জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৭
![দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৭ ওরিয়ন ফার্মা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/hajj.jpg)
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার ভোর রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৪ এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়। পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০২টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪০ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ২৯ জুন ফরিদপুর নগরকান্দার সৈয়দ লিয়াকত আলী (৬৭) নামে একজন হাজি মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের
![ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের ওরিয়ন ফার্মা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/onion-1.jpg)
আবারও ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজের। তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিকেজি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ টাকা। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকায়। এদিকে দাম বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা। রাজধানীর যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
সরবরাহ সংকটের কারণে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে বলে জানায় খুচরা ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, কোরবানি ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। যা এখন ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে ১৫ দিনের ব্যবধানে পেঁয়াজ কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে। আর গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা।
বাজারের একজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আলাদা করে কারও কাছে পেঁয়াজের মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে, সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসতেছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়তেছে। সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করে।
পাইকারি ব্যবসায়ীরা জানায়, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেই সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে।
এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। এ হিসাবে বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মোবাইল গ্রাহক বেড়েছে ১৩.৬ লাখ
![মোবাইল গ্রাহক বেড়েছে ১৩.৬ লাখ ওরিয়ন ফার্মা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/mobile-user.jpg)
মে মাসে দেশের চার মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটর ১৩.৬ লাখ নতুন গ্রাহক পেয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে ২৬.৯ লাখ।
গত মে মাসে মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের সংখ্যা বেড়ে ১৯.৫১ কোটি হয়েছে। এপ্রিলে গ্রাহক ছিল ১৯.৩৭ কোটি। দেশের চার মোবাইল ফোন অপারেটরেরই গ্রাহক বেড়েছে।
এদের মধ্যে বৃহত্তম মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যা ৮.৪০ কোটি থেকে বেড়ে ৮.৪৯ কোটিতে উন্নীত হয়েছে। আর রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন টেলিটকের গ্রাহক সংখ্যা ২০ হাজার বেড়ে মোট গ্রাহক ৬৫.৭ লাখে পৌঁছেছে।
এদিকে রবি আজিয়াটার গ্রাহক ৫.৮৫ কোটি থেকে বেড়ে ৫.৮৯ কোটি হয়েছে, আর বাংলালিংকের গ্রাহক সংখ্যা আগের মাসে অনেকটা বেড়ে ৪.৪৭ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
বিপুলসংখ্যক মানুষ একাধিক মোবাইল সিম ব্যবহার করেন, তাই মোট গ্রাহকসংখ্যা দেশের জনসংখ্যাকে ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন বলছে, ৪০ শতাংশের বেশি মানুষ মোবাইল নেটওয়ার্ক সংযোগের বাইরে রয়ে গেছে।
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিপ্রেক্ষিতে, মে মাসে মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে ১২.৭৮ কোটি হয়েছে, যা এপ্রিলে ১২.৫২ কোটি ছিল।
স্থায়ী ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১.৩৪ কোটিই রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যতিক্রমী সরকারি প্রকল্প, বরাদ্দের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কমে বাস্তবায়ন
![ব্যতিক্রমী সরকারি প্রকল্প, বরাদ্দের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কমে বাস্তবায়ন ওরিয়ন ফার্মা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/bangabondhu-gas-project.jpg)
সরকারি প্রকল্পের কয়েক দফা মেয়াদ বাড়ানো এবং অপ্রয়োজনীয় কিছু ব্যয় হয়। যার ফলে সরকারি প্রকল্প নিয়ে খুব পরিচিত একটি অভিযোগ হলো, প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় প্রাক্কলিত ব্যয়ের চেয়ে বেশি হয়।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ব্যতিক্রম একটি প্রকল্পের সন্ধান পেয়েছে। প্রকল্পটির বাস্তবায়ন ব্যয় প্রাক্কলন ব্যয়ের চেয়ে ১০০ কোটি টাকা কম ব্যয় হয়েছে। যার ফলে এই প্রকল্পটিকে ব্যতিক্রম বলে অভিহিত কার হচ্ছে।
আইএমইডির এক মূল্যায়ন অনুযায়ী, ব্যতিক্রমী এই প্রকল্পটি হলো বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরের গ্যাস পাইপলাইন নির্মাণ ও বিতরণ প্রকল্প। কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ২০১৭ সালের মে থেকে ২০১৯ সালের জুন এই সময়ে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। এজন্য তারা ব্যয় করেছে ৩০৫ কোটি ৯৮ লাখ টাকা। অথচ প্রকল্পটির আনুমানিক ব্যয় ধরা হয়েছিল বা প্রাক্কলিত ব্যয় ছিল ৪০৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা।
প্রাথমিকভাবে প্রকল্পটির জন্য ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ টাকা অনুমোদনের পর ‘রিভার ক্রসিং বাই হরাইজন্টাল ডাইরেকশনাল ড্রিলিং ইত্যাদি’ সংশোধনের মাধ্যমে এই ব্যয় প্রায় ৪০ কোটি টাকা বা ১১ শতাংশ বাড়িয়ে ৪০৬ কোটি ৯৩ লাখ টাকা করা হয়।
আইএমইডি জানিয়েছে, নানা কারণে প্রকল্পের কিছু কিছু ক্ষেত্রে কোনো বাড়তি ব্যয় হয়নি এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে স্বল্প ব্যয়ে বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে।
মূল্যায়ন প্রতিবেদনে বলা হয়, জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা) ভালভ স্টেশনের জন্য বিনামূল্যে জমি দিয়েছে।
এছাড়া, আগে অধিগ্রহণ করা বেজার জমি কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির ২০ ফুট প্রশস্ত পাইপলাইন নির্মাণে ব্যবহার করা হয়েছে। অর্থাৎ অর্থ জমি অধিগ্রহণের জন্য কোনো অর্থের প্রয়োজন হয়নি বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, পাশাপাশি নদী পারাপার ও ইঞ্জিনিয়ারিং, প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড কনস্ট্রাকশন (ইপিসি) সম্পর্কিত হরাইজন্টাল ডিরেকশনাল ড্রিলিং পদ্ধতির আওতায় ক্যাথোডিক প্রোটেকশন সিস্টেম স্থাপনের কাজ প্রাক্কলিত কাজের চেয়ে কম ছিল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ব্যয় কম হওয়ার পেছনে আরেকটি কারণ হলো পরামর্শক প্রতিষ্ঠান দিয়ে বিস্তারিত সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি।
এতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পের আওতায় মিরসরাই শিল্পাঞ্চল বা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগর পর্যন্ত গ্যাস বিতরণ পাইপলাইন নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকায় গ্যাস সরবরাহের অবকাঠামো তৈরি হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ওই এলাকার তিন শিল্প গ্রাহককে গ্যাস সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে প্রকল্পের লক্ষ্য অর্জিত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমইডি।
তারা বলছে, প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে নতুন নতুন শিল্পকারখানা যেমন গ্যাস সংযোগের আওতায় আসবে, তেমনি প্রকল্পের ইতিবাচক প্রভাব বাড়বে।
আইএমইডি বলেছে, প্রকল্পের বিভিন্ন প্রকিউরমেন্ট প্যাকেজের আনুমানিক খরচ বাজার দরের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ছিল না, কারণ ঠিকাদার দরপত্রে আনুমানিক খরচের চেয়ে বেশি দর উল্লেখ করেছিল। ফলে বারবার দরপত্র ডাকতে হয়েছে বলে জানিয়েছে আইএমইডি।
এতে বলা হয়েছে, এছাড়াও প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার আগে তৃতীয় পক্ষ দিয়ে কোনো সম্ভাব্যতা যাচাই করা হয়নি, তাই প্রকল্পের বিভিন্ন অংশের প্রাক্কলন ব্যয় ও কাজের পরিধি যথাযথ ছিল না।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান সরকারের রাজস্ব সাশ্রয় করতে পেরেছে, এটি একটি ভালো উদাহরণ। কারণ বেজা জমির জন্য কোনো টাকা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, সাশ্রয় করা অর্থ অন্যান্য প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে, যা অর্থনৈতিক সংকটের সময় গুরুত্বপূর্ণ। তবে বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানের দক্ষতার কারণে অর্থ সাশ্রয় হয়নি, বরং বেজার উদারতার কারণে এটি সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বেশ কয়েকটি উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য এ ধরনের সুযোগ ছিল। বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলো চাইলে সেসব প্রকল্পের অর্থ সাশ্রয় করতে পারত বলে জানান তিনি।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার
![শিল্প মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার ওরিয়ন ফার্মা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/silpo-montronaloy.jpg)
২০২২-২০২৩ ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থাকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সই করা হয়েছে।
গতকাল বুধবার (৩ জুলাই) রাজধানীর মতিঝিলে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন পুরস্কার তুলে দেন। এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা।
শিল্পমন্ত্রীর পক্ষে মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা এবং দপ্তর-সংস্থার পক্ষে সংশ্লিষ্ট দপ্তর-সংস্থার প্রধানরা এপিএ চুক্তিতে সই করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, সবার জীবনে শুদ্ধাচার গুরুত্বপূর্ণ। তবে নৈতিকতা বাদ দিয়ে শুদ্ধাচার সম্ভব নয়। শুদ্ধাচার চলমান থাকলে জীবনে পথচলা অনেক সহজ হয়। অন্যায় ও অসৎকাজ থেকে বিরত রাখে, বিবেককে জাগ্রত রাখে।
নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কর্তৃক প্রবর্তিত এপিএ ও শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য গাইডলাইনস্বরূপ। এর মাধ্যমে তারা সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করে মন্ত্রণালয় তথা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে এপিএ স্বাক্ষরকারী ১৩টি দপ্তর-সংস্থা হচ্ছে যথাক্রমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমইএফ), ন্যাশনাল প্রোডাক্টটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও), বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি), বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি), বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশন (বিএসটিআই), পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি), বাংলাদেশ ইনস্টিটিউশন অব ম্যানেজমেন্ট (বিআইএম), বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক), ক্ষুদ্র, মাইক্রো ও কুটির শিল্প ফাউন্ডেশন (এসএমসিআইএফ), বাংলাদেশ এ্যাক্রেডিটেশন বোর্ড (বিএবি) এবং প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয়।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে এপিএতে শিল্প মন্ত্রণালয়ে শীর্ষস্থান অর্জনকারী তিনটি প্রতিষ্ঠান প্রধানের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। এতে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় হয়েছে যথাক্রমে বিএসটিআই, প্রধান বয়লার পরিদর্শকের কার্যালয় ও বিসিক।
মন্ত্রী এরপর ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জন্য পাঁচজন ও ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের জন্য চারজনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের মোট নয়জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর হাতে শুদ্ধাচার পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার হিসাবে এক মাসের মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্ধারিত ফরম্যাটে একটি সার্টিফিকেট ও একটি ক্রেস্ট দেওয়া হয়।
২০২২-২০২৩ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের মধ্য থেকে একজন, ২-৯ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন, ১০-১৬ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন এবং ১৭-২০ গ্রেডের মধ্য থেকে যৌথভাবে দুইজনসহ মোট পাঁচজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার দেওয়া হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সাবেক চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মোহাম্মদ সালাউদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম এবং অফিস সহায়ক উত্তম কুমার চক্রবর্তী ও মুকুল ইসলাম।
২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের দপ্তর-সংস্থার প্রধানদের মধ্য থেকে একজন, ২-৯ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন, ১০-১৬ গ্রেডের মধ্য থেকে একজন এবং ১৭-২০ গ্রেডের মধ্য থেকে একজনসহ মোট চারজনকে শুদ্ধাচার পুরস্কার প্রদান হয়।
পুরস্কারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা হলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিএসটিআইয়ের মহাপরিচালক এস এম ফেরদৌস আলম, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব আফরোজা বেগম পারুল, কম্পিউটার অপারেটর প্রাণেশ দাশ জয় ও অফিস সহায়ক লিটন মিয়া।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের ভিশন, মিশন, কৌশলগত উদ্দেশ্যসমূহ এবং কার্যাবলীর আলোকে মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ১৩টি দপ্তর-সংস্থা তাদের নিজস্ব ভিশন, মিশন কৌশলগত উদ্দেশ্য, কার্যাবলি, বাজেট বরাদ্দ ইত্যাদি বিবেচনা করে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি প্রণয়ন করেছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেলে ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ
![মেট্রোরেলে ভ্যাট বাড়ানো নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ ওরিয়ন ফার্মা](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Metro-Rail-MetroRail.jpg)
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) পূর্ব সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ জুলাই থেকে মেট্রোরেলে চলাচলের ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূল্য সংযোজন কর (মুসক) বা ভ্যাট আরোপের কথা। তবে সরকারি এ সংস্থাটির সিদ্ধান্ত অনুসারে ভ্যাটের সমপরিমাণ অর্থ আদায় শুরু করেনি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডকে (ডিএমটিসিএল)।
এবিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুই সংস্থার বৈঠক হবে। এতে কী উপায়ে এনবিআর নির্ধারিত ভ্যাট আদায় করা হবে, বা আরোপ হবে কিনা; হলে সেটি ভাড়া বৃদ্ধির মাধ্যমে নাকি সমন্বয় করে, তা চূড়ান্ত হবে।
এ বিষয়ে মেট্রোরেল পরিচালনা সংস্থা ডিএমটিসিএল কোম্পানি সচিব আব্দুর রউফ বলেন, আমরা ভ্যাট মওকুফ চেয়ে এনবিআরকে আমাদের মতামত তুলে ধরেছি। বৃহস্পতিবার বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ভ্যাট না বসানোর বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে বলে তিনি মনে করেন।
সূত্র বলছে, মেট্রোরেলে ভ্যাট আরোপের ব্যাপারে এনবিআর ও ডিএমটিসিএল নিজ নিজ অবস্থানে অনড়। এর আগে নিজস্ব মতামত জানিয়ে দুই কর্তৃপক্ষের মধ্যে বেশ কয়েকবার চিঠি চালাচালি ও বৈঠকে হয়েছে। কিন্তু বিষয়টির সমাধান হয়নি।
হিসাব অনুযায়ী, বর্তমান ভাড়ার সঙ্গে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট যোগ করা হলে যাত্রীর ভাড়া বাড়বে। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত যাত্রীর বর্তমান ভাড়া ১০০ টাকা। এক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ ভ্যাট যোগ করা হলে ভ্যাট আইন অনুযায়ী ১৫ টাকা বেড়ে ১১৫ টাকা হবে।
অন্যদিকে ভ্যাটের টাকা যাত্রীর বর্তমান ভাড়া থেকে কেটে নেওয়ারও আইনি সুযোগ আছে। সেক্ষেত্রে ১০০ টাকা যাত্রীর কাছ থেকে নিয়ে ১৫ টাকা এনবিআরকে দিতে হবে, সেক্ষেত্রে ভাড়া না বাড়লে মেট্রোরেলের আয় কমবে।