জাতীয়
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের আশিক

বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে উড়ন্ত বিমান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার প্রচেষ্টায় এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠল আশিক চৌধুরীর। গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বিমান থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা চালান তিনি।
সোমবার (১ জুলাই) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের ওয়েবসাইটে আশিকের তথ্য হালনাগাদ করেছে। এর আগে গিনেসের ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রিফল উইথ আ ব্যানার/ফ্ল্যাগ’ ক্যাটাগরিতে রেকর্ডটি ছিল ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার।
এ ক্যাটারিতে ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার রেকর্ড ছিল ১১ হাজার ২৫৬ মিটার বা ৩৬ হাজার ৯২৯ ফুট ১৩ ইঞ্চি। আশিক চৌধুরী সেটা ভেঙেছেন ১১ হাজার ৩৬৮ মিটার বা ৩৭ হাজার ২৯৬ ফুট ৫৮ ইঞ্চি পর্যন্ত পতাকা নিয়ে লাফিয়ে।
‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ নামে গিনেসের যে আরেক রেকর্ডের জন্য আশিক নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছেন, সেটিও বর্তমানে ভারতের জিতিনের দখলে।
আশিক চৌধুরীর রেকর্ড গড়ার উদ্যোগের নাম ‘দ্য লার্জেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন ইন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার’। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। আশিক রেকর্ড গড়তে প্রায় ৭ বর্গফুট আকারের পতাকা নিয়ে লাফ দেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের তথ্য পেয়েই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিলাম, দুটি গিনেস রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছি। আজ গিনেস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে ই-মেইল করেছে। রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ’
আশিক আরও বলেন, ‘এই রেকর্ডের জন্য গত সপ্তাহে আবেদন করেছিলাম। দুই-তিন দিন পর আরেকটি (লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল) রেকর্ডের জন্য আবেদন করি। হয়তো আগামী সপ্তাহে সে রেকর্ড নিয়েও গিনেসের আপডেট জেনে যাব। তবে আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এ রেকর্ডই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছি। ’
আশিক চৌধুরী সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের তিনি সহযোগী পরিচালক। কাজের ফাঁকে থাই স্কাই অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির অধীন স্কাইডাইভিংয়ের ওপর দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নেন। গত বছর অর্জন করেন স্কাইডাইভারের লাইসেন্স।
এমআই

জাতীয়
ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তায় কাজ করছে ৫০০ পেট্রোল টিম: ডিএমপি কমিশনার

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ঈদের এ সময়ে ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তায় ৫০০ পেট্রোল টিম দিন-রাত কাজ করছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহ মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে এসব কথা জানান ডিএমপি কমিশনার।
তিনি বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। ফাঁকা রাজধানীর নিরাপত্তায় রাতে-দিনে ৫০০ পেট্রোল টিম কাজ করছে।
ঈদগাহের নিরাপত্তা সম্পর্কে ডিএমপি কমিশনার বলেন, জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররমসহ পুরো এলাকায় সিসিটিভি স্থাপন করা হয়েছে। ঈদগাহে প্রবেশের সময় কোনো ধরনের ধারালো বস্তু বহন করা যাবে না।
এদিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও বলেন, পুরো দেশের নিরাপত্তার জন্যই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে। নিরাপত্তা নিয়ে শতভাগ কনফিডেন্ট আমরা।
কাফি
জাতীয়
ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সচেষ্ট রয়েছে সরকার: উপদেষ্টা আসিফ

কোরবানির ঈদে ঘরমুখো মানুষের ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনাল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়ার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। পরিদর্শন শেষে এজাজ জানান, ঈদযাত্রায় যাত্রীদের ভোগান্তি কমাতে ভোর থেকেই রাজধানীর মহাখালী বাস টার্মিনালে ডিএনসিসির ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করছে।
এ সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মো. শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগে কয়েকটি বাস কাউন্টারে অভিযান চালায়। অভিযানের সময় লাবিবা ক্লাসিক লিমিটেড পরিবহন কাউন্টারে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের প্রমাণ পাওয়ায় সড়ক পরিবহন আইনের ৮০ ধারা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
কাফি
জাতীয়
কালুরঘাট সেতুতে ভয়াবহ দুর্ঘটনা: বরখাস্ত ৪ রেলকর্মী, তদন্তে কমিটি

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর ওপরে ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় কয়েকটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও মোটরসাইকেল দুমড়েমুচড়ে গেছে। এ ঘটনায় অন্তত তিনজন নিহত হওয়ার পাশাপাশি আহত হয়েছেন আরও অনেকে। বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ১০ টার দিকে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার তদন্তে ইতোমধ্যে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে প্রাথমিকভাবে চার রেলকর্মীকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
শুক্রবার (৬ জুন) সকালে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (সিনিয়র তথ্য অফিসার) রেজাউল করিম সিদ্দিকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বরখাস্ত হওয়া রেলকর্মীরা হলেন দুর্ঘটনা সংশ্লিষ্ট ট্রেনের গার্ড সোহেল রানা (হেড কোয়ার্টার, চট্টগ্রাম), লোকোমাস্টার গোলাম রসুল (টি নম্বর-৫৩০), সহকারী লোকোমাস্টার আমিন উল্লাহ (টি নম্বর-৭২৩) এবং অস্থায়ী গেটকিপার মাহবুব (টিএলআর)।
গঠিত তদন্ত কমিটির নেতৃত্বে রয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও)। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন ডিএমই (লোকো), ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার-১ ও বিভাগীয় চিকিৎসক (পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম)। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে কমিটিকে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতুর বোয়ালখালী অংশে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রাত সোয়া ১০টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতদের মধ্যে দুই বছর বয়সী একটি শিশু রয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সেতুর ওপর একটি গাড়ি নষ্ট হয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। ঠিক তখনই কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা ঢাকামুখী পর্যটক এক্সপ্রেস ট্রেনটি সেতুর দিকে এগিয়ে আসে। নিয়ম অনুযায়ী, লাইনম্যানের সংকেত নিয়ে ট্রেন সেতুতে ওঠার কথা থাকলেও লোকোমাস্টার (ট্রেনচালক) তা মানেননি। ফলে সেতুর ওপর থাকা কয়েকটি অটোরিকশা, একটি মাইক্রোবাস ও কয়েকটি মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায় ট্রেনের ধাক্কায়।
কাফি
জাতীয়
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ৪৫ কিলোমিটার যানজট

শেষ সময়ে নারীর টানে বাড়ি ফিরছে মানুষ। তবে ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়ক দিয়ে মানুষ ভোগান্তি নিয়ে বাড়ি যাচ্ছে। এ মহাসড়কের যমুনা সেতু থেকে করটিয়া পর্যন্ত প্রায় ৩০ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এছাড়া মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজ থেকে জামুর্কি পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার ধীরগতিতে যানবাহন চলাচল করছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। অন্যদিকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে খোলা ট্রাক ও বাসের ছাদে করে গন্তব্য যাচ্ছেন যাত্রীরা। স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে কয়েকগুণ বাড়তি ভাড়ার নেওয়ার অভিযোগও রয়েছে।
অতিরিক্ত গাড়ির চাপ, সেতুর ওপর গাড়ি বিকলসহ বিভিন্ন কারণে বুধবার (৪ জুন) ভোর ৪টা থেকে মহাসড়কের আশেকপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত প্রায় ২২ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। সেই যানজট সারাদিন পেরিয়েও সারারাত অব্যাহত থাক। সবশেষ শুক্রবারও (৬ জুন) মহাসড়কে যানজট দেখা যায়।
পুলিশ, চালক ও যাত্রীরা জানান, ২ ঘণ্টার রাস্তা পার হতে সময় লাগছে ৬-৮ ঘণ্টা। মহাসড়কে ফিটনেসবিহীন যানবাহন বিকল ও দুর্ঘটনার ফলে এই ভোগান্তি। অন্যদিকে যমুনা সেতুর ধারণক্ষমতা কম থাকায় স্বাভাবিকভাবে গাড়ি পারাপার করতে পারছে না। ফলে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী যানগুলো ভূঞাপুর দিয়ে ঘুরিয়ে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা সেতু দিয়ে ঈদযাত্রায় ছোট-বড় বিভিন্ন ধরনের ৬৪ হাজার ২৮৩টি যানবাহন পারাপার হয়েছে। টোল আদায় হয়েছে ৪ কোটি ১০ লাখ ৮০ হাজার ৯৫০ টাকা।
গোড়াই হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জসিম উদ্দিন জানান, অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে যানবাহন ধীরগতিতে চলছে। যানজট নিরসনে আমরা কাজ করছি।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, যানজট নিরসন আমরা নিরসলভাবে কাজ করছি।
জাতীয়
১৬ দিন পর আন্দোলন স্থগিত করল পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি

লিখিত আশ্বাসে ১৬ দিন আন্দোলনের পর মন্ত্রণালয়ের কর্মসূচি স্থগিত করেছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেন পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রকৌশলী তাজুল ইসলাম।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগ কর্তৃক প্রতিশ্রুত ও জারিকৃত দপ্তর আদেশে পল্লী বিদ্যুতের সাত দফা দাবির যৌক্তিকতা বিবেচনায় নিয়ে সমস্যা সমাধানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব প্রদান করে উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাসে এবং আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহার সময় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ও গ্রাহক ভোগান্তির বিষয় বিবেচনায় কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি স্থগিত করা হলো।
এ সময় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব মো. সোলায়মান, ফারজানা খানম উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জুনায়েদ সাকি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদিব, নিয়াজ মোরশেদ, আবু আব্দুল্লাহ সজীব ওয়াফিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
তাজুল ইসলাম বলেন, পল্লী বিদ্যুৎ সিস্টেমের সংস্কার দাবিতে আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে কোনো ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ভয়ে কাজে যোগদান করার জন্য বলেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা।
সামগ্রিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সকল পক্ষের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আন্দোলনরত কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিজ নিজ কর্মস্থলে যোগদান করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
কাফি