টেলিকম ও প্রযুক্তি
গুগল ড্রাইভ থেকে ডিলিট হওয়া ফাইল উদ্ধার করবেন যেভাবে

প্রায়ই আমরা গুগল ড্রাইভে অপ্রয়োজনীয় ছবি ও ফাইল ডিলিট করতে গিয়ে ভুলবশত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস ডিলিট করে ফেলি। আবার ডেস্কটপের শেষ সংস্করণে দেখা গেছে আপডেট করতে গিয়ে অনেকের ফাইল ডিলিট হয়ে গেছে। যার ফলে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। তবে আপনি চাইলে গুগল ড্রাইভ থেকে খুব সহজেই ডিলিট হওয়া ছবি, ভিডিও বা ফাইল পুনরুদ্ধার করতে পারবেন।
১. ডেস্কটপের জন্য ড্রাইভের ফাইল পুনরুদ্ধারের টুল হলো একটি নতুন অন্তর্নির্মিত বৈশিষ্ট্য যা ব্যবহারকারীদের গুগল ড্রাইভের মধ্যে একটি সম্পূর্ণ স্ক্যান চালাতে এবং পূর্ববর্তী সংস্করণে সিঙ্ক সমস্যার কারণে হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলোসহ বিভিন্ন কারণে হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলো পুনরুদ্ধার করতে দেয়।
২. এই টুলটি ড্রাইভ স্ক্যান করে, ব্যাকআপ থেকে হারিয়ে যাওয়া ফাইলগুলো পুনরুদ্ধার করে এবং ‘রিকোভার ফ্রম ব্যাকআপ’ নামে একটি পৃথক ফোল্ডারে পুনরুদ্ধার করে। ডেস্কটপের জন্য ড্রাইভে এই বৈশিষ্ট্যটি কীভাবে ব্যবহার করা যাবে দেখে নিন-
৩. নিজেদের ডিভাইসে ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের জন্য ড্রাইভ ওপেন করতে হবে। সাধারণত এটি ইনস্টল করা প্রোগ্রাম বা অ্যাপ্লিকেশনের তালিকায় খুঁজে পাওয়া যেতে পারে।
৪. স্ক্রিনের শীর্ষে মেনু বারটি (ম্যাক ব্যবহারকারীদের জন্য) বা নিচের ডানদিকের কোণে (উইন্ডোজ ব্যবহারকারীদের জন্য) সিস্টেম ট্রে শনাক্ত করতে হবে। সিস্টেম ট্রেতে সাধারণত অ্যাপ্লিকেশন এবং ইউটিলিটি চালানোর জন্য আইকন থাকে।
৫. মেনু বার বা সিস্টেম ট্রেতে, ডেস্কটপের জন্য ড্রাইভ আইকনটি খুঁজতে হবে এবং একটি মেনু খুলতে বা অ্যাপ্লিকেশন সম্পর্কিত অতিরিক্ত বিকল্পগুলি প্রদর্শন করতে এটিতে ক্লিক করতে হবে।
৬. নিজেদের কি-বোর্ডে শিফট চেপে ধরে রাখতে হবে।
৭. শিফট চেপে ধরে রাখার সময়, ড্রাইভ ফর ডেস্কটপ মেনুতে ‘সেটিংস’ বিকল্পে ক্লিক করতে হবে। এই কী সমন্বয়টি অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে অতিরিক্ত বা উন্নত সেটিংস আনলক করতে পারে।
৮. একটি সাবমেনু বা উন্নত সেটিংস উইন্ডো দেখতে পাবেন। ‘রিকোভার ফ্রম ব্যাকআপ’ বিকল্পটি সার্চ করতে হবে এবং সিলেক্ট করতে হবে।
৯. একবার ‘রিকোভার ফ্রম ব্যাকআপ’ বিকল্পটি নির্বাচন করুন, রিকোভার বৈশিষ্ট্যটির অ্যাক্সেস পাবেন। ব্যাকআপগুলোর মাধ্যমে নেভিগেট করতে এবং প্রয়োজন অনুসারে নির্দিষ্ট ফাইল বা ডাটা পুনরুদ্ধার করতে অন-স্ক্রিন নির্দেশাবলী বা প্রম্পটগুলো অনুসরণ করুন।
কাফি

জাতীয়
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা

দেশের ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের গ্রাহকগণ বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। কিন্তু অপারেটরগণ নিয়মিত অভিযোগের শুনানীতে উপস্থিত থাকছেন না, কোন কোন অপারেটরের পক্ষে ক্রমাগত সময় চাওয়ায় অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ উপস্থাপন করা হয় ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
মোবাইল ফোন অপারেটরগণ অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগের বিষয়ে অপারেটররা দ্বিমত করবেন সেসব অভিযোগ যথারীতি শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করবে। শুনানীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অপারেটরগণ নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা/আমলযোগ্যতা যাচাইয়ে যেসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে, অপারেটরগণ সেসব বিষয়ের একটা চেকলিস্ট তৈরি করে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করবেন।
অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রযোজ্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে ব্যবহারকারীকে জানাতে হবে। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কোন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে অভিযোগকারীর সীম থেকে কলচার্জ বাতিল/গ্রহণযোগ্য করার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে মোবাইল ফোন অপারেটরগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। পুরনো সীম নতুন করে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমের প্যাকেটে পরিষ্কার ভাষায় ইংরেজীতে “Re-Used” এবং বাংলায় “পূর্বে-ব্যবহৃত” লিখতে হবে যাতে সীম ক্রয়ের পূর্বেই ভোক্তাগণ জানতে পারেন।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
আজ বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেট পাবেন যেভাবে

আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) গ্রাহকদের বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেট দেবে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। এই ইন্টারনেটের মেয়াদ পাঁচদিন।
গত বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে ওই দিন বিটিআরসি জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ জুলাই সব গ্রাহককে পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, ১৮ জুলাই স্মরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের গত ৩ জুলাইয়ের নির্দেশনা এবং ৮ জুলাই কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১৮ জুলাই সব মোবাইল গ্রাহক পাচ্ছেন পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা। ফ্রি ডাটা পেতে ডায়াল করুন জিপি *121*1807#, রবি *4*1807#, বাংলালিংক *121*1807 এবং টেলিটক *111*1807# নম্বরে।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশের গেমিং দুনিয়ায় এলো ইনফিনিক্সের জিটি ৩০ প্রো

বাংলাদেশে মোবাইল গেমিং ও ইস্পোর্টস এখন প্রবেশ করছে এক নতুন যুগে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আনল জিটি সিরিজের স্মার্টফোন- ‘জিটি ৩০ প্রো’, যা দেশের গেমিং ভবিষ্যতের প্রতি ব্র্যান্ডটির দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
গত কয়েক বছরে, বাংলাদেশে মোবাইল গেম খেলা কেবল বিনোদনের মাধ্যম না থেকে রূপ নিয়েছে একটি প্রতিযোগিতামূলক সংস্কৃতিতে। পাবজি মোবাইল সুপার লিগ-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো তরুণদের জন্য তৈরি করেছে কাঠামোবদ্ধ সুযোগ। পাশাপাশি, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও শক্তিশালী স্মার্টফোনের প্রসার গেম খেলার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাবজি মোবাইল সুপার লিগ ২০২৫-এর অফিসিয়াল গেমিং ফোন পার্টনার হিসেবে জিটি ৩০ প্রো ইনফিনিক্সের এই অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে ব্র্যান্ডটি আয়োজন করছে ‘পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব ২০২৫’ প্রতিযোগিতা, যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ের লক্ষ্যে অংশ নিচ্ছেন।
এই উদ্যোগ শুধু নতুন গেমারদের প্রতিভাই তুলে ধরবে না, বরং মোবাইল গেমিংকে একটি স্বীকৃত দক্ষতা ও কমিউনিটি গঠনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেও সহায়ক হবে।
গেমারদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে জিটি ৩০ প্রো ফোনে যুক্ত হয়েছে জিটি ট্রিগার, অল-ডে ফুল এফপিএস সিস্টেম, এবং ম্যাগচার্জ কুলার—যা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ে প্রয়োজনীয় পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
এ প্রসঙ্গে ইনফিনিক্স বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বলেন, আমরা দেখছি, বাংলাদেশের একটি নতুন প্রজন্ম শুধু গেম খেলছে না—তারা প্রতিযোগিতা করছে, কনটেন্ট তৈরি করছে, দল গঠন করছে এবং একটি শক্তিশালী গেমিং কমিউনিটি গড়ে তুলছে। জিটি ৩০ প্রো হলো সেই যাত্রায় তাদের পাশে থাকার আমাদের প্রচেষ্টা।
প্রযুক্তিগত দিক ছাড়াও, এই স্মার্টফোনের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল তরুণ প্রযুক্তি সংস্কৃতির প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আজকের তরুণদের কাছে গেমিং কেবল শখ নয়—এটি এখন পরিচয়, যোগাযোগ এবং স্বপ্নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
জিটি ৩০ প্রো বাজারে এসেছে তিনটি রঙে—ডার্ক ফ্লেয়ার, শ্যাডো অ্যাশ ও ব্লেড হোয়াইট। গেমিং ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি সংস্করণে- স্ট্যান্ডার্ড এবং গেমিং মাস্টার এডিশন। মূল্য শুরু হচ্ছে ৩৯,৯৯৯ টাকা থেকে। ম্যাগচার্জ কুলার সহ প্যাকেজের মূল্য ৪১,৯৯৯ টাকা। উভয় সংস্করণে অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্স একই থাকলেও বাহ্যিক নকশা ও উপকরণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা, উন্নতমানের গেমিং ডিভাইসের প্রসার এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সরব উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে মোবাইল গেমিং ও ইস্পোর্টস এখন আর শুরুর পর্যায়ে নেই। জিটি ৩০ প্রো দেশের এই অগ্রযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশহিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৬ বিলিয়ন আইডি-পাসওয়ার্ড হ্যাকারের দখলে

আইডি-পাসওয়ার্ড হ্যাক হওয়া কোনো নতুন ঘটনা নয়, তবে একসঙ্গে ১৬ মিলিয়ন আইডি-পাসওয়ার্ড ফাঁস হওয়া বেশ চিন্তার কারণ। ফোর্বসের এক প্রতিবেদন অনুসারে, অ্যাপল, ফেসবুক, গুগল, গিটহাব, টেলিগ্রাম এবং বিভিন্ন সরকারি পরিষেবার আইডি-পাসওয়ার্ড চলে গেছে ডার্ক ওয়েবে।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছেন এই তথ্য। এর মধ্যে শুধু লগ ইন তথ্য নেই, রয়েছে গোপনীয় পাসওয়ার্ডও। ফলে হ্যাকারদের হাতে চলে যেতে পারে ব্যবহারকারীদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, এমনকি সরকারি নথি।
সাইবারনিউজের গবেষক ভিলিয়াস পেতকাউস্কাসে নেতৃত্বে শুরু হওয়া তদন্তে দেখা গেছে যে ১৮৪ মিলিয়ন রেকর্ড সম্বলিত একটি রহস্যময় ডাটাবেস ওয়েব সার্ভারে অসুরক্ষিত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। সাম্প্রতিক গবেষণায় বলা হচ্ছে এটি সম্ভবত হিমশৈলের চূড়া মাত্র।
আউটলেট অনুসারে গবেষকরা ৩০টি ডেটাসেট আবিষ্কার করেছেন যার প্রতিটিতে ৩.৫ বিলিয়ন পর্যন্ত রেকর্ড রয়েছে। এই তথ্যের মধ্যে রয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া, ভিপিএনের লগইন তথ্য, কর্পোরেট ও ডেভেলপার প্ল্যাটফর্ম, ২০২৫ সালের শুরু থেকে পাওয়া ডেটাসেটেও তাই রয়েছে। এটি যে শুধু তথ্য ফাঁস তা নয়, বরং এই ঘটনা একটি ব্যাপক এক্সপ্লয়টেশনের ব্লুপ্রিন্ট। এটি একেবারে নতুন ব্যবহারযোগ্য তথ্য যা ব্যাপকভাবে ব্যবহার হতে চলেছে, এমনটাই মনে করছেন গবেষকরা।
বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিচ্ছেন যে এই মাত্রার পরিচয়পত্র ফাঁস শিপিং প্রচারণা এবং অ্যাকাউন্ট টেক ওভার, ব্যবসায়িক ই-মেইল কম্প্রোমাইজের মত ঘটনায় কাজে লাগানো হতে পারে।
গবেষকরা মনে করছেন এটি সাধারণ কোনো পাসওয়ার্ড ফাঁস হওয়া নয়। এটি বড় কোনো গোষ্ঠীর নীলনকশা হতে পারে।গবেষক ভিলিয়াস পেতকাউস্কাস জানিয়েছেন, ২০২৫ সালের শুরু থেকে তারা এই তথ্য ফাঁসের ঘটনাটি পর্যবেক্ষণ করছেন। তাদের দাবি, ৩০টি ভিন্ন ভিন্ন ডাটাসেটে মিলেছে এই ১৬ বিলিয়নের বেশি রেকর্ড, যেগুলোর প্রতিটিতেই রয়েছে কয়েক কোটি থেকে শুরু করে সাড়ে তিন বিলিয়ন পর্যন্ত ইউজার ডেটা।
গবেষকদের মতে, এই লিক মূলত ইনফোস্টিলার ম্যালওয়্যার দিয়ে সংঘটিত হয়েছে। এমন এক ধরনের ম্যালওয়্যার যা ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়াই ব্রাউজারে সংরক্ষিত ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড কপি করে সার্ভারে পাঠিয়ে দেয়। তথ্যগুলো এমনভাবে সংগঠিত যে, প্রতিটি এন্ট্রিতে একটি ইউআরএল, ইউজারনেম এবং সংশ্লিষ্ট পাসওয়ার্ড রয়েছে। এর মানে, কে কোথায় লগইন করেছেন, সেটিরও নির্ভুল তালিকা আছে।
সূত্র: ফোর্বস, টাইমস অব ইন্ডিয়া, হিন্দুস্থান টাইমস।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
যেসব ফোনে আর চলবে না ইউটিউব

জনপ্রিয় ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউব ব্যবহার করেন সব বয়সী মানুষ। শিশুদের জন্য রয়েছে ইউটিউব কিডস। এছাড়া বিজ্ঞাপন ছাড়া ভিডিও দেখার জন্য ইউটিউব সাবস্ক্রিপশন করার সুযোগ আছে। খুব অল্প টাকায় এই সাবস্ক্রিপশন কেনা যায় মাসিক কিংবা বাৎসরিক।
তবে ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো প্ল্যাটফর্মটি। অনেক ফোনেই আর চলবে না অ্যাপটি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ফোনেরই সফটওয়্যার আপডেট হয়। একইভাবে অ্যাপগুলোও নিজেদের আপডেট করে। নতুন নতুন ফিচার যুক্ত হয় ব্যবহারকারীদের স্বার্থেই।
তবে একটা সমস্যা হচ্ছে দীর্ঘদিনের পুরোনো মডেলগুলোতে একটা সময়ের আর নতুন আপডেটেড অ্যাপ সাপোর্ট করে না। ফলে পুরোনো ফোনগুলোতে অ্যাপগুলোর আপডেটের ভার্সন ব্যবহার করা যায় না। সেই নিয়মেই এবার বহু ফোনে খুলবে না ইউটিউব।
আইফোনের ক্ষেত্রে আইওএস-১৬ বা তার পরবর্তী অপারেটিং সিস্টেমেই সাপোর্ট করবে ইউটিউব। তার আগের ফোনগুলোতে চলবে এই অ্যাপ। এর মধ্যে রয়েছে আইফোন ৬এস, আইফোন ৬এস প্লাস, আইফোন ৭, আইফোন ৭এস, আইফোন এসই (প্রথম জেনারেশন), আইপড টাচ ৭ম জেনারেশন।
তবে অ্যাপ সাপোর্ট না করলেও এই ফোনগুলোতেও দেখতে পাবেন ইউটিউব। ভাবছেন তো কীভাবে? তার জন্য চলে যান গুগলে। খুলুন m.youtube.com.। অর্থাৎ গুগলে ব্রাউজ করে ইউটিউব চালাতে পারবেন।
কাফি