আন্তর্জাতিক
ব্যাংক ডাকাতি থেকে মন্ত্রিসভা, গল্পকেও যেন হার মানালেন আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী
![ব্যাংক ডাকাতি থেকে মন্ত্রিসভা, গল্পকেও যেন হার মানালেন আফ্রিকার ক্রীড়ামন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Gayton-Mckenzie-South-African-minister.jpg)
পকেটে ফুটো পয়সাও ছিল না। তারপরও স্বপ্ন দেখতেন কোটিপতি হওয়ার। সেই স্বপ্নের ঘোরে কৈশোরেই লুট করে নেন একটি ব্যাংক। তার পর থেকেই দারিদ্র্যের কষাঘাত আর বঞ্চনার জীবন থেকে মুক্তির উচ্চাকাঙ্ক্ষা মাথায় জেঁকে বসে গ্যাটন ম্যাকেনজির।
খুব সহজে ও দ্রুত ওপরে ওঠার সিঁড়ি হিসেবে অপরাধজগৎকে বেছে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণভিত্তিক মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর (কালারড) এই যুবক। ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন গ্যাংস্টার।
তবে একসময় সেই অপরাধের জগৎ থেকে বের হয়ে শুরু করেন ব্যবসা-বাণিজ্য। খনি থেকে শুরু করে নাইট ক্লাব—বিনিয়োগ করেন নানা খাতের ব্যবসায়। সেখানেও আসে সাফল্য। তবে তাঁর উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর স্বপ্ন তাঁকে পৌঁছে দিয়েছে এর চেয়েও বড় উচ্চতায়।
একসময়ের অপরাধজগতের এই নেতা জীবনযুদ্ধের নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জায়গা করে নিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মন্ত্রিসভায়। নতুন সরকারের অধীন দায়িত্ব পেয়েছেন ক্রীড়া, কলা ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রীর।
ম্যাকেনজি অবশ্য রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছেন অনেক আগেই। গড়েছেন একটি রাজনৈতিক দলও। মিশ্র জাতিগোষ্ঠীই দলটির সবচেয়ে বড় সমর্থক।
গত ২৯ মে অনুষ্ঠিত হয় দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় নির্বাচন। দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সিরিল রামাফোসা। তবে তাঁর নেতৃত্বাধীন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) এবার নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এমন পরিস্থিতিতে জাতীয় ঐক্যের সরকার গঠন করেন রামাফোসা। গত রোববার তাঁর মন্ত্রিসভায় নিয়োগ দেন ম্যাকেনজিকে।
মন্ত্রী হওয়ার পর ৫০ বছর বয়সী এই রাজনীতিক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) নিজের একটি ছবি পোস্ট করেছেন। ছবিতে দেখা যায়, ফুটবল খেলার পোশাকে একজোড়া বুট হাতে বসে আছেন তিনি। যেন বুটজোড়া পায়ে দিয়েই মাঠে নেমে পড়বেন। ওই ছবির শিরোনামে ম্যাকেনজি লেখেন, ‘শুভকামনা জানিয়ে পাঠানো সব বার্তার জন্য ধন্যবাদ। আমি শিগগিরই উত্তর দেব। কাজে নেমে পড়তে হবে। তাই এখন নিজেকে প্রস্তুত করতে ব্যস্ত আছি।’
ম্যাকেনজি যেভাবে সব প্রতিকূল পরিস্থিতি উতরে সাফল্যের শিখরে পৌঁছেছেন, তা দক্ষিণ আফ্রিকায় নজির সৃষ্টি করেছে। ১৬ বছর বয়সে পা দেওয়ার আগেই তিনি প্রথম ব্যাংক ডাকাতি করেন। এরপর পুরোদস্তুর গ্যাংস্টার বনে যান। সাত বছর কাটান কারাগারে। সেখান থেকে মুক্তি পাওয়ার পর শপথ নেন নিজেকে বদলে ফেলার। স্থানীয় একটি রেডিও স্টেশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জীবনসংগ্রামের গল্প তুলে ধরেন তিনি।
২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক পাবলিক ব্রডকাস্টার এসএবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ম্যাকেনজি বলেন, ‘আমার পকেটে হয়তো ১২ র্যান্ড (দক্ষিণ আফ্রিকার মুদ্রা) ছিল। কিন্তু আমার মনের মধ্যে ছিল বিলিয়ন র্যান্ড। আর এই বিষয়ই মানুষ বোঝার চেষ্টা করে না। তারা যা নেই, তা নিয়েই ভাবে, তা পাওয়ার জন্য কী করতে হবে, সেদিকে মনোযোগ দেয় না।’
ম্যাকেনজির বক্তব্য এখন স্থানীয় মানুষের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব সৃষ্টি করছে, দিচ্ছে অনুপ্রেরণা। মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন জায়গায় বক্তব্য দেওয়ার জন্য ডাক পাচ্ছেন। তাঁর জীবনী নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে বিভিন্ন বই।
কারাগারে ম্যাকেনজির সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় ক্যানি কুনেন নামের এক কয়েদির। পরবর্তী সময়ে তাঁর সঙ্গে মিলে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি নাইট ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। জিম্বাবুয়েতে শুরু করেন খনির ব্যবসা। যৌথ উদ্যোগে আরও অনেক ব্যবসা রয়েছে তাঁদের।
দক্ষিণ আফ্রিকাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আইওএলের তথ্য অনুসারে, নাইট ক্লাবটি একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায়। কেপটাউনে ম্যাকেনজির নামে নিবন্ধিত ক্লাবের একটি শাখার বিরুদ্ধে ভাড়া ও বিদ্যুৎ বিল না দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ক্লাবটির বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
তখন ম্যাকেনজি বলেছিলেন, ‘ক্লাব করা নিয়ে আমি আগ্রহী নই। অন্য প্রকল্প নিয়ে আমি ব্যস্ত। আমরা জার ব্র্যান্ডের (এই ব্র্যান্ডের অধীন ক্লাবটি পরিচালিত হতো) ইতি টেনেছি। এটি নিয়ে কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নেই।’
বর্তমানে রাজনীতিবিদ হিসেবেই বেশি পরিচিত ম্যাকেনজির। ২০১৩ সালে তিনি প্যাট্রিওটিক অ্যালায়েন্স নামে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেন। বন্ধু ক্যানি কুনেনকে দেন দলের নির্বাহীর দায়িত্ব।
এক দশকের বেশি সময় পর জাতীয় নির্বাচনে মোট ভোটের ২ শতাংশ নিজেদের পক্ষে আনতে সক্ষম হয়েছে দলটি। ওয়েস্টার্ন কেপের প্রাদেশিক পরিষদ নির্বাচনে ৮ শতাংশ ভোট পেয়ে নির্বাচনী লড়াইয়ে নিজেদের ভালো অবস্থানের জানান দেয় দলটি।
রাজনৈতিক দলটির স্লোগান—‘ওনস বাইজা নি।’ আঞ্চলিক ভাষায় ব্যবহৃত এই কথার অর্থ, ‘আমরা ভয় পাই না।’ আফ্রিকার মোট জনসংখ্যার ৮ শতাংশ মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর। সংসদে দলটি এই জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিত্ব করছে।
নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ম্যাকেনজি বলেন, ‘প্যাট্রিওটিক অ্যালায়েন্সের হাত ধরে প্রথমবারের মতো মিশ্র জাতিগোষ্ঠীর কেউ সংসদে জায়গা করে নিল। আমরাই একমাত্র দল, যেটি সংসদে সব বর্ণের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করবে।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক কাগিসো পোই বলেন, সাহসী দৃষ্টিভঙ্গির কারণে নির্বাচনী এলাকায় ম্যাকেনজির বেশ কদর আছে।
ম্যাকেনজি মন্ত্রীর দায়িত্ব পাওয়ার পর দক্ষিণ আফ্রিকার শিশুদের নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। খেলাধুলায় শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ানো গেলে মাদকাসক্তি ও অপরাধের হার কমে আসবে বলে মনে করছেন তিনি।
তবে ম্যাকেনজি চেয়েছিলেন পুলিশবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব। তাঁর দাবি, জীবনের একটা সময় একটি অপরাধী চক্রের নেতা ছিলেন। তাই দক্ষিণ আফ্রিকায় অপরাধের উচ্চ হার কমাতে তিনিই সবচেয়ে ভালো কিছু করতে পারেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
চীনে চাহিদা নিম্নমুখী, এশিয়ায় কমল এলএনজির দাম
![চীনে চাহিদা নিম্নমুখী, এশিয়ায় কমল এলএনজির দাম ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Chinas-gas-imports-increased1.jpg)
অর্থনীতির অন্যতম শীর্ষ দেশ চীনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় পণ্যটির দাম কমেছে। শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি এমএমবিটিইইউ এলএনজির গড় মূল্য ছিল ১২ ডলার ২০ সেন্ট, গত সপ্তাহে যা ছিল ১২ ডলার ৫০ সেন্ট।
রয়টার্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন গ্রীষ্মজুড়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি কমাতে পারে। মজুদ সক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হওয়ায় এবং স্পট মার্কেটে দাম বাড়ায় সামনের মাসগুলোয় এলএনজি আমদানি কমাবে দেশটি।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সমুদ্র ও পাইপলাইন দিয়ে চীন রেকর্ড ৫ কোটি ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছে। এর আগে ২০২১ সালের একই সময় দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ টন।
এছাড়া চীন গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৪ কোটি ৭০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ। অন্যদিকে ইউরোপেও চলতি সপ্তাহে এলএনজির দাম কমেছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোয় প্রয়োজনীয় মজুদ থাকায় চাহিদা তুলনামূলক কমে এসেছে, যা দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
ইউরোপে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস গত বৃহস্পতিবার আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে নর্থ-ওয়েস্ট ইউরোপ এলএনজি মার্কার বাজার আদর্শের দাম স্থির হয়েছে প্রতি এমএমবিটিইউতে ১০ ডলার ৪৩২ সেন্ট। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভার্চুয়াল ট্রেডিং পয়েন্ট টিটিএফে প্রতি এমএমবিটিইউতে দশমিক ১৫ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী কে এই শাবানা?
![যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী কে এই শাবানা? ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Shabana-Mahmood1.jpg)
যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম নারী নিয়োগ দিয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফেরা লেবার পার্টি। কাশ্মীর বংশোদ্ভূত এ নারীর নাম শাবানা মাহমুদ। তিনি দেশটির প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী।
শনিবার (০৬ জুলাই) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩২৬টি আসনের প্রয়োজন হয়।
জানা গেছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন কিয়ার স্টারমার। এরপরই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা শুরু করেন তিনি। এতে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শাবানা মাহমুদ নামের এক মুসলিম নারী। যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
শাবানা মাহমুদের জন্ম বার্মিংহামে। তিনি পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা মা কাশ্মীরের মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের তায়েফে কাটিয়েছেন শাবানা।
প্রথম অব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে ২০১০ সালে হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন শাবানা। একই বছরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রুশনারা আলি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইয়াসমিন কুরেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শাবানা মাহমুদ কেবল প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রীই নন, তিনি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী যিনি লর্ড অব চ্যান্সেলর নামক প্রাচীন পদটিও গ্রহণ করেছেন।
শাবানা এর আগে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সাল তিনি লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী
![অবৈধ অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/starmer.jpg)
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বড় সুখবর দিলো দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল ঘোষণা করেছেন। সদ্যই বিদায় নেওয়া ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছিল।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত অভিবাসন প্রত্যাশীরা যেন ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ না করেন সেজন্য এমন একটি উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হবে না বলে জানিয়েছেন স্টারমার।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) স্টারমার এ ব্যাপারে বলেছেন, শুরু হওয়ার আগেই রুয়ান্ডা পরিকল্পনার মৃত্যু ও সমাধি হয়েছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকাতে এটি কখনোই প্রতিবন্ধক ছিল না। আমি এ ধরনের প্রতারণা কৌশল অব্যাহত রাখব না, যেটি কোনো কাজে দেয় না।
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী ছোট নৌকায় করে আসেন তাদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র ১ শতাংশ। আর এ বিষয়টি খুব ভালো করেই জানে গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরফলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে নিয়ে আসা অব্যাহত রেখেছে তারা।
চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিতর্কিত এই আইনটি পাস করা হয়। ওই সময় বলা হয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য রুয়ান্ডা একটি নিরাপদ দেশ হবে।
এর আগে, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল মানবিক দিক বিবেচনা করলে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা একটি অবৈধ পরিকল্পনা। কিন্তু আদালতকে টপকে ঋষি সুনাক পার্লামেন্টে আইনটি পাস করান। এরপর মে মাস থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকে ধরপাকড় শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
স্টারমারকে মোদীর অভিনন্দন
![স্টারমারকে মোদীর অভিনন্দন ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/stromark-mudi.jpg)
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে শনিবার (৬ জুলাই) টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান মোদী। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) কাজ দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে সম্মত হন উভয় রাষ্ট্রপ্রধান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেছেন। পাশাপাশি তারা ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও অগ্রসর করার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফোনালাপে যুক্তরাজ্যের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতা সাধারণ জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে রাজি হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলে আমি আনন্দিত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন। আমরা আমাদের জনগণের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব ও দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সদ্য বিদায় নেওয়া ঋষি সুনাককে শুভকামনা জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ঋষি সুনাক, প্রশংসনীয় নেতৃত্ব ও দায়িত্বে থাকাকালীন ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আপনার সক্রিয় অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার ভবিষ্যৎ ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
৪ জুলাই শেষ হওয়া যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। এর মাধ্যে দেশটিতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামলের পতন ঘটেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার বলেন, যে যাকে ভোট দিক না কেন, দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সব নাগরিকদের সেবা করা আমার দায়িত্ব। যুক্তরাজ্যে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অবিলম্বে দেশের পুনর্গঠন শুরু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি, যারা পাবেন এই সুযোগ
![নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি, যারা পাবেন এই সুযোগ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/01/soudi-1.jpg)
প্রথম সারির বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দিয়েছে সৌদি আরব। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্বের অনুমোদন দেয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছে সৌদি প্রশাসন।
নাগরিকত্ব পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও আরও কয়েকটি পেশার বেশ কয়েকজন। তবে, ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভিশন ২০৩০-এর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশটি। এমনটাই বলছে সংবাদ সংস্থা এসপিএ। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি চাইছে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনতে। আর অন্যান্য সৃজনশীল কাজে বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে। তবে, কোন কোন খাতকে টার্গেট করা হয়েছে তা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশারক আল আওসাত বলছে, যাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার নাগরিক হেভোলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মেহমুদ খান, বিজ্ঞানী জ্যাকি ইউ-রু ইং, লেবাননের বিজ্ঞানী নেভিন কাশাব।
সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট বলছে, এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।
সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তেল বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য তেল বহির্ভূত রপ্তানি জিডিপির ১৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।
কাফি