আন্তর্জাতিক
সৌদির পাবলিক নিলামে প্রবাসীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ
সৌদি আরবে যে কোনো পাবলিক নিলামে এখন থেকে প্রবাসীরাও অংশ নিতে পারবেন। রোববার (৩০ জুন) এই ঘোষণা দিয়েছে সৌদি জাকাত, ট্যাক্স এবং কাস্টমস অথরিটি (জাটকা)। নতুন এই সিদ্ধান্তকে সৌদি আরবের কাস্টমস নীতির উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সৌদি কাস্টমস অথরিটি জানিয়েছে, যুগান্তকারী এই সিদ্ধান্তের লক্ষ্য স্থল, সমুদ্র এবং বিমানবন্দরগুলোতে নিলাম পদ্ধতির সংগঠন এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করা।
পরিবর্তিত নিয়মগুলি সৌদির নিলাম প্রক্রিয়াটিকে আরও সহজ করবে বলে মনে করছেন কর্মকর্তারা। তারা বলছেন, সৌদি আরবের নিলাম পদ্ধতিকে আরও দক্ষ এবং সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের জন্য প্রবেশযোগ্য করা হবে। এখন থেকে নাগরিক এবং প্রবাসী উভয়েই পাবলিক নিলামে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
নতুন নিয়মে সরকারী চ্যানেলের মাধ্যমে সর্বজনীন নিলাম ঘোষণা করা হবে। কাস্টমস অথরিটির ওয়েবসাইটে সবধরনের নিলামের বিবরণ প্রদান করা। যে কেউ নিলামে অংশ নিতে পারবেন এবং এতে সময় এবং শ্রম সাশ্রয় হবে।
নতুন নিলাম পদ্ধতি আরও বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হবে এবং দরপত্রের স্বচ্ছতা বাড়াবে। বাজেয়াপ্ত, পরিত্যক্ত বা জব্দকৃত পণ্য যখন নিলামে তোলা হবে তখন প্রবাসীরাও তা কিনতে পারবেন। আগে প্রবাসীরা সৌদি নিলামে অংশ নিতে পারতেন না। সৌদি নিলাম নীতির এই সংস্কারকে যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর প্রবাসীরাও এই সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
নীতি সুদহার কমালো ফেডারেল রিজার্ভ
চার বছরের বেশি সময়ের মধ্যে প্রথমবার সুদহার কমাল যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ। গত বুধবার দেশটির আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্টে সুদহার কমানোর ঘোষণা দেয়। এতে সুদহার নেমে এসেছে ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ শতাংশের মাঝে। খবর নিক্কেই এশিয়া ও এপি।
মূল্যস্ফীতি লাগামে আনতে দীর্ঘ সময় ধরে সুদহার রেকর্ড উচ্চতায় ধরে রেখেছিল ফেড, যা দেশটির ক্ষুদ্র থেকে মাঝারি সব ধরনের ব্যবসা ও গৃহস্থালি পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। এ কারণে সুদহার কমানো ছিল অতিপ্রত্যাশিত।
সুদহার কমানোর জন্য মূল্যস্ফীতির লক্ষ্য ২ শতাংশে নির্ধারণ করেছিল ফেড। সাম্প্রতিক সময়ে মূল্যস্ফীতির মন্থরগতি দেখা যায়, যা মার্কিন অর্থনীতিকে মন্দার আশঙ্কা থেকে রক্ষা করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পদক্ষেপটি মূল সুদহারকে প্রায় ৪ দশমিক ৮ শতাংশে নামিয়ে এনেছে, যা সর্বশেষ ১৪ মাস ধরে দুই দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৫ দশমিক ৩ শতাংশে স্থির ছিল।
২০২২ সালের মাঝামাঝিতে যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১ শতাংশে পৌঁছায়, যা গত মাসে তিন বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন ২ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে আসে। যা ফেডের ২ শতাংশ লক্ষ্য থেকে বেশি দূরে নয়।
ফেডের নীতিনির্ধারকরাও ইঙ্গিত দিয়েছেন যে এ বছর দুটি বৈঠক থেকে নভেম্বর ও ডিসেম্বরে সুদহার অতিরিক্ত দশমিক ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট কমতে পারে। এছাড়া ২০২৫ সালে আরো চার দফা এবং ২০২৬ সালে দুই দফা সুদহার কমানোর পরিকল্পনা করছে মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাজ্যে ৩ হাজার কোটির সম্পত্তি কিনেছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রী
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার অনুসন্ধানে বের হয়ে এসেছে সামান্য সরকারি বেতন পেয়েও ভিনদেশে কীভাবে সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাবেক এই মন্ত্রী।
দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর বুধবার আলজাজিরার প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাজ্যে ২৫০ মিলিয়ন ডলার খরচ করে ৩৬০টি বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন। যা বাংলাদেশি অর্থে প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার সমান। ব্রিটেন ছাড়াও নিজের রিয়েল স্টেট ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করেছেন মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, নিউইয়র্ক, সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া পর্যন্ত। সবমিলিয়ে তিনি পাঁচশরও বেশি বাড়ি কিনেছেন। যেগুলোর মূল্য প্রায় ৭০০ মিলিয়ন ডলার।
আলজাজিরা বলছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বেশ ভালো সখ্যতা ছিল সাইফুজ্জামানের। যা তিনি নিজেই স্বীকার করে বলেছেন, “আমার বাবা শেখ হাসিনার খুব কাছের লোক ছিলেন। আমিও তার কাছের লোক… শেখ হাসিনা আমার বস… তিনি জানেন যুক্তরাজ্যে আমার ব্যবসা আছে।”
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইফুজ্জামান চৌধুরী ২০১৭ সালের দিকে সম্পত্তি কেনা বাড়িয়ে দেন। ২০১৯ সালে যখন তিনি মন্ত্রী হন, তখন এটি আরও বাড়ে।
কাতারভিত্তিক এই সংবাদমাধ্যম বলেছে, গত বছর বিনিয়োগকারীর ছদ্মবেশে তাদের সাংবাদিক সাইফুজ্জামানের ১৪ মিলিয়ন ডলারের বাড়িতে যায়। ওই সময় ‘ছদ্মবেশী’ সাংবাদিকদের সাইফুজ্জামান বড়াই করে জানান, তিনি কুমিরের চামড়ার হাতে তৈরি জুতার ওপর হাজার হাজার ডলার খরচ করেন এবং লন্ডনের সবচেয়ে দামী দোকান থেকে ইতালিয়ান স্যুট তৈরি করে পরেন।
এছাড়া ওই সময় লন্ডনের নিজের বাড়িও ঘুরিয়ে দেখান তিনি। যেটিতে রয়েছে সিনেমা হল, জিম, ব্যক্তিগত এলিভেটর এবং নতুন রোলস রয়েলস গাড়ি রাখার নিরাপদ আন্ডারগ্রাউন্ড পার্কিং এরিয়া।
সাইফুজ্জামান আলজাজিরার কাছে দাবি করেছেন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও আরব আমিরাতে নিজের বৈধ ব্যবসার মাধ্যমে এই সম্পদ কিনেছেন তিনি। তবে অন্তর্বর্তী সরকার তার বিরুদ্ধে এখন অর্থপাচারের অভিযোগ এনে তদন্ত শুরু করেছে। ইতোমধ্যে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ এবং তার পরিবারের মালিকানাধীন ইউসিবিএল ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। এছাড়া ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে যখন শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে চলে যান তখন সাইফুজ্জামানও দেশে ছেড়ে চলে যান।
আলজাজিরার ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ও ওয়েবসাইটে সাইফুজ্জামানকে নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
হংকং যাওয়ার পথে ফ্লাইটে বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু
ঢাকা থেকে হংকং যাওয়ার পথে ফ্লাইটের ভেতরে এক বাংলাদেশি যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে হংকং-ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা থেকে হংকংগামী ক্যাথে প্যাসিফিক এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে ৪৭ বছর বয়সী এক বাংলাদেশি যাত্রী মারা গেছেন।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাত ২টায় ছেড়ে বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ৭টা ৪৯ মিনিটে হংকংয়ে পৌঁছায়। ফ্লাইট মাঝ আকাশে থাকা অবস্থায় ওই যাত্রীর মৃত্যু হয়।
হংকং পুলিশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানিয়েছে, তারা বুধবার সকাল ৮টার কিছুক্ষণ পরে খবর পেয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী থেকে আসা সিএক্স৬৬২ ফ্লাইটে এক যাত্রী মারা গেছেন। পুলিশের তরফ থেকে মৃত ওই বাংলাদেশি যাত্রীর ময়নাতদন্ত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
কলিং ভিসা চালু করলো মালয়েশিয়া, যেতে পারবেন বাংলাদেশিরা
প্লান্টেশনে বিদেশী কর্মী নেবে মালয়েশিয়া। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে ‘চাহিদাপত্র’ সত্যায়ন করার ঘোষণার মধ্যে দিয়ে বন্ধ থাকা কলিং ভিসা আবারো চালু করল দেশটি।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় মালেশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উপর্যুক্ত বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে জানানো যাচ্ছে যে মালয়েশিয়া সরকার নতুন করে তাদের প্ল্যান্টেশন সেক্টরে বিদেশী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের কোটা অনুমোদন করা শুরু হয়েছে। বাংলাদেশ হাইকমিশনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে প্ল্যান্টেশন সেক্টরের চাহিদাপত্র ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে সত্যায়ন করা হচ্ছে। মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য উল্লেখিত বিজ্ঞপ্তিতে চাওয়া তথ্যাদি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে।
মালয়েশিয়ায় কর্মী নিয়োগের চাহিদাপত্র সত্যায়নের জন্য প্রায় ১৫ রকমের তথ্যাদি বাংলাদেশ হাইকমিশনে জমা দেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে কোম্পানির অনুমোদনপত্র (কমপক্ষে কোম্পানির একজন কর্মচারী হতে হবে ম্যানেজার পর্যায়ে), সত্যায়ন ফি’র মূল ব্যাংক স্লিপ, শ্রমিকদের সবশেষ বেতন স্লিপ (চার/পাঁচজন শ্রমিকের নমুনা বেতন স্লিপ), কোম্পানির পটভূমি তথ্যের একটি প্রোফাইল যেখানে উল্লেখ থাকবে বিদ্যমান শ্রমিকের সংখ্যা (দেশী ও বিদেশী), শ্রমিকদের দুই/তিনজনের ফোন নম্বর, কোম্পানির ব্যাংক স্টেটমেন্ট (বিগত তিন মাসের) যেখানে ১০০ শ্রমিকের জন্য ন্যূনতম ব্যালেন্স থাকতে হবে দুই লাখ মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত।
এছাড়াও বিদেশী শ্রমিক ক্ষতিপূরণ প্রকল্পের সকসো নথি (বিদ্যমান কর্মীদের নমুনা নথি), বিদেশী কর্মীদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্জিকা এক স্কিম (এসপিআইকেপিএ) (এসকেএইচপিপিএ)-এর নথি (বিদ্যমান শ্রমিকদের নমুনা নথি), বিদ্যমান শ্রমিকদের আবাসন সম্পর্কে জেটিকে অনুমোদিত সার্টিফিকেট, জমির মালিকানার দলিল/জমি ইজারা দলিল, প্রতিশ্রুতি/গ্যারান্টি পত্র, পরিচালকের স্বাক্ষরিত ডিমান্ড লেটার, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি, কর্মসংস্থান চুক্তি, রিক্রুটিং এজেন্ট (বিআরএ) এবং কোম্পানির মধ্যে চুক্তি, মালয়েশিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় কর্তৃক কোটা অনুমোদন পত্রসহ সকল নথির দুই সেট তৈরি করে এক সেট মূল এবং এক সেট অনুলিপি হিসেবে দিতে হবে।
চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারি মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী স্টিভেন সিমের সাথে বৈঠকের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাসুশন ইসমাইল তাকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানালেও সম্প্রতি ড. মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হওয়ার পর এমন সিদ্ধান্তে উৎফুল্ল মালয়েশিয়া প্রবাসীরা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন আতিশি
দিল্লির রাজনীতিতে আজ এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হতে চলেছে। আম আদমি পার্টির (আপ) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের পর, দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে আতিশি মার্লেনার নাম ঘোষণা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় আপের পরিষদীয় দলের বৈঠকে দিলীপ পাণ্ডের প্রস্তাবে আতিশির নাম সর্বসম্মতভাবে সমর্থিত হয়। দলীয় সূত্র জানিয়েছে, আনুষ্ঠানিক ঘোষণা খুব শিগগিরই আসবে।
বর্তমানে দিল্লি সরকারের শিক্ষা ও গণপূর্ত বিভাগের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন আতিশি। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করেছেন তিনি। দিল্লির স্কুলগুলোতে শিক্ষার মান পরিবর্তনের জন্য ব্যাপকভাবে কাজ করছেন আতিশি।
দুর্নীতির মামলায় সিসোদিয়া গ্রেফতার হওয়ার পর মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেন কালকাজির ৪৩ বছর বয়সী আতিশি। কেজরিওয়াল এবং সিসোদিয়া যখন কারাগারের ছিলেন, তখন আতিশি এএপি পার্টির সব ধরনের ইভেন্ট এবং মিডিয়াগুলোতে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেন।
এর আগে গত রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দলীয় সভায় হঠাৎ দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। মানুষের রায়ে যদি ফের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন, তাহলেই কেবল ওই চেয়ারে আবার বসবেন।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় প্রায় ছয়মাস জেলে ছিলেন কেজরিওয়াল। কয়েকদিন আগেই ছাড়া পেয়েছেন তিনি। তারপর রোববার প্রথমবার দলীয় কার্যালয়ে যান এবং দলীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই হঠাৎ মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর কথা ঘোষণা দেন তিনি।