সারাদেশ
পাহাড় ধস, ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। টানা বর্ষণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন জানান, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বগি লাইনচ্যুত: রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
রাজশাহী-চিলাহাটি চলাচলকারী আন্তঃনগর তিতুমীর এক্সপ্রেস ট্রেন লাইনচ্যুত হয়ে রাজশাহীর সঙ্গে সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) সকাল ৬টা ৩৬ মিনিটে রাজশাহীর বেলপুকুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
রাজশাহী রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার আবুল কালাম আজাদ এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিন বলেন, রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসার কিছুক্ষণ পর বেলপুকুর নামক স্থানে লাইনচ্যুত হয় ট্রেনটি। এর দুইটি চাকা লাইনের বাইরে এসেছে। এখনো উদ্ধার কাজ চলছে।
তিনি আরও বলেন, এটিই রাজশাহী স্টেশন থেকে ছেড়ে যাওয়া প্রথম ট্রেন। ফলে আজ সকাল থেকেই রাজশাহী স্টেশন থেকে অন্য ট্রেন চলাচল বন্ধ আছে। রাজশাহী অভিমুখে আসা ট্রেনগুলোও পথে আটকা পড়েছে। উদ্ধার কাজ শেষে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে তেঁতুলিয়া
শীতে কাঁপছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া। আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে, যা চলতি শীত মৌসুমে সবচেয়ে কম। দেশের সর্ব-উত্তরের এ জনপদে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। ফলে উত্তরের হিমেল বাতাসের সাথে কনকনে ঠান্ডা অব্যাহত রয়েছে। এতে সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
আজ শুক্রবার ভোর ৬টায় জেলার তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতার পরিমাণ ছিল ১০০ শতাংশ, যা গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।
এদিকে উত্তরের হিমেল বাতাসে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়েছে পঞ্চগড় জেলা। সন্ধ্যার পর থেকেই বেড়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল সকাল সূর্যের দেখা মিলছে না। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হচ্ছেন না সাধারণ মানুষ। ছিন্নমূল আর গ্রামীণ মানুষ খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ।
অন্যদিকে, তীব্র শীত ও আবারও মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের কারণে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। একটানা শীতের কারণে মানুষ শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। বিশেষ করে শিশু এবং বয়স্করা আক্রান্ত হচ্ছেন। এ সময়ে সতর্কতার কোনো বিকল্প নেই। সব সময় গরম কাপড় পরতে হবে। গরম খাবার খেতে হবে। শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।
তেঁতুলিয়ার আবহাওয়া পর্যেবক্ষণ অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, হিমালয় পর্বতের নিকটবর্তী উত্তরের জেলা পঞ্চগড় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। এতে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। আজ শুক্রবার সকাল ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ফলে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে এ জেলায়। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
এদিকে, বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার পূর্বভাসে বলা হয়েছে উপ-মহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যার প্রভাবে মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারাদেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
তবে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা (১-২) ডিগ্রি সেলসিয়াস বৃদ্ধি পেতে পারে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
গণমাধ্যম
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সভায় চাঁদপুরের সাংবাদিকদের একগুচ্ছ সুপারিশ
গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের আয়োজনে চট্টগ্রাম বিভাগের সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) বেলা ১১ টায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চাঁদপুরের গণমাধ্যম কর্মীরা কিছু লিখিত প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সভায় চাঁদপুরের ৪ গণমাধ্যম কর্মী উপস্থিত ছিলেন। তারা হলেন- চাঁদপুর টাইমসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বার্তা সম্পাদক মুসাদ্দেক আল আকিব, দৈনিক চাঁদপুর দিগন্তের নির্বাহী সম্পাদক মো. ইলিয়াস পাটোয়ারী, দৈনিক চাঁদপুর সময়ের বার্তা সম্পাদক আশিক বিন রহিম, দৈনিক ইলশেপাড়ের বার্তা সম্পাদক এস এম সোহেল প্রমুখ।
সভায় চট্টগ্রাম বিভাগের ৮টি জেলার জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় সাংবাদিকগণ বিভিন্ন বিষয়ে সুপারিশ তুলে ধরেন। চাঁদপুরের গণমাধ্যম কর্মীদের পক্ষে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদের হাতে লিখিত প্রস্তাবনা তুলে দেন মুসাদ্দেক আল আকিব।
প্রস্তাবনা সমূহ:
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিতকরণ
• আইনগত সংস্কার: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষিত করতে প্রাসঙ্গিক আইন যেমন “মিডিয়া আইন” সংশোধন বা নতুন আইন প্রণয়ন করা উচিত, যা সরকারের হস্তক্ষেপ থেকে গণমাধ্যমকে মুক্ত রাখবে।
• স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নজরদারি কমানো: গণমাধ্যমের ওপর রাজনৈতিক অথবা প্রশাসনিক চাপ কমানোর জন্য নজরদারি কমাতে হবে।
• গণমাধ্যম স্বাধীনতা রক্ষা কমিশন: একটি স্বাধীন কমিশন গঠন করা উচিত, যা গণমাধ্যমের স্বাধীনতা রক্ষায় বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে এবং অভিযোগ শোনার ব্যবস্থা করবে।
বস্তুনিষ্ঠতা এবং নৈতিকতার উন্নয়ন
• সাংবাদিকতার নৈতিক গাইডলাইন তৈরি: সঠিক তথ্য প্রদান এবং বস্তুনিষ্ঠতা রক্ষার জন্য একটি জাতীয় নৈতিক গাইডলাইন প্রণয়ন করা উচিত।
• সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ: গণমাধ্যম কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিয়মিত প্রশিক্ষণ ও কর্মশালা আয়োজন করতে হবে, যাতে তারা তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনে সঠিকতা এবং নৈতিকতা অনুসরণ করে।
• স্বতন্ত্র সাংবাদিকতা উন্নয়ন: সাংবাদিকদের স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ ও পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা কোনো ধরনের বাহ্যিক চাপ থেকে মুক্ত থাকে।
গণমাধ্যমের মালিকানা এবং অঙ্গীকার
• মালিকানা বৈচিত্র্য: গণমাধ্যমের মালিকানা বা নিয়ন্ত্রণ একাধিক প্রতিষ্ঠানের হাতে থাকা উচিত, যাতে একক কোনো গোষ্ঠী বা ব্যক্তির প্রভাব না পড়ে।
• সংকটকালীন মালিকানার স্বচ্ছতা: গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকানা ও অর্থায়নের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে, যাতে জনগণ জানতে পারে কে বা কীভাবে কোন সংবাদ মাধ্যম পরিচালিত হচ্ছে।
নিয়ন্ত্রণ এবং তদারকি সংস্থা গঠন
• স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা: একটি স্বাধীন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা গঠন করা উচিত যা মিডিয়ার কর্মকাণ্ড পর্যালোচনা করবে এবং প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে। এই সংস্থাটি সরকারের নিয়ন্ত্রণ থেকে স্বাধীন থাকবে এবং শুধু গণমাধ্যমের মানসম্পন্নতা বজায় রাখার জন্য কাজ করবে।
• ফেক নিউজের বিরুদ্ধে আইন: মিথ্যা তথ্য ও গুজব ছড়ানোর বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন করতে হবে, তবে এটি যেন গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় বিঘ্ন না ঘটায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
প্রযুক্তির সদ্ব্যবহার ও ডিজিটাল গণমাধ্যমের নিয়ন্ত্রণ
• ডিজিটাল নিরাপত্তা: ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তথ্যের সঠিকতা নিশ্চিত করার জন্য আরও কার্যকর প্রযুক্তিগত নজরদারি ব্যবস্থা থাকতে হবে।
• অনলাইন গণমাধ্যমের সুরক্ষা: অনলাইন মিডিয়ার ক্ষেত্রে কনটেন্ট মডারেশন প্রক্রিয়া শক্তিশালী করতে হবে, যাতে মিথ্যা তথ্য বা ভুয়া খবর দ্রুত বন্ধ করা যায়।
গণমাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ
• পাঠক বা দর্শকের মতামত: গণমাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পাঠক বা দর্শকদের মতামত প্রকাশের সুযোগ বৃদ্ধি করতে হবে, যাতে তারা সংবাদকর্মীদের কাজের প্রতি তাদের মূল্যায়ন জানাতে পারে।
• গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতা: গণমাধ্যমের বস্তুনিষ্ঠতা, স্বাধীনতা ও নৈতিকতা বজায় রাখতে গণমাধ্যমকর্মীদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা পালন করতে হবে।
এ ধরনের সংস্কারের মাধ্যমে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা এবং শক্তিশালী ভূমিকা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে আশা করছি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন প্রধান কামাল আহমেদ। তিনি বলেন, সংবাদপত্রকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করার জন্য এ সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এ কমিশনের প্রধান লক্ষ্য থাকবে সংবাদ প্রতিষ্ঠান এবং সাংবাদিকদের কাজের ক্ষেত্রে পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমাদের সম্পাদকীয় নীতিমালা নেই। সারা দেশে সম্পাদকীয় মান অভিন্ন ন্যাশনাল স্টান্ডার্ড থাকা উচিত, সব প্রতিষ্ঠান মেনে চলবে ন্যূনতম সাংবাদিকতার নৈতিকতার দিকগুলো- সেরকম কোন কিছু নেই। সেটার জন্য আমরা সম্পাদক পরিষদকে বলেছি।
কমিশন প্রধান বলেন, আমাদের দেশে একই মিডিয়া হাউসকে টেলিভিশন চ্যানেল, অনলাইন পোর্টাল, প্রিন্ট ভার্সন বা অনলাইন রেডিওর অনুমতি দেয়া হয়েছে। ফলে একই খবর ভিন্ন ভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হচ্ছে। এতে পাঠক ভিন্ন কোন মত বা বৈচিত্র পাচ্ছেন না। এগুলোর সমাধান আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আপনারা আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত mrc.portal.gov.bd এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে মতামত বা সুপারিশ কমিশনের কাছে পৌঁছাতে পারবেন। আপনাদের প্রেরিত মতামত বিবেচনা করে কিভাবে গণমাধ্যমে সংস্কার আনা যায় এ বিষয়ে কমিশন সুপারিশ পেশ করবে।
এছাড়া, কমিশনের সদস্য অধ্যাপক গীতিআরা নাসরীন, আখতার হোসেন খান, বেগম কামরুন্নেসা হাসান, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মোস্তফা সবুজ সহ চট্টগ্রাম পিআইডির উপপ্রধান তথ্য অফিসার মো. সাঈদ হাসান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুজ্জামানসহ বিভিন্ন দপ্তরের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
লুট হওয়া ৩২ ভরি স্বর্ণসহ দুইজন আটক
রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের আদাবরে একটি বাসার লকার ভেঙে ৪০ ভরি স্বর্ণ লুটের ঘটনায় দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এরই মধ্যে ৩২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে তাৎক্ষণিক আটককৃতদের পরিচয় প্রকাশ করেনি পুলিশ।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) দিবাগত রাতে আদাবর ১৬ নম্বর রোডে একটি বাসায় এই লুটের ঘটনা ঘটে।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শনিবার (৪ জানুয়ারি) আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় ৩২ ভরি স্বর্ণ উদ্ধারসহ ২ জন আটক করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ফেনীতে আ.লীগ নেতাকে সংবর্ধনা, অতিথি ডিসি-এসপি
কাতার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এম সাখাওয়াত হোসেন খানকে ফেনীতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) রাতে শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সরকারের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দিয়েছেন আলোকিত ফেনী ফাউন্ডেশন। এনিয়ে জেলাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
জানা গেছে, ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের এম সাখাওয়াত হোসেন খান ২০২৩ সালে কাতার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব নেন। তার আগে থেকেই তিনি আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। সাম্প্রতিক সময়ে এম সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) নির্বাচিত হওয়ায় তাকে এ সংবর্ধনা দিয়েছেন আলোকিত ফেনী ফাউন্ডেশন। এ অনুষ্ঠানের পর থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আওয়ামী রাজনীতিতে সংবর্ধিত এম সাখাওয়াত হোসেনের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ গ্রহণসহ নানা চিত্র উঠে আসে। এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বেলাল হোসাইন নামে এক ব্যক্তি লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের অর্থদাতা এম সাখাওয়াত হোসেন খান কাতার আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। কাতারে তার বাসায় ফেনী পৌর মেয়রসহ কয়েকজন কমিশনার, যুবলীগের দায়িত্বশীল নেতা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের অবস্থান রয়েছে। আর আমরা তাকে সংবর্ধনা দিচ্ছি। কি জবাব দেবেন ৪ আগস্টের বীর শহীদদের? অর্থের কি ক্ষমতা।
জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলী রাসেল পাটোয়ারী এক পোস্টে মন্তব্য করেন, টাকার কাছে সবাই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে। কিছু টাকার বিনিময়ে আওয়ামী পরিবারের লোককে সংবর্ধনা দিচ্ছে। এসবের ধিক্কার জানাই।
আল ইমরান নামে আরেকজন লিখেছেন, টাকার বিনিময়ে যদি আওয়ামী দোসররা সংবর্ধনা নেন আর ওই অনুষ্ঠানে আমাদের সিনিয়র নেতৃবৃন্দরা যায় তাহলে আমরা কোথায় যাবো? আওয়ামী দোসরা প্রকাশ্যে খুনখারাপি করেও তাদের মধ্যে এখন পর্যন্ত বিন্দুমাত্র অনুতপ্ত নেই।
আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন- পুলিশ সুপার হাবিবুর রহমান, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা মুফতি আবদুল হান্নান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এসএসআর মাসুদ রানা, ফেনী জেলা ব্যাংকার্স ফোরামের সভাপতি সামছুল করিম মজুমদার প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রবাসীদের বেশিরভাগ রেমিটেন্স বৈধ পথে আসে না। বৈধপথে টাকা পাঠালে দেশ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে। আলোকিত ফেনী ফাউন্ডেশন সংবর্ধনার আয়োজন করায় ধন্যবাদ জানাই। মানুষ স্বীকৃতি না পেলে ভালো কাজে উৎসাহিত হয় না।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ফেনীর অন্যতম প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল জুবায়ের বলেন, এমন আয়োজন নিয়ে আমরা হতাশ। বিষয়টি মেনে নেওয়ার মতো না। যারা আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইবে তারাও আওয়ামী লীগের দোসর। আওয়ামী লীগ নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া মানে শহীদদের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি করা। শুধু ফেনী নয়, এ দেশে যারাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে সংগ্রাম অব্যাহত থাকবে।
অনুষ্ঠানে অতিথি থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, আমি অনুষ্ঠানের ভেন্যুতে যাওয়ার পরপরই জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার উপস্থিত হন। ওই সময়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া সংবর্ধিত এ ব্যক্তি ২০১৭ সালে চেক জালিয়াতির মামলায়ও কারাগারে ছিল। সেখানে তিনি আওয়ামী নেতার চেয়েও চেক জালিয়াতির বিষয়টি নিয়ে আমি লজ্জিত। এছাড়া এ অনুষ্ঠানে আমি ছাড়াও সদর উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমান উদ্দিন কায়সার সাব্বির ও জেলা ছাত্রদল সভাপতি সালাউদ্দিন মামুনও উপস্থিত ছিলেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ফেনী জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে আয়োজকরা ভালো বলতে পারবে। আমাদের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল, সেজন্যই অতিথি হিসেবে সেখানে উপস্থিত হয়েছিলাম। সেখানে ফেনীর অন্যান্য গণ্যমান্য ব্যক্তিরাও উপস্থিত ছিলেন। আমরা জানতাম তিনি (আওয়ামী লীগ নেতা) একটি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। তবে তার অন্যান্য পরিচয় সম্পর্কে অবগত ছিলাম না। কেউ আমাদের কিছু বলেনি। শুধুমাত্র প্রবাসীদের বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করার জন্য অনুষ্ঠানে গিয়েছি।