পুঁজিবাজার
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে ডিএসই: চেয়ারম্যান

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে টেকনোলজি হাব হিসেবে কাজ করবে উল্লেখ করে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করছেন তার একটি ছোট নমুনা হলো ইএসএস সফটওয়্যারের ১০০তম ইস্যু পরিচালনা। ডিএসই স্মার্ট বাংলাদেশের অটোমেশনের হাব হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিএসই ট্রেনিং একাডেমিতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের শেয়ার প্রো-রাটার (প্রো-রাটা) ভিত্তিতে বরাদ্দ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ডিএসই ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের (ইএসএস) মাধ্যমে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শততম ইস্যু হিসেবে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের শেয়ার প্রো-রাটার (প্রো-রাটা) ভিত্তিতে বরাদ্দ দেয়া হয়৷
শততম ইস্যুর শেয়ার বরাদ্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাওিক আহমেদ শাহ, প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ, টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী, সিডিবিএলের মহা-ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী এবং ডিএসইর লিস্টিং অ্যাফেয়ার্স ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ৷
অনুষ্ঠানে ডিএসইর চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে স্মার্ট বাংলাদেশের চিন্তা করছেন তার একটি ছোট নমুনা হলো ইএসএস সফটওয়্যারের ১০০তম ইস্যু পরিচালনা। ডিএসই স্মার্ট বাংলাদেশের অটোমেশনের হাব হতে পারে। বিশ্বব্যাপী ক্যাপিটাল মার্কেট ডিজিটালাইজেশন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চলছে। এখন পুঁজিবাজারের অধিকাংশ কাজ টেকনোলজির মাধ্যমে চলছে। আজকে ইএসএস সিস্টেমে যে সফটওয়্যারটি ব্যবহার করেছি তা দেশীয় একটি সফটওয়্যার। স্মার্ট বাংলাদেশ সেদিন বাস্তবায়িত হবে যেদিন আমরা নিজস্ব টেকনোলজি ব্যবহার করে আমাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবো। এই ইএসএস সফটওয়্যারের মাধ্যমে শুধু অর্থ সাশ্রয় করিনি। এতে আইপিও প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বৃদ্ধি ও সময় কমিয়ে আনা হয়েছে। একইসাথে এর মাধ্যমে আমরা সুশাসন নিশ্চিত করতে পারছি। আশা করছি ভবিষ্যতে এই সফটওয়্যার আরো বড় পরিসরে আসবে। বর্তমানে রাইট শেয়ার ইস্যুর বিষয়টি এই সফটওয়্যারে যুক্ত করার জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বিএসইসির অনুমোদনের পর এই সফটওয়্যার পূর্ণতা পাবে বলে আমি মনে করেন।
প্রো-রাটা পদ্ধতিতে ইএসএস-এর মাধ্যমে শেয়ার বরাদ্দের শততম ইস্যু টেকনো ড্রাগস লিমিটেড৷ এটি ডিএসইর একটি মাইলফলক৷ আমরা গর্বিত ইএসএসের মাধ্যমে শততম ইস্যু শেয়ার বারাদ্দ করতে পেরে৷ ইলেকট্রোনিক সাবসক্রিপসন সিস্টেম (ইএসএস) সফটওয়্যারে নতুন যে মডিউল তৈরি করা হয়েছে, তা শেয়ার বরাদ্ধের আধুনিক পদ্ধতি৷ যা দেশের পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারী ও ব্যবসায়ের জন্য একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছে৷ এর ফলে খুবই অল্প সময়ে আইপিও প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা যায়৷ এই পদ্ধতিতে খুবই সহজে, স্বল্প সময়ে, স্বল্প খরচে শেয়ার বরাদ্ধ দেয়া যায়৷ পরিশেষে, আমি আশা করি কোম্পানিটি পুঁজিবাজার থেকে যে মূলধন উত্তোলন করেছে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে তাদের ব্যবসাকে আরো সম্প্রসারণ করবে৷
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্যে ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সাত্বিক আহমেদ শাহ বলেন, শুরুতে ইএসএস বিদেশি সংস্থার সহযোগিতায় যাত্রা শুরু হলেও, ২০১৬ সাল থেকে স্টক এক্সেচেঞ্জের নিজস্ব মেধা ও দক্ষতায় ইএসএস সফটওয়্যার তৈরি হয়েছে। রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স এবং স্বল্প সময়ে শেয়ার বন্টন নিশ্চিতকরণে ইএসএস পুঁজিবাজারের আস্থার প্রতীক হয়ে উঠেছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার নির্দেশনামূলক বিভিন্ন রেগুলেটরি আপগ্রেডেশন, এমেন্ডমেন্ট স্বল্প সময়ে ইএসএস-এ সংযোজনের সক্ষমতা সত্যি প্রশংসনীয়। ইএসএস ভবিষ্যতে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় এবং টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে গতিশীল অবদান রাখবে।
টেকনো ড্রাগস লিমিটেড এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহ জালাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিএসই ও ইস্যু ম্যানেজারদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে আমাদের ডিএসইতে তালিকাভুক্তির কার্যক্রম চালু হয়েছে। আমি চাই নতুন নতুন মেডিসিন প্রোডাক্টগুলো বাংলাদেশে তৈরি হোক। এই কোম্পানির আইপিওতে ২৪.৬৪ গুণ বেশি সাবস্ক্রীপশন হয়েছে। যা আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়। আমি আশা করি, আমরা বিনিয়োগকারীদের ভালো লভ্যাংশ দিতে পারবো।
সিএসইর উপ-মহাব্যবস্থাপক হাসনাইন বারী বলেন, আজকে ইএসএসের মাধ্যমে ১০০তম সাবসক্রিপশন। এ সফটওয়্যারটি মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর জন্য তৈরি হয়েছিল। এখন এটি একটি মাল্টিপারপাস এপ্লিকেশন হিসেবে দাঁড়িয়ে গেছে। আগে এই বিষয়ে বৈদেশিক মুদ্রা খরচ হতো এখন আমাদের এই খরচ অনেক কমে গেছে।
সিডিবিএলের মহাব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, সিডিবিএল ক্যাপিটাল মার্কেটে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। সিডিবিএল সবসময় অনেক উদ্ভাবনীর সাথে থাকে। ইএসএসের খুব গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে সিডিবিএল কাজ করে যাচ্ছে। সিডিবিএল ইএসএসকে বিনিয়োগকারীদের তথ্যের ভেরিফিকেশন প্রদান করে। আমরা সিডিবিএল ইএসএসের একটি পার্ট হতে পেরে খুবই আনন্দিত।
ডিএসইর লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম (ইএসএস) সম্পর্কে বলেন, সফ্টওয়্যারটির ২০০৯ সালে পাবলিক ইস্যু রুল অনুযায়ী প্রবর্তন করা হয়। ২০১০ সালের ১ মার্চে দুবাই ভিত্তিক “ইনফোটেক মিডল ইস্ট” দ্বারা তৈরী করা হয় । সফ্টওয়্যারটির তৈরি ব্যয় ছিল ৭০ হাজার ৮৭৫ ডলার এবং বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি ছিল ৪৫ হাজার ৩৬০ ডলার (প্রথম ৩ বছর) এবং পরবর্তী বছর গুলোর জন্য ১৭ হাজার ৭১৮ ডলার। বিশাল খরচ কমাতে এবং পাবলিক ইস্যু বিধিগুলির ঘন ঘন সংশোধনের জন্য, ডিএসই ২০১৪ সালে ডিএসই’র অভ্যন্তরীণ কর্মকর্তাদের দ্বারা সাম্প্রতিক প্রযুক্তি এবং আরও উন্নত বৈশিষ্ট্যসহ নতুন বুক বিল্ডিং সিস্টেম তৈরি করেছে যা বর্তমানে ইলেকট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেম নামে পরিচিত। সিস্টেমটি ডিএসই ও সিএসই উভয় এক্সচেঞ্জের মালিকানাধীন।
পরবতীর্তে ডিএসইর লিস্টিং ডিপার্টমেন্টের সহকারি মহাব্যবস্থাপক মো. রবিউল ইসলাম প্রো-রাটার ভিত্তিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার বরাদ্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করেন৷ কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য মোট ১০০ কোটি টাকার বিপরিতে ২৪৮৭ কোটি ১৮ হাজার ১০৪ টাকার আবেদন জমা পড়ে, যা ২৪ দশমিক ৬৪ গুণ বেশি৷ প্রতি ১০ হাজার টাকা আবেদনের বিপরীতে নিবাসি বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ১১টি শেয়ার এবং অনিবাসী বাংলাদেশি বিনিয়োগকারীগণ ২০টি শেয়ার বরাদ্দ পায়৷
সবশেষে সমাপণী বক্তব্যে ডিএসইর প্রধান রেগুলেটরি কর্মকর্তা খাইরুল বাসার আবু তাহের মোহাম্মদ বলেন, আজকের ইলেক্ট্রনিক সাবস্ক্রিপশন সিস্টেমের মাধ্যমে ১০০তম ইস্যুতে টেকনো ড্রাগস লিমিটেডের আইপিও-তে সর্বোচ্চ ২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার সাবস্ক্রিপশন একটি মাইলফলক তৈরি করেছে। আমি আশা করি এটি আমাদের পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়াও তিনি আশা পোষন করেন কোম্পানিটি সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলবে এবং বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা পূরণ করবে৷ ডিএসইর পক্ষ থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বাস প্রদান করেন।
কাফি

পুঁজিবাজার
ইয়াকিন পলিমারের দর কমেছে ৮ শতাংশ

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে ইয়াকিন পলিমারের। সপ্তাহজুড়ে ইয়াকিন পলিমারের দর কমেছে ৮ দশমিক ০৫ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৩ টাকা ৭০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ১ টাকা ২০ পয়সা।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে শেফার্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১৯ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৮ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৯০ পয়সা বা ৪.৭১ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ৩.৩০ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে সিএপিএমআইবিবিএল মিউচুয়াল ফান্ড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৯ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ৮০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর কমেছে ৩০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে গ্লোবাল হেভির ২.৮৭ শতাংশ, আইসিবি অগ্রণী-১ ফান্ডের ২.৮২ শতাংশ, ফারইস্ট ফাইন্যান্সের ২.৭৮ শতাংশ, নিউলাইন টেক্সটাইলের ২.৬৭ শতাংশ, আইবিবিএল বন্ডের ২.৫৯ শতাংশ এবং মিডল্যান্ড ব্যাংকের ২.৫৮ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষে রহিম টেক্সটাইল

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর বেড়েছে রহিম টেক্সটাইল মিলস পিএলসির।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহের ব্যবধানে রহিম টেক্সটাইলের দর বেড়েছে ৩৭.৫৬ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ১১২ টাকা ১০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১৫৪ টাকা ২০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ৪০ টাকা ১০ পয়সা।
দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রিজেন্ট টেক্সটাইল। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে প্রতিষ্ঠানটির দর ছিল ৩ টাকা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সায়। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর বেড়েছে ১ টাকা ১০ পয়সা বা ৩৬.৬৭ শতাংশ।
তালিকার তৃতীয় স্থানে ২২.০১ শতাংশ দর বৃদ্ধি নিয়ে অবস্থান করছে রহিমা ফুড। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৮৩ টাকা ৬০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ১০২ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির দর বেড়েছে ১৮ টাকা ৪০ পয়সা।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দর বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে শার্প ইন্ডাষ্টিজের ২০.৩৭ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ১৭,৬৫ শতাংশ, তমিজ উদ্দিন টেক্সটাইলের ১৭.১৭ শতাংশ, জিকিউ বলপেনের ১৭.০১ শতাংশ, অ্যাপেক্স স্পিনিংয়ের ১৫.৯৮ শতাংশ, ফারইস্ট সিকিউরিটি ব্যাংকের এবং জেমিনি সী ফুডের ১৪.৬১ শতাংশ।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ব্র্যাক ব্যাংক

বিদায়ী সপ্তাহে (০৭ জুলাই-১০ জুলাই) প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে ব্র্যাক ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে শেয়ার লেনদেন হয়েছে ২৮ কোটি ৫৮ লাখ টাকার। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৪.৪৯ শতাংশ।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ছিল মিডল্যান্ড ব্যাংক। সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির প্রতিদিন গড়ে ১৫ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৪৯ শতাংশ।
লেনদেনের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বিচ হ্যাচারি। সপ্তাহজুড়ে প্রতিদিন গড়ে কোম্পানিটির ১৪ কোটি ০২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.২১ শতাংশ।
এছাড়া, সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় উঠে আসা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে সী পার্ল রিসোর্টের ১২ কোটি ৬২ লাখ টাকা, লাভেলো আইসক্রীমের ১২ কোটি ১০ লাখ টাকা, এশিয়াটিক ল্যাবরেটরিজের ১০ কোটি ৮৪ লাখ টাকা, বিএসসির ১০ কোটি ৬১ লাখ টাকা, অগ্নি সিস্টেমের ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা, সিটি ব্যাংকের ৯ ৭ কোটি ১৩ লাখ টাকা এবং অরিয়ন ইনফিউশনের ৯ কোটি ১০ লাখ টাকার।
কাফি
পুঁজিবাজার
ডিএসইর বাজার মূলধন বাড়লো সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানের মধ্য দিয়ে চলতি লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা বেশি।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৭৬ হাজার ৭৩৯ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ হাজার ৭৩৩ কোটি টাকা বা ১ দশমিক ৬১ শতাংশ।
বিদায়ী সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর সব কয়টি সূচকও। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৭৩ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৫৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ৭২ দশমিক ৫০ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক বেড়েছে ৩৫ দশমিক ৫৭ পয়েন্ট বা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
সূচকের উত্থানের পাশাপশি ডিএসইতে বেড়েছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৫৪৪ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬০০ কোটি ২৭ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ১৫০ কোটি ৭ লাখ টাকা বা ৩০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৬৩৬ কোটি ২১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৪৮৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৪টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ৩২৪টি কোম্পানির, কমেছে ৩৫টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৫টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম
পুঁজিবাজার
উত্তরা ব্যাংকের পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি উত্তরা ব্যাংক পিএলসি পর্ষদ সভার তারিখ ঘোষণা করেছে। আগামী ১৬ জুলাই বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ সভা অনুষ্ঠিত হবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সভায় ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পর্ষদ এ প্রতিবেদন অনুমোদন করলে তা প্রকাশ করবে কোম্পানিটি।
এসএম