সারাদেশ
সিগন্যাল ত্রুটিতে মাঝপথে থামলো সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
![সিগন্যাল ত্রুটিতে মাঝপথে থামলো সোনার বাংলা এক্সপ্রেস পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/tra.jpg)
কুমিল্লার লাকসামের সিগন্যাল ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বিরতিহীন দ্রুত গতির সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন হঠাৎ থেমে যায় গেছে। বিরতিহীন ট্রেন মাঝপথে হঠাৎ থেমে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। তবে এ সময় অন্য কোনো ট্রেন না আসায় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো ট্রেনটি।
সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে পৌর শহরের উত্তর লাকসাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিরতিহীন দ্রুত গতির চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোথাও যাত্রাবিরতি নেই। কিন্তু জংশন স্টেশনে প্রবেশ মুখের সিগন্যাল পয়েন্টে লালবাতি জ্বলতে থাকায় ট্রেনটি হঠাৎ আউটারে দাঁড়িয়ে যায়। পরে সবুজ সংকেত দেখালে ১০ মিনিট পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ ঘটনায় ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। ট্রেনটি লাকসাম-গৈয়ারভাঙ্গা রোডের লেভেলক্রসিংয়ে অবস্থান করায় ওই সড়কেও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
সিগন্যাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেবিন মাস্টার ইকবাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সিগন্যাল কন্ট্রোল বোর্ড কাজ না করায় এ ঘটনা ঘটে। বোর্ডটি ডার্ক হয়েছিল। পরে সিগন্যাল বোর্ড ঠিক হলে সবুজ সংকেত দেখালে ট্রেনটি ১০ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
একই ধরনের সিগন্যাল ত্রুটির কারণে গত বছরের ১৬ এপ্রিল লাকসাম-চট্টগ্রাম রুটের হাসনাবাদ রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা লেগে অর্ধশত যাত্রী আহত হন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
বনশ্রীতে হিজড়াদের সঙ্গে চাঁদার অঙ্ক নিয়ে চুক্তি
![বনশ্রীতে হিজড়াদের সঙ্গে চাঁদার অঙ্ক নিয়ে চুক্তি পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Banashree.jpg)
সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রায়ই খবর আসে- বিয়ে বাড়িতে চাঁদা দাবি করে না পেয়ে ভাঙচুর করেছে হিজড়ারা, অবরুদ্ধ হয়েছে পরিবার। নবজাতক হওয়ার খবরে বাসায় গিয়ে চাঁদা না পেয়ে ভাঙচুর করেছে; হিজড়াদের ছিনতাই ও অবৈধ কার্যকলাপ ঠেকাতে গিয়ে আহত হয়েছেন পুলিশ সদস্য।
এমন ঘটনা সামাজিকভাবে যেমন বিব্রত কর, তেমনি অস্বস্তিরও বটে। তাই এসব ঘটনা থেকে পরিত্রাণ পেতে বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাট মালিক, ভাড়াটিয়া, দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক ও ভ্যান দোকানদারদের যেন কোনো ধরনের বিরক্ত না করে- এমন শর্তে রাজধানীর বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ ওই এলাকার হিজড়া গ্রুপগুলোর জন্য ‘বকশিস’ নির্ধারণ করেছে বলে জানা গেছে।
যদিও এ বিষয়টি বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ ও ওই হিজড়া গ্রুপগুলোর কোনো সদস্যই স্বীকার করেননি। তবে বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হিজড়াদের অত্যাচারে তারা অতিষ্ট।
বনশ্রী আবাসিক এলাকা কর্তৃপক্ষ সভা করে ৫টি ক্যাটাগরিতে বকশিস নির্ধারণ করেছে এমন একটি পত্র গণমাধ্যমের হাতে রয়েছে। ওই পত্রে বলা হয়েছে, গত ৮ জুন সোসাইটির কার্যালয়ে ওই এলাকার হিজড়াদের ৪টি গ্রুপ এবং তাদের গ্রুপ প্রধান ময়নার সঙ্গে সোসাইটির কার্যনির্বাহী পরিষদের নেতাদের বিভিন্ন কার্যক্রম ও বকশিস উঠানো বিষয়ে আলোচনা হয়। উভয় পক্ষের মধ্য আলোচনা শেষে শর্ত সাপেক্ষে ও নির্ধারিত হারে এলাকার বাড়ি/ফ্ল্যাট মালিক, ভাড়াটিয়া এবং দোকাদারদের পক্ষ থেকে হিজড়াদের বকশিস দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শর্তে যা যা রয়েছে
১. কোনো হিজড়া বনশ্রী আবাসিক এলাকায় বসবাসকারী বাড়িওয়ালা, ফ্ল্যাট মালিক, ভাড়াটিয়া, দোকান মালিক, ব্যবসায়ী, হোটেল মালিক ও ভ্যান দোকানদারের কাছ থেকে সোসাইটি নির্ধারিত বকশিসের বাইরে কারো কাছ থেকে জোর করে নিজেদের ইচ্ছামতো কোনো বকশিস বা চাঁদা তুলতে পারবে না।
২. পত্রে উল্লিখিত ৪ জন হিজড়া ছাড়া অন্য কেউ বনশ্রী আবাসিক এলাকায় (এ থেকে এন-ব্লক পর্যন্ত) বকশিস তুলতে পারবে না।
৩. কাউকে কোনো প্রকার চাপ সৃষ্টি করা, অকথ্য গালিগালাজ করা, অশালিন অঙ্গভঙ্গী প্রকাশ করা, বাজে পরিবেশ সৃষ্টি করা, হাতে তালি দেওয়া অথবা ভয়ভীতি প্রদর্শনসহ কোনো প্রকার ঝগড়া-ঝাটি করতে পারবে না। এছাড়া সোসাইটির নিরাপত্তাকর্মীদের সঙ্গে কোনো ধরনের খারাপ ব্যবহার করতে পারবে না। এমন ধরনের কর্মকাণ্ড পরিলক্ষিত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
যেসব খাতে যত টাকা নিতে পারবে হিজড়ারা
ওই পত্রে বলা হয়েছে, মানবিক দিক বিবেচনা করে খাতওয়ারি বকশিসের হার নির্ধারণ করা হলো। যদি কোন বাড়িওয়ালা, ভাড়াটিয়া, দোকানদারের কাছে নির্ধারিত টাকার চেয়ে বেশি দাবি করেছে- এমন কোনো তথ্য প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য যে, এই সিদ্ধান্ত সোসাইটি যেকোন সময় পরিবর্তন বা বাতিল করার ক্ষমতা রাখে।
হিজড়ারা বিয়ের অনুষ্ঠান ও কোনো পরিবারে নতুন বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলে সেখান থেকে ১০০০ টাকা বকশিস নিতে পারবে; শুধু রমজানে ঈদে বাড়ির মালিক থেকে ২০০ টাকা নিতে পারবে; বনশ্রী আবাসিক এলাকার দোকানদারদের থেকে শুধু রমজান ঈদে ১০০ টাকা এবং দোকান থেকে মাসে একবার (১ থেকে ১০ তারিখের মধ্যে) ৪০ টাকা নিতে পারবে।
বনশ্রী আবাসিক এলাকায় হিজড়াদের ৪টি গ্রুপ রয়েছে। তাদের গ্রুপ প্রধান হচ্ছে ‘ময়না’। ওই এলাকায় বকশিস তুলবেন হিরা, ফুলি, বিজলী ও রিতা হিজড়া। এছাড়া বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সুরসুরি হিজড়াও। সবার ঠিকানা হিসেবে ‘গোড়ান হাঁড়াভাঙ্গা মোড়’ এলাকার কথা উল্লেখ আছে।
বিষয়টি জানতে গ্রুপ প্রধান ময়না হিজড়ার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে সংযোগ পাওয়া যায় তালিকায় দুই নম্বরে হিরা হিজড়ার মোবাইল নম্বরে। সবকিছু শোনার পর তিনি ‘আমি জানি না’ বলে কলটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দক্ষিণ বনশ্রী প্লট মালিক সমিতির সভাপতি ফরিদ উদ্দিন খন্দকার বলেন, হিজড়াদের অত্যাচারে না থাকার মত অবস্থা আমাদের। আমরা কোনো ফি নির্ধারণ করিনি। আমরা কেন টাকা দেবো তাদের? তারা কি আমাদের কোনো ওয়েল উইশার, যে তাদের আমরা টাকা দেবো।
তিনি বলেন, পুলিশ কনভেনশন হলে দুই তিন থানা মিলে একটি মিটিং হয়েছিল। ওই মিটিংয়ে আমরা বলেছি, আমাদের অসুবিধার কথাগুলো। ডিসি-ওসি বলছেন, তাদের ধরে সরাসরি থানায় জানাতে এবং তারা কোর্টে চালান করে দেবে।
চিঠিতে ফি নির্ধারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা আগের কাগজ। আজকে কালকের কোনো কাগজ পেয়েছেন কি না? এই কাগজের এখন আর কোনো ভিত্তি নাই। হিজড়াদের যেখানে পাওয়া সেখানে ধরে থানায় দিয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
ডিমের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা আদায়
![ডিমের বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের অভিযান, জরিমানা আদায় পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/egg-dim-1.jpg)
অস্থির ডিমের বাজারে স্বস্তি ফেরাতে হানা দিয়েছে খুলনা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। বুধবার (৩ জুলাই) দুপুরে খুলনা মহানগরীর গল্লামারী এলাকায় ডিমের পাইকারি ও খুচরা বাজার দর যাচাই করা হয়।
অভিযানে দুটি প্রতিষ্ঠানকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এর মধ্যে গল্লামারী এলাকার পুতুল ডিম ঘর’কে মূল্যতালিকা সংরক্ষণ না করা এবং ক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ না করার অপরাধে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। এ সময় একই এলাকার মেসার্স অসমিতা এন্টারপ্রাইজকে মূল্যতালিকা সংরক্ষণ না করার অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
খুলনা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক মোহাম্মদ সেলিমের নেতৃত্বে অভিযানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব, ক্যাব খুলনার সদস্য জেড এন সুমন, বিভাগীয় কার্যালয়ের অন্যান্য সদস্য ও পুলিশ সদস্যরা।
অভিযান চলাকালে ব্যবসায়ীদের সচেতন করার পাশাপাশি বাধ্যতামূলকভাবে মূল্যতালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয় ভাউচার সংরক্ষণ এবং নির্ধারিত মূল্যে পণ্য বিক্রি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সাজেক থেকে ফিরছেন আটকে থাকা পর্যটকরা
![সাজেক থেকে ফিরছেন আটকে থাকা পর্যটকরা পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sajek.jpg)
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে খাগড়াছড়ি-সাজেকে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। ফলে মঙ্গলবার (২ জুলাই) থেকে সাজেকে আটকা পড়েছেন ৭ শতাধিক পর্যটক। মঙ্গলবার বিকেল থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় বুধবার (৩ জুলাই) সকাল থেকে সড়কের পানি কমতে শুরু করেছে। এতে পর্যটকরা দ্রুতই ফিরতে পারবেন বলে আশা সংশ্লিষ্টদের।
খাগড়াছড়ি-সাজেক কাউন্টারের লাইনম্যান সৈকত চাকমা জানান, রাত থেকে বৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে রাস্তার পানিও নেমে যাচ্ছে। তবে সকাল থেকে এখন পর্যন্ত কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি। আমরা পানি কমার জন্য অপেক্ষা করছি। তবে সবকিছুই বৃষ্টির ওপর নির্ভর করছে।
সাজেক হিলভিউ রিসোর্টের মালিক ইন্দ্রজিৎ চাকমা জানান, পর্যটকরা সাজেকেই অবস্থান করছেন। আপাতত বৃষ্টি না থাকায় তারা ঘুরে বেড়াতে পারছেন। বাঘাইহাট থেকে আমাদের জানানো হয়েছে পানি কমছে। বৃষ্টি না হলে আশা করছি বিকেল নাগাদ সড়ক থেকে পানি নেমে যাবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরীন আক্তার জানান, বাঘাইছড়ি সদরসহ বাঘাইহাট ও সাজেক সড়কের পানি কমতে শুরু করেছে। আমরা আশা করছি, দুপুরের পর পানি কমে যাবে। তখন আটকে পড়া পর্যটকরা ফিরতে পারবেন।
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টি না হলে সাজেক থেকে গঙ্গারামমুখ পর্যন্ত সব গাড়ি আসতে পারবে। পরে সেখান থেকে পর্যটকরা নৌকায় পার হতে পারবেন।
এদিকে বৃষ্টি না হওয়ায় বাঘাইছড়িতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধস, প্রাণ গেল ২ জনের
![রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধস, প্রাণ গেল ২ জনের পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/ukhiya.jpg)
কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক পাহাড়ধসের ঘটনায় দুজনের প্রাণহানি ঘটেছে। আজ বুধবার ভোররাতে উখিয়ার ৮ ও ১১নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। মৃত দুজন হলেন- মোহাম্মদ সিফাত (১৩) ও ৮ ইস্টের বালুখালী জুমেরছড়ার আনোয়ার ইসলাম (২৭)।
উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, উখিয়া ১১ এবং ৮নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসের এ ঘটনায় এক স্থানীয় শিশু ও একজন রোহিঙ্গার মৃত্যু হয়েছে। তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
উখিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী জানান, উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পাহাড়ধসে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ফায়ার সার্ভিস তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। টানা কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসহ বিভিন্ন এলাকায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে অনেক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
গত ১৯ জুন উখিয়া উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্প ও আশপাশের একাধিক জায়গায় পাহাড়ধসে ৮ জনের মৃত্যু হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
করোনার মতো ডেঙ্গু রোধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: চসিক মেয়র
![করোনার মতো ডেঙ্গু রোধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে: চসিক মেয়র পাওয়ার গ্রিড](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Chasik-Mayor.jpg)
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোধে করোনার মতো আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
তিনি বলেন, নগরের প্রতিটি সংস্থা, সামাজিক, রাজনৈতিক নেতা, বিভিন্ন সোসাইটির নেতা, মসজিদে জুমার নামাজের বয়ানে নাগরিকদের সচেতন করতে পারলে করোনার মতো ডেঙ্গুও প্রতিরোধ সম্ভব।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) টাইগারপাসের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
মেয়র বলেন, আমাদের চারপাশে যে সব জায়গায় এডিস মশা জন্মায় সেই সব জায়গায় যাতে এডিস মশা জন্মাতে না পারে সে ব্যাপারে সবাইকে সচেতন হতে হবে। নালা-নর্দমায় এডিস মশা জন্মায় না। পরিষ্কার ও বদ্ধ পানি এডিস মশার প্রজনন ক্ষেত্র। তাই বাসা-বাড়ির আশপাশে ডাব ও নারকেলের খোসা, প্লাস্টিকের বোতল, ফুলের টব, পরিত্যক্ত টায়ার, ছাদ বাগান ও ফ্রিজে জমানো পানি তিন দিনের বেশি যাতে জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। বাসাবাড়ি, ছাদ-আঙিনা নিজ নিজ উদ্যোগে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটি আমাদের নাগরিক দায়িত্ব। তিনি চট্টগ্রামকে একটি নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নগর হিসেবে গড়তে নগরবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বি. জেনারেল তসলিম, ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি পরিচালক ডা. মো. সাখওয়াত উল্লাহ্, চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার ডা. হোসাইন সরোয়ার, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার (রোগ নিয়ন্ত্রক) ডা. মো. নুরুল হায়দার, ভারপ্রাপ্ত জেলা কীটতত্ত্ববিদ সৈয়দ মো. মঈন উদ্দীন। তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে মতামত দেন।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমাম হোসেন রানা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহী, উপপ্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. মোরশেদুল আলম চৌধুরীসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা।