আন্তর্জাতিক
আগামী সপ্তাহে রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি
![আগামী সপ্তাহে রাশিয়া যাচ্ছেন মোদি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Narendra-Modi.jpg)
আগামী ৮ ও ৯ জুলাই রাশিয়া সফরে যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী মস্কো সফরে যাচ্ছেন বলে বৃহস্পতিবার ক্রেমলিন জানিয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলায় মস্কো এবং নয়াদিল্লির মধ্যকার সম্পর্ক নানা ধরনের পরীক্ষার মুখোমুখি হয়েছে। পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও ভারত তা উপেক্ষা করেছে। শুধু তাই নয়, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মাঝেই রাশিয়ার কাছ থেকে তেলের ক্রয় বাড়িয়েছে ভারত।
এক বিবৃতিতে ক্রেমলিন বলেছে, নরেন্দ্র মোদি এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বপূর্ণ রুশ-ভারত সম্পর্কের আরও উন্নয়নের সম্ভাবনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করবেন।
পশ্চিমা বিশ্বে রাশিয়া বিচ্ছিন্ন হলেও মোদিকে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক মিত্র হিসেবে দেখেন পুতিন। তবে ইউক্রেনের সঙ্গে সম্পর্ক জটিল রয়েছে ভারতের।
এর আগে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উজবেকিস্তানে আঞ্চলিক এক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন ও মোদির মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। সেই বৈঠকে রুশ প্রেসিডেন্ট মোদিকে বলেছিলেন, তিনি বুঝতে পেরেছেন, এই সংঘাত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে ‘উদ্বেগ’ তৈরি করেছে এবং এবং মোদি চান ‘শিগগিরই’ সংঘাতের অবসান হোক।
চলতি বছরের শুরুর দিকে ভারত বলেছিল, রাশিয়ার সেনাবাহিনীতে সহায়তাকারী হিসেবে ইউক্রেন যুদ্ধে যোগ দেওয়া ভারতীয় কিছু নাগরিককে মুক্তি দেওয়ার জন্য মস্কোকে চাপ দিচ্ছে নয়াদিল্লি। ইউক্রেনে যুদ্ধ করতে ওই ভারতীয়দের বাধ্য করা হয়েছে বলেও নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এছাড়া রাশিয়ার কয়েকটি সীমান্ত শহরে আটকা পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করতে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ভারত। একই সঙ্গে নিজ নাগরিকদের ‘এই সংঘাত থেকে দূরে থাকার’ আহ্বান জানিয়েছে নয়াদিল্লি।
চলমান সংঘাতে কিয়েভের কট্টর সমর্থকের ভূমিকায় দেখা যায়নি নয়াদিল্লিকে। গত মাসে সুইজারল্যান্ডে অনুষ্ঠিত শীর্ষ শান্তি সম্মেলনে যৌথ বিবৃতিতে স্বাক্ষর করতে অস্বীকৃতি জানায় ভারত। ওই বিবৃতিতে যেকোনও ধরনের শান্তি চুক্তিতে ইউক্রেনের আঞ্চলিক অখণ্ডতার প্রতি সম্মান জানানোর আহ্বান ছিল।
পশ্চিমা বিশ্বের ঐতিহ্যবাহী বাজার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর রাশিয়ার তেলের অন্যতম বৃহৎ ক্রেতা হয়ে উঠেছে ভারত। এমনকি রাশিয়ার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের নিত্যপণ্যও রপ্তানি করে ভারত।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
আন্তর্জাতিক
চীনে চাহিদা নিম্নমুখী, এশিয়ায় কমল এলএনজির দাম
![চীনে চাহিদা নিম্নমুখী, এশিয়ায় কমল এলএনজির দাম ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Chinas-gas-imports-increased1.jpg)
অর্থনীতির অন্যতম শীর্ষ দেশ চীনে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) চাহিদা নিম্নমুখী হওয়ায় পণ্যটির দাম কমেছে। শিল্পসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহে উত্তর-পূর্ব এশিয়ায় আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে প্রতি এমএমবিটিইইউ এলএনজির গড় মূল্য ছিল ১২ ডলার ২০ সেন্ট, গত সপ্তাহে যা ছিল ১২ ডলার ৫০ সেন্ট।
রয়টার্সের সম্প্রতি প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, চীন গ্রীষ্মজুড়ে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলএনজি) আমদানি কমাতে পারে। মজুদ সক্ষমতা প্রায় পূর্ণ হওয়ায় এবং স্পট মার্কেটে দাম বাড়ায় সামনের মাসগুলোয় এলএনজি আমদানি কমাবে দেশটি।
চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অব কাস্টমসের তথ্যানুসারে, চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে সমুদ্র ও পাইপলাইন দিয়ে চীন রেকর্ড ৫ কোটি ৫০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছে। এর আগে ২০২১ সালের একই সময় দেশটির আমদানির পরিমাণ ছিল ৫ কোটি ৫০ লাখ টন।
এছাড়া চীন গত বছরের প্রথম পাঁচ মাসে ৪ কোটি ৭০ লাখ টন এলএনজি আমদানি করেছিল। ২০২২ সালের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ৪ কোটি ৬০ লাখ। অন্যদিকে ইউরোপেও চলতি সপ্তাহে এলএনজির দাম কমেছে। এ অঞ্চলের দেশগুলোয় প্রয়োজনীয় মজুদ থাকায় চাহিদা তুলনামূলক কমে এসেছে, যা দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
ইউরোপে এসঅ্যান্ডপি গ্লোবাল কমোডিটি ইনসাইটস গত বৃহস্পতিবার আগস্ট সরবরাহ চুক্তিতে নর্থ-ওয়েস্ট ইউরোপ এলএনজি মার্কার বাজার আদর্শের দাম স্থির হয়েছে প্রতি এমএমবিটিইউতে ১০ ডলার ৪৩২ সেন্ট। এছাড়া নেদারল্যান্ডসে প্রাকৃতিক গ্যাসের ভার্চুয়াল ট্রেডিং পয়েন্ট টিটিএফে প্রতি এমএমবিটিইউতে দশমিক ১৫ শতাংশ ছাড় দেয়া হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী কে এই শাবানা?
![যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী কে এই শাবানা? ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Shabana-Mahmood1.jpg)
যুক্তরাজ্যে ক্ষমতায় ফিরে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ে প্রথমবারের মতো একজন মুসলিম নারী নিয়োগ দিয়েছে দীর্ঘ ১৪ বছর পর ক্ষমতায় ফেরা লেবার পার্টি। কাশ্মীর বংশোদ্ভূত এ নারীর নাম শাবানা মাহমুদ। তিনি দেশটির প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী।
শনিবার (০৬ জুলাই) ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যে পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ৪১২ আসনে জয় পেয়েছে লেবার পার্টি। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি পেয়েছে ১২১টি আসন। দেশটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ৩২৬টি আসনের প্রয়োজন হয়।
জানা গেছে, নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শুক্রবার থেকে দায়িত্ব পালন শুরু করেছেন কিয়ার স্টারমার। এরপরই মন্ত্রিসভার সদস্যদের নাম ঘোষণা শুরু করেন তিনি। এতে আইন ও বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন শাবানা মাহমুদ নামের এক মুসলিম নারী। যুক্তরাজ্যের প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রী হয়েছেন তিনি।
শাবানা মাহমুদের জন্ম বার্মিংহামে। তিনি পাকিস্তানশাসিত আজাদ কাশ্মীর বংশোদ্ভূত। তার বাবা মা কাশ্মীরের মিরপুরের বাসিন্দা ছিলেন। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত সৌদি আরবের তায়েফে কাটিয়েছেন শাবানা।
প্রথম অব্রিটিশ মুসলিম নারী হিসেবে ২০১০ সালে হাউস অব কমন্সে নির্বাচিত হন শাবানা। একই বছরে বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত রুশনারা আলি ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত ইয়াসমিন কুরেশি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
শাবানা মাহমুদ কেবল প্রথম নারী মুসলিম বিচারমন্ত্রীই নন, তিনি দেশটির ইতিহাসে দ্বিতীয় নারী যিনি লর্ড অব চ্যান্সেলর নামক প্রাচীন পদটিও গ্রহণ করেছেন।
শাবানা এর আগে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ছায়ামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৬ সাল তিনি লেবার পার্টির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন তিনি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
অবৈধ অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী
![অবৈধ অভিবাসীদের সুসংবাদ দিলেন যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/starmer.jpg)
যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত অবৈধ অভিবাসীদের জন্য বড় সুখবর দিলো দেশটির নতুন প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার। তিনি অবৈধ অভিবাসীদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর পরিকল্পনা বাতিল ঘোষণা করেছেন। সদ্যই বিদায় নেওয়া ঋষি সুনাকের কনজারভেটিভ সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছিল।
আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত অভিবাসন প্রত্যাশীরা যেন ছোট নৌকায় করে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ না করেন সেজন্য এমন একটি উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এটি কোনো কার্যকর ব্যবস্থা হবে না বলে জানিয়েছেন স্টারমার।
স্থানীয় সময় শনিবার (৬ জুলাই) স্টারমার এ ব্যাপারে বলেছেন, শুরু হওয়ার আগেই রুয়ান্ডা পরিকল্পনার মৃত্যু ও সমাধি হয়েছে। অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকাতে এটি কখনোই প্রতিবন্ধক ছিল না। আমি এ ধরনের প্রতারণা কৌশল অব্যাহত রাখব না, যেটি কোনো কাজে দেয় না।
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, যেসব অভিবাসন প্রত্যাশী ছোট নৌকায় করে আসেন তাদের রুয়ান্ডায় পাঠানোর সম্ভাবনা মাত্র ১ শতাংশ। আর এ বিষয়টি খুব ভালো করেই জানে গ্যাংয়ের সদস্যরা। এরফলে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ঝুঁকিপূর্ণ উপায়ে ইউরোপে নিয়ে আসা অব্যাহত রেখেছে তারা।
চলতি বছরের এপ্রিলে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে বিতর্কিত এই আইনটি পাস করা হয়। ওই সময় বলা হয় অভিবাসন প্রত্যাশীদের জন্য রুয়ান্ডা একটি নিরাপদ দেশ হবে।
এর আগে, দেশটির সুপ্রিম কোর্ট রায় দিয়েছিল মানবিক দিক বিবেচনা করলে রুয়ান্ডা পরিকল্পনা একটি অবৈধ পরিকল্পনা। কিন্তু আদালতকে টপকে ঋষি সুনাক পার্লামেন্টে আইনটি পাস করান। এরপর মে মাস থেকে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকে ধরপাকড় শুরু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
স্টারমারকে মোদীর অভিনন্দন
![স্টারমারকে মোদীর অভিনন্দন ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/stromark-mudi.jpg)
যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে শনিবার (৬ জুলাই) টেলিফোনে কথা বলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এ সময় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান মোদী। সেই সঙ্গে দুই দেশের মধ্যে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) কাজ দ্রুত কার্যকর করার বিষয়ে সম্মত হন উভয় রাষ্ট্রপ্রধান।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় (পিএমও) থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, উভয় নেতা দুই দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা স্মরণ করেছেন। পাশাপাশি তারা ভারত-যুক্তরাজ্যের মধ্যে ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও গভীর ও অগ্রসর করার জন্য প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ফোনালাপে যুক্তরাজ্যের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক উন্নয়নে ভারতীয় সম্প্রদায়ের ইতিবাচক অবদানের প্রশংসা করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী। দুই নেতা সাধারণ জনগণের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ককে এগিয়ে নিতে ও নিয়মিত যোগাযোগ রাখতে রাজি হয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন, কিয়ার স্টারমারের সঙ্গে কথা বলে আমি আনন্দিত। যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার জন্য তাকে অভিনন্দন। আমরা আমাদের জনগণের অগ্রগতি, সমৃদ্ধি ও বৈশ্বিক উন্নয়নের জন্য ব্যাপক কৌশলগত অংশীদারত্ব ও দৃঢ় অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীত্ব থেকে সদ্য বিদায় নেওয়া ঋষি সুনাককে শুভকামনা জানিয়ে পোস্ট করেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। সেখানে তিনি লিখেছিলেন, ঋষি সুনাক, প্রশংসনীয় নেতৃত্ব ও দায়িত্বে থাকাকালীন ভারত-যুক্তরাজ্যের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে আপনার সক্রিয় অবদানের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার ভবিষ্যৎ ও আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইলো।
৪ জুলাই শেষ হওয়া যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে কিয়ার স্টারমারের লেবার পার্টি। এর মাধ্যে দেশটিতে কনজারভেটিভ পার্টির ১৪ বছরের শাসনামলের পতন ঘটেছে।
শনিবার (৬ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী হিসেবে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে স্টারমার বলেন, যে যাকে ভোট দিক না কেন, দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বেশেষে সব নাগরিকদের সেবা করা আমার দায়িত্ব। যুক্তরাজ্যে পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অবিলম্বে দেশের পুনর্গঠন শুরু হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি, যারা পাবেন এই সুযোগ
![নাগরিকত্ব দিচ্ছে সৌদি, যারা পাবেন এই সুযোগ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/01/soudi-1.jpg)
প্রথম সারির বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত প্রবাসীদের নাগরিকত্ব দিয়েছে সৌদি আরব। গত বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বেশ কয়েকজনকে নাগরিকত্বের অনুমোদন দেয়া হয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সৃজনশীল ব্যক্তিদের আকৃষ্ট করতে এবং অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলার উন্নয়নে দেশটি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
সৌদি আরবের সংবাদ সংস্থা এসপিএর বরাতে সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ বলছে, সম্প্রতি এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছে সৌদি প্রশাসন।
নাগরিকত্ব পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, গবেষক, উদ্ভাবক, উদ্যোক্তা ও আরও কয়েকটি পেশার বেশ কয়েকজন। তবে, ঠিক কতজনকে এই নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে, তা প্রতিবেদনে বলা হয়নি।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ভিশন ২০৩০-এর দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল দেশটি। এমনটাই বলছে সংবাদ সংস্থা এসপিএ। তাদের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, দেশটি চাইছে তেলনির্ভরতা কমিয়ে আনতে। আর অন্যান্য সৃজনশীল কাজে বেশি বেশি বিনিয়োগ করতে। তবে, কোন কোন খাতকে টার্গেট করা হয়েছে তা ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি।
সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আশারক আল আওসাত বলছে, যাদের নাগরিকত্ব দেয়া হয়েছে তারা আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও সিঙ্গাপুর থেকে এসেছেন। এ তালিকায় রয়েছেন আমেরিকার নাগরিক হেভোলিউশন ফাউন্ডেশনের প্রধান নির্বাহী মেহমুদ খান, বিজ্ঞানী জ্যাকি ইউ-রু ইং, লেবাননের বিজ্ঞানী নেভিন কাশাব।
সংবাদমাধ্যম সৌদি গেজেট বলছে, এর আগে ২০২১ সালে প্রথমবার বিদেশিদের এমন নাগরিকত্ব অনুমোদন দেন সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। এর তিন বছর পর আবারও এই অনুমোদন মিলল।
সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ হলেও, তেল বহির্ভূত আয় বৃদ্ধির জন্য বৈশ্বিক বিনিয়োগের দিকে ঝুঁকছে। ভিশন ২০৩০-এর লক্ষ্য তেল বহির্ভূত রপ্তানি জিডিপির ১৬ শতাংশ থেকে ৫০ শতাংশে উন্নীত করা।
কাফি