জাতীয়
ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
![ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/prime-minister-sekh-hasina.jpg)
ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না। বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, এগুলোর দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আজ ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন? এটা নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া। আমাদের ট্রানজিট-তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে। এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে? বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটা-তো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি। সেটা আমরা কার্যকরও করছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথ যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আজ ভারত রেল নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত। অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে যে রোড হচ্ছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন, কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকব? ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে এই রাস্তাটা বাংলাদেশ হয়ে, ভারত হয়ে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সব কিছু কত সুবিধা হতো। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। এই হলো অবস্থা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।
ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আসামের রুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে এসেছি। পার্বতীপুর ডিপোতে সেই তেল আসছে। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরাই কিন্তু সস্তায় কিনতে পারছি। আমাদের দেশের জন্য, ওই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারি। উত্তরাঞ্চলে কোনো শিল্পায়ন হয়নি, এখন শিল্পায়নে আমরা যেতে পারি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও আমরা নির্মাণ করেছি। আমরা নিজেদের দরজা তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। এটাই কথা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বে সম্মান পাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী
![পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্বে সম্মান পাচ্ছে বাংলাদেশ: প্রধানমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/prime-minister-5.jpg)
পদ্মা সেতুকে ‘গর্বের প্রতীক’ হিসেবে আখ্যায়িত করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নিজস্ব অর্থায়নে সেতুটি নির্মিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এখন বাংলাদেশকে যথাযথ মূল্যায়ন করছে।
তিনি বলেন, “এখন বাংলাদেশ শুনলেই মানুষ সমীহ করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। বাংলাদেশের জনগণ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুক্রবার বিকেলে পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের কাজের সমাপনী উপলক্ষ্যে আয়োজিত সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।
গত দু’বছরে পদ্মা সেতুর টোল প্রাপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সকলের মত তাঁরও সন্তষ্টি ব্যক্ত করে সরকার প্রধান বলেন, আমি টাকার অংক দিয়ে এটা বিচার করবো না। কারণ এই সেতু আমাদের গর্বের সেতু। এটা টাকার অংক দিয়ে বিচার করার নয়।
বিশ^ ব্যাংকের ভুয়া দুর্নীতির অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণ করে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের চ্যালেঞ্জ গ্রহণের যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রসংগে তিনি বলেন, “আমি শুধু এটুকু বলতে চাই এই একটা সিদ্ধান্ত বাংলাদেশকে অন্তত সেই মর্যাদা দিয়েছে, আগে যারা কথায় কথায় আমাদের ওপর খবরদারি করতো, আর ভাবখানা ছিল এরা ছাড়া বাংলাদেশ চলতেই পারেনা, সেই মানসিকতাটা বদলে গেছে। মানুষ এখন গর্ব করে আন্তর্জাতিকভাবে বুক ফুলিয়ে চলত পারে। এটাই সবথেকে বড় পাওয়া”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন বাংলাদেশের নাম শুনলেই মানুষ সমীহ করে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে। বাংলাদেশের জনগণ একটা মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা। সেই স্বাধীনতা ব্যর্থ হয়নি, সফল হয়েছে এবং আমরা এখন আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে ২০৪১ সালের বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশাল্লাহ। সেই সাথে আমরা ২০২১ থেকে ২০৪১ পর্যন্ত প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করেছি পাশাপাশি প্রজন্মের পর প্রজন্মের উন্নত জীবনের জন্য নেদারল্যান্ডের সাথে চুক্তি করে ‘ডেল্টা পরিকল্পনা-২১০০’ প্রনয়ণ ও বাস্তবায়নও আমরা শুরু করে দিয়েছি।
তিনি বলেন, “এটাই সবথেকে বড় পাওয়া যে লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা আর এই পতাকা আজকে সারাবিশে^ গর্বের সাথে এগিয়ে যাবে। আমরা এগিয়ে যাব অপ্রতিরোধ্য গতিতে। যত বাধা আসুক ইনশাল্লাহ অতিক্রম করে জাতির পিতার সে আদর্শ বাস্তবায়ন করেই এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব।”
পদ্মা সেতু নির্মাণ বন্ধে দেশি ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের অনেক বাধা অতিক্রম করে পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে হয়েছে। আমরা সম্পূর্ণ বাংলাদেশের জনগণের টাকায় সেতুটি নির্মাণ করেছি।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন সবাই না করছে আর আমি যখন বলেছি আমি করবো। সে সময় দেশের জনগণ আমার সঙ্গে ছিল। আর আজকে সে পদ্মা সেতুর কাজ শেষ করতে পেরেছি যা আমার দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের দ্বার উন্মোচন করেছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের কাছে সত্যিই কৃতজ্ঞ। আর কৃতজ্ঞ আমার দেশবাসীর কাছে।
তিনি বলেন, এই পদ্মা সেতুটা একটি জটিল স্ট্রাকচার। কারণ আমাজনের পরে সবথেকে খরস্রোতা হচ্ছে এই পদ্মা নদী। এই জটিল পরিস্থিতি, প্রাকৃতিক দুর্যোগ, কখনো নদীর পার ভেঙ্গেছে, নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে, একে একে সবকিছু অতিক্রম করে আমরা এই সেতুটি নির্মাণ করেছি।
প্রধধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু নির্মাণ করতে গিয়ে দুর্যোগে মৃত্যুবরণকারি এবং সেতুর কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন এবং প্রয়াত, তাদের প্রতিও তিনি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী প্রয়াত সৈয়দ আবুল হোসেন এবং প্রকৌশলী, গবেষক, ও বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরীকেও শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, সেই পদ্মা নদীকে দু’কূলে বেঁধে দেওয়া আর এই সেতু নির্মাণ করা, এই জটিল কাজের সাথে যারা জড়িত সেই সেতু বিভাগ, বাংলাদেশ সেতু কৃতর্পক্ষ এবং পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের নিবেদিত কর্মকর্তা-কর্মচারি, দেশি-বিদেশি প্রকৌশলী, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরামর্শক ও বিশেষজ্ঞগণ, নিরাপত্তার তদারকিতে সেনাবাহিনী এবং পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃংখলা রক্ষাকারি সংস্থা এবং নির্মাণ শ্রমিক বৃন্দ তাদের প্রতি আজকে আমি আমার কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতেই আজ আমি এখানে এসেছি।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন সেতু বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মনজুর হোসেন। প্রকল্প পরিচালক মো. শফিকুল ইসলাম প্রকল্প সমাপনী বক্তব্য উপস্থাপন করেন। সাবেক মন্ত্রী পরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম স্মৃতিচারন করে বক্তৃতা করেন।
অনুষ্ঠানে পদ্মা সেতুর ওপর একটি প্রামান্য চিত্রও প্রদর্শিত হয়।
এরআগে প্রধানমন্ত্রী মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
২০০১ সালের ৪ জুলাই মুন্সিগঞ্জের মাওয়ায় ভিত্তিপস্তর স্থাপন ও নিজস্ব অর্থায়নে নির্মাণ শেষে ২০২২ সালের ২৫ জুন এই স্থানে পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরের দিন যান চলাচলের জন্য তা উন্মুক্ত করা হয়। এরআগে ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাওয়ায় বহুল প্রত্যাশিত পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পদ্মা বহুমুখী সেতুর নির্মাণের কাজ চলতি বছরের ৩০ জুন শেষ হয়েছে। মূল সেতুর দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার। এর অ্যাপ্রোচ সড়ক ১২ দশমিক ১১৭ কিলোমিটার। ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৪৮ কিলোমিটার (সড়ক) এবং ৫৩২ মিটার (রেল)। গত দুই বছরে পদ্মা সেতু দিয়ে ১ কোটি ২৭ লাখ যানবাহন চলাচল করেছে। চলতি বছরের ২৯ জুন পর্যন্ত রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৬৬১ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে যান চলাচল করেছে প্রায় ১৯ হাজার। প্রতিদিন গড়ে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৩০ লাখ টাকা।
পদ্মা সেতু হওয়ার সুফল বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘পদ্মাপাড়ের মানুষ আমরা সবসময় কষ্ট ভোগ করতাম, আসতে-যেতে। প্রথমে ১৯৫২ সালে দাদার সঙ্গে আমরা ঢাকায় যেতে নৌকায় পার হই এই পদ্মা। চার দিন চার রাত লেগেছিল। তখন আব্বা (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান) জেলে। এই যাতায়াতে কত মানুষের জীবন গেছে। মানুষ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত হয়েছে। আজকে আর কেউ সেবা বঞ্চিত হয় না।’
শেখ হাসিনা ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বিদেশে বাংলাদেশের করুণ ভাবমূর্তির কথা স্মরণ করে বলেন, ক্ষমতা ছিল না, বিদেশে গেছি, তখন বাংলাদেশের নামটা শুনলে কেউ জিজ্ঞাসা করত, এটা কি ভারতের কোনও অংশ? জিজ্ঞেস করত, এদেশে তো শুধু ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাস, বন্যা, দুর্ভিক্ষ লেগে থাকে। মিসকিন হিসেবে আমাদেরকে হিসেব করা হতো। যেটা আমাদের জন্য অত্যন্ত কষ্ট, ব্যথার ছিল। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন জাতির কোনো মর্যাদা থাকবে না, আমরা মাথা তুলে কথা বলতে পারব না, আমাদের আত্মমর্যাদাবোধ থাকবে না, এটা কি ধরনের বাংলাদেশ?
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ভারতের কাছে গ্যাস বিক্রিতে বাধ সাধায় ২০০১ সালে সরকার গঠন করতে পারিনি। ওই সময় অনেক ভোট পেয়েছিলাম, কিন্তু প্রয়োজনীয় সিট পাইনি। বাংলাদেশের সম্পদ না বেচায় যদি ক্ষমতায় না আসি, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। শেখ মুজিবের মেয়ে কখনও দেশের সম্পদ বেচে ক্ষমতায় আসে না।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়াকে স্পিকারের আহ্বান
![অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়াকে স্পিকারের আহ্বান ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/spekar-1-1.jpg)
বাংলাদেশের ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
শুক্রবার (৫ জুলাই) মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টে মালয়েশিয়ার হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস’র স্পিকার তান সেরি দাতো ড. জোহারি বিন আব্দুলের দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শিরীন শারমিন চৌধুরী এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক, বাণিজ্য-বিনিয়োগ সম্পর্ক, আসিয়ানে বাংলাদেশের সদস্যপদ, রোহিঙ্গা ইস্যু, সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপসহ শ্রমবাজার, শিক্ষা ও পর্যটনসংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করেন।
এর পূর্বে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী মালয়েশিয়ার সংসদে পৌঁছালে তাকে অভ্যর্থনা জানিয়ে গার্ড অফ অনার প্রদান করা হয়। এসময় তিনি স্পিকারের কার্যালয় ঘুরে দেখেন, পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন এবং শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় করেন।
শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম রাষ্ট্র হিসেবে মালয়েশিয়া বাংলাদেশকে স্বাধীনতার পরপরই স্বীকৃতি দিয়েছিল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে মালয়েশিয়া সফর করেছিলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া পারস্পারিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে তথ্যপ্রযুক্তি, ব্লু ইকোনোমি , জলবায়ু পরিবর্তন, এনার্জি সেক্টর, কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে একযোগে কাজ করতে পারে। এসময় তিনি বাংলাদেশের ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের জন্য মালয়েশিয়ার প্রতি আহ্বান জানান এবং দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেন।
মালয়েশিয়া প্রায় ৫ লাখ বাংলাদেশি জনশক্তির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় স্পিকার মালয়েশিয়ার সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করে বলেন, মালয়েশিয়া বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল সংখ্যায় মানবসম্পদ তাদের উন্নয়ন কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করেছে তা উভয় দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখছে।
স্পিকার ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আসিয়ান-এর সভাপতির দায়িত্ব পাওয়ার জন্য মালয়েশিয়াকে অভিনন্দন জানান এবং আসিয়ানের ‘সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার’ হওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশের আবেদনের বিষয়টি বিবেচনার জন্য মালয়েশিয়ার ঐকান্তিক সহযোগিতা কামনা করেন। আসিয়ান এর সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মালয়েশিয়া দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে বলেও স্পিকার আশা ব্যক্ত করেন।
ড. শিরিন শারমীন বাংলাদেশ-মালয়েশিয়া পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ গ্রুপ গঠনের কার্যক্রমকে চূড়ান্ত করার লক্ষ্যে মালয়েশিয়ার হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ এর স্পিকারকে অনুরোধ জানান এবং মালয়েশিয়ার সংসদীয় মৈত্রী গ্রুপকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
মালয়েশিয়ার হাউজ অফ রিপ্রেজেনটেটিভের স্পিকার তান সেরি দাতো ড. জোহারি বিন আব্দুল বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করেন। বাংলাদেশি কর্মীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, তারা অত্যন্ত পরিশ্রমী এবং মেধাবী। মালয়েশিয়ায় আসতে না পারা শ্রমিক সংকট নিরসনে তিনি মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন। এছাড়াও ড. জোহারি বিন আব্দুল রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন সম্পর্কে মিয়ানমার সরকারের সঙ্গে সংলাপ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন এবং মালয়েশিয়া আসিয়ান সভাপতি হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে জোরালো ভূমিকা রাখবে বলে আশ্বাস দেন।
এর পূর্বে গতকাল স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরে পৌঁছালে মালয়েশিয়ার জাতীয় সংসদের স্পিকারের পক্ষে হেড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হাজি মুহাম্মদ জামানি বিন মো. আলি তাকে স্বাগত জানান।
বৈঠকে মালয়েশিয়ার পার্লামেন্টের ব্যবস্থাপনা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি রেদোয়ান বিন রহমত, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের হাইকমিশনার মো. শামীম আহসান, ডেপুটি হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীরসহ হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
![বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/prime-1-1.jpg)
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুই দিনের ব্যক্তিগত সফরে টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছানোর পর শুক্রবার (৫ জুলাই) রাত ৭টা ৫১ মিনিটের দিকে জাতির পিতার সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তিনি।
শ্রদ্ধা নিবেদেন শেষে বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের শহিদ সদস্যদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে, মুন্সীগঞ্জের মাওয়ায় পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী উপলক্ষে আয়োজিত সুধি সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখান থেকে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে তিনি টুঙ্গিপাড়ায় এসে পৌঁছান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৬ জুলাই) সকাল ১১টায় গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন এবং ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’-শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উম্মোচন করবেন। দুপুর ১২টায় টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শণ করবেন এবং টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে স্থানীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
নিজ বাসভবনে নামাজ ও মধ্যাহ্ন বিরতির পর বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী। আগামীকাল বিকেল ৪টায় সড়ক পথে টুঙ্গিপাড়া থেকে ঢাকায় ফেরার কথা রয়েছে তার।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ করার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা করেছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রোগীদের আস্থা অর্জনে ডাক্তারদের আরো আন্তরিক হতে হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী
![রোগীদের আস্থা অর্জনে ডাক্তারদের আরো আন্তরিক হতে হবে: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/the-patient.jpg)
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী ডা: রোকেয়া সুলতানা বলেছেন, স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে ও রোগী সাধারণের আস্থা অর্জনে ডাক্তারদের আরো আন্তরিক হতে হবে।
তিনি আজ শুক্রবার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে ডাক্তারদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদিকা ডা. রোকেয়া সুলতানা শুক্রবার জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতাল পরিদর্শন করেন। তিনি ২৫০ শয্যা জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।
স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হাসপাতালের জরুরী বিভাগ এবং বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন। এ সময় তিনি রোগীদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী হাসপাতালের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে কর্তৃপক্ষকে আরো যত্নবান হওয়ার তাগাদা দেন।
পরে তিনি ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়কের কার্যালয়ে চিকিৎসক ও অন্যান্য স্টাফদের সঙ্গে এক অনির্ধারিত বৈঠকে মিলত হন। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব আমিনুল ইসলাম, সিভিল সাজর্ন ডা. রুহুল আমিন, হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. সরদার রাশেদ মোবারকসহ অন্যান্য চিকিৎসক ও কর্মচারীরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
লাওসের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ
![লাওসের রাষ্ট্রপতির কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ ব্লকে](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/the-ambassador.jpg)
ভিয়েতনামে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. লুৎফর রহমান বুধবার লাওসের সমবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসেবে দেশটির রাষ্ট্রপতি থোঙলুন সিসউলিথের নিকট তার পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।
এ সময় রাষ্ট্রদূত লাওসের রাষ্ট্রপতি ও জনগণের নিকট বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শুভেচ্ছা বার্তা পৌঁছে দেন। আজ ঢাকায় এক তথ্য বিবরণীতে এ কথা জানানো হয়।
রাষ্ট্রদূত লুৎফর রহমান উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান ঐতিহাসিক বন্ধুত্ব ও সুসম্পর্কের ওপর ভিত্তি করে আগামী দিনগুলোতে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ লক্ষ্যে তিনি বাংলাদেশ ও লাওসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সংলাপ সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক দ্রুত স্বাক্ষর করার জন্য অনুরোধ করেন। রাষ্ট্রদূত আসিয়ানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার ইচ্ছা পোষণ করেন।
এ বিষয়ে তিনি বাংলাদেশকে আসিয়ানের বর্তমান চেয়ার হিসেবে লাওসের জোর সমর্থন কামনা করেন। লাওসের রাষ্ট্রপতি এ বিষয়ে বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেন।
লাওসের রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আর্থ-সামাজিক সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব সফলতার প্রশংসা করেন এবং ভবিষ্যতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে উভয় দেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক আরো গভীর করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
রাষ্ট্রদূত রহমান লাওসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশ সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানান।