টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশ থেকে ৭১ লাখ ভিডিও সরাল টিকটক

সম্প্রতি চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট প্রকাশ করেছে টিকটক। এ সময়ের নতুন ডেটা পয়েন্ট এবং ট্রেন্ডগুলোর তথ্য প্রতিবেদনটিতে উঠে আসে। টিকটকের গ্লোবাল কমিউনিটির জন্য নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরে প্রতিবেদনটি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক।
২০২৪ সালে বিশ্বজুড়ে টিকটক মোট ১৬ কোটি ৬৯ লাখ ৯৭ হাজার ৩০৭টি ভিডিও সরিয়েছে, যা প্ল্যাটফর্মে আপলোড করা সব ভিডিওর প্রায় শূন্য দশমিক নয় শতাংশ। এর মধ্যে ১২ কোটি ৯৩ লাখ ৩৫ হাজার ৭৯৩টি ভিডিও স্বয়ংক্রিয়ভাবে শনাক্তকরণ প্রযুক্তির মাধ্যমে চিহ্নিত এবং অপসারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে, ৬০ লাখ ৪২ হাজার ২৮৭টি ভিডিও যাচাই-বাছাই করে প্ল্যাটফর্মে পুনরায় রাখা হয়েছে।
স্বচ্ছতা বাড়ানোর লক্ষ্যে টিকটক এবার প্রথমবারের মতো কমেন্টের সেফটি টুলসগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে সরানো এবং ফিল্টার করা কমেন্টের পরিমাণ প্রকাশ করেছে। টিকটক কমেন্টের সেফটি টুলসের মাধ্যমে এতিন মাসে ৯৭ কোটি ৬৪ লাখ ৭৯ হাজার ৯৪৬টি কমেন্ট সরিয়েছে এবং ফিল্টার করেছে, যা পোস্ট করা সব কমেন্টের এক দশমিক ছয় শতাংশ। এছাড়া এ টুলস ব্যবহার করে প্ল্যাটফর্মের ক্রিয়েটররা ৩৩৮ কোটি ১৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭২২টি কমেন্ট ফিল্টার অথবা অপসারণ করেছে। এটি প্ল্যাটফর্ম কমিউনিটির মান বজায় রাখার জন্য টিকটকের সক্রিয় প্রচেষ্টাকে তুলে ধরে।
এদিকে বাংলাদেশে, ২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘনের কারণে ৭১ লাখ ৭১ হাজার ৮৩২টি ভিডিও অপসারণ করেছে টিকটক। যেখানে সক্রিয়ভাবে অপসারণের হার ছিল ৯৯ দশমিক চার শতাংশ এবং একটি ভিডিও পোস্ট করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ভিডিওগুলোর ৯৪ দশমিক শূন্য শতাংশ ভিডিও সরিয়ে নেওয়া হয়। এছাড়া তরুণদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অ্যাকাউন্ট সরিয়েছে টিকটক। এর আওতায় ১৩ বছরের কম বয়সী ইউজার হওয়ার সন্দেহে বিশ্বজুড়ে মোট দুই কোটি ১৬ লাখ ৩৯ হাজার ৪১৪টি অ্যাকাউন্ট সরানো হয়েছে।
টিকটকের কমিউনিটি গাইডলাইন লঙ্ঘন করা কনটেন্টগুলো শনাক্ত করতে, মূল্যায়ন করতে এবং এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে সমন্বয় করা হয় উদ্ভাবনী প্রযুক্তি ও কর্মীদের। পর্যায়ক্রমিকভাবে টিকটকের প্রকাশ করা কমিউনিটি গাইডলাইনস এনফোর্সমেন্ট রিপোর্ট থেকে প্ল্যাটফর্মের কনটেন্ট আর অ্যাকাউন্টগুলোর পরিমাণ এবং ধরন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায়। এ প্রতিবেদনগুলোর মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার প্রতি টিকটকের প্রতিশ্রুতি এবং গুরুত্ব উঠে আসে।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকের প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এবং টিকটকের কনটেন্ট গাইডলাইনস, টুলস এবং নীতি সম্পর্কে আরও জানতে ভিজিট করুন টিকটকের ট্রান্সপারেন্সি সেন্টার।
কাফি

টেলিকম ও প্রযুক্তি
হ্যাকারদের নজরে এবার হোয়াটসঅ্যাপ, সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে

এবার জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার অ্যাটাকের কথা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যার হুমকি আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সর্বশেষ প্রায় ৯০ জন ব্যক্তির উপরে গুপ্তচরবৃত্তি এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য কুখ্যাত কিছু প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্গেট করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই আক্রমণের পরিধি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা ব্যবহারকারীদের সতর্কতার বেড়া ডিঙিয়ে ডিভাইস হ্যাক করতে এবং ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতে দিতে পারে বলেই জানিয়েছেন তারা।
নতুন হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যার অ্যাটাকটি বিশেষ করে আইফোন এবং ম্যাক ব্যবহারকারীদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, ফলে সংস্থা ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এবং এর তীব্রতা সম্পর্কে অবহিত করেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে হ্যাকাররা তাদের ডিভাইস এবং ডাটা, যার মধ্যে ব্যক্তিগত টেক্সটও রয়েছে, তা ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
ম্যালওয়্যারের কাজ করার জন্য একটি উৎসের প্রয়োজন হয়, তার বিপরীতে, এই উন্নত স্পাইওয়্যারগুলো কেবল ব্যবহারকারীকে একটি বার্তায় ক্লিক করার ফাঁদে ফেলে! এরপর ব্যবহারকারী যখন ফোন ব্যবহার শুরু করেন, তখন ম্যালওয়্যারের কাজ শুরু হয়ে যায়।
পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার সাইবার যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে যা প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করে যা তাদের টেক্সট, ছবি পাঠাতে, এমনকি ভিডিও কল করতেও সাহায্য করে।
মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এবং এর মূল কোম্পানি মেটা ব্যবহারকারীদের সতর্ক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, পাশাপাশি এই জটিল আক্রমণগুলো প্রতিরোধের জন্য বিশেষজ্ঞরা দিনরাত কাজ করছেন, যাতে এগুলো চিরতরে বন্ধ বা প্রতিরোধ করার জুতসই সমাধান খুঁজে বের করা যায়।
এই স্পাইওয়্যার অ্যাটাক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ নাগরিককে টার্গেট করে না, তাই হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের গুরুতর ক্ষতি করার আগে এগুলো পর্যবেক্ষণ/শনাক্ত করার একটি উপায় থাকা উচিত।
নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন-
>> হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে কোনও লিঙ্ক এলে সেখানে ক্লিক করবেন না।
>> নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখুন। এর ফলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের উপর সুরক্ষার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ পড়বে।
>> হোয়াটসঅ্যাপের লেটেস্ট ভার্সনেই থাকে যাবতীয় উন্নত ও আধুনিক সিকিউরিটি ফিচার। তাই নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আপডেটেড করুন নিয়মিত।
>> নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কোথায় কোথায় সক্রিয় তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি অপরিচিত কোনো ডিভাইস লক্ষ্য করেন, তাহলে অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধ করতে দূরবর্তীভাবে লগ আউট করুন।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে যা করবেন

দৈনন্দিন ঘরের কাজ সহজ করতে আমরা অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করি। টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, টোস্টার, ইস্ত্রি, গিজার, হিটার মেশিনসহ আরও অনেক কিছু। তবে এগুলো ব্যবহারে কাজ সহজ হলেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত পরে যায়।
তবে আপনি বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কমাতে পারেন-
>> অনেক পুরোনো ডিভাইসগুলো বদলে নিতে পারেন। পুরোনো ডিভাইসগুলোতে বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক বেশি হয়। বাড়ির ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, এসি ধীরে ধীরে বদলে নিন।
>> সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পোড়ে বাল্ব বা টিউবলাইটে। লাইটের ক্ষেত্রে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এটি কম ওয়াটেও বেশি আলো পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
>> এসি যত্নে রাখুন, প্রতি পনেরো দিনে একবার এসির কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে। তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে অতিরিক্ত লোড পড়ে না।
>> এসির হিটিং, ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফিল্টার বদলানো থেকে শুরু করে বছরে একবার সার্ভিসিং, অনেকটা বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে।
>> আধুনিক ফ্রিজ আর টিভির জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন নেই, অথচ এগুলো মাসে ৩০-৪৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ টেনে নিতে পারে।
>> চার্জার, সেট-টপ বক্স বা টিভি প্লাগে লাগিয়ে রাখলে প্রতিমাসে ৫-১০ ইউনিট পর্যন্ত খরচ হয়। অনেকেই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের স্যুইচ অফ করেন কিন্তু প্লাগ লাগানোই থাকে। এই অবস্থাতেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। একে ‘ফ্যান্টম’ বা ‘স্ট্যান্ডবাই’ বলে। প্লাগ থেকে সুইচ অফ করে রাখলে কিছুটা খরচ বাঁচানো সম্ভব।
>> ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে। পাশাপাশি ফুল লোডে চালানো হচ্ছে কি না সেটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জামাকাপড় শুকনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার না করে রোদে মেলে দিলেও অনেক বিদ্যুৎ বাঁচবে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্মার্টফোনে আড়িপাতা আছে কিনা বুঝবেন যেভাবে

সাইবার অপরাধীরা আইফোন বা অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমে চলা স্মার্টফোনে আড়ি পাততে সক্ষম অ্যাপ বা স্পাইওয়্যার যুক্ত করে দূর থেকে তার টার্গেটকৃত ব্যক্তির অনলাইন বা দৈনন্দিন কার্যক্রম নজরদারি করে থাকে। শুধু তা-ই নয়, স্পাইওয়্যারের মাধ্যমে স্মার্টফোনে সংরক্ষণ করা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সংগ্রহ করে তারা। ফলে তথ্য বেহাত হওয়ার পাশাপাশি অনেকে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হন, এমনকি বিভিন্ন ধরনের হয়রানি ও ব্ল্যাকমেলের মুখোমুখি হতে হয়। স্পাইওয়্যারগুলো গোপনে স্মার্টফোনে প্রবেশ করানোর কারণে অনেকে জানতেই পারেন না তাদের অনলাইন বা অফলাইন কার্যক্রমে নজরদারি করা হচ্ছে। তবে বেশ কিছু লক্ষণ দেখে স্মার্টফোনে স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পাওয়া যায়।
বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ট্যাপ করাটা খুব একটা কঠিন নয়। অনেকেই ভাবছেন কীভাবে সহজে এ কাজ করতে পারে? তাদের প্রশ্নের উত্তর হলো- এ কাজের জন্য সেলফোন নেটওয়ার্ক হ্যাক করার প্রয়োজন নেই। আপনার ফোনের ভালনেরাবিলিটি বা দুর্বলতা খুঁজে বের করে সহজেই আপনার ফোনকে ট্যাপিং ডিভাইসে পরিণত করা সম্ভব।
সে যা-ই হোক কেউ যদি আপনার ফোনে আড়ি পেতে কথোপকথন শোনে তাহলে আপনি কীভাবে তা বুঝবেন এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরঘুর করছে। তাদের জন্য কয়েকটি কৌশল নিয়ে আলোচনা করা হলো, যা খেয়াল করলে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন আপনার ফোন ট্যাপ করা হচ্ছে।
মোবাইল ডেটার অস্বাভাবিক ব্যবহার
স্পাইওয়্যার অ্যাপগুলো ফোনের পটভূমিতে চালু থাকার পাশাপাশি সংগ্রহ করা তথ্য নিয়মিত ইন্টারনেটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট ঠিকানায় পাঠাতে থাকে। ফলে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই মোবাইল ডেটার পরিমাণ কমে যায়। কোনো অ্যাপ ব্যবহার না করলেও যদি মোবাইল ডেটা কমতে থাকে, তবে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।
বিভিন্ন সুবিধা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু বা বন্ধ
ফোন ব্যবহারের সময় বারবার চালু হওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সুবিধা চালু বা বন্ধসহ অনলাইন থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিভিন্ন ফাইল নামতে থাকলে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।
ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমার পাশাপাশি ফোন গরম হওয়া
স্পাইওয়্যার অ্যাপগুলো সব সময় ফোনের পটভূমিতে চালু থাকে। আর তাই ফোনের ব্যাটারি নিয়মিত খরচ হতে থাকে। এ জন্য অল্প কিছু সময় ফোন ব্যবহার করলেই ব্যাটারির চার্জ দ্রুত কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফোনও গরম হয়ে যায়।
গোপনে এসএমএস পাঠানো
এসএমএস না পাঠালেও যদি কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানে আপনার ফোন থেকে এসএমএস যায়, তবে বুঝতে হবে ফোনে স্পাইওয়্যার রয়েছে।
অপরিচিত অ্যাপের সন্ধান
ফোনের সেটিংস অপশন থেকে নামানো অ্যাপের তালিকা পর্যালোচনা করেও অনেক সময় স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তালিকায় অপরিচিত অ্যাপের নাম দেখলেই বুঝতে হবে, এটি স্পাইওয়্যার বা ম্যালওয়্যার। বিভিন্ন অ্যাপের যন্ত্রাংশ ব্যবহারের অনুমতি তালিকা দেখেও স্পাইওয়্যারের উপস্থিতি শনাক্ত করা সম্ভব।
স্পাইওয়্যার মুছে ফেলতে যা করতে হবে
ফোনে স্পাইওয়্যার থাকার সম্ভাবনা থাকলে প্রথমেই ফোনে অ্যান্টি-স্পাইওয়্যার অ্যাপ নামিয়ে স্ক্যান করে সেগুলো মুছে ফেলতে হবে। এর পাশাপাশি আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের হালনাগাদ সংস্করণ ব্যবহারের পাশাপাশি ফোনে থাকা অপরিচিত অ্যাপগুলো মুছে ফেলতে হবে। এরপরও স্পাইওয়্যার মুছে না গেলে ফোন ফ্যাক্টরি রিসেট করতে হবে।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো হোয়াটসঅ্যাপ

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের প্রায় সব শহরেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন কয়েকশ কোটি মানুষ। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ বিলিয়নের বেশি মেসেজ আদান-প্রদান হয়হোয়াটসঅ্যাপে। এর মধ্যে শুধু ছবি আদান-প্রদানের সংখ্যা ৭০০ মিলিয়ন এবং ভিডিও আদান-প্রদানের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৯৫ বিলিয়নেরও বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৩৫.৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছে ভারতে। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ব্যাপারে তাইতো অনেকবেশি সচেতন। এজন্য একেবারেই ছাড় দেয় না মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি। এবার ৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
‘স্ক্যাম সেন্টার’ বা প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন সন্দেহে অ্যাকাউন্টগুলো ‘ব্যান’ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ২০২৫ সালের প্রথম অর্ধে এই কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছে মূল সংস্থা মেটা। সাইবার অপরাধীরা নানানভাবে তাদের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বর্বশান্ত করছে ব্যবহারকারীদের।
মেটার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অনেকক্ষেত্রেই অপরাধচক্র এই ধরনের প্রতারণা চক্র চালাত। অনেক সময়ে চাপ তৈরি করে ফোর্সড লেবার-এর মাধ্যমে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই ধরনের অপরাধ চক্র চলত।’
এই চক্রগুলো পরপর জালিয়াতির ফাঁদ পাতত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বিপুল রিটার্ন দেওয়ার মতো লোভ দেখানো হতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ব্যক্তিকে লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করা হতো।
মেটা জানিয়েছে, টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে প্রথমে যোগাযোগ করা হতো টের্গেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রাইভেট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা হতো। টার্গেট করা ব্যক্তি যাতে লোভে পা দেন, তার জন্য সাফল্যের নাম করে বিভিন্ন উদাহরণও সামনে রাখতো অপরাধ চক্রগুলো।
কোনো প্রতারণার ঘটনায় অপরাধীরা একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টার্গেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এর ফলে কোনো একটি সংস্থার পক্ষে প্রতারণার পুরো চিত্র সামনে আনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতো বলে জানিয়েছে মেটা।
মেটা এই প্রতারণা থেকে ব্যবহারকারীদের বাঁচতে করণীয় কী হতে পারে সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। পরিচিত নন বা কন্ট্যাক্ট লিস্টে নেই এমন নম্বর গ্রুপে অ্যাড করবেন না। অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
যুক্তরাজ্যের ভোক্তা আইন বিশেষজ্ঞ লিসা ওয়েব বলেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভুয়া বিনিয়োগের সুযোগ থেকে শুরু করে ছলনাময়ী পণ্য এবং অস্তিত্বহীন চাকরির অফার পর্যন্ত সবকিছুর জন্য প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে প্লাবিত হচ্ছে। তাই মেটাকেও আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

এবার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ট্রুকলার অ্যাপ। অপরিচিত নম্বরগুলো শনাক্ত করার জন্য ট্রুকলার অ্যাপ জনপ্রিয়। কোনো অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে ট্রুকলারের মাধ্যমে সহজেই সেই কলারের পরিচয় জেনে নেওয়া যায়।
ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করে প্ল্যাটফর্মটি। আবার অনেক ফিচার বন্ধও করে দেয়। এবার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আপডেট চালু করছে। সেই আপডেটের ফলেই আইওএসে কল রেকর্ডিং ফিচারটি বন্ধ হতে চলেছে। অর্থাৎ আইফোনে ট্রুকলার অ্যাপ ব্যবহার করে আর কল রেকর্ড করা যাবে না।
ট্রুকলার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে তারা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে আইওএসে কল রেকর্ডিং ফিচারটি বন্ধ করছে। মাত্র দুই বছর আগে আইওএস প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিটি এই ফিচারটি চালু করে।
আইফোনে কল রেকর্ডিং ফিচারটি একেবারে শুরুর দিন থেকেই ট্রুকলারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। অ্যাপলের কল রেকর্ডিং প্রক্রিয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন এবং সীমিত, কারণ অ্যাপলের গোপনীয়তা নীতিগুলো খুবই কঠোর এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলোকে সরাসরি কল রেকর্ড করার অনুমতি দেয় না।
এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার জন্য ট্রুকলার একটি সমাধান ব্যবহার করেছে। এটি কল রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি মার্জড ‘রেকর্ডিং লাইন’ ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে কলটিকে অন্য একটি লাইনের সঙ্গে মার্জ করার প্রক্রিয়া জড়িত রয়েছে।
ট্রুকলারের আইওএস প্রধান নকুল কাবরা বলেন যে কোম্পানি এখন তার মূল বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করতে চায়, যেমন লাইভ কলার আইডি এবং স্বয়ংক্রিয় স্প্যাম ব্লকিং। এটিই ট্রুকলারের আসল শক্তি এবং কোম্পানি এখন এই পরিষেবাগুলো উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
আইফোনে কল রেকর্ডিং ফিচারটি সরিয়ে ফেলার অর্থ এই নয় যে ব্যবহারকারীদের পুরোনো রেকর্ডিং মুছে ফেলা হবে। কোম্পানি ব্যবহারকারীদের তাদের রেকর্ডিং ডাউনলোড করার, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করার বা আইক্লাউডে সংরক্ষণ করার বিকল্প দিয়েছে। এই পরিবর্তনটি সহজে বোঝার করার জন্য ট্রুকলার একটি হেল্প পেজও চালু করেছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো অ্যাপলের নিজস্ব কল রেকর্ডিং সিস্টেম। আইওএস ১৮.১ আপডেটের মাধ্যমে অ্যাপল তার আইফোনগুলোতে ইনবিল্ট কল রেকর্ডিং এবং ট্রান্সক্রিপশন (টেক্সটে রূপান্তর) যুক্ত করেছে। ফলে ফিচারটি সরাসরি আইওএস সিস্টেমে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীর কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপের প্রয়োজন হবে না।