জাতীয়
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বিষয়ক সম্মেলন
![বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বিষয়ক সম্মেলন বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/china.jpg)
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ও বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) যৌথ উদ্যোগে এবং চীনের বেইজিংয়ে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস, ঢাকাস্থ চীনের দূতাবাস, চায়না কাউন্সিল ফর দি প্রমোশন অফ ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড (সিসিপিআইটি) চায়না চেম্বার অফ ইন্টারন্যাশনাল কমার্সের (সিসিওআইস) সহযোগিতায় ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বেটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (০৯ জুলাই) চীনের বেইজিংয়ের চায়না ওয়ার্ল্ড সামিট উইংয়ের শাংগ্রি-লা সার্কেল হোটেলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সামিটে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
উল্লেখ্য, বৈশ্বিক ব্যবসায়ীদের নিকট বাংলাদেশের পুঁজিবাজার এবং বিভিন্ন দেশের সাথে পারস্পারিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুযোগ তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ধারাবাহিকভাবে ‘বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট সামিটের আয়োজন করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় চীনের বেইজিংয়ের উক্ত সামিট আয়োজন করা হয়, যার প্রধান আলোচ্যসূচি ছিল ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বিদেশী বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশকে একটি আকর্ষণীয়, সহজতর ও লাভজনক দেশ হিসেবে চীনের ব্যবসায়ীদের নিকট তুলে ধরা।
শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (এসজেডএসই) ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড (এসএসই) কৌশলগত অংশীদার হিসেবে বাংলাদেশের ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসিতে বিনিয়োগ করে ডিএসই’র ২৫% শেয়ার ধারণ করেছে। কৌশলগত অংশীদার হিসেবে ইতোমধ্যে ডিএসইয়ের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত অবকাঠামো উন্নয়নে শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেড কাজ করছে, যার মধ্যে ডিএসই’র ভি-নেক্সট প্ল্যাটফর্ম অন্যতম। এই ভি-নেক্সট প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে স্টক এক্সচেঞ্জে কোনরকম তালিকাভুক্তি ছাড়াই স্টার্টআপ ও এসএমই কোম্পানি দেশী-বিদেশী বিনিয়োগকারীদের নিকট শেয়ার বিক্রয় করার প্রস্তাব করে মূলধন উত্তোলন করতে পারে। এই শেয়ার বিক্রয় প্রস্তাব ভি-নেক্সট প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে চীনের স্টক এক্সচেঞ্জ এর মাধ্যমে চীনসহ অন্যান্য দেশের বিনিয়োগকারীর কাছে পৌছাতে পারে।
চীনের বেইজিংয়ে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টায় সামিটের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সামিটটি বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অংশীদারিত্বকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির ভাষণে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, শিক্ষা, সংস্কৃতি এবং পর্যটনের মতো বিষয়ে চীনের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি তথ্যপ্রযুক্তি, পর্যটন, কৃষি ও কৃষি-প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প, রিয়েল স্টেট, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, গ্রিন টেকনোলজি, টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও সম্ভাবনাময় খাতে ব্যবসায় সম্প্রসারণ তথা বিনিয়োগের আহ্বান করেন এবং চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে গড়ে তোলা হাইটেক পার্ক ও বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের প্রস্তাব দেন। এসময় বাংলাদেশের সস্তা ও দক্ষ জনশক্তি এবং আইটি ফ্রিল্যান্সারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ ও পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন তিনি।
বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ সহজ ও সুন্দর করতে সরকারের নেওয়া নানাবিধ উদ্যোগের কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশকে বিশ্বের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য লোর একটিতে পরিণত করাই আমাদের লক্ষ্য। তিনি চীনের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে পোর্টফোলিও বিনিয়োগের আহ্বান জানান। তিনি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের উন্নয়নে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) নিরলসভাবে কাজ করছে বলে জানান। সাম্প্রতিক সময়ে পুঁজিবাজারে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জিত হয়েছে বলে জানান তিনি। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে ডেরিভেটিভস মার্কেট ও বলিষ্ঠ বন্ড মার্কেট উন্নয়নের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন তিনি।
উক্ত সামিটে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষেল (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া। এতে আরো বক্তব্য রাখেন চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন, বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, হুয়াওয়ের এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সাইমন লিন, এইচএসবিসি চায়নার প্রেসিডেন্ট ও সিইও মার্ক ওয়াং এবং চাইনেস কমিউনিকেশন অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিসিসি) চেয়াম্যান ওয়াং টংজহু।
বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম উক্ত অনুষ্ঠানে ‘সামিট অন ট্রেড, বিজনেস অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট অপরচুনিটিজ বেটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না’ শীর্ষক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন। তিনি বাংলাদেশের সামষ্টিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন সূচক যেমন- উচ্চ জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার, বৃহৎ দেশীয় বাজার, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড, দক্ষ জনবল, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা প্রভৃতি উল্লেখ পূর্বক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা এবং সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের প্রসংশা করেন এবং প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বের বলে বাংলাদেশ উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হওয়ার পথে এগিয়ে চলেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। একইসাথে তিনি বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের দৃঢ় ও সম্ভাবনাময় অবস্থানের চিত্র তুলে ধরে পুঁজিবাজারকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস করার জন্য ক্রমাগত উন্নয়নের নিমিত্ত বিএসইসি কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ উল্লেখ করেন এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি অন্যান্যের মধ্যে বলেন, বাংলাদেশে চীনা ব্যবসায়ীদের বিনিয়োগে বিশাল সম্ভাবনা রয়েছে। চীনা বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশই সঠিক জায়গা।
উক্ত সামিটে গেস্ট অফ হোনোর হিসেবে বক্তব্য রাখেন চীন সরকারের ভাইস মিনিস্টার অব কমার্স এইচ.ই. এমএর. লি ফেই। একইসাথে সামিটে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খান।
উক্ত অনুষ্ঠানে ‘প্যানেল ডিসকাশন বেটউইন বাংলাদেশ অ্যান্ড চায়না বিজনেস লিডার্স’ শীর্ষক একটি প্যানেল আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বিএএসআইএস)’ প্রেসিডেন্ট রাসেল টি আহমেদ, সংসদ সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, ‘ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই)’ প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম, টাইগার নিউ এনার্জির সিইও এমএস. নিকলে মাও, ‘বাংলাদেশ-চায়না চেম্বারস অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সেক্রেটারি জেনারেল আল মামুন মৃধা এবং সিবিসি ফাইন্যান্সের এমআর. লেও উক্ত প্যানেল আলোচনায় অংশগ্রহণ করেন। প্যানেল আলোচনায় আলোচকবৃন্দ বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন।
সামিট অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে মোট ১৮টি সমঝোতা স্মারক বিনিময় হয় যার মধ্যে নগদ ও হুয়াওয়ে টেকনোলজির মধ্যকার, চায়না রোড অ্যান্ড ব্রিজ করপোরেশন (সিআরবিসি) ও নিংবো সিক্সিং কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যকার, বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন লিমিটেডে ও সিএইচটিসি (হেংইয়াং) ইন্টেলিজেন্ট ইভি কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যকার, বিলিয়ন ১০ কমিউনিকেশন ও নিংবো সান ইস্ট সোলার কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যকার, ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশন পিএলসি ও শিঝুয়াং এনরিক গ্যাস ইকুইপমেন্ট কোম্পানি লিমিটেডের (সিআইএসমসি এনরিক) মধ্যকার এবং দেশবন্ধু গ্রুপ, সেমটেক্স ও চায়না কেমিকাল সিএনসিইসির মধ্যকার সমঝোতা স্মারক অন্যতম।
এছাড়াও সামিটে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণ বিষয়ক ৬টি ব্রেক আউট সেশন অনুষ্ঠিত হয়, যথা- ১) আপগ্রেডিং ইনফ্রাস্ট্রাকচার: পেভিং ফর ডেভেলপমেন্ট এন্ড কানেক্টিভিটি, ২) টুওয়ার্ডস স্মার্ট বাংলাদেশ: স্মার্ট টেকনোলজি & কমিউনিকেশন, ৩) একসেলেরাটিং দ্যা এনার্জি ট্রান্সিশন, ৪) বুস্টিং ট্রেড, বিজনেস এন্ড ইনভেস্টমেন্ট, ৫) ক্রিয়েটিং অপরচুনিটিজ ইন এগ্রিকালচার এন্ড আগ্রো-প্রসেসিং, ৬) অ্যাডভান্সিং বেঞ্চমার্ক ইন টেক্সটইল অ্যান্ড লেদার।
প্রায় সাত’শর বেশি অংশগ্রহণকারীর উপস্থিতিতে চীনে এই সফল সামিটটি আয়োজনের ফলশ্রুতিতে চীন ও পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে বাংলাদেশের বৈদেশিক ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক সম্প্রসারণ হবে বলে উপস্থিত বিশেষজ্ঞগণ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য যে, চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে চীনে রয়েছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল
![টেন মিনিট স্কুলের জন্য ৫ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/startup-ren-minutes-school.jpg)
অনলাইন শিক্ষামূলক প্লাটফর্ম টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব বাতিল করা হয়েছে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এতথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি জানান, টেন মিনিট স্কুলের জন্য পাঁচ কোটি টাকার বিনিয়োগ প্রস্তাব স্টার্টআপ বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বাতিল করা হলো।
এ বিষয়ে টেন মিনিট স্কুলের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও সিইও আয়মান সাদিক এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ
![শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/hasina-karabondhi.jpg)
আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারাবন্দি দিবস আজ। এক-এগারোর এই দিনে (২০০৭ সালের ১৬ জুলাই) অগণতান্ত্রিক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিভিন্ন মিথ্যা-বানোয়াট, হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তনয়া শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেদিন ভোরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় দুই সহস্রাধিক সদস্য সম্পূর্ণ বেআইনিভাবে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার ধানমন্ডির বাসভবন সুধা সদন ঘেরাও করে। এ অবস্থায় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ফজরের নামাজ আদায় করেন।
এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে যৌথবাহিনীর সদস্যরা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে সুধা সদন থেকে বের করে নিয়ে আসে। যৌথবাহিনীর সদস্যরা বেআইনিভাবে বন্দি অবস্থায় তাকে ঢাকার সিএমএম আদালতে হাজির করে।
তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নীলনকশা অনুযায়ী আদালতের কার্যক্রম শুরু হওয়ার নির্ধারিত সময়ের প্রায় দুই ঘণ্টা আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার জামিন আবেদন আইন বহির্ভূতভাবে নামঞ্জুর করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারের মধ্য দিয়ে বাংলার জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকারকে অবরুদ্ধ করার অপপ্রয়াস চালায় তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সাহসিকা শেখ হাসিনা আদালতের গেটে দাঁড়িয়ে প্রায় ৩৬ মিনিটের অগ্নিঝরা বক্তৃতার মাধ্যমে তৎকালীন অবৈধ সরকারের হীন রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন।
গ্রেপ্তারের আগমুহূর্তে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশবাসীর উদ্দেশে একটি চিঠির মাধ্যমে জনগণ এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গণতন্ত্র রক্ষায় মনোবল না হারিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনার নির্দেশে দেশবাসী ও দলীয় নেতাকর্মীরা জেগে উঠলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ষড়যন্ত্র মারাত্মক প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়। আওয়ামী লীগসহ অন্যান্য সহযোগী সংগঠন ও গণতন্ত্রপ্রত্যাশী দেশবাসীর ক্রমাগত প্রতিরোধ আন্দোলন, বঙ্গবন্ধুকন্যার আপসহীন ও দৃঢ় মনোভাব এবং দেশবাসীর অনড় দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০০৮ সালের ১১ জুন দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগ ও নানামুখী ষড়যন্ত্রের পর তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার মুক্তির মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরায় ফিরে আসে। যুগপৎভাবে বিকাশ ঘটে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হারানো স্বপ্ন ও সোনার বাংলা বাস্তবায়িত হচ্ছে তারই সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে। এ দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় পিতার ন্যায় আপসহীন মনোভাব নিয়েই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু হয়। জনগণের মুক্তি আন্দোলনে শেখ হাসিনাকে সহ্য করতে হয়েছে অনেক জেল-জুলুম ও অত্যাচার-নির্যাতন। অসংখ্যবার মৃত্যুর সম্মুখীন হতে হয়েছে।
জনগণের ভালোবাসায় সব ষড়যন্ত্রকে উপেক্ষা করে বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে অকুতোভয় নির্ভীক সেনানীর মতো নিরবচ্ছিন্নভাবে পথ চলেছেন শেখ হাসিনা। সব বাধা-বিপত্তি জয় করে আজ শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্ব দরবারেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল শেখ হাসিনা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী
![গ্যাস সরবরাহ আগামী সপ্তাহে বাড়তে পারে: প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/nasrul-hamid.jpg)
আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। আজ সোমবার রাজধানীর একটি হোটেলে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাংবাদিকদের নসরুল হামিদ বলেন, চলতি সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হওয়ার কথা ছিল। তবে সামিটের ভাসমান এলএনজি টার্মিনালে নতুন ত্রুটির কারণে তা হয়নি। সিঙ্গাপুর থেকে ডুবুরি দল আসছে। টার্মিনালে ত্রুটি মেরামতের পর আগামী সপ্তাহে গ্যাস সরবরাহ বাড়তে পারে।
এর আগে বাংলাদেশ কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড ও পিটি পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় বাংলাদেশে ৫০০ মেগাওয়াট সক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে দুই প্রতিষ্ঠান।
স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নসরুল হামিদ বলেন, সরকার পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিভিন্ন উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৪৭টি প্রকল্প চলমান। সেখান থেকে ৩৭৪৯ দশমিক শূন্য ৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। এ ছাড়া প্রক্রিয়াধীন ৭৯টি প্রকল্প থেকে ৯৩১৮ দশমিক ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে। বর্তমানে ১১টি সৌরভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫২১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদিত হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে কোল পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ এবং পারতামিনা পাওয়ার ইন্দোনেশিয়ার পক্ষে স্ট্র্যাটেজিক পরিচালক ফাদলি রহমান চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হিরু হারতান্তো সুবুলা বক্তব্য দেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত
![বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/BGMEA.jpg)
পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে একসঙ্গে কাজের বিষয়ে বিজিএমইএ ও ক্যাসকেলের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৫ জুলাই) উত্তরায় বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে ক্যাসকেলের (সাবেক সাসটেইনেবল অ্যাপারেল কোয়ালিশন) সিইও কলিন ব্রাউন ও বিজিএমইএ নেতাদের মধ্যে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বলা হয়, পোশাক কারখানাগুলোর ভিন্ন ভিন্ন ক্রেতাদের জন্য ভিন্ন আচরণবিধি এবং একাধিক অডিট সম্পাদন কেবলমাত্র প্রতিষ্ঠানগুলোর সময় এবং অর্থের অপচয় করে না, বরং প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য অডিট প্রক্রিয়া জটিল এবং কমপ্লায়েন্স প্রতিপালন কষ্টসাধ্য করে। এরকম প্রেক্ষাপটে পোশাক শিল্পে পরিবেশগত ও সামাজিক সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়ন ও অডিটের জন্য প্রটোকলগুলোকে একত্রিত করার বিষয়ে একসঙ্গে কাজের ব্যাপারে তারা সম্মত হন।
বৈঠকে সোশ্যাল ও টেকনিক্যাল অডিটের জন্য শিল্পে সর্বজনস্বীকৃত সমন্বিত আচরণবিধি (ইউনিফাইড কোড অব কনডাক্ট) প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা করা হয়।
বিজিএমইএ সভাপতি কচি বিশ্বব্যাপী ক্রেতা, প্রস্তুতকারক এবং শ্রমিকসহ সব স্টেকহোল্ডারের সুবিধার্থে এ ধরনের একটি সমন্বিত আচরণবিধি প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়ার জন্য ক্যাসকেলকে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি ছাড়া শিল্পকে দীর্ঘ মেয়াদে টেকসই করা সম্ভব হবে না।
ক্যাসকেলের সিইও বলেন, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প দুর্দান্ত অগ্রগতি অর্জন করলেও শিল্পে আরো করণীয় আছে। আমরা সাপ্লাই চেইনের সবাই চ্যালেঞ্জের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। বিজিএমইএ ও ক্যাসকেল একসঙ্গে সহযোগিতার মাধ্যমে সম্মিলিত পদক্ষেপ গ্রহণ করে পোশাক শিল্পকে টেকসই করতে সাপ্লাই চেইনজুড়ে ইতিবাচক পরিবর্তন এনে অভিন্ন লক্ষ্য অর্জন করতে পারে, শিল্পের জন্য টেকসই ভবিষ্যত নিশ্চিত করতে পারে।
বৈঠকে শিল্পের আরো বিকাশের জন্য ডিউ ডিলিজেন্স ডাইরেকটিভের মতো আসন্ন প্রবিধানগুলো অনুসরণ করা এবং কর্মীদের কল্যাণ বাড়াতে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, তথ্য শেয়ার, অনুশীলন ও উদ্ভাবনমূলক সমাধান প্রভৃতি বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়েও আলোচনা করা হয়।
উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন, ক্যাসকেল কারখানা পর্যায়ে আচরণবিধি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে, যাতে করে এ বিষয়গুলো প্রতিপালনে কারখানাগুলোর সক্ষমতা বাড়ে।
বৈঠকে বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এর সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন সহ-সভাপতি আব্দুল্লাহ হিল রাকিব, পরিচালক আশিকুর রহমান (তুহিন), পরিচালক শামস মাহমুদ, পরিচালক আবরার হোসেন সায়েম, পরিচালক মো. মহিউদ্দিন রুবেল ও পরিচালক শেহরিন সালাম ঐশী।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১৭২ ইউপি ভোট: প্রতি কেন্দ্রে ২২ জনের ফোর্স
![১৭২ ইউপি ভোট: প্রতি কেন্দ্রে ২২ জনের ফোর্স বাংলাদেশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/05/election-commission-ec.jpg)
বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের ১৭২টি পদে উপ-নির্বাচনের কেন্দ্র পাহারায় নিয়োজিত থাকবে ২২ জনের ফোর্স। এছাড়া ভোটের আগে পরে নির্বাচনী এলাকায় পাঁচদিনের জন্য নিয়োজিত থাকবে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য আনসার, পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি প্রধান এবং জেলা প্রশাসকদের চিঠি দিয়েছে। ইসির সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান চিঠিটি সংশ্লিষ্টদের পাঠিয়েছেন।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই ১৭২টি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন শূন্য পদের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে মোবাইল, স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী দুদিন, ভোটগ্রহণের দিন এবং ভোটগ্রহণের পরের দিনসহ মোট চারদিন নিয়োজিত থাকবে।
পুলিশ, এপিবিএন, আনসারের সমন্বয়ে মোবাইল টিম প্রতি নির্বাচনী এলাকায় থাকবে তিনটি। বিজিবি থাকবে এক প্লাটুন, র্যাবের থাকবে একটি করে টিম। এছাড়া কেন্দ্র পাহারায় অস্ত্রসহ পুলিশের একজন এসআই ও চারজন কনস্টেবল, অস্ত্রসহ আনসার দুজন এবং অস্ত্র ছাড়া আনসারের ১৫ জন সদস্য নিয়োজিত থাকবে।
ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ভোটকেন্দ্রের পুলিশ সংখ্যা কেন্দ্রের ধরণ (সাধারণ, গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ এলাকা পার্বত্য, দ্বীপাঞ্চল ও হাওড় এলাকা) বিবেচনায় নির্ধারণ করতে হবে; রিটার্নিং অফিসারের অনুরোধে অথবা স্থানীয় প্রয়োজনীয়তা ও বাস্তবতার নিরিখে ভোটকেন্দ্রে পুলিশ ও আনসার-ভিডিপি এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স সংখ্যা হ্রাস-বৃদ্ধি করা যাবে; তবে ভোটগ্রহণ দিনের পূর্বে কমিশনকে অবহিত করতে হবে; এবং মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সাথে বিশেষ করে বিজিবির প্রতিটি টিমের সাথে একজন করে এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত করতে হবে।