জাতীয়
কোটা বাতিলের দাবিতে ফের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আজ রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশী। তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ মোড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এতে ফার্মগেট-শাহবাগ, শাহবাগ-পল্টন-মগবাজার রোড, শাহবাগ-সায়েন্সল্যাব রোড এবং শাহবাগ এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়। অবশেষে বিকেল ৪টার দিকে সড়ক ছেড়ে দেন আন্দোলনকারীরা।
এ সময় একই দাবিতে আগামীকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দেন কোটা সংস্কারে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আগামীকাল দুপুর আড়াইটায় দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে এ অবস্থান কর্মসূচি শুরু হবে।
মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবনের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে এই ঘোষণা দেন তারা।
এর আগে বেলা আড়াইটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়য়ের সেন্ট্রাল লাইব্রেরির সামনে থেকে মিছিল নিয়ে ভিসি চত্বর-নীলক্ষেত-ঢাকা কলেজ-সায়েন্সল্যাব হয়ে দুপুর সাড়ে ৩টায় শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আবু সাঈদ হত্যায় অভিযুক্ত দুই পুলিশ সদস্য গ্রেফতার
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ। তারা হলেন সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আমীর আলী ও সুজন চন্দ্র রায়। তাদের পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআই পুলিশ সুপার মো. জাকির হোসেন।
তিনি বলেন, এই দুই সদস্য পুলিশ লাইনসে নজরদারিতে ছিলেন। আজ তাদের মহানগর পুলিশ আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞাপ্তিতে বলা হয়, গত ১৬ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। এ ঘটনায় মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় গত ১৯ আগস্ট মামলা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার রিকুইজিশনের ভিত্তিতে আসামি এএসআই আমীর হোসেন এবং কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়ের বিরদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এরআগে আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে ১৮ আগস্ট মেট্রোপলিটন তাজহাট থানায় ১৭ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। তার আগে ৩ আগস্ট এএসআই আমীর আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে বরখাস্ত করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আয়কর কমিশনারদের জন্য এনবিআরের নতুন নির্দেশনা
আয়কর কমিশনারদের প্রতি নতুন নির্দেশনা জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এতে বলা হয়েছে, কর কমিশনাররা আইনানুগ বাধ্যবাধকতা ও এনবিআরের লিখিত নির্দেশনা ব্যতীত অন্যান্য সব ক্ষেত্রে উপ-কর কমিশনার প্রণীত খসড়া কর আদেশ অনুমোদন থেকে বিরত থাকবেন। অর্থাৎ এনবিআরের নির্দেশনা ছাড়া কর কমিশনাররা কর নির্ধারণীর অনুমোদন দিতে পারবেন না।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এনবিআর সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ এই নির্দেশনা দিয়ে অফিস আদেশ জারি করেছেন।
আদেশে বলা হয়েছে, কমিশনাররা নিয়মিত সার্কেল ও রেঞ্জ অফিস পরিদর্শন করবেন এবং সঠিকভাবে কর্মসম্পাদনের বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করবেন। অফিস আদেশে আয়কর বিভাগের অধীনস্ত যে কোনো অফিসে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছয়টি নির্দেশনা পরিপালন করতে এনবিআর নির্দেশ দিয়েছেন।
অফিসে উপস্থিতির বিষয়ে আদেশে বলা হয়েছে, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সকাল ৯টার আগে কর্মস্থলে উপস্থিত হবেন এবং ৯টা থেকে নিজ নিজ কাজ শুরু করবেন। কোনো কর্মকর্তা একাধিক দায়িত্বে থাকলে তিনি কোথায় আছেন তা অনুপস্থিত কার্যালয়ের দৃশ্যমান স্থানে কাগজে নোটিশ আকারে লিপিবদ্ধ করে রাখবেন।
কমিশনার ও মহাপরিচালকদের উদ্দেশে বলা হয়েছে, কর কমিশনার বা মহাপরিচালকরা তাদের অধীনস্ত অফিসসমূহে কর্মরত সব কর্মকর্তা-কর্মচারীর অফিসে উপস্থিতির বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবেন। প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। সার্কেল কর্মকর্তা তার অধীনস্ত অফিসসমূহে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থলে উপস্থিতির বিষয়টি তদারকি করবেন এবং প্রয়োজনে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
আদেশে বলা হয়েছে, কর্মস্থল ত্যাগ ও কর্মস্থলের বাইরে অবস্থানের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট বিধি অনুসরণ করতে হবে। সব স্তরের ঊর্ধ্বতন অফিস অধস্তন অফিসের ক্ষেত্রে এর প্রয়োগ নিশ্চিত করবে। কোনো কর্মকর্তা ছুটিতে থাকলে বা মিটিং বা অন্য কোনো কারণে অফিসের বাইরে থাকলে এই সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি লিপিবদ্ধ করে দৃশ্যমান স্থানে টানিয়ে রাখবেন।
রেঞ্জ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এতে বলা হয়েছে, পরিদর্শী রেঞ্জ কর্মকর্তারা তাদের আওতাধীন সার্কেল অফিসসমূহ প্রতি ১৫ দিন অন্তর পরিদর্শন করবেন। সার্কেল অফিসে স্টক রেজিস্টার (সার্কেলের রেজিস্টার্ড করদাতার সঙ্গে সামঞ্জস্য থাকতে হবে), রিটার্ন রেজিস্টার, মাসিক কর নির্ধারণ রেজিস্টার, রেজিস্টার-৫ (আদায় রেজিস্টার), পুনঃউন্মোচন রেজিস্টার, জরিমানা রেজিস্টার, আপিল বা ট্রাইব্যুনাল রেজিস্টার, গ্রহণ রেজিস্টার, মুভমেন্ট রেজিস্টারসমূহ সংরক্ষণ এবং কর্মসম্পাদন তদারকি করবেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তায় করা আইন বাতিল
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের বিশেষ নিরাপত্তায় করা আইন বাতিল হয়েছে।
এজন্য সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর মাধ্যমে ‘জাতির পিতা পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ বাতিল হলো।
এর আগে গত ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়।
উপদেষ্টা পরিষদে অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদনের সময় জানানো হয় হয়, বিগত সরকারের সিদ্ধান্ত অনুসারে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ প্রণয়ন ও জারি করা হয়েছিল। পরে ২০১৫ সালের ১৫ মে এ আইন অনুসারে বিশেষ নিরাপত্তা এবং সুবিধাদি প্রদানের গেজেট জারি করা হয়। কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা একটি সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে।
এখন সংসদ না থাকায় এ বিষয়ে আশু ব্যবস্থা গ্রহণ করে এই আইন বাতিলে অধ্যাদেশ জারি করা প্রয়োজন। এ প্রেক্ষাপটে, উপদেষ্টা পরিষদ বৈঠকে ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচির দিনে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান শেখ হাসিনা। ওইদিনই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি। পরে ৮ আগস্ট গঠিত হয় অন্তর্বর্তী সরকার।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পাচারের অর্থ ফেরাতে কানাডার সহযোগিতা চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে কানাডা। এজন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও চিঠি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে দেশটি।
সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলাস সাক্ষাৎ করতে এলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী পাচার হওয়া অর্থ ফেরাতে দেশটির সহযোগিতা চান। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাইকমিশনার ওই অনুরোধ জানান।
সাক্ষাৎকালে দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, কানাডাসহ বিদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা, রোহিঙ্গা পরিস্থিতি, পুলিশ সংস্কার, কৃষিখাতে সহযোগিতা, পাচার হওয়া অর্থ ফেরতসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।
বাংলাদেশ থেকে কানাডায় পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার বিষয় উপদেষ্টা হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, বাংলাদেশের অনেক বড় বড় অপরাধী বিপুল পরিমাণ অর্থ কানাডায় পাচার করে সেখানে আশ্রয় নিয়েছে।
হাইকমিশনার এ বিষয়ে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে জানান, অর্থ ফেরত আনার বিষয়টি চ্যালেঞ্জিং ও সময়সাপেক্ষ, কিন্তু অসম্ভব নয়। এক্ষেত্রে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট তথ্য-প্রমাণসহ আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও চিঠি প্রেরণের অনুরোধ করেন তিনি।
হাইকমিশনার কানাডাসহ বিদেশিদের নিরাপত্তার বিষয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, নিরাপত্তা নিয়ে বিদেশিদের আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমরা তাদের জন্য পরিপূর্ণ নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির ক্রমান্বয়ে উন্নতি ঘটছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে খুব শিগগির আরও সন্তোষজনক পর্যায়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হবেন মর্মে উপদেষ্টা এসময় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
সাম্প্রতিক রোহিঙ্গা পরিস্থিতি নিয়ে হাইকমিশনার উদ্বেগ প্রকাশ করলে উপদেষ্টা বলেন, আমরা রোহিঙ্গা পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি।
তিনি বলেন, আমরা রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাসকারী মিয়ানমারের নাগরিকসহ সেখানে কাজ করা দেশি-বিদেশি এনজিও কর্মী ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, সীমিত আর্থিক সামর্থ্যের মধ্যে থেকেও বাংলাদেশ অনেক বছর ধরে ১ দশমিক ২ মিলিয়ন রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়ে আসছে। এখন সময় এসেছে এ বিশাল জনগোষ্ঠীর নিজ দেশে প্রত্যাবাসন ও অন্যদেশে পুনর্বাসন করা। উপদেষ্টা এ সময় কানাডাতে কিছু রোহিঙ্গার পুনর্বাসনের অনুরোধ করেন।
পুলিশ সংস্কারে উপদেষ্টা কানাডার সহায়তা চাইলে হাইকমিশনার বলেন, পুলিশ প্রশিক্ষণে কানাডার সহযোগিতা বিষয়ক একটি প্রকল্প বাংলাদেশে চালু রয়েছে। এটিকে সম্প্রসারণের মাধ্যমে এ বিষয়ে কানাডা আরও বেশি ভূমিকা রাখতে পারে।
হাইকমিশনার বাংলাদেশে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরে কানাডার অর্থায়নে ‘কৃষি প্রযুক্তি কেন্দ্র নির্মাণ’ প্রকল্প বাস্তবায়নে উপদেষ্টার সহযোগিতা চান। উপদেষ্টা এক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেলে যে সব পণ্য বহন করা যাবে না
যানজটের নগরী ঢাকার বাসিন্দাদের জন্য আর্শীবাদ হয়ে এসেছে মেট্রোরেল। দ্রুতগামী হওয়ায় যেকোনো গণপরিবহনের চেয়ে মেট্রোরেল এখন নগরবাসীদের পছন্দের শীর্ষে।
তবে মেট্রোরেলে ব্যাগ ও বস্তা বহনের ক্ষেত্রে নিয়ম বেঁধে দিয়েছে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, ট্রলি ব্যাগ ও সাধারণ ব্যাগ বহনের ক্ষেত্রে ব্যাগটির দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি ও উচ্চতা ৯ ইঞ্চির মধ্যে থাকতে হবে এবং ওজন ১৫ কেজির বেশি হওয়া যাবে না। বহনযোগ্য ব্যাকপ্যাক মেট্রোরেলের ভেতরে পিঠে বহন না করে হাতে রাখতে হবে।
এছাড়া সব ধরনের মালামালের কার্টুন বহনের ক্ষেত্রে কার্টুনটির আকার দৈর্ঘ্য ১৮ ইঞ্চি, প্রস্থ ১৮ ইঞ্চি ও উচ্চতা ১৮ ইঞ্চির চেয়ে বড় আকারে বড় হতে পারবে না।
মেট্রোরেলে নির্দিষ্ট আকারের ব্যাগ ও কার্টুন বহন করা গেলেও সব ধরনের মালামালের বস্তা (প্লাস্টিক, পাট, মোটা কাপড় ইত্যাদির তৈরি) বহন নিষিদ্ধ।
মেট্রোরেলে যেসব জিনিসপত্র বহনে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে
জীবজন্তু: যেকোনো পশু-পাখি ও জন্তু (তবে অনুমতি সাপেক্ষে অন্ধদের পথ দেখানোর জন্য প্রশিক্ষিত গাইড কুকুর)।
হিমায়িত খাদ্য দ্রব্য: হিমায়িত সব ধরনের খাদ্যদ্রব্য (যেমন: মাছ, মাংস, দুধ, রসালো মিষ্টি, পানি ইত্যাদি) যা থেকে ঘনীভূত পানি পড়ে স্টেশন বা ট্রেন নোংরা হতে পারে এবং গন্ধ ছড়াতে পারে।
কাঁচাবাজার: সব ধরনের কাঁচা শাকসবজি, মাছ-মাংস অথবা পানি ঝরছে বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন কাঁচাবাজারের ব্যাগ, গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন দ্রব্য যেমন শুটকি ইত্যাদি অনাবৃত অবস্থায়।
কৃষিপণ্য: অনাবৃত অবস্থায় সব ধরনের কৃষিপণ্য।
ফল: অনাবৃত/প্যাকিং ছাড়া গন্ধ ছড়ায় অথবা বা পানি ঝরার সম্ভাবনা আছে, এমন সব ধরনের ফল (যেমন: আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, আনারস, বাঙ্গি, তরমুজ, কমলা, আঙুর ইত্যাদি)
খাদ্যসামগ্রী: অনাবৃত/প্যাকেটবিহীন যেকোনো ধরনের খাবার এবং গন্ধ ছড়াতে পারে, এমন খাবার যেমন পোলাও, বিরিয়ানি ইত্যাদি।
ফুল ও গাছ: অনাবৃত অবস্থায় তাজা ফুল, ফুলের তোড়া, সব ধরনের গাছের চারা, গাছের টব ইত্যাদি।
ধারালো বস্তু: ছুরি, কাঁচি, দা, বঁটি ও অন্য যেকোনও ধারালো বস্তু।
ধাতব/লৌহ বস্তু: সব ধরনের ধাতব/লৌহ বস্তু যেমন রড, পাইপ, তীক্ষ্ন ও ধারালো প্রান্ত যুক্ত কোনো ধাতব বস্তু, ধাতব বস্তু দ্বারা তৈরি যেকোনও সামগ্রী, ট্রাংক, গ্যাসের চুলা ইত্যাদি।
মেশিনারী পণ্য: খোলা অবস্থায় সব ধরনের মেশিনারি পণ্য যেমন: ড্রিল মেশিন, ওয়েল্ডিং মেশিন, কাটার মেশিন, পাইপ রেঞ্জ ইত্যাদি।
সিলিন্ডার: সব ধরনের গ্যাস ও এলপিজি সিলিন্ডার।
আগ্নেয়াস্ত্র: যেকোনো ধরনের দেশি-বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ।
খেলাধুলা সামগ্রী: উন্মুক্ত অবস্থায় সব ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী যেমন: ক্রিকেট ব্যাট, স্ট্যাম্প, ফুটবল, হকি স্টিক, ব্যাডমিন্টন র্যাকেট, বাচ্চাদের যেকোনো ধরনের খেলনা ইত্যাদি।
ইলেকট্রনিক্স পণ্য: প্যাকেটবিহীন যেকোনো ইলেকট্রনিকস পণ্য যেমন: ব্লেন্ডার, ওভেন, কেটলি, ওয়াশিং মেশিন, গিজার, কম্পিউটার, মনিটর, প্রিন্টার, ইউপিএস, সাউন্ড বক্স ইত্যাদি।
বাদ্যযন্ত্র: প্যাকেটবিহীন সব ধরনের বাদ্যযন্ত্র যেমন: হারমোনিয়াম, তবলা, গিটার, বেহালা ইত্যাদি।
জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ: যেকোনো ধরনের জ্বালানি ও দাহ্য পদার্থ যেমন: পেট্রোল, ডিজেল, অকটেন, কেরোসিন, তারপিন, অ্যালকোহল, স্প্রে জাতীয় ক্যান ইত্যাদি।
ক্ষয়কারী উপাদান: যেকোনো ধরনের ক্ষয়কারী উপাদান ও ক্ষতিকর রাসায়নিক দ্রব্য যেমন: গাড়ির ব্যাটারি, আইপিএস, এসিড, পারদ, ক্ষার ইত্যাদি।
বেলুন: গ্যাসভর্তি বেলুন/উড়ন্ত খেলনা।
বাজি ও আতশবাজি: যেকোনো ধরনের বাজি ও আতশবাজি।
নেশাজাতীয়: সব ধরনের নেশাজাতীয় দ্রব্য।
এছাড়া মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ মেট্রোরেল সিস্টেম, যাত্রী সাধারণ ও রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় মেট্রোরেল স্টেশন ও ট্রেনে বহন নিষিদ্ধ দ্রব্যসামগ্রীর তালিকা প্রয়োজন ও বাস্তবতা অনুযায়ী সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন করতে পারবে।