পুঁজিবাজার
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে ডিএসই: চেয়ারম্যান
![স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে ডিএসই: চেয়ারম্যান শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/babu.jpg)
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করছেন তার একটি ছোট নমুনা হলো ইএসএস সফটওয়্যারের ১০০তম ইস্যু পরিচালনা। ডিএসই স্মার্ট বাংলাদেশের অটোমেশনের হাব হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের শেয়ার প্রো-রাটার (প্রো-রাটা) ভিত্তিতে বরাদ্দ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসই ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শততম ইস্যু হিসেবে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের শেয়ার প্রো-রাটার (প্রো-রাটা) ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়৷
শততম ইস্যুর শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাওিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী, সিডিবিএলের মহা-ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷
অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করছেন তার একটি ছোট নমুনা হলো ইএসএস সফটওয়্যারের ১০০তম ইস্যু পরিচালনা। ডিএসই স্মার্ট বাংলাদেশের অটোমেশনের হাব হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে। এখন পুঁজিবাজারের অধিকাংশ কাজ টেকনোলজির মাধ্যমে চলছে। আজকে ইএসএস সিস্টেমে যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করেছি তা দেশীয় একটি সফটওয়্যার। স্মার্ট বাংলাদেশ সেদিন বাস্তবায়িত হবে যেদিন আমরা নিজস্ব টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো। এই ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুধু অর্থ সাশ্রয় করিনি। এতে আইপিও প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। একইসাথে এর মাধ্যমে আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এই সফটওয়্যার আরো বড় পরিসরে আসবে। বর্তমানে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়টি এই সফটওয়্যারে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিএসইসির অনুমোদনের পর এই সফটওয়্যার পূর্ণতা পাবে বলে আমি মনে করেন।
প্রো-রাটা পদ্ধতিতে ইএসএস-এর মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের শততম ইস্যু টেকনো ড্রাগস লিমিটেড৷ এটি ডিএসইর একটি মাইলফলক৷ আমরা গর্বিত ইএসএসের মাধ্যমে শততম ইস্যু শেয়ার বারাদ্দ করতে পেরে৷ ইলেকট্রোনিক সাবসক্রিপসন সিস্টেম (ইএসএস) সফটওয়্যারে নতুন যে মডিউল তৈরি করা হয়েছে, তা শেয়ার বরাদ্ধের আধুনিক পদ্ধতি৷ যা দেশের পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷ এর ফলে খুবই অল্প সময়ে আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়৷ এই পদ্ধতিতে খুবই সহজে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে শেয়ার বরাদ্ধ দেয়া যায়৷ পরিশেষে, আমি আশা করি কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে যে মূলধন উত্তোলন করেছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারণ করবে৷
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, শুরুতে ইএসএস বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হলেও, ২০১৬ সাল থেকে স্টক এক্সেচেঞ্জের নিজস্ব মেধা ও দক্ষতায় ইএসএস সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স এবং স্বল্প সময়ে শেয়ার বন্টন নিশ্চিতকরণে ইএসএস পুঁজিবাজারের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনামূলক বিভিন্ন রেগুলেটরি আপগ্রেডেশন, এমেন্ডমেন্ট স্বল্প সময়ে ইএসএস-এ সংযোজনের সক্ষমতা সত্যি প্রশংসনীয়। ইএসএস ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে গতিশীল অবদান রাখবে।
টেকনো ড্রাগস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিএসই ও ইস্যু ম্যানেজারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের ডিএসইতে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চালু হয়েছে। আমি চাই নতুন নতুন মেডিসিন প্রোডাক্টগুলো বাংলাদেশে তৈরি হোক। এই কোম্পানির আইপিওতে ২৪.৬৪ গুণ বেশি সাবস্ক্রীপশন হয়েছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমি আশা করি, আমরা বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারবো।
সিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী বলেন, আজকে ইএসএসের মাধ্যমে ১০০তম সাবসক্রিপশন। এ সফটওয়্যারটি মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর জন্য তৈরি হয়েছিল। এখন এটি একটি মাল্টিপারপাস এপ্লিকেশন হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। আগে এই বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো এখন আমাদের এই খরচ অনেক কমে গেছে।
সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিডিবিএল ক্যাপিটাল মার্কেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সিডিবিএল সবসময় অনেক উদ্ভাবনীর সাথে থাকে। ইএসএসের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সিডিবিএল কাজ করে যাচ্ছে। সিডিবিএল ইএসএসকে বিনিয়োগকারীদের তথ্যের ভেরিফিকেশন প্রদান করে। আমরা সিডিবিএল ইএসএসের একটি পার্ট হতে পেরে খুবই আনন্দিত।
ডিএসইর লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) সম্পর্কে বলেন, সফ্টওয়্যারটির ২০০৯ সালে পাবলিক ইস্যু রুল অনুযায়ী প্রবর্তন করা হয়। ২০১০ সালের ১ মার্চে দুবাই ভিত্তিক “ইনফোটেক মিডল ইস্ট” দ্বারা তৈরী করা হয় । সফ্টওয়্যারটির তৈরি ব্যয় ছিল ৭০ হাজার ৮৭৫ ডলার এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি ছিল ৪৫ হাজার ৩৬০ ডলার (প্রথম ৩ বছর) এবং পরবর্তী বছর গুলোর জন্য ১৭ হাজার ৭১৮ ডলার। বিশাল খরচ কমাতে এবং পাবলিক ইস্যু বিধিগুলির ঘন ঘন সংশোধনের জন্য, ডিএসই ২০১৪ সালে ডিএসই’র অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের দ্বারা সাম্প্রতিক প্রযুক্তি এবং আরও উন্নত বৈশিষ্ট্যসহ নতুন বুক বিল্ডিং সিস্টেম তৈরি করেছে যা বর্তমানে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম নামে পরিচিত। সিস্টেমটি ডিএসই ও সিএসই উভয় এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন।
পরবতীর্তে ডিএসইর লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম প্রো-রাটার ভিত্তিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷ কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকার বিপরিতে ২৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা ২৪ দশমিক ৬৪ গুণ বেশি৷ প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ১১টি শেয়ার এবং অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ২০টি শেয়ার বরাদ্দ পায়৷
সবশেষে সমাপণী বক্তব্যে ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আজকের ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে ১০০তম ইস্যুতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের আইপিও-তে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সাবস্ক্রিপশন একটি মাইলফলক তৈরি করেছে। আমি আশা করি এটি আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়াও তিনি আশা পোষন করেন কোম্পানিটি সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলবে এবং বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে৷ ডিএসইর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
পুঁজিবাজার
শেয়ারবাজার থেকে বান্ধবীকেও বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর
![শেয়ারবাজার থেকে বান্ধবীকেও বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Motiur-Arzina1.jpg)
ছাগলকাণ্ডে দেশজুড়ে আলোচিত সাবেক রাজস্ব কর্মকর্তা মতিউর রহমান শেয়ারবাজার থেকে নানান কারসাজিতে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিতেন। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং কারসাজির আগাম তথ্য জেনে দুর্বল কোম্পানির শেয়ার কিনে বেশি দামে বিক্রি করতে ব্যবহার করতেন আত্মীয় স্বজনদের ১৫টি বিও হিসাব। মতিউরের বান্ধবী হিসেবে পরিচিত আরেক এনবিআর কর্মকর্তা আরজিনা খাতুনের বিও হিসাব পরিচালনা করে পুঁজিবাজার থেকে বড় অঙ্কের অর্থ তুলে দিতেন এই ওএসডি রাজস্ব কর্মকর্তা।
জানা যায়, শেয়ারবাজার থেকে নানান কায়দা এবং কারসাজির পথ অবলম্বন করে বান্ধবীকে বড় মুনাফা তুলে দিতেন মতিউর। ২০২২ সাল থেকে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা শুরু করেন মতিউর বান্ধবী আরজিনা। গড়ে প্রতিদিন ১০ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তিনি। লাভও করতেন প্রায় দ্বিগুণ। আছে ৩ টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, বিনিয়োগ আছে সঞ্চয়পত্রে।
সূত্র বলছে, মতিউর রহমানের সাথে একই ব্রোকারেজ হাউসে একইরকম বিনিয়োগ ছিল আরজিনার। প্লেসমেন্ট বাণিজ্য এবং অন্যান্য কারসাজির মাধ্যমে বান্ধবীকে আরজিনাকে পুঁজিবাজার থেকে অঢেল সম্পদের মালিক বানিয়েছেন আলোচিত মতিউর রহমান। তবে শেয়ারবাজারের এমন কারসাজিতে সম্প্রতি মতিউর ও সংশ্লিষ্টদের বিও হিসাব জব্দ করে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এদিকে মতিউরের বান্ধবী আরজিনা খাতুনের হুট করে ধনী বনে যাওয়া নিয়ে গত ১০ জুন দুদকে তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন একজন। তাতে বলা হয়, মিথ্যা তথ্য দিয়ে পণ্য আমদানি, মানিলন্ডারিং, স্বর্ণ চোরাচালান চক্রের সাথে যোগসাজস আর দুর্নীতি করে বিপুল সম্পদ অর্জন করেছেন আরজিনা খাতুন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, আরজিনা খাতুনের রাজধানীতে ফ্ল্যাট, গ্রামে আলিশান বাড়ি, পরিবারের সদস্যদের নামে-বেনামে জমি, বাসায় বিলাসবহুল ইন্টেরিয়র এবং দামি সব আসবাবপত্র রয়েছে। এছাড়া মাত্র তিন বছরে ৫০০ ভরি স্বর্ণালঙ্কারের মালিক তিনি। যার ২০০ ভরিই চোরাচালানের মাধ্যমে আনা হয়েছে বলে দুদকের কাছে এমন অভিযোগ উঠেছে।
আরজিনা খাতুন রাজস্ব বোর্ডের মূসক মনিটরিং, পরিসংখ্যান ও সমন্বয়ের দ্বিতীয় সচিব হিসেবে কর্মরত। এর আগে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের উপ-কমিশনার ছিলেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়, রাজধানীর মিরপুরে প্রায় ২ হাজার বর্গফুটের একটি বিলাসবহুল ফ্ল্যাট রয়েছে তার। থাকেনও সেখানেই। যা কিনেছেন ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায়, কিন্তু রেজিস্ট্রেশনসহ খরচ দেখিয়েছেন মাত্র ৬৮ লাখ টাকা। ফ্ল্যাটটি কিনতে গিয়ে তার নেয়া ব্যাংক ঋণ স্যাংশন হয় ২০২০ সালে। কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা মিলে, এর ১ বছর আগেই ফ্ল্যাট কেনা আর রেজিস্ট্রেশন হয়ে গেছে। তাও ঋণের টাকার দ্বিগুণ দামে। বাসায় ব্যয়বহুল আসবাবপত্র আর অত্যাধুনিক ইন্টেরিয়র করেছেন ১ বছরের মধ্যেই।
আরজিনার গ্রামের বাড়ি রাজবাড়ীর নারোয়া ইউনিয়েনর তালুতপারা গ্রামে। কাস্টমসে চাকরির ৩ বছরের মধ্যে গ্রামের ছন আর টিনের বাড়িটিকে বদলে করেছেন আলীশান এক ভবন।
তার বিরুদ্ধে করা অভিযোগে বলা হয়, চট্টগ্রামে বদলির পর ২০২২ সালেই গ্রামে তার পরিবারের সদস্যদের নামে কিনেছেন ৫টি জমি। যার বাজারমূল্য অর্ধকোটি টাকা। অনুসন্ধানে সেসব জমির দলিলও পাওয়া গেছে। আরও কোটি খানেক টাকার জমি বন্ধক নেন আরজিনা।
আরজিনা প্রাত্যহিক যে গহনা ব্যবহার করেন, এর বেশিরভাগই হীরার। যার মূল্যমান ১০ লাখ টাকা বলা হয়েছে দুদকে জমা পড়া অভিযোগে। ২০১৮ থেকে ২৩ সালের মধ্যে ৫০০ ভরি স্বর্ণ আর ডায়মন্ড কিনেছেন নগদ টাকায়। যার ২০০ ভরি এক সিএন্ডএফ ব্যাবসায়ীর মাধ্যমে ৩ ধাপে চোরাচালানের মাধ্যমে এনেছেন বলে প্রমাণসহ অভিযোগ পড়েছে দুদকের টেবিলে।
আরজিনার এমন ফুলেফেঁপে ধনী হয়ে ওঠা মতিউরের ছত্রছায়ায়। ছাগলকাণ্ডের এই কর্মকর্তা যাদেরকেই ছুঁয়েছেন তাদের বেশীরভাগই সম্পদ বানিয়েছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৭২ কোটি টাকার লেনদেন
![ব্লকে ৭২ কোটি টাকার লেনদেন শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/10/Block_Market-1910061425-1910061615-2.jpg)
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ৬৮টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট হাতবদল হয়েছে। তাতে কোম্পানিগুলোর মোট লেনদেন হয়েছে ৩ কোটি ৯৭ লাখ ১২ হাজার ৪৬৫টি শেয়ার। যার আর্থিক মূল্য ৭২ কোটি ৬৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) ব্লকে সবচেয়ে বেশি লেনদেন করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক। এদিন ব্যাংকটির ১৩ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ব্লকে লেনদেনের দ্বিতীয় স্থানে থাকা ন্যাশনাল ব্যাংকের ৯ কোটি ৩০ লাখ ও তৃতীয় স্থানে যমুনা অয়েলের ৮ কোটি ৫৫ লাখ ৯৫ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৪৪ কোটি টাকা
![ডিএসই থেকে সরকারের রাজস্ব আয় ২৪৪ কোটি টাকা শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/dse-11.jpg)
দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) থেকে সরকারের রাজস্ব আয় আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৩২ কোটি ৮০ লাখ টাকা কমেছে।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালে ডিএসই থেকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর রাজস্ব সংগ্রহ ছিল ২৪৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। যা ২০২৩ সালে ছিলো ২৭৬ কোটি ৬৬ কোটি টাকা।
ডিএসই, সরকারের পক্ষ থেকে, ট্রেক হোল্ডারদের কমিশন এবং শেয়ার বিক্রয়ের উপর যথাক্রমে ০.০৫ শতাংশ এবং ৫.০ শতাংশ হারে কর সংগ্রহ করে এবং সেই পরিমাণ সরকারি কোষাগারে জমা করে।
আলোচ্য অর্থবছরে, স্টক এক্সচেঞ্জ বা ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট হোল্ডারস (টিআরইসি) কমিশনের সদস্যদের কাছ থেকে সরকারের কর রাজস্ব আদায় ২০২৩ সালে ১৯২ কোটি ৫ লাখ টাকার তুলনায় ১৫৩ কোটি টাকায় নেমে এসেছে।
এছাড়া, স্পন্সর-ডিরেক্টর এবং প্লেসমেন্ট হোল্ডারদের শেয়ার বিক্রি থেকে কর রাজস্ব ২০২৪ সালে ৯০ কোটি ৬ লাখ টাকায় বেড়েছে। যা ২০২৩ এ ৮৪ কোটি টাকা থেকে বেড়েছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন
![এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/ab-bank.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এবি ব্যাংক পারপেচুয়াল বন্ডের ক্যাটাগরি পরিবর্তন করা হয়েছে। বন্ডটিকে ‘এন’ ক্যাটাগরি থেকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে উন্নীত করা হয়েছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, এর আগে বন্ডটি গত ১৩ জুন,২০২৩ থেকে ১২ ডিসেম্বর,২০২৩ পর্যন্ত এবং গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর থেকে চলতি বছরের ১২ জুন পর্যন্ত সময়ের ইউনিটহোল্ডারদের ১০ শতাংশ কুপন পেমেন্ট হারে মুনাফা দিয়েছে। ফলে বন্ডটির ক্যাটাগরি উন্নীত করা হয়েছে।
আগামী রবিবার (৭ জুলাই) থেকে ক্যাটাগরিটি কার্যকর হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন
![রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সের সর্বোচ্চ দরপতন শেয়ারবাজার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Rupali-Life-Insurance.jpg)
সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯৬টি কোম্পানির মধ্যে ১৩ কোম্পানির শেয়ারদর কমেছে। এদিন দরপতনের তালিকায় শীর্ষে উঠে এসেছে রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। ডিএসই সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) রূপালী লাইফের শেয়ারদর আগের কার্যদিবসের তুলনায় কমেছে ৫ টাকা ৭০ পয়সা বা ২ দশমিক ৯৫ শতাংশ। তাতে দরপতনের শীর্ষে জায়গা নিয়েছে কোম্পানিটি।
দর হারানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসা নিউ লাইন ক্লোথিংয়ের শেয়ারদর আগের দিনের তুলনায় ২ দশমিক ৮৯ শতাংশ কমেছে। আর ইউনিটদর ২ দশমিক ৫০ শতাংশ কমে যাওয়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে ক্যাপিটেক গ্রামীন ব্যাংক গ্রোথ ফান্ড।
বৃহস্পতিবার দরপতনের তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- বিআইএফসি, পিপলস লিজিং, হাক্কানি পাল্প, ওয়াটা কেমিক্যালস, গ্লোবাল হেভি, উসমানিয়া গ্লাস এবং আলহাজ টেক্সটাইল মিলস লিমিটেড।
এসএম