অন্যান্য
জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে রোহিঙ্গা প্রস্তাব গৃহীত

মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত বাংলাদেশে সাময়িকভাবে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের রাখাইনে সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে প্রত্যাবাসন এবং এ জনগোষ্ঠীর পক্ষে ন্যায়বিচার ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার মাধ্যমে টেকসই সমাধানে জাতিসংঘে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে।
বুধবার (১০ জুলাই) জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের চলমান ৫৬তম অধিবেশনে প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়।
জেনেভাতে বাংলাদেশ স্থায়ী প্রতিনিধির অফিস থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মানবাধিকার পরিষদের চলমান অধিবেশনে বাংলাদেশের উদ্যোগে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সকল সদস্য রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের মানবাধিকার পরিস্থিতি শীর্ষক প্রস্তাবটি পেশ করা হয়।
নিবিড় ও সুদীর্ঘ আপস-আলোচনা শেষে প্রস্তাবটি বুধবার জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। রেজুলেশন গৃহীত হওয়ার পর জেনেভার বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের ভারপ্রাপ্ত স্থায়ী প্রতিনিধি সঞ্চিতা হক বলেন, অপ্রতুল সম্পদ ও নানাবিধ সীমাবদ্ধতা নিয়ে বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে অনির্দিষ্টকালের জন্য আশ্রয় দেওয়া বাংলাদেশের জন্য সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের উদ্বেগের কারণগুলোর গুরুত্ব অনুধাবন করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিৎ প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করা। এছাড়া প্রত্যাবাসন নিয়ে চলমান দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তার ফলে রোহিঙ্গাদের মধ্যে সৃষ্ট হতাশা এবং এর নানাবিধ নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি রাখাইনে দ্রুত সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে টেকসই এবং স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের শুরু করার উপর জোর দেন।
গৃহীত প্রস্তাবটিতে সম্প্রতি রাখাইনে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সহিংসতা, রোহিঙ্গাদের বাস্তুচ্যুত করা এবং তাদের জোরপূর্বক বিভিন্ন সশস্ত্র বাহিনীতে নিয়োগের ব্যাপারে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। প্রস্তাবটি মিয়ানমারে যুদ্ধরত সকল পক্ষকে রোহিঙ্গাদের সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানায়। মিয়ানমার সংঘাতের কারণে বাংলাদেশসহ প্রতিবেশী দেশের জানমালের ক্ষয়ক্ষতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রস্তাবটি মিয়ানমারকে তার আন্তর্জাতিক সীমান্তে স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।
গৃহীত প্রস্তাবটিতে বিতাড়িত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সাময়িক আশ্রয় প্রদানের জন্য বাংলাদেশ সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করা হয়। এই প্রস্তাবে, রোহিঙ্গাদের জন্য অপর্যাপ্ত ও সংকুচিত আর্থিক সহযোগিতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে রোহিঙ্গাদের জন্য পর্যাপ্ত অর্থ সহায়তা প্রদান করার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
প্রস্তাবে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যৌন অপরাধসহ সকল প্রকার নির্যাতন, মানবতা-বিরোধী অপরাধ ও যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে অভিযুক্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিচার ব্যবস্থার আওতায় আনা ও তদন্ত প্রক্রিয়া জোরদার করার প্রতি গুরুত্বারোপ করা হয়। এ প্রেক্ষিতে, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে চলমান বিচার প্রক্রিয়াকেও সমর্থন জানানো হয়।
এছাড়া, প্রস্তাবটিতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে চলমান সকল প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে এমন পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের এখতিয়ারের কথা পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
প্রস্তাবটিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার হাইকমিশনারকে মিয়ানমার বিষয়ক `নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তথ্যানুসন্ধানী মিশন`-এর সুপারিশগুলো বাস্তবায়নের অগ্রগতির উপর মানবাধিকার পরিষদ এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রতিবেদন উপস্থাপনের অনুরোধ জানানো হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অন্যান্য
দর বৃদ্ধির শীর্ষে এনআরবিসি ব্যাংক

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৪ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৭৭টির শেয়ারদর বেড়েছে। এর মধ্যে দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে এসেছে এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (০৮ মে) ডিএসইতে কোম্পানির শেয়ারদর বেড়েছে ৭০ পয়সা বা ৯ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
দর বৃদ্ধির দ্বিতীয় স্থানে থাকা কেডিএস এক্সেসরিজের শেয়ার দর ৯ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা ডিবিএইচ ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ডের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এদিন দর বৃদ্ধির শীর্ষে উঠে আসা অপর কোম্পানিগুলো হলো- এসবিএসি ব্যাংক, সিএপিএম আইবিবিএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড, আইএফআইএল ইসলামিক মিউচুয়াল ফান্ড-১, লাভেলো আইসক্রিম, এবি ব্যাংক এবং ফার কেমিক্যালস।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
সখিপুর থানা ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ সমাবেশ

নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিসেবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের একটি রাতের মিছিলকে কেন্দ্র করে সখিপুর থানায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে সখিপুর থানা ছাত্রদল ও সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল। সোমবার (০৫ মে) সখিপুর থানার সামনে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে বক্তারা অভিযোগ করেন, গভীর রাতে ধানক্ষেতে মিছিল করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির চেষ্টা করেছে ছাত্রলীগ। এর প্রতিবাদে তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করছেন এবং স্থানীয় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মো. নিহাদ সরদার বলেন, সখিপুরের মাটি শান্তির, এখানে কোনো স্বৈরাচার বা তাদের দোসরদের জায়গা হবে না। যারা সখিপুরকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে, তাদের বিরুদ্ধে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদক্ষেপ না নিলে সখিপুর থানা ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহিদুল ইউসুফ জিসান বালা বলেন, এই মিছিলের মাধ্যমে আমরা বার্তা দিতে চাই যে, সখিপুরের মাটিতে আর কোনো স্বৈরাচারের স্থান হবে না। আমরা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বরদাশত করব না।
সখিপুর থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান রাজিব সরদার বলেন, আমরা জননেতা শফিকুর রহমান কিরণের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত।
সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ফাইজুল ইসলাম সরদার বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ সখিপুর চাই। কেউ যদি জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে উত্তেজনা ছড়াতে চায়, তাহলে সখিপুর থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠন পাল্টা জবাব দিতে প্রস্তুত।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- সখিপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব ইমরান হোসেন বাবু বকাউল, সখিপুর থানা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি শাহাদাত হোসেন বেপারী, সখিপুর থানা ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি মো. ইমরান হোসেন সরকার, সখিপুর থানা ছাত্রদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি জসিম মুন্সি, আরশিনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান সুজন।
এছাড়াও সখিপুর থানা বিএনপি ও এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
শিক্ষা-বিমান-রেলের তিন প্রকল্প অনুমোদন, ব্যয় ৩৯০ কোটি টাকা

কেরানীগঞ্জে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সেই সঙ্গে কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণের ব্যয় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের আওতায় ঘোড়াশাল স্টেশনের নিকটবর্তী টেক অব পয়েন্ট থেকে পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার অভ্যন্তর পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ সাইডিং লাইন নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এই ৩ প্রকল্পের জন্য ৩৯০ কোটি ১ লাখ ৫৭ হাজার ৩১৫ টাকা ব্যয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এই অনুমোদন দেওয়া হয়।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (১ম সংশোধিত)’ (কেরানীগঞ্জ, ঢাকা) প্রকল্পের পূর্ত কাজের ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
এই প্রকল্পের পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৪টি দরপত্র জমা পড়ে। ৪টি প্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। তার মধ্যে ৩টি দরদাতার দর সর্বনিম্ন এবং সমদর হওয়ায় এ বিষয়ে বিদ্যমান পদ্ধতি অনুসারে নির্বাচিত রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৬১ কোটি ৯০ লাখ ১২ হাজার ৮৬৪ টাকা।
এই নির্মাণ কাজের আওতায় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ভবন বেজমেন্ট, প্রশাসনিক ভবন, ট্রেনিং সেন্টার মেডিকেল সেন্টার, লাইব্রেরি, গবেষণা কেন্দ্র, ক্যাফেটেরিয়া, ব্যাংক, পোস্ট অফিস, পরিবহনপুল ইত্যাদি নির্মাণ করা হবে।
বৈঠকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ (২য় সংশোধিত)’ প্রকল্পের পূর্ত কাজের ভেরিয়েশন প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
জানা গেছে, ২০১৮ সালে ৩০ এপ্রিল সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনে ‘কক্সবাজার বিমানবন্দরে আন্তর্জাতিক প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল ভবন নির্মাণ-এর পূর্ত কাজ ২৭৫ কোটি টাকায় যৌথভাবে সিআরএফজি এবং এনডিই’র সঙ্গে ক্রয় চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে প্রকল্প চলমান অবস্থায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড পরিবর্তিত হওয়ায় নতুন করে বিভিন্ন ধরনের কমিউনিকেশন ও সিকিউরিটি সিস্টেম অন্তর্ভুক্ত হয়। ফলে ভেরিয়েশন বাবদ অতিরিক্ত ৮৭ কোটি ৩৬ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৯ টাকা ব্যয় বৃদ্ধির ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হলে কমিটি তাতে অনুমোদন দিয়েছে।
এছাড়া বৈঠকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে ‘ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার’ প্রকল্পের আওতায় ঘোড়াশাল স্টেশনের নিকটবর্তী টেক অব পয়েন্ট থেকে পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার অভ্যন্তর পর্যন্ত নতুন ডুয়েলগেজ সাইডিং লাইন নির্মাণের পূর্ত কাজের ক্রয় প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।
প্রকল্পের আওতায় পূর্ত কাজ ক্রয়ের জন্য উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে দরপত্র আহ্বান করা হলে ৩টি প্রতিষ্ঠান দরপ্রস্তাব দাখিল করে। ৩টি দরপ্রস্তাবই কারিগরিভাবে রেসপনসিভ হয়। দরপত্রের সব প্রক্রিয়া শেষে টিইসি কর্তৃক সুপারিশ করা রেসপনসিভ সর্বনিম্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ক্যাসেল কন্সট্রাকশন কো. লি. ঢাকা প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে। এতে ব্যয় হবে ১৪০ কোটি ৭৪ লাখ ৪৮ হাজার ১০২ টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
মুনাফায় বিকন ফার্মা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের (জানুয়ারি’২৫-মার্চ’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের তৃতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ২৮ পয়সা আয় হয়েছে। গত বছর একই সময়ে শেয়ার প্রতি ৯৫ পয়সা লোকসান হয়েছিল।
অন্যদিকে, তিন প্রান্তিক মিলিয়ে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ৭৫ পয়সা। গতবছর একই সময়ে ২ টাকা ৩০ পয়সা আয় হয়েছিল।
প্রথম তিন প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশফ্লো ছিল ৫ টাকা ৪৫ পয়সা, যা আগের বছর একই সময়ে ছিল মাইনাস ৭ টাকা ৩৮ পয়সা।
গত ৩১ মার্চ,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ২৭ টাকা ৮০ পয়সা।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অন্যান্য
শর্তসাপেক্ষে প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ বাড়ালো বিএসইসি

পুঁজিবাজারে মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ব্রোকারগুলোর ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন ঋণ হিসাবের আদায় না হওয়া লোকসানের (নেগেটিভ ইক্যুইটি) বিপরীতে প্রভিশন রাখার মেয়াদ বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। প্রভিশন সংরক্ষণের মেয়াদ চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের সভাপতিত্বে ৯৫৩তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালাম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যেসব স্টক ব্রোকার, মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির বিপরীতে রাখা প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি, সেসব স্টক ব্রোকার ও মার্চেন্ট ব্যাংকদের তা সংরক্ষণের জন্য ২০২৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বাড়ানো হলো।
এতে আরও বলা হয়, এ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যে সকল স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারের নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে তাদের প্রত্যেককে নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের উপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুরে মধ্যে কমিশনে জমা দিতে হবে।
বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএমবিএ) ও ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ) জানানো দাবির পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে প্রভিশন রাখার সময় নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানায় বিএসইসি।
এসএম