আন্তর্জাতিক
চীনে চাহিদা নিম্নমুখী, এশিয়ায় কমল এলএনজির দাম
অর্থনীতির অন্যতম শীর্ষ দেশ চীনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় পণ্যটির দাম কমেছে। শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি এমএমবিটিইইউ এলএনজির গড় মূল্য ছিল ১২ ডলার ২০ সেন্ট, গত সপ্তাহে যা ছিল ১২ ডলার ৫০ সেন্ট।
রয়টার্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন গ্রীষ্মজুড়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি কমাতে পারে। মজুদ সক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হওয়ায় এবং স্পট মার্কেটে দাম বাড়ায় সামনের মাসগুলোয় এলএনজি আমদানি কমাবে দেশটি।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সমুদ্র ও পাইপলাইন দিয়ে চীন রেকর্ড ৫ কোটি ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছে। এর আগে ২০২১ সালের একই সময় দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ টন।
এছাড়া চীন গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৪ কোটি ৭০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ। অন্যদিকে ইউরোপেও চলতি সপ্তাহে এলএনজির দাম কমেছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোয় প্রয়োজনীয় মজুদ থাকায় চাহিদা তুলনামূলক কমে এসেছে, যা দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
ইউরোপে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস গত বৃহস্পতিবার আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে নর্থ-ওয়েস্ট ইউরোপ এলএনজি মার্কার বাজার আদর্শের দাম স্থির হয়েছে প্রতি এমএমবিটিইউতে ১০ ডলার ৪৩২ সেন্ট। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভার্চুয়াল ট্রেডিং পয়েন্ট টিটিএফে প্রতি এমএমবিটিইউতে দশমিক ১৫ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানে ব্যাপক সংঘর্ষ, সেনা মোতায়েন
শুক্রবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকদের সাথে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। তারপর থেকেই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ছে দেশটির প্রদেশ থেকে প্রদেশে। শনিবার পাঞ্জাবের লাহোরেও বিক্ষোভ দেখা দেয়। ফলে সেখানেও সেনা মোতায়েন করতে বাধ্য হয় স্থানীয় প্রশাসন।
শনিবার ইসলামাবাদের পরিস্থিতিও উত্তপ্ত বলে জানিয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যম। রাওয়ালপিন্ডিতেও উত্তেজনা চলছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ রাখছে শাহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকার। বড় বড় সড়কগুলোও কনটেইনার দিয়ে আটকে রাখা হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যম জানিয়েছে, শুক্রবার ইসলামাবাদের বিভিন্ন জায়গায় ইমরান খানের দল পিটিআইর সমর্থকরা জড়ো হয়েছিলেন। সেখানে জারি থাকা ১৪৪ ধারা ভঙ্গ করেন তারা। তাদের লক্ষ্য ছিল ডি-চকে বিক্ষোভ করার। কিন্তু পুলিশের বাধায় সেই বিক্ষোভ পণ্ড হয়ে যায়। ওই সময় বিক্ষোভের জন্য জড়ো হওয়ার পিটিআই সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে।
এদিকে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়াতেও সেনাবাহিনীর সাথে উগ্রপন্থীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দেশটির গণমাধ্যম জানিয়েছে, উগ্রবাদীদের সাথে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে অন্তত ১১ জন নিহত হয়েছে। তাদের মধ্যে ছয়জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য। আর অপর পাঁচজন হলো উগ্রবাদী বাহিনীর সদস্য। খাইবার পাখতুনখাওয়ার নর্থ ওয়াজিরিস্তানের স্পিনওয়াম এলাকায় ওই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সোনা আছে যে ১০ দেশে
বিশ্বজুড়ে স্বর্ণকে একটি অতি মূল্যবান ধাতু হিসেবে দেখা হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আবার স্বর্ণের প্রতি বেশ আবেগও রয়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে স্বর্ণের ব্যবহার এবং উপহার হিসেবে স্বর্ণ কেনার রীতিও রয়েছে বহুকাল থেকেই। ফলে দেশে বিদেশে স্বর্ণের চাহিদাও ব্যাপক। বিশ্বে নারীদের অলঙ্কার হিসেবেও স্বর্ণের চাহিদার কমতি নেই। বিশ্ববাজারে বাড়ছে স্বর্ণের চাহিদা ও দাম।
একটি দেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল অবস্থায় রয়েছে, নাকি অচিরেই বিপদের মুখে পড়তে যাচ্ছে, তা নির্ধারণেও স্বর্ণের মজুত বিশেষ ভূমিকা রাখে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো নিরাপদ সম্পদ হিসেবে স্বর্ণের ওপর আস্থা রাখে।
সম্প্রতি লন্ডনভিত্তিক ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি) জানিয়েছিলেন, কোন দেশের কাছে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুত রয়েছে। এ হিসাব ২০২৪ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল থেকে জুন) শেষের।
ডব্লিউজিসির তথ্য অনুযায়ী বিশ্বের সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুত রাখা দেশের তালিকায় কারা রয়েছেন জেনে নিন—
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি স্বর্ণ মজুত রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটির কাছে মজুত রয়েছে ৮ হাজার ১৩৩ দশমিক ৪৬ টন স্বর্ণ। ইউরোপের দেশ জার্মানি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। দেশটির মজুত ৩ হাজার ৩৫১ দশমিক ৫৩ টন স্বর্ণ।
তৃতীয় অবস্থানে ইউরোপের আরেক দেশ ইতালি। দেশটির রয়েছে ২ হাজার ৪৫১ দশমিক ৮৪ টন স্বর্ণ। এর কাছাকাছি অবস্থানে আছে ফ্রান্স। দেশটিতে ২ হাজার ৪৩৬ দশমিক ৯৭ টন স্বর্ণ মজুত আছে। স্বর্ণের মজুতে রাশিয়ার অবস্থান পঞ্চম। দেশটির কাছে মজুত আছে ২ হাজার ৩৩৫ দশমিক ৮৫ টন স্বর্ণ।
ষষ্ঠ ও সপ্তম অবস্থানে আছে যথাক্রমে চীন ও জাপান। চীনে মজুত আছে ২ হাজার ২৬৪ দশমিক ৩২ টন স্বর্ণ। জাপানে ৮৪৫ দশমিক ৯৭ টন। আর ৮৪০ দশমিক ৭৬ টন স্বর্ণ নিয়ে ভারত আছে অষ্টম অবস্থানে।
এ ক্ষেত্রে নেদারল্যান্ডস ও তুরস্কের অবস্থান যথাক্রমে নবম ও দশম। নেদারল্যান্ডসে মজুত আছে ৬১২ দশমিক ৪৫ টন স্বর্ণ এবং তুরস্কে ৫৮৪ দশমিক ৯৩ টন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
এক সপ্তাহে ৯ শতাংশ বেড়েছে তেলের দাম
মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির কারণে বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম এক সপ্তাহে বেড়েছে ৯ শতাংশ। তার মধ্যে শুধু বৃহস্পতিবারই এই বৃদ্ধির হার ছিল ৫ শতাংশ। বাজার বিশ্লেষকদের বরাত দিয়ে শনিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দুই ব্র্যান্ড ব্রেন্ট ক্রুড এবং ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট (ডব্লিউটিআই)- উভয়েরই। শতকরা হিসেবে ব্রেন্ট ক্রুডের দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ এবং ডব্লিউটিআইয়ের দাম বেড়েছে ৯ দশমিক ১ অংশ। চলতি বছর এই প্রথম মাত্র এক সপ্তাহে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দামে এই পরিমাণ উল্লম্ফণ ঘটল।
জ্বালানি তেলের বাজার বিশ্লেষণকারী বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাজারে অপরিশোধিত তেলের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ আসে ইরান থেকে। ইরান এবং ইসরায়েলের মধ্যকার সাম্প্রতিক উত্তেজনা ইরানের তেল খনিগুলোতে ইসরায়েলের হামলার হুমকি বাজারের এই আকস্মিক উল্লম্ফণের জন্য দায়ী।
যুক্তরাজ্যের বাজার বিশ্লেষক সংস্থা স্টোনএক্সের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইসরায়েল যদি সত্যিই ইরানের তেল অবকাঠামোকে লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে, সেক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক বাজারে তাৎক্ষণিকভাবে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি ব্যারেলে ৩ থেকে ৫ ডলার বাড়বে।
গত বৃহস্পতিবার জ্বালানি তেল উত্তোলন ও রপ্তানিকারী দেশগুলোর জোট ওপেক প্লাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইসরায়েল যদি ইরানের তেল ক্ষেত্রেগুলোতে হামলা করে, তাহলে স্বাভাবিকভাবেই আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি তেলের চালান আসা বন্ধ হয়ে যাবে। সেক্ষেত্রে কিছুদিন এই ঘাটতি পূরণ করতে পারলেও দীর্ঘমেয়াদে তা সম্ভব হবে না ওপেকের সদস্যরাষ্ট্রগুলোর পক্ষে।
ইরান ওপেক প্লাসের সদস্যরাষ্ট্র। প্রতিদিন আন্তর্জাতিক বাজারে ৩২ লাখ ব্যারেল পাঠায় দেশটি যা শতকরা হিসেবে বাজারের মোট তেলের ৩ শতাংশ।
শতকরা হিসেবে হার একেবারেই কম, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে বাজার স্থিতিশীল রাখতে ইরানি তেলের যোগান গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গত প্রায় দেড় বছর ধরে বাজারে মন্দাভাব চলছে। এই মন্দাভাব দূর করতে ২০২৩ সাল এবং ২০২৪ সালে তিন দফায় জ্বালানি তেলের দৈনিক উত্তোলন হ্রাস করেছে ওপেক প্লাস।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা পেল বাংলা
ভারতে ‘ধ্রুপদী ভাষা’র মর্যাদা পেয়েছে বাংলা ভাষা। বাংলাসহ মোট পাঁচটি ভাষাকে এ স্বীকৃতি দিয়েছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) ভারতের মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হয়। দিল্লির সংবাদমাধ্যম এবং জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলের খবরে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
খবরে বলা হয়, মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলা, মারাঠি, পালি, প্রাকৃত ও অসমীয়া ভাষাকে ‘ধ্রুপদী ভাষা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুমোদন পায়। এর আগে সংস্কৃত, তেলুগু, তামিল, মালয়ালম, কন্নড় ও ওড়িয়া ভাষাকে এ স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছিল।
এ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, ভারতের অত্যন্ত সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রক্ষার ক্ষেত্রে এটি ঐতিহাসিক পদক্ষেপ। প্রকৃত বৈজ্ঞানিক তথ্য, গবেষণা ও ঐতিহাসিক তথ্যের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ভবিষ্যতেও অন্য ভাষাকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেওয়ার ক্ষেত্রে একই মানদণ্ড ব্যবহার করা হবে।
বাংলা ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার পর উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উচ্ছ্বাসিত হয়ে তিনি বলেন, আমি আনন্দের সঙ্গে জানাচ্ছি, দীর্ঘ লড়ায়ের পর আমাদের মাতৃভাষা বাংলাকে ভারত সরকার একটি ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দিয়েছে। অনেকদিন ধরে আমরা কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সংক্রান্ত গবেষণালব্ধ বিপুল তথ্য জমা দিয়ে দাবি করেছিলাম যাতে বাংলা ভাষাকে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়। আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়েছে। অন্য রাজ্যের ভাষা আগে এই স্বীকৃতি পেলেও বাংলাকে বঞ্চিত রাখা হয়েছিল।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সামাজিক মাধ্যম এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, আমাদের সরকার ভারতের সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করে। আমরা আঞ্চলিক ভাষাগুলোকে জনপ্রিয় করতে দায়বদ্ধ। অসমীয়া, বাংলা, মারাঠি, পালি ও প্রাকৃতকে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা, আমি অত্যন্ত খুশি। এ ভাষাগুলো অপূর্ব, তারা আমাদের অসাধারণ বৈচিত্র্যের সাক্ষী।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আন্তঃসরকার সংস্থা সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশনে (এসসিও) যোগ দিতে পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর। শুক্রবার (০৪ অক্টোবর) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এই তথ্য জানিয়েছেন। খবর, এনডিটিভি’র।
ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, জয়শঙ্কর ১৫ ও ১৬ অক্টোবর ইউরেশীয় নেতাদের সম্মেলনে পাকিস্তানে ভারতীয় প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেবেন। তবে এই সম্মেলনের ফাঁকে তিনি কোনো পাকিস্তানি নেতার সাথে সাক্ষাৎ করবেন কিনা, সেটি জানাননি জয়সওয়াল।
চলতি বছরের জানুয়ারিতে জয়শঙ্কর জানয়েছিলেন, বহু বছরের আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ সমস্যার সমাধান করতে চায় ভারত। তিনি তখন বলেছিলেন, এটি কোনো ভালো প্রতিবেশীর নীতি হতে পারে না।
সবশেষ ২০১৫ সালে ভারতের কোনো মন্ত্রী পাকিস্তান গিয়েছিলেন। সে সময় তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ আফগানিস্তান সংক্রান্ত একটি সফরে সে দেশে গিয়েছিলেন।
প্রসঙ্গত, এসসিও বিশ্বের বৃহত্তম আঞ্চলিক আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংস্থা। ভারত-পাকিস্তান ছাড়াও এই সংস্থার সদস্যের তালিকায় রয়েছে রাশিয়া, চীন, কাজাখস্তান, উজবেকিস্তান, কিরগিজস্তান এবং তাজিকিস্তান।