জাতীয়
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের আশিক
![গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে বাংলাদেশের আশিক পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/ashiq-guinness-world-records-ashik.jpg)
বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে উড়ন্ত বিমান থেকে ঝাঁপ দেওয়ার প্রচেষ্টায় এবার গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে নাম উঠল আশিক চৌধুরীর। গত ২৫ মে যুক্তরাষ্ট্রের মেমফিসে বিমান থেকে লাফ দিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার প্রচেষ্টা চালান তিনি।
সোমবার (১ জুলাই) গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস তাদের ওয়েবসাইটে আশিকের তথ্য হালনাগাদ করেছে। এর আগে গিনেসের ‘গ্রেটেস্ট ডিসট্যান্স ফ্রিফল উইথ আ ব্যানার/ফ্ল্যাগ’ ক্যাটাগরিতে রেকর্ডটি ছিল ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার।
এ ক্যাটারিতে ভারতের স্কাইডাইভার জিতিন বিজয়ানার রেকর্ড ছিল ১১ হাজার ২৫৬ মিটার বা ৩৬ হাজার ৯২৯ ফুট ১৩ ইঞ্চি। আশিক চৌধুরী সেটা ভেঙেছেন ১১ হাজার ৩৬৮ মিটার বা ৩৭ হাজার ২৯৬ ফুট ৫৮ ইঞ্চি পর্যন্ত পতাকা নিয়ে লাফিয়ে।
‘লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল’ নামে গিনেসের যে আরেক রেকর্ডের জন্য আশিক নিজের নাম অন্তর্ভুক্তির আবেদন করেছেন, সেটিও বর্তমানে ভারতের জিতিনের দখলে।
আশিক চৌধুরীর রেকর্ড গড়ার উদ্যোগের নাম ‘দ্য লার্জেস্ট ফ্ল্যাগ ফ্লোন ইন স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার’। ভূপৃষ্ঠ ছাড়িয়ে ১০ থেকে ৬০ কিলোমিটারের মধ্যবর্তী জায়গাকে বলে স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার। আশিক রেকর্ড গড়তে প্রায় ৭ বর্গফুট আকারের পতাকা নিয়ে লাফ দেন।
আশিক চৌধুরী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ড এয়ার স্পোর্টস ফেডারেশনের তথ্য পেয়েই অনেকটা নিশ্চিত হয়েছিলাম, দুটি গিনেস রেকর্ড ভাঙতে যাচ্ছি। আজ গিনেস কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিশ্চিত করে ই-মেইল করেছে। রেকর্ডের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি পেয়ে খুব ভালো লাগছে। ’
আশিক আরও বলেন, ‘এই রেকর্ডের জন্য গত সপ্তাহে আবেদন করেছিলাম। দুই-তিন দিন পর আরেকটি (লংগেস্ট আউটডোর ফ্ল্যাট ফ্রিফল) রেকর্ডের জন্য আবেদন করি। হয়তো আগামী সপ্তাহে সে রেকর্ড নিয়েও গিনেসের আপডেট জেনে যাব। তবে আমার কাছে বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে এ রেকর্ডই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। যা ইতোমধ্যে পেয়ে গেছি। ’
আশিক চৌধুরী সিঙ্গাপুরে বহুজাতিক দ্য হংকং অ্যান্ড সাংহাই ব্যাংকিং করপোরেশনের (এইচএসবিসি) রিয়েল অ্যাসেট ফাইন্যান্স বিভাগের তিনি সহযোগী পরিচালক। কাজের ফাঁকে থাই স্কাই অ্যাডভেঞ্চার কোম্পানির অধীন স্কাইডাইভিংয়ের ওপর দীর্ঘ প্রশিক্ষণ নেন। গত বছর অর্জন করেন স্কাইডাইভারের লাইসেন্স।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের সহায়তা চান রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীরা
![নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে সরকারের সহায়তা চান রেঁস্তোরা ব্যবসায়ীরা পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/resturant1.jpg)
নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়নে সরকারের নীতি সহায়তা চান এই খাতের ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা। পাশাপাশি ব্যবসা পরিচালনার জটিলতা কমানো, রেস্তোরাঁগুলোর ত্রুটি-বিচ্যুতি সংশোধন এবং এই খাতের জন্য দক্ষ জনশক্তি তৈরি করতে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান তারা।
বুধবার (৩ জুলাই) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে ফুড অ্যান্ড ফুড সেইফটি বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ীরা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ রেস্টুরেন্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ইমরান হাসান। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক খন্দকার রুহুল আমিন।
প্রধান অতিথি হিসেবে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, সবার জন্য পুষ্টিকর এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশের মতো বিপুল জনসংখ্যার দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা কঠিন, তবুও আমাদের কমপ্লায়েন্স বাস্তবায়ন করতে হবে।
রেস্তোরাঁর পরিবেশ, নিরাপত্তা এবং খাদ্যের মান নিশ্চিত করতে রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য দক্ষ ও প্রশিক্ষিত কর্মীবাহিনী গড়ে তোলার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করে শুধু বিদেশ পাঠালে চলবে না, নিজেদের দেশের জন্যও খাতভিত্তিক দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে হবে। এ সময়, নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত এবং রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীদের সমস্যা দূরীকরণে এফবিসিসিআইয়ের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে হবে। ভেজাল রোধ, অগ্নি নিরাপত্তা এবং রেস্তোরাঁ শিল্পের অন্যান্য সমস্যা চিহ্নিত করে তা সমাধানের উপায় খুঁজে বের করতে হবে এই খাতের উদ্যোক্তাদের। আর এসব করার জন্য তিনি স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
সভার আলোচনায় রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য ওয়ান স্টপ সার্ভিস চালু করা উচিত বলে মন্তব্য করেন বক্তারা। এছাড়া, রেস্তোরাঁর লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়নের প্রক্রিয়া সহজিকরণ, ভেজালবিরোধী আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনা, অভিযান পরিচালনা এবং খাদ্যে ভেজাল নির্ধারণে গাইডলাইন ঠিক করার দাবি জানান তারা।
একইসঙ্গে ভেজাল নির্ণয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টেস্টিং সক্ষমতা বৃদ্ধি করা, অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তাদের দক্ষতা বৃদ্ধি ও সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি করা, অভিযানের নামে ব্যবসায়ীদের সামাজিকভাবে হেনস্তা বন্ধ করা, নিরাপদ খাদ্য ও রেস্তোরাঁ ব্যবসার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সকল অংশীজনকে নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে সেমিনার আয়োজন, রেস্তোরাঁ মালিকদের ত্রুটি সংশোধনের সুযোগ প্রদান, রেস্তোরাঁ শিল্পের জন্য আলাদা বিভাগ বা কর্তৃপক্ষ গঠন করাসহ বেশকিছু প্রস্তাবনা তুলে ধরেন কমিটির সদস্যরা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেল-২ প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা করবে চীন
![মেট্রোরেল-২ প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা করবে চীন পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/dhaka-metro-rail.jpg)
গাবতলী থেকে সদরঘাট হয়ে নারায়ণগঞ্জ পর্যন্ত মেট্রোরেল-২ প্রকল্প নির্মাণে সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে চীনা এক্সিম ব্যাংক। ঢাকা সফররত চীনের এক্সিম ব্যাংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আজ বুধবার অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) বৈঠকে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
ইআরডির সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চীনা মুদ্রায় পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয়। সূত্র জানায়, বৈঠকে মেট্রোরেল-২ প্রকল্প নির্মাণে অর্থায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত আলোচনা হয়। আগে থেকেই এ বিষয়ে আলোচনা চলছিল।
৬০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পে ৪৫ হাজার কোটি টাকার মত দেবে চীনের এক্সিম ব্যাংক। সভায় ৯টি প্রকল্প নিয়ে আলোচনা হয়। মেট্রোরেল ছাড়াও ভাঙা থেকে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পেও চীনের আগ্রহ রয়েছে। প্রকল্পটিতে ৪১ হাজার কোটি ব্যয় হবে। এছাড়া পিরোজপুরে কচা নদীর ওপর সেতু নির্মাণ এবং মুন্সিগঞ্জের মুক্তারপুর সেতু মেরামতে চীনের এক্সিম ব্যাংক থেকে অর্থ পেতে চায় বাংলাদেশ।
চীনা ঋণ পেতে রেলের আরও যেসব প্রকল্পের তালিকা করা হয়েছে- সেগুলোর মধ্যে আছে গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে জামালপুর পর্যন্ত মিশ্র গেজ রেলপথ নির্মাণ, পাবনার ঢালারচর থেকে ফরিদপুরের পাচুরিয়া পর্যন্ত ব্রডগেজ রেলপথ নির্মাণ, রাজবাড়ীতে একটি রেলওয়ে ওয়ার্কশপ নির্মাণ এবং ভৈরববাজার থেকে ময়মনসিংহ পর্যন্ত মিটারগেজ লাইন মিশ্র গেজে রূপান্তর।
সূত্র জানায়, ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ অর্থ চীনা মুদ্রায় পাওয়ার বিষয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ এই ধরনের বাণিজ্যসহায়তা কিংবা বাজেট সহায়তা অন্য দেশ বা সংস্থা থেকে নিলে সুদের হার কত, রেয়াতকাল, মেয়াদ কত বছর–এসব বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২১ শতাংশ
![বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২১ শতাংশ পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/export-import.jpg)
সমাপ্ত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে (জুলাই’২৩ -এপ্রিল২৪) বাণিজ্য ঘাটতি কমেছে ২০ দশমিক ৭৭ শতাংশ। বুধবার (৩ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত বৈদেশিক লেনদেনের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে এই সময়ে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ২ হাজার ৩৬০ কোটি ডলার, যা এবার নেমে এসেছে ১ হাজার ৮৬৯ কোটি ডলারে। এই দশ মাসে বাংলাদেশ থেকে পণ্য ও সেবা রপ্তানি হয়েছে ৩ হাজার ৩৬৭ কোটি ডলারের। এর বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৫ হাজার ২৩৭ কোটি ডলারের।
এপ্রিল শেষে বৈদেশিক লেনদেনের চলতি হিসাব ভারসাম্য দাঁড়িয়েছে ঋণাত্মক ৫৭২ কোটি ডলারে, এক মাসে আগেও যা ছিল মাত্র ৪০৭ কোটি ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম দশ মাস শেষে এ হিসাবে ঘাটতি ছিল ১ হাজার ১৮ কোটি ডলার।
চলতি হিসাবে ঘাটতি থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে ঋণ নিয়ে পূরণ করতে হয়। আর উদ্বৃত্ত থাকা মানে নিয়মিত লেনদেনে কোনো ঋণ করতে হয় না দেশকে।
এই সময়ে সার্বিক ভারসাম্যে (ওভারঅল ব্যালেন্স) ঘাটতিও কিছুটা কমেছে। জুলাই-এপ্রিলে এ হিসাবে ঘাটতি রয়েছে ৫৫৬ কোটি ডলারের। ২০২২-২৩ অর্থবছরের এপ্রিল শেষে ঘাটতি ছিল ৮৮০ কোটি ডলারের। এক বছরের ব্যবধানে সার্বিক ভারসাম্যর ঘাটতি কমেছে ৩২৪ কোটি ডলার বা ৩৬ দশমিক ৮১ শতাংশ।
একই সময়ে বাংলাদেশের সেবা খাতে আয় কমেছে। আলোচ্য এ সময়ে সেবা খাতে আয় হয়েছে ৫১৮ কোটি ডলার। আর এ খাতে ব্যয় হয়েছে ৮২৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ সেবা খাতে এ সময় ঘাটতি দাঁড়িয়েছে ৩০৫ কোটি ডলারের।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদিক অ্যাগ্রোর ৬ ব্রাহমা গরু জব্দ
![সাদিক অ্যাগ্রোর ৬ ব্রাহমা গরু জব্দ পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/sadik-agro.jpg)
আলোচিত সাদিক অ্যাগ্রোর খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে মাংসের জন্য বিখ্যাত ছয়টি ব্রাহমা জাতের গরু জব্দ করা হয়েছে।
বুধবার দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে খামারে অভিযান চালানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা বাসনা আক্তার।
দুদক সূত্র জানায়, তথ্যের ভিত্তিতে সাদিক অ্যাগ্রোতে দুদকের দল গিয়ে ছয়টি ব্রাহমা গরুর সন্ধান পায়, যা যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা হয়েছে। ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ। অভিযানের সময় সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ও ব্যবস্থাপক কাউকে পাওয়া যায়নি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী
![ভারতকে ট্রানজিট দেওয়া প্রসঙ্গে যা বললেন প্রধানমন্ত্রী পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/prime-minister-sekh-hasina.jpg)
ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট সুবিধা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথে যোগাযোগ বন্ধ ছিল সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। বিশ্বায়নের যুগে আমরা নিজেদের দরজা বন্ধ করে রাখতে পারি না। বুধবার (৩ জুলাই) দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আজ পৃথিবীটা গ্লোবাল ভিলেজ, একে অপরের ওপর নির্ভরশীল। ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ, এগুলোর দরজা বন্ধ করে থাকা যায় না। আমাদের ট্রান্স-এশিয়ান হাইওয়ে, ট্রান্স-এশিয়ান রেলের সঙ্গে যুক্ত হতে হবে। আজ ভারতকে আমরা ট্রানজিট দিলাম কেন? এটা নিয়ে নানান প্রতিক্রিয়া। আমাদের ট্রানজিট-তো আছেই। ত্রিপুরা থেকে বাস চলে আসে ঢাকায়, ঢাকা হয়ে কলকাতা পর্যন্ত তো যাচ্ছে। এতে ক্ষতিটা কী হচ্ছে? বরং আমরা রাস্তার ভাড়া পাচ্ছি। সুবিধা পাচ্ছে আমাদের দেশের মানুষ। অনেকে অর্থ উপার্জনও করছে।
তিনি বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে একটা যোগাযোগ হচ্ছে। আমরা নেপাল-ভুটানের সঙ্গে ট্রানজিট করেছি ভারতে। এটা-তো কোনো একটা দেশ না, আঞ্চলিক ট্রানজিট সুবিধা এবং যোগাযোগ সুবিধার জন্য করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজ নেপাল থেকে আমরা জলবিদ্যুৎ কেনা শুরু করতে যাচ্ছি। সেখানে গ্রিড লাইন করা, আমরা সেই চুক্তি করেছি। সেটা আমরা কার্যকরও করছি। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর যেসব রেলপথ, নৌপথ যোগাযোগ বন্ধ ছিল, সেগুলো আমরা উন্মুক্ত করে দিচ্ছি। আজ ভারত রেল নিয়ে যাবে।
তিনি বলেন, ভুটান থেকে একটি রাস্তা যাচ্ছে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড পর্যন্ত। অথচ সেই রাস্তাটা যাচ্ছে বাংলাদেশকে বাইপাস করে। বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে যে রোড হচ্ছে তা থেকে বিচ্ছিন্ন, কেন আমরা বিচ্ছিন্ন থাকব? ভারত চাচ্ছিল ভুটান থেকে এই রাস্তাটা বাংলাদেশ হয়ে, ভারত হয়ে মিয়ানমার হয়ে থাইল্যান্ড যাবে। আন্তর্জাতিকভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য, যোগাযোগ সব কিছু কত সুবিধা হতো। সেটাও খালেদা জিয়া নাকচ করে দিয়েছিল। এই হলো অবস্থা। আমি প্রথমবার সরকারে এসে অনেক চেষ্টা করেছি, কিন্তু আমরা যুক্ত হতে পারিনি।
ভারত থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে আসার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা আসামের রুমালিগড় থেকে পাইপলাইনে তেল নিয়ে এসেছি। পার্বতীপুর ডিপোতে সেই তেল আসছে। ক্ষতিটা কী হয়েছে? বরং আমরাই কিন্তু সস্তায় কিনতে পারছি। আমাদের দেশের জন্য, ওই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা আমরা পূরণ করতে পারি। উত্তরাঞ্চলে কোনো শিল্পায়ন হয়নি, এখন শিল্পায়নে আমরা যেতে পারি এবং বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রও আমরা নির্মাণ করেছি। আমরা নিজেদের দরজা তো বন্ধ করে রাখতে পারি না। এটাই কথা।
এমআই