সারাদেশ
সেপটিক ট্যাংকে পড়ে প্রাণ গেল ৩ জনের
রংপুরের মিঠাপুকুরে সেপটিক ট্যাংকে পড়ে ৩ জন মারা গেছেন। আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার উদয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস। পরে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
নিহতরা হলেন- মা দেলোয়ারা বেগম ও তার ছেলে ইদা মিয়া এবং প্রতিবেশী ইবলুল মিয়া।
জানা যায়, দেলোয়ারা নামে এক নারী সেপটিক ট্যাংক ভেঙে পড়ে যায়। এ সময় তাকে উদ্ধার করতে গিয়ে ছেলে ইদা ও প্রতিবেশী ইবলুল মিয়াও ট্যাংকে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট তাদের মরদেহ উদ্ধার করে।
মিঠাপুকুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ করা হয়নি। অসাবধানতার কারণে ঘটনা ঘটেছে।
এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ওই এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। গ্রামের লোকজন ছাড়াও আশপাশের গ্রামের লোকজন এমন খবরে গ্রামটিতে ছুটে গিয়ে নিহতের স্বজনদের সান্ত্বনা দিচ্ছেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বন্যায় ৬৬ প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা
গাইবান্ধা সদরসহ সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের ৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থী কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। শুক্রবার (৫ জুলাই) জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
শহীদুল ইসলাম জানান, গাইবান্ধা সদরে ১৭টি, ফুলছড়িতে ১৫টি, সাঘাটায় ২২টি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ১২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে জেলার চার উপজেলার নিম্নাঞ্চলের ঘরবাড়ি, রাস্তাঘাটসহ বেশকিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। এ অবস্থায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা কেউই স্কুলে আসতে পারছেন না। এমন ৬৬টি স্কুলের পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে এ সব স্কুলে পাঠদান শুরু করা হবে।
তিনি জানান, জেলায় মোট ৭০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পানি উঠেছে। তার ৬৬টিতে পাঠদান বন্ধ ও ৪টির বড় ধরণের ক্ষতি হয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে ১৫টি স্কুল। এ ছাড়া নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ৭টি। এর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।
এদিকে, কয়েকদিন ধরেই নদ-নদীর পানি বেড়ে প্লাবিত হয়েছে গাইবান্ধার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। গাইবান্ধা সদর, সুন্দরগঞ্জ, ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলার ২০টি ইউনিয়নে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ।
তলিয়ে গেছে বিস্তীর্ণ এলাকার পাট, বাদাম ও শাক-সবজিসহ বিভিন্ন ফসল। কাঁচা রাস্তা তলিয়ে গেছে। শিশু-বৃদ্ধসহ গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে যমুনার পানি, বন্ধ ২৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
টানা ভারী বর্ষণে জামালপুরে যমুনা নদীর পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলের মানুষ। এরই মধ্যে পানি প্রবেশ করায় ২৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জামালপুর কার্যালয়ের পানি পরিমাপক আবদুল মান্নান বলেন, যমুনার পানি দ্রুতগতিতে বাড়ছে। যেভাবে পানি বাড়ছে, এতে নতুন নতুন আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে বিপৎসীমার ৯২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সড়ক ভেঙে ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সঙ্গে উপজেলা শহরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে লোকালয়ে ঢুকতে শুরু করেছে পানি। এছাড়া ইসলামপুর উপজেলার চিনাডুলী, কুলকান্দি, বেলগাছা, নোয়ারপাড়া ও সাপধরী ইউনিয়ন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার চুকাইবাড়ী, বাহাদুরাবাদ ও চিকাজানী ও মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়ক, মাহমুদপুর, নাংলা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল এবং দুর্গম চরাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। বিভিন্ন গ্রামের ফসলি মাঠ তলিয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস কার্যালয় সূত্র জানা যায়, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি ওঠায় ইসলামপুর উপজেলার ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া মেলান্দহ উপজেলায় দুটি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে পানি ঢুকেছে। তবে এখন পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
কর্মসংস্থান ব্যাংকের ৬ লাখ টাকা নিয়ে উধাও নিরাপত্তারক্ষী
কর্মসংস্থান ব্যাংকের চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলার আলীগঞ্জ শাখার নিরাপত্তারক্ষী পাঁচ লাখ ৭৯ হাজার ৩৩০ টাকা নিয়ে উধাও হয়েছেন। এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন ব্যাংক ম্যানেজার হাসিনা বেগম। নিখোঁজ নিরাপত্তারক্ষী বাবুল হোসেন পাটোয়ারী শাহরাস্তি উপজেলার গোলপুরা পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার (৪ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুর রশিদ।
নিখোঁজ ডায়েরিতে ম্যানেজার উল্লেখ করেন, বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে প্রতিদিনের মতো নিরাপত্তারক্ষী বাবুল হোসেন পাটোয়ারীকে ব্যাংকের অবশিষ্ট টাকা হাজীগঞ্জ বাজারের জনতা ব্যাংকে জমা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। কিন্তু ব্যাংকে কোনও টাকা জমা হয়নি। তারও কোনও খোঁজ মেলেনি।
এদিকে, নিরাপত্তারক্ষীর মাধ্যমে টাকা প্রেরণের প্রসঙ্গে জনবল সংকটের কথা জানান ব্যাংকের ম্যানেজার।
হাজীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রশিদ জানান, তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে নিরাপত্তারক্ষী বাবুল হোসেনকে শনাক্তকরণের কাজ চলছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পাবনায় প্রাইভেটকার উল্টে নিহত ৫
পাবনার ঈশ্বরদীতে প্রাইভেটকার উল্টে ৫ যাত্রী নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে উপজেলার ঈশ্বরদী-পাবনা মহাসড়কের পাবনা সুগারমিলের সামনের সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশ জানান, দাশুড়িয়া থেকে পাবনাগামী দ্রুত গতির প্রাইভেটকার সুগারমিলের সামনের সড়কে উল্টে ঘটনাস্থলেই ৩ জন নিহত হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও দুই মারা যান। এ ঘটনায় আহত ৩ জনকে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়ার হাউজ ইন্সপেক্টর মীর আমিরুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আহত ৩ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। সেখানে আর কেউ মারা গেছে কি না জানতে পারিনি।
ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আর এমও শফিকুল ইসলাম শামীম বলেন, ৩ জন ঘটনাস্থলে মারা গেছেন। ২ জন হাসপাতালে মারা গেছেন। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাজশাহীতে চলে গেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, নিহতদের পরিচয় এখনো শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। পুলিশ পরিচয় শনাক্তে কাজ করছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সিঙ্গাপুরের চেয়ে দেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম: মন্ত্রী
সিঙ্গাপুরের চেয়ে বাংলাদেশে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কম বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সচিবালয়ে সারা দেশে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধবিষয়ক জাতীয় কমিটির চলতি বছরের দ্বিতীয় সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী বলেন, ডেঙ্গু নিয়ে বিশেষজ্ঞরা আমাদের যেসব পরিসংখ্যান দিয়েছেন, সেসব বিষয়ে আমরা সতর্ক আছি। সিঙ্গাপুরের চেয়ে বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। তাই সিটি করপোরেশনসহ সেবা সংস্থাগুলোর কার্যক্রমে সন্তুষ্ট না হওয়ার কোনো কারণ নেই।
তিনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের পরিসংখ্যান অনুযায়ী সবাই সচেতন আছে। সবাই সচেতন আছে বলেই এখন পর্যন্ত এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছি। আশা করি ঢাকা-চট্টগ্রামসহ সব সিটি করপোরেশন ও উপজেলা, ইউনিয়ন পরিষদসহ সবাই যার যার অবস্থান থেকে যা করণীয় তা করবেন।
এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সচেতনতা বৃদ্ধি করতে প্রত্যেক কাউন্সিলরকে প্রতিমাসে ৫০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। পরিত্যক্ত মালামাল কিনতে ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজ চলছে। পরীক্ষার দিন ছাড়া বিদ্যালয়গুলোতে অভিযান চলবে।
এমআই