আইন-আদালত
অনলাইন থেকে ‘নানা-নাতি’ গান সরানোর নির্দেশ হাইকোর্টের
ঈদুল আজহায় মুক্তি পায় আলোচিত গায়ক আলী হাসানের ‘নানা-নাতি’ শিরোনামে একটি গান। প্রকাশের পর থেকেই দারুণভাবে এটি লুফে নেন দর্শক-শ্রোতারা। তবে গানটি নিয়ে রয়েছে বিতর্ক। কারণ, গানের একটি লাইনে বলা হয়েছে, ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’। আর এতেই ঘটেছে বিপত্তি। এই গানটির জন্য লিগ্যাল নোটিশ পান আলী হাসান।
এবার অনলাইন থেকে ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ গানটি সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সোমবার (৮ জুলাই) এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আরিফুর রহমান মুরাদ নামের এক ব্যক্তির রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।
নানা ও নাতি চরিত্র দুটির ভেতর দিয়ে অনেক না বলা কথা বলেছেন গানটির লেখক ও গায়ক আলী হাসান। গানের ভিডিওতে সহশিল্পী হিসেবে নানার ভূমিকায় দেখা যায় এ যুগের আলোচিত কবি ও অভিনেতা মারজুক রাসেলকে।
মূলত ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ এই লাইনটির কারণে আদালত অবমাননার অভিযোগ উঠেছে গানটির বিরুদ্ধে। যার প্রেক্ষিতে গায়ক আলী হাসানকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান শেরপুর জেলা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট ফাহিম হাসনাঈন।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জুন রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এই লিগ্যাল নোটিশটি পাঠানো হয় আলী হাসানকে। নোটিশে ১৫ দিনের মধ্যে গানে আদালত অবমাননাকারী ‘বর্তমানের কোর্টে বিচার চলে নোটে’ লাইনটি বাদ দেওয়াসহ অনলাইনে লাইভে এসে জনসাধারণের কাছে ক্ষমা চাইতেও বলা হয় তাকে। অন্যথায় এই গায়কের বিরুদ্ধে মামলা করার কথাও বলা হয়েছে নোটিশে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
স্ত্রীসহ এনএসআইয়ের সাবেক ডিজির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল (অব.) টিএম জোবায়ের ও তার স্ত্রী ফাহামিনা মাসুদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৬ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. আনোয়ারুল হক তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন। এসময় দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর শুনানি করেন। শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, মেজর জেনারেল টিএম জোবায়েরের বিরুদ্ধে মোটা অংকের ঘুস নিয়ে চাকরি প্রদান ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ভয় দেখিয়ে নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে কোটি কোটি টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২৯ লাখ ৪৫ হাজার পাউন্ডে লন্ডনে বাড়ি কেনাসহ বিদেশে অর্থপাচারের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত।
দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রোববার (৬ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক ফারজানা ইয়াসমিন এ আদেশ দেন।
গত ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আব্দুর রহমান ফরিদপুর-১ আসনে নৌকা নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করলে তাকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয়।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ ক্ষমতাচ্যুত হলে অন্য মন্ত্রী-এমপিদের মতো আব্দুর রহমানও লাপাত্তা হয়ে যান। এখন পর্যন্ত তিনি কোথায় আছেন জানা যায়নি।
আওয়ামী লীগের এই নেতার বিরুদ্ধে দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার, বেআইনি কার্যকলাপসহ নানা অভিযোগ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আইন-আদালত
সাবেক সচিব জাহাঙ্গীর আলম ৫ দিনের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময়ে ধানমন্ডির জিগাতলায় আবদুল মোতালিব নামে এক কিশোরকে গুলি করে হত্যার মামলায় নির্বাচন কমিশন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলমের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ মঙ্গলবার আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির রমনা জোনাল টিমের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো বেলাল হোসেনের আদালত এ আদেশ দেন।
জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ছাত্র-জনতার মিছিলে থাকা আবদুল মোতালেব নামে এক কিশোর গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। পরবর্তীতে ২৬ আগস্ট তার বাবা আব্দুল মতিন বাদী হয়ে ধানমন্ডি থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জনকে আসামি করা হয়।
আজ সকালে রাজধানীর গুলশান থেকে জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এস আলম গোষ্ঠীর সব সম্পদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
এস আলম গোষ্ঠী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সব সম্পদের তালিকা দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লা ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।
এ ছাড়া এস আলম গ্রুপ ব্যাংক থেকে কত টাকা ঋণ নিয়েছে ও বিদেশে কত টাকা পাচার করেছে, এ বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে রুল জারি করা হয়।
এর আগে, গত ১৭ সেপ্টেম্বর এস আলম গ্রুপ, গ্রুপের শেয়ারহোল্ডার পরিচালক এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের সব স্থাবর সম্পত্তির তালিকা দাখিল এবং এসব সম্পত্তি স্থানান্তর বা বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইলিশের দাম ৭০০ টাকা চেয়ে আইনি নোটিশ
বাংলাদেশের জনগণের জন্য প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণ চেয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রতি একটি আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী খন্দকার হাসান শাহরিয়ার। রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ডাকযোগে ও ই-মেইলে সরকারের বিভিন্ন দফতরে এ নোটিশ পাঠান তিনি।
জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি), বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান এবং আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তরের প্রধান নিয়ন্ত্রক বরাবর নোটিশটি পাঠানো হয়।
নোটিশে আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতি কেজি ইলিশ মাছের খুচরা বিক্রয় মূল্য সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা নির্ধারণে অনুরোধ করা হয়। পাশাপাশি ইলিশ মাছের পাইকারি ও খুচরা বাজার মনিটরিং করা, ইলিশ মাছ সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে পাচার রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সাগরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি বা জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোর বাস্তবতা মেনে ভারত ও বাংলাদেশ মিলিয়ে একটি অভিন্ন সময়ে বা কাছাকাছি সময়ে ইলিশ মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখার বিষয়ে লিখিতভাবে ভারতকে আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিতে বলা হয়।
নোটিশে বলা হয়, ভবিষ্যতে যেকোন দেশে ইলিশ মাছ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বাজারমূল্যের চেয়ে কম দামে যেন ইলিশ মাছ রপ্তানি করা না হয় সেই বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। অন্যথায় উচ্চ আদালতে রিট করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এমআই