অর্থনীতি
কর অবকাশ সুবিধা পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন, আজ থেকে কার্যকর

২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণে কর অবকাশ সুবিধা পুনর্বহাল করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) এই বাজেটে প্রণোদনা সুবিধা বহাল রেখে এনবিআর প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা আজ সোমবার (১ জুলাই) থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে, রবিবার (৩০ জুন) সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস হয়েছে।
এর আগে ২৯ মে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগকারীদের কর অবকাশ (প্রণোদনা) সহ মোট ৮টি সুবিধা রহিত করেছিল। এখন সেটা পুনর্বহাল করা হয়েছে। আর সেই সাথে কোম্পানির ১০ বছরের জন্য লভ্যাংশ, মূলধনি আয়, টেকনিক্যাল নো-হাউ এবং কারিগরি সহায়তা ফির ওপর ১০ বছরের কর অব্যাহতি ছিল সেটাও পুনর্বহাল করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এস, আর, ও নং ২৪৪-আইন/আয়কর-৩৮/২০২৪ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আয়কর আইন-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন), উক্ত আইনের ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ ক্ষমতাবলে শর্তসাপেক্ষে অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ এর অধীনে অর্থনৈতিক অঞ্চলে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদানের জন্য কেবল অর্থনৈতিক অঞ্চলে পরিচালিত ব্যবসার মাধ্যমে অর্জিত আয়ের উপর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর তারিখ হতে ১ম, ২য় ও ৩য় বছরের জন্য ১০০ শতাংশ, ৪র্থ বছরের জন্য ৮০ শতাংশ, ৫ম বছরের জন্য ৭০ শতাংশ, ৬ষ্ঠ বছরের জন্য ৬০ শতাংশ, ৭ম বছরের জন্য ৫০ শতাংশ, ৮ম বছরের জন্য ৪০ শতাংশ, ৯ম বছরের জন্য ৩০ শতাংশ এবং ১০ম বছরের জন্য ২০ শতাংশ হারে আয়কর হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো:
১. কোম্পানি আইন-১৯৯৪ (১৯৯৪ সালের ১৮ নং আইন) এর অধীনে নিবন্ধিত নতুন কোম্পানি এবং কোম্পানির কোনো ইউনিট হতে পারবে না।
২. ব্যবসার পুনর্গঠন, মার্জার, ডিমার্জারের ফলশ্রুত কোম্পানি হতে পারবে না।
৩. ইতোপূর্বে পণ্য বা সেবা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়েছে এ রকম কোনো মেশিন, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কোনো শিল্প ইউনিট স্থাপনে ব্যবহার করা যাবে না।
৪ .অর্থনৈতিক অঞ্চলের বাহিরে কোনো শিল্প ইউনিট পরিচালনা করতে পারবে না । সম্পূর্ণভাবে অর্থনৈতিক অঞ্চলের মধ্যে থাকতে হবে।
৫. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা ট্রেডিং কোম্পানি হতে পারবে না।
৬ বোর্ডের নিকট অব্যাহতির উপযুক্ত শিল্প হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।
৭. অর্থনৈতিক অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত যেসব প্রতিষ্ঠান ভোজ্য তেল, চিনি, আটা, ময়দাসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি উৎপাদন এবং সিমেন্ট, লোহা ও লৌহজাতীয় পণ্য উৎপাদন করে আয় করে সেসব প্রতিষ্ঠান এই প্রজ্ঞাপনের সুবিধা পাবে না।
৮. প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু বছর হতে ১০ বছর পর্যন্ত হ্রাসকৃত কর সুবিধা ভোগ করতে পাবে।
৯. এই প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী অব্যাহতি পাওয়া কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান এই প্রজ্ঞাপনে বর্ণিত কোনো শর্ত বা শর্তাবলি পালনে ব্যর্থ হলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড তার অনুমোদন প্রত্যাহার করে নিবে।
১০. আয়কর আইনে-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (৫) এবং (৬) সহ অন্যান্য বিধানাবলি পালন করতে হবে।
১১. কোনো আয়বর্ষে সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রতিষ্ঠানটির উপর পরিবেশ সংশ্লিষ্ট আইন ভঙের দায়ে জরিমানা আরোপ করলে সংশ্লিষ্ট করবর্ষে প্রতিষ্ঠানটি এই প্রজ্ঞাপনে কর অব্যাহতি পারে না।
১২. ২০৩৫ সালের ৩০ জুনের মধ্যে কোনো প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করতে ব্যর্থ হলে এই প্রজ্ঞাপনের অধীন কোনো প্রকার অব্যাহতি সুবিধা পাবে না।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এস, আর, ও নং ১০৪-আইন/আয়কর/২০২০ (২৫ মার্চ, ২০২০) ও এস, আর, ও নং ১৫৯-আইন/আয়কর-৩৪/২০২৪ (২৯ মে, ২০২৪) এতদ্বারা রহিত করা হলো। প্রজ্ঞাপনের অধীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত হবে বা হয়েছে সেই সব প্রতিষ্ঠানকে অনুচ্ছেদ ১ এর শর্ত (ক) তে উল্লিখিত শর্ত কার্যকর হবে না।
(ক) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে স্থাপিত কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠান বা কোনো শিল্প প্রতিষ্ঠানের ইউনিট যারা ৩০ জুন ২০২৪ এর মধ্যে ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করেছে।
খ) বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৪২ নং আইন) এর ধারা ৫ এর অধীন ঘোষিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে শিল্প বা শিল্প ইউনিট স্থাপনের উদ্দেশ্যে যারা ৩০ জুন ২০২৪ এর মধ্যে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের সহিত চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, এস, আর, ও নং ২৪৫-আইন/আয়কর-৩৯/২০২৪ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, আয়কর আইন-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন), আইনে উল্লিখিত ধারার ৭৬ এর উপ-ধারা (১) এ ক্ষমতাবলে শর্তসাপেক্ষে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ আইন-২০১০ (২০১০ সালের ৮নং আইন) এর ধারা ২২ এর বিধান অনুযায়ী হাই-টেক পার্কে পণ্য উৎপাদন বা সেবা প্রদান করে অর্জিত আয়ের উপর ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর ১ম, ২য়, ৩য়, ৪র্থ, ৫ম, ৬ষ্ঠ ও ৭ম বছররের জন্য ১০০% এবং ৮ম, ৯ম ও ১০ম বছরের জন্য ৭০% হারে আয়কর হতে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
শর্তগুলো হলো:
১. কোম্পানি আইন-১৯৯৪ (১৯৯৪ সালের ১৮ নং আইন) এর অধীন নিবন্ধিত নতুন কোম্পানি হবে।
২. ব্যবসার পুনর্গঠন, মার্জার, ডিমার্জার এর ফলশ্রুত কোম্পানি হতে পারবে না।
৩. ইতোপূর্বে পণ্য বা সেবা উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়েছে এ রকম কোনো মেশিন, যন্ত্রপাতি, ইত্যাদি অর্থনৈতিক অঞ্চলের কোনো শিল্প ইউনিট স্থাপনে ব্যবহার করা যাবে না।
৪. হাই-টেক পার্কের বাহিরে কোনো শিল্প ইউনিট পরিচালনা করতে পারবে না।
৫. বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বা ট্রেডিং কোম্পানি হতে পারবে না।
৬. বোর্ডের নিকট হাই-টেক শিল্প হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।
৭.আয়কর আইন-২০২৩ (২০২৩ সালের ১২ নং আইন) এর ধারা ৭৬ এর উপ-ধারা (৫) এবং (৬) সহ অন্যান্য বিধানাবলি পালন করতে হবে।
৮) প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরুর বছর থেকে ১০ বছর পর্যন্ত এই হ্রাসকৃত করহারের সুবিধা পাবে।
এসএম

অর্থনীতি
বিদায়ী অর্থবছরে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ৮.৫৮ শতাংশ

২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই-জুন) ৪৮ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছেন দেশের উদ্যোক্তরা। রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।
বুধবার (২ জুলাই) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরে কৃষিজাত পণ্য রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫২ শতাংশ, পোশাক খাতে ৮ দশমিক ৮৪ শতাংশ, প্ল্যাস্টিক পণ্যে ১৬ দশমিক ২১ শতাংশ, হোম টেক্সটাইলে ২ দশমিক ৪২ শতাংশ প্রবদ্ধি হয়েছে। অন্যদিকে পাটজাত পণ্যে ৪ দশমিক ১০ শতাংশ, কাচজাত পণ্যে ৩৮ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
কারখানাগুলোতে ঈদুল আজহার দীর্ঘ ছুটি এবং মাসের শেষে এনবিআরের শাটডাউনে দুইদিন বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ থাকার কারণে জুন মাসে রপ্তানি আয় সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি কমেছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় হয়েছে ৩ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৩ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার।
মে মাসে বাংলাদেশের পণ্য রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছিল ৪ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। আগের অর্থবছরের একই সময়ে এই আয় ছিল ৪ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলার। এপ্রিল মাসে রপ্তানি আয় ছিল ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার।
অর্থনীতি
এনবিআর কমিশনারসহ তিন সদস্যকে অবসরে পাঠালো সরকার

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তিন সদস্য ও এক কমিশনারকে অবসরে পাঠিয়েছে সরকার। তাঁরা হলেন- এনবিআর সদস্য আলমগীর হোসেন, হোসেন আহমদ ও আবদুর রউফ এবং কমিশনার মো. শব্বির আহমেদ। তার মধ্যে শব্বির আহমেদ বরিশাল কর অঞ্চলে কমিশনারের চলতি দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আজ বুধবার (০২ জুলাই) বিকেলে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি) থেকে পৃথক চারটি আদেশ জারি করা হয়।
আদেশে বলা হয়, তাঁদের চারজনের চাকরিকাল ২৫ বছর পূর্ণ হয়েছে। যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাঁকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান প্রয়োজন হবে- এ বিবেচনায় সরকারি চাকরি আইন ২০১৮–এর ৪৫ ধারার ক্ষমতা বলে তাঁদের দুজনকে সরকারি চাকরি হতে অবসর প্রদান করা হলো। তবে তাঁরা বিধি অনুসারে অবসরজনিত সুবিধাদি পাবেন।
এনবিআরের একাধিক কর্মকর্তা জানান, কয়েক দিন আগে এনবিআরে যে আন্দোলন হয়েছে, এর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে এই দুজন কর্মকর্তাকে অবসর প্রদান করা হতে পারে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার মধ্যরাতে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার মো. জাকির হোসেনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস বন্ধ রেখে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করায় তাঁর বিরুদ্ধে এই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ (আইআরডি)।
গতকাল রাতে এই সংক্রান্ত আদেশ জারি হয়। এতে সই করেন আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। আজ সকালে চট্টগ্রামের কাস্টমস বন্ড কমিশনারেটের কমিশনার মোহাম্মদ শফি উদ্দিনকে চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়।
রাজস্ব খাতে যৌক্তিক সংস্কারের দাবিতে গত ২৮ ও ২৯ জুন এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের ব্যানারে শুল্ক-কর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করেন। এতে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসসহ সারা দেশে শুল্ক-কর কার্যালয়ে কাজ বন্ধ থাকে।
মো. জাকির হোসেনের সাময়িক বরখাস্তের আদেশে বলা হয়, দপ্তর খোলা রাখার নির্দেশনা অমান্য করে গত ২৮ ও ২৯ জুন চট্টগ্রামের কাস্টম হাউস বন্ধ রেখে আমদানি–রপ্তানি কার্যক্রম বাধাগ্রস্ত করে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ক্ষতি করায় মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক বিভাগীয় কার্যধারা অনুসারে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করে চাকরি হতে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালে তিনি বিধি অনুসারে খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস হলো এনবিআরের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আদায়কারী দপ্তর। বিদায়ী অর্থবছরে (২০২৪-২৫) প্রায় ৭৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে এই দপ্তরের অধীনে।
এ ছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশন এনবিআরের ১১ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তাঁদের মধ্যে এনবিআরের দুজন সদস্য আছেন। এ ছাড়া এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের সভাপতি হাছান মুহম্মদ তারেক রিকাবদারও আছেন।
অর্থনীতি
১২ কেজি এলপি গ্যাসের দাম কমলো ৩৯ টাকা

ভোক্তাপর্যায়ে এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। জুলাই মাসের জন্য ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১ হাজার ৪০৩ থেকে ৩৯ টাকা কমিয়ে এক হাজার ৩৬৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কমেছে অটোগ্যাসের দামও। প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম এক টাকা ৮৪ পয়সা কমিয়ে ৬২ টাকা ৪৬ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে। জুন মাসে প্রতি লিটার অটোগ্যাসের দাম ৬৪ টাকা ৩০ পয়সা ছিল।
বুধবার (২ জুলাই) নতুন এ মূল্যের ঘোষণা দেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। নতুন এ দাম আজ সন্ধ্যা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসি চেয়ারম্যানের ঘোষণা অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজির বোতলজাত এলপিজির দাম ৬২৫ টাকা, সাড়ে ১২ কেজির দাম এক হাজার ৪২১, ১৫ কেজির দাম এক হাজার ৭০৫, ১৬ কেজির দাম এক হাজার ৮১৮, ১৮ কেজির দাম দুই হাজার ৪৬, ২০ কেজির দাম দুই হাজার ২৭৩, ২২ কেজির দাম আড়াই হাজার, ৩০ কেজির দাম তিন হাজার ৪০৯, ৩৩ কেজির দাম তিন হাজার ৭৫০, ৩৫ কেজির দাম তিন হাজার ৯৭৭ এবং ৪৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৫ হাজার ১১৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
কাফি
অর্থনীতি
এসএমই ফাউন্ডেশন–ইআরএফ অ্যাওয়ার্ড পেলেন গিয়াস উদ্দিন

এসএমই পণ্য বাজারজাতকরণের চ্যালেঞ্জ ও তা দূর করার উপায় নিয়ে প্রতিবেদন করে ‘এসএমই ফাউন্ডেশন–ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিদিনের গিয়াস উদ্দিন।
বুধবার (০২ জুলাই) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গিয়াস উদ্দিনের হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননার চেক তুলে দেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. মুসফিকুর রহমান এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আনোয়ার হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ইআরএফ সভাপতি দৌলত আকতার মালা এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এ বছর ‘এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’-এ সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন মাধ্যম থেকে মোট ২১ জন সাংবাদিককে পুরস্কৃত করা হয়েছে। এর মধ্যে ইআরএফ সদস্য ছাড়াও সদস্য বহির্ভূত সাংবাদিকেরাও পুরস্কার পেয়েছেন।
কাফি
অর্থনীতি
ব্যাংক ও এসএমই খাতে সংস্কার আসছে ডিসেম্বরের মধ্যেই: অর্থ উপদেষ্টা

আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ফেরানো এবং ব্যাংক ও এসএমই খাতকে পুনর্গঠনের লক্ষ্যে চলমান সংস্কার কাজ আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, দুর্বল ব্যাংকগুলোর কাঠামোগত দুর্বলতা কাটিয়ে তোলার পাশাপাশি গ্রাহকের আস্থা ফেরাতে সংস্কার কার্যক্রমে গতি আনা হয়েছে।
বুধবার (২ জুলাই) রাজধানীর পুরান পল্টনে ‘এসএমই ফাউন্ডেশন-ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ব্যাংকিং সেক্টরে বড় ধরনের সংস্কার প্রয়োজন রয়েছে। দুর্বল ব্যাংকগুলো নিয়ে কাজ চলছে। গ্রাহকদের ডিপোজিটের টাকা ফেরত দেওয়ার নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে।
এসএমই খাতে অর্থায়নের জটিলতা তুলে ধরে তিনি বলেন, উদ্যোক্তাদের ঋণ পেতে এখনও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। অথচ তাদের ঋণ পরিশোধের হার অনেক ভালো। ব্যাংকগুলো এখানে সহযোগিতা করতে আগ্রহী নয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, এসএমই খাতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে। বর্তমান প্রযুক্তির যুগে হাতুড়ি-বাটালের দিন উঠে গেছে। উদ্যোক্তাদেরও এই বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংক, অর্থ মন্ত্রণালয় ও নীতিনির্ধারকদের এই খাতে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এসএমই প্রকল্পে নারীদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করে উপদেষ্টা বলেন, নারীরা শুধু দক্ষই নয়, তারা অনেক সময় বেটার ম্যানেজও করে। তাই নারীদের আরও বেশি অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর ক্ষমতায়ন শুধু বক্তৃতায় নয়, বাস্তব কাজের মধ্য দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে।
এসএমই উদ্যোক্তাদের সঠিক তথ্য সংরক্ষণে একটি সমন্বিত ও ডিজিটাল ডেটাবেজ গঠনের ওপর জোর দেন ড. সালেহউদ্দিন। তিনি বলেন, হার্ডকপিতে থাকলে হবে না। সবকিছুই ডিজিটালাইজড করতে হবে। সব ক্ষেত্রেই এখন প্রায়োরিটি ডিজিটাল সিস্টেম হওয়া উচিত।
বর্তমান অর্থনৈতিক কাঠামোর অসমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে উপদেষ্টা বলেন, এখন ব্যাংকের স্ট্রাকচারে ঝামেলা চলছে। তারপরও ৬০-৬২ হাজার কোটি টাকা আমরা এনার্জি খাতে দিয়ে দিচ্ছি। সেখানে এসএমই যেন কোনো বিষয়ই না। এটা পরিবর্তন করতে হবে।
সরকারি অর্থের যথাযথ ব্যবহার এবং কর ব্যবস্থায় সুশাসন প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা রাখতে হবে। নেগেটিভ রিপোর্ট আমাদের বেকায়দায় ফেলে দেয়। এনবিআরের ক্ষেত্রেও অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়েছে। অর্থের অপচয় রোধ করতেই হবে।
রেমিটেন্স প্রবাহকে ইতিবাচক উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হলে দক্ষ জনশক্তি তৈরি ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সম্প্রসারণ করতে হবে।
এ বছর বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে সংবাদপত্র, টেলিভিশন ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে মোট ২১ জন রিপোর্টারকে পুরস্কার দিচ্ছে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ)। নারীর ক্ষমতায়নে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতের গুরুত্ব নিয়ে প্রতিবেদন করে ‘এসএমই ফাউন্ডেশন–ইআরএফ মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ পেয়েছেন ঢাকা পোস্টের উপপ্রধান প্রতিবেদক শফিকুল ইসলাম।
কাফি