয়োগকারী ও বাজার সংশ্লিষ্টদের দাবি দীর্ঘদিনের অভিযোগ রয়েছে ডিএসইর কর্মকর্তাদের যোগসাজশে নিজেদের ব্যক্তিগত ফায়দা লুটে নিতে বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম এবং ইচ্ছাকৃত ভুল তথ্য ও কোম্পানিগুলোর মুল্যসংবেদনশীল তথ্য কোম্পানিগুলো জমা দেওয়ার অনেক পরে প্রকাশ করার অভিযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিপার্টমেন্টের এসব কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কারণে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া উচিৎ বলে মনে করছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। একদিন পরেই ফ্লোরপ্রাইস সমন্বয়য়ে যে ব্যবস্থা নেওয়া হলো এটাই কি শেষ, ডিএসই কর্মকর্তারা কি দায়মুক্ত হয়ে গেলেন? এমন প্রশ্ন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টদের।
ডিএসই বেক্সিমকোর শেয়ারের বোনাস লভ্যাংশ সমন্বয় করার পর আজ বুধবার শেয়ারটির নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারিত হয়েছে ১১০ টাকা ১০ পয়সায়।
জানা গেছে, পুঁজিবাজারে ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা জারির পর তালিকাভুক্ত কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হলেও বাংলাদেশ এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট কোম্পানির (বেক্সিমকো) ক্ষেত্রে তা লঙ্ঘন হয়। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) শেয়ারের সর্বনিম্ন মূল্য বা ফ্লোর প্রাইস সমন্বয়ের নীতিমালা ভঙ্গ করলেও নিশ্চুপ ছিলো পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি)।
নীতিমালা অনুযায়ী লভ্যাংশ সংক্রান্ত রেকর্ড ডেটের পরবর্তী কার্যদিবসে শেয়ারদরের সঙ্গে বোনাস শেয়ারের সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণের কথা। কিন্তু বেক্সিমকোর ক্ষেত্রে কোনো সমন্বয়ই হয়নি। কোম্পানিটির রেকর্ড ডেটের আগের সর্বনিম্ন দর ছিল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সা। এ হিসাবে কোম্পানিটির ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ ঘোষণা করায় ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হওয়ার কথা ১১০ টাকা ১০ পয়সা। কিন্তু সেটির কোনো পরিবর্তন না করায় রেকর্ড ডেটের পরবর্তী প্রথম কার্যদিবস গতকাল ১১৫ টাকা ৬০ পয়সাতেই অপরিবর্তিত ছিলো। সেই সঙ্গে ৫ শতাংশ শেয়ারদর বৃদ্ধি দেখিয়ে গেইনার তালিকায় উঠে আসে কোম্পানিটি।
পুঁজিবাজার বিশ্লেষকদের মতে, ফ্লোর প্রাইস বিবেচনা করে অনেক বিনিয়োগকারী সেসব কোম্পানিতে বিনিয়োগ করে থাকেন। বোনাস ও রাইটের পর সেই কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস কত হবে সেটি বিএসইসির নীতিমালা অনুযায়ীই হিসাব করে পরবর্তীতে আবার বিনিয়োগ হবে। কিন্তু সেই হিসাব যদি ডিএসইর কারণে গড়মিল হয় তাহলে বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এবিষয়ে বিএসইসি যেহেতু একটা নীতিমালা দিয়েছে সেহেতু সে অনুযায়ীই হওয়া উচিত। ডিএসইর আগের নিয়ম থাকলেও সেটি বিবেচনা করার সুযোগ নেই।
এবিষয়ে জানতে ডিএসইর জনসংযোগ বিভাগের প্রধান সফিকুর রহমানের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ফলে ডিএসইর ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তার মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এবিষয়ে বুধবার (২৭ নভেম্বর) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম অর্থসংবাদকে বলেন, পূর্বের কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী ফ্লোরপ্রাইসে থাকা তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো যখন বোনাস বা রাইট শেয়ার ইস্যু করে তখন সেই কোম্পানির শেয়ার দর সমন্বয় হয়ে থাকে। সেই অনুযায়ী বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস সেভাবেই সংশোধন হওয়ার কথা ছিলো। তবে স্টক এক্সচেঞ্জ কোন নিয়মে সমন্বয় করেছে বা না করে থাকলে কেনো করেনি তা যাচাই-বাছাই করা হবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি গতকালকেই কমিশনের নজরে এসেছে। আর তখনি বিএসইসি থেকে স্টক এক্সচেঞ্জকে মৌখিকভাবে নির্দেশনা দিয়েছে দ্রুত সময়ের মধ্যে এটির সমাধাণ করতে। সেই অনুযায়ী আজ বেক্সিমকোর ফ্লোরপ্রাইস সমন্বয় করা হয়েছে। তবে কমিশন থেকে আরও তদন্ত করে দেখবে, এতে স্টক এক্সচেঞ্জের কারো গাফিলতি থাকলে বা জড়িতর প্রমাণ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সেই অনুযায়ী, আজ বুধবার (২৭ নভেম্বর) বোনাস শেয়ার সমন্বয় করে নতুন ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের ফ্লোর প্রাইসের থেকে ৫.৭৬ কম প্রতিফলিত হয়েছে।
এদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ইতোমধ্যে ২৬ নভেম্বর বেক্সিমকোর ফ্লোর প্রাইস সমন্বয় করেছে। সিএসইতে ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ হয়েছে ১১০ টাকা ২০ পয়সায়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এপেক্স ফুটওয়্যারের লভ্যাংশ অনুমোদন
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের ৩৪তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে এজিএমটি অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় কোম্পানির অন্যান্য আলোচ্যসূচীর পাশাপাশি ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের ৩৫ শতাংশ নগদ এবং ১০ শতাংশ স্টক লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডাদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদিত হয়।
সভায় কোম্পানির চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহী, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ নাসিম মঞ্জুর ও অন্যান্য পরিচালকসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
গ্লোবাল হেভি কেমিক্যালের লোকসান কমেছে
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গ্লোবাল হেভি কেমিক্যাল লিমিটেড গত ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই,২৪-সেপ্টেম্বর,২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি লোকসান কমেছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে আলোচিত প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মত, সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি লোকসান হয়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা। গত অর্থবছরের একই সময়ে শেয়ার প্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৯৯ পয়সা।
একই সময়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদ মূল্য (এনএভি) হয়েছে ৭২ টাকা ৯৯ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এমডি, সিওও এবং সিটিও নিয়োগ দিবে ডিএসই
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নিয়োগ দিবে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ডিএসই থেকে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদ গত ৩ অক্টোবর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। যার নেতৃত্বে রয়েছেন মমিনুল ইসলাম (চেয়ারম্যান)৷ দায়িত্ব গ্রহণের পরই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দীর্ঘদিন শূন্য থাকা শীর্ষস্থানীয় তিনটি পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া দ্রুততার সাথে সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
তারই অংশ হিসেবে বুধবার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি), প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা (সিওও) এবং প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) নিয়োগের জন্য জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
প্রতিটা পদের জন্য আবেদনের শেষ তারিখ আগামী ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এবং ৪ ডিসেম্বর, সন্ধ্যা ৬ ঘটিকায় ডিএসইর চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সাথে আগ্রহী প্রার্থীদের ডিএসই সম্পর্কে ধারনা দেয়ার জন্য ভার্চুয়ালি এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
পর্ষদ সভার তারিখ জানালো বিডি থাই ফুড
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি বিডি থাই ফুড লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ২ ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, আলোচিত সভায় ৩০ সেপ্টেম্বর,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত প্রথম প্রান্তিকের (জুলাই’২৪-সেপ্টেম্বর’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এমআই