সারাদেশ
সিলেটে বাঁধ ভেঙে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি
![সিলেটে বাঁধ ভেঙে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/the-flood.jpg)
ভারতের বরাক নদী দিয়ে নেমে আসা উজানি ঢলে ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়েছে সিলেটের জকিগঞ্জ উপজেলা। উজানি ঢলের ব্যাপক স্রোতে নদীর বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করায় ভোগান্তিতে পড়েছেন বেশ কয়েকটি এলাকার বাসিন্দারা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার ছবড়িয়া, রারাই, বাখরশাল, পৌর এলাকার নরসিংহপুরসহ কয়েকটি এলাকায় বাঁধ ভেঙে ও বাঁধ উপচে নদীর পানি লোকালয়ে ঢুকে লক্ষাধিক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৫৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, পাহাড়ি ঢল আর অতিবৃষ্টিতে আমাদের নদ-নদীর পানি বেশ কয়েক জায়গায় বিপৎসীমার ওপরে রয়েছে। এতে করে সিলেটের প্রায় ২৫ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং বেশকিছু জায়গায় বাঁধ ভেঙে বা উপচে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করেছে। পানি না কমা পর্যন্ত এসকল বাঁধ মেরামত সম্ভব নয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুশিয়ারা নদীর বাঁধ ভেঙে জকিগঞ্জ পৌর এলাকার একটি অংশসহ উপজেলার অন্তত পাচঁটি ইউনিয়নে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। বন্যাকবলিত এলাকার স্কুল, কলেজ, মাদরাসা, মসজিদ-মন্দিররসহ বেশকিছু জায়গার সড়ক পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে করে স্থানীয়রা বিশুদ্ধ পানি, স্যানিটেশন, পানিবাহিত রোগবালাই ও গবাদিপশু নিয়ে সংকটকালীন মুহূর্ত পার করছেন।
জকিগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা জুনেদ আহমদ চৌধুরী জানান, প্রবল পানির স্রোতে জকিগঞ্জের কিছু এলাকায় বাঁধ ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করেছে। মানুষজন প্রাণ বাঁচাতে আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। অনতিবিলম্বে এই অঞ্চলকে বন্যাদুর্গত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা দিয়ে বিপদগ্রস্তদের পর্যাপ্ত পরিমাণে ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হোক।
জকিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আফসানা তাসলিম বলেন, এখন পর্যন্ত উপজেলার এক লাখের ওপর মানুষ পানিবন্দি অবস্থায় আছেন। ৫৮টি আশ্রয়কেন্দ্রে বন্যাকবলিত মানুষজন আশ্রয় নিয়েছেন। পানিবন্দি মানুষের জন্য শুকনো খাবার ও চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এগুলা প্রয়োজনভেদে আমরা বিতরণ করছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
কুড়িগ্রামে ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ষোষণা
![কুড়িগ্রামে ৩৪১ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ষোষণা ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/the-flood-2.jpg)
কুড়িগ্রামে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমার নদের পানি। ব্রহ্মপুত্রের পানি সামান্য হ্রাস পেয়ে চিলমারী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৬৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অন্যদিকে পানি বৃদ্ধি পেয়ে ধরলার পানি তালুক শিমুলবাড়ী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ও দুধকুমারের পানি পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বেড়েছে তিস্তার পানিও। এদিকে বন্যার পানি ওঠায় জেলার ৯ উপজেলায় ৩৪১টি প্রাথমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে।
বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত থাকায় জেলার নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ৭ দিন ধরে বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকেই ঘর-বাড়ি ছেড়ে গবাদি পশু নিয়ে উঁচু সড়ক ও বাঁধে আশ্রয় নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবার সংকটে পড়েছেন চরাঞ্চলের বন্যা কবলিতরা। পাশাপাশি গবাদি পশুর খাদ্য সংকট নিয়েও বিপাকে পড়েছেন তারা। তবে বানভাসী মানুষের মাঝে সরকারিভাবে কিছু ত্রাণ সহয়তা লক্ষ্য করা গেলেও বেসরকারি ভাবে তেমন ত্রাণ সহয়তা দেখা যায়নি।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, বন্যার পানি ওঠার কারণে ১২১টি মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক ও মাদরাসায় পাঠদান সাময়িক বন্ধ করা হয়েছে। বন্যা কবলিত নয়, এমন সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন জানান, ৯ উপজেলায় বন্যায় প্লাবিত বিদ্যালয়ের সংখ্যা ২৫৩টি। এর মধ্যে পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২২০টির।
জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা আব্দুল হাই সরকার বলেন, বন্যা মোকাবেলায় ৩১৭ মেট্রিক টন চাল, ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ও ১৯ হাজার ৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পঞ্চগড়ে ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড
![পঞ্চগড়ে ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/rain.jpg)
পঞ্চগড়ে গত ২৭ ঘণ্টায় ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত এই বৃষ্টিপাত রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র।
বৃষ্টির সঙ্গে দমকা হাওয়া ও বজ্রপাত না থাকলেও কখনো হালকা মাঝারি ও মুষলধারায় বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এতে করে জনজীবনে কিছুটা স্থবিরতা দেখা গেছে। প্রয়োজনে অনেকেই ছাতা নিয়ে বের হচ্ছে। এদিকে জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোতে অন্যদিনের তুলনায় মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম লক্ষ করা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ্ বলেন, তীব্র তাপদাহের পর জেলায় স্বস্তির বৃষ্টি হয়েছে। এদিকে গত শনিবার (৬ জুলাই) থেকে রবিবার (৭ জুলাই) সকাল ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এদিকে রবিবার সকাল ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত পরবর্তী ৩ ঘণ্টায় ৭৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। সর্বমোট গত ২৭ ঘণ্টায় ১৭৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
এই বৃষ্টিপাত আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলেও জানান তিনি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ফেনীতে বন্যায় ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ
![ফেনীতে বন্যায় ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/bonna-2.jpg)
ফেনীর উত্তরের দুই উপজেলায় মুহুরী-কহুয়া-সিলোনিয়া বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে বিভিন্ন এলাকার অধিকাংশ পুকুর ও ঘেরের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। বন্যায় মৎস্যখাতে রেণু, বড় মাছ ও পুকুরের অবকাঠামো মিলে ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে সামনে আসে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ।
জেলা মৎস্য বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েকদিনে ফুলগাজী ও পরশুরামে বন্যায় মাছ চাষিদের অন্তত ১ কোটি ১৮ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দেড় হাজারের বেশি খামারি। বন্যার পানিতে ভেসে গেছে দুই উপজেলার একক ও যৌথ মালিকানাধীন প্রায় ৩২৫টি পুকুর। এসব পুকুর থেকে ৫৭ লাখ টাকার বড় মাছ এবং ৩৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। এছাড়া দুই উপজেলায় খামারিদের প্রায় ২২ লাখ টাকার অবকাঠামো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, ফুলগাজী উপজেলায় ২৪৫টি পুকুর ভেসে সাড়ে ৪০ লাখ টাকার মাছ ও সাড়ে ৭ লাখ টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের ২০ লাখ টাকার আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে গেছে। সব মিলিয়ে ফুলগাজীতে ৬৮ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি নিরূপন করা হয়েছে। একইভাবে পরশুরাম উপজেলায় ৮০টি পুকুর ভেসে ১৭ লাখ ২৫ হাজার টাকার মাছ ও ৩০ লাখ ৭০ হাজার টাকার মাছের পোনা ভেসে গেছে। উপজেলায় মাছ চাষিদের অবকাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টাকা। সব মিলিয়ে পরশুরামের মৎস্যখাতে প্রায় সাড়ে ৫০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।
দক্ষিণ শালধর এলাকার মৎস্য খামারি আলমগীর হোসেন বলেন, নদীর পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পুকুরের চারপাশে নেট জাল দিয়ে ঘিরে রেখেছিলাম। কিন্তু বাঁধ ভেঙে পানির তীব্র স্রোতে কিছুই কাজে আসেনি। সবকিছু পানিতে ভেসে গেছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বন্যায় ৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
![বন্যায় ৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/the-flood-2.jpg)
গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। শুক্রবার (৫ জুলাই) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
শহীদুল ইসলাম জানান, গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ১৫টি, সাঘাটায় ২২টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। এমন ৬৬টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এ সব স্কুলে পাঠদান শুরু করা হবে।
তিনি জানান, জেলায় মোট ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। তার ৬৬টিতে পাঠদান বন্ধ ও ৪টির বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ১৫টি স্কুল। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ৭টি। এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে, কয়েকদিন ধরেই নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। কাঁচা রাস্তা তলিয়ে গেছে। শিশু-বৃদ্ধসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, বন্ধ ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
![বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, বন্ধ ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/bonna-2.jpg)
টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে পানি প্রবেশ করায় ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক ভেঙে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। এছাড়া ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়ন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ও মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়ক, মাহমুদপুর, নাংলা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় সূত্র জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় ইসলামপুর উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মেলান্দহ উপজেলায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
এমআই