জাতীয়
হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর আজ
![হলি আর্টিজান হামলার ৮ বছর আজ মনোস্পুল পেপার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/holy.jpg)
দেশের ইতিহাসে অন্যতম নৃশংস ঘটনা হলো হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা। ২০১৬ সালের ১ জুলাই (শুক্রবার)। রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে খবর পাওয়া যায় রাজধানীর গুলশানের ৭৯ নম্বর সড়কের হোলি আর্টিজান বেকারিতে ‘সন্ত্রাসীদের সঙ্গে’ পুলিশের গোলাগুলি হচ্ছে। সশস্ত্র হামলাকারী এক রেস্টুরেন্টে ঢুকে বিদেশী নাগরিকসহ বেশ কয়েকজনকে জিম্মি করেছে। ভয়াবহ এ হামলায় নৃশংস হত্যাযজ্ঞ এবং প্রায় ১২ ঘণ্টার রুদ্ধশ্বাস জিম্মি সংকটের ঘটনায় স্তম্ভিত করেছিল পুরো জাতিকে।
ওই দিনের হামলায় মোট ২২ জন নিহত হন। এর মধ্যে ২ পুলিশ কর্মকর্তা ও ১৭ বিদেশি নাগরিক ছিল। ওই দিন পুরো রাত স্পর্শকাতর বিবেচনায় কয়েকবার প্রস্তুতি নেয়া সত্ত্বেও অভিযান চালোনো থেকে বিরত থাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
হলি আর্টিজানে হামলার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ফোর্সসহ প্রথমে পৌঁছান গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রিপন কুমার দাস।
মামলার এজাহারে ঘটনার বিবরণীতে তিনি উল্লেখ করেন, ঘটনার দিন গুলশান থানার রোড নম্বর-৭১ থেকে ৯২ এবং এর আশপাশ এলাকায় পেট্রোল ডিউটির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। রাত আনুমানিক পৌনে ৯টার দিকে ওয়্যারলেসে ভেসে আসে হলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড বেকারিতে গুলির খবর। খবর পেয়েই ফোর্সসহ রাত আনুমানিক ৮টা ৫০ মিনিটে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছান এসআই রিপন।
হলি আর্টিজানের কাছে উপস্থিত হয়ে তারা দেখতে পান, রেস্টুরেন্টের ভেতরে কতিপয় সন্ত্রাসীরা ‘আল্লাহ্ আকবর’ ধ্বনি দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ ও বোমা নিক্ষেপ করছে।
পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ ও এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে উপস্থিত পুলিশ সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালায়। একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নিক্ষিপ্ত গুলি ও গ্রেনেডের আঘাতে এসআই ফারুক হোসেন ও কনস্টেবল প্রদীপ চন্দ্র দাস ও আলমগীর হোসেন গুরুতর আহত হন। আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয় এবং এসআই রিপন কুমার দাস বিষয়টি তাৎক্ষণিক ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন।
যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের অফিসার ও ফোর্স ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হয়। এরপর পুলিশসহ অন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হলি আর্টিজানের বেকারির চারপাশে কর্ডন করে ফেলে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সন্ত্রাসীদের নিবৃত্ত করার চেষ্টা করলে সন্ত্রাসীরা তাদের লক্ষ্য করে অনবরত গ্রেনেড ও গুলি করতে থাকে।
এ অবস্থায় রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে সন্ত্রাসীরা হলি আর্টিজানের বেকারির পশ্চিম দিকের বাড়ির সামনে অবস্থানরত পুলিশ অফিসার ও ফোর্সদের লক্ষ্য করে গ্রেনেড নিক্ষেপ ও গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে অন্তত ৩০-৩৫ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য আহত হন, কেউ কেউ মারাত্মক জখমপ্রাপ্ত হয়।
সে সময় চারদিকে ঘিরে থাকা র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-পুলিশসহ অন্য বাহিনীর সদস্যরা দৌড়ে নিরাপদ দূরত্বে যান। আহতদের সবাইকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১১টা ২০ মিনিটে বনানী থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাহউদ্দিন খান মৃত্যুবরণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরই ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রবিউল করিমের মৃত্যু হয়।
পরিস্থিতির ভয়াবহতা বিবেচনা করে রাতেই সিদ্ধান্ত হয় পরের দিন ২ জুলাই ‘অপারেশন থান্ডারবোল্ট’ পরিচালনা করা হবে। এ অভিযানের মধ্য দিয়েই জিম্মিদশার অবসান ঘটান যৌথ সেনা, নৌ, পুলিশ, র্যাব এবং বিজিবির সমন্বয়ে যৌথ কমান্ডো দল। নিহত হয় ৬ জঙ্গি, আহত অবস্থায় ধরা পড়ে একজন।
রাত দেড়টায় ইসলামিক স্টেট জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের বার্তা সংস্থা বলে পরিচিত ‘আমাক’ এ হামলার দায় স্বীকার করে ২০জন নিহত হবার কথা জানায়। আইএস এর পক্ষ থেকে হামলাকারীদের মধ্যে পাঁচজনকে তাদের ‘সৈনিক’ বলে দাবি করে, হামলার দায় নেয় তারা।
২০১৬ সালের ২ জুলাই ভোর ৭টা ৩৫ মিনিটে গুলশানের হোলি আর্টিজান রেস্টুরেন্ট অভিযানের চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয় যৌথ কমান্ডো দল। ৭টা ৪৫ মিনিটে কমান্ডো বাহিনী অভিযান শুরু করে। অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত দলের সদস্যরা রেস্টুরেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে। এসময় গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। সকাল সোয়া ৮টায় রেস্টুরেন্ট থেকে প্রথম দফায় নারী ও শিশুসহ ৬ জনকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। পাশের একটি ভবন থেকে একজন বিদেশী নাগরিক তার মোবাইল ফোনে সেটি ধারণ করেন। ৮টা ৫৫ মিনিটে ভবনের নিয়ন্ত্রণ নেয় অভিযানকারীরা। গোয়েন্দা দল ভবনের ভেতর বিস্ফোরকের জন্য তল্লাশি শুরু করে। কিছুক্ষণ পরই আলামত সংগ্রহের কাজ শুরু করে গোয়েন্দারা। ৯টা ১৫ মিনিটে অভিযান শেষ হয়। কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে ঢাকার গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে প্রায় ১২ ঘণ্টার রক্তাক্ত জিম্মি সংকটের অবসান হয়।
সকাল ১০টায় ৪ জন বিদেশীসহ ১৩ জন জীবিত উদ্ধারের খবর জানানো হয়। রেস্টুরেন্টের ভেতরে অজ্ঞাত পাঁচজনের মৃতদেহ পাবার কথা পুলিশ জানায়। ১১টা ৫০ মিনিটে অভিযানে জঙ্গিদের ৫ জন নিহত হয় বলে নিশ্চিত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
অভিযানে নিহত জঙ্গিরা হলেন- মীর সামিহ মোবাশ্বের (১৯), রোহান ইমতিয়াজ (২০), নিরবাস ইসলাম (২০), খায়রুল ইসলাম পায়েল (২২), শফিকুল ইসলাম উজ্জ্বল ওরফে বিকাশ (২৬)।
পরে জিম্মি থাকাবস্থায় সন্ত্রাসী কর্তৃক নৃশংসভাবে নিহত হওয়া ২০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে নয়জন ইতালির নাগরিক, সাতজন জাপানের, একজন ভারতের ও তিনজন বাংলাদেশি।
উদ্ধার জিম্মিদের বয়ান অনুযায়ী তদন্ত সংশ্লিষ্টরা জানান, জঙ্গিরা হামলার প্রথম ২০ মিনিটেই নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায়। তারা দেশি-বিদেশিদের গুলি করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে-গলা কেটে মৃত্যু নিশ্চিত করে। হত্যার পর ছবি তুলে অ্যাপের মাধ্যমে বাইরে অবস্থানরত নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও মারজানের কাছে পাঠায় তারা। জঙ্গিরা এতটাই নিষ্ঠুর ছিল যে, লাশের সারি মেঝেতে রেখেই খাবার খায়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
শাহজালালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ
![শাহজালালে সাড়ে ৪ কোটি টাকার স্বর্ণ জব্দ মনোস্পুল পেপার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/gold.jpg)
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাড়ে চার কেজি ওজনের একটি স্বর্ণের চালান আটক করেছে কাস্টমস গোয়েন্দারা। স্কসটেপে মোড়ানো ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা মূল্যের ৩৮ পিস গোল্ডবার পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল।
আজ বুধবার কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সহকারী পরিচালক প্রদীপ কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করা হয়। মাস্কাট থেকে আগত সালাম এয়ার এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট নং ওভি-৪৯৭ আনুমানিক বুধবার ভোর সাড়ে ৫ টায় ল্যান্ড করে। ওই বিমানের সিট নম্বর ২ (ডি-ই-এফ) এর ওপরে লাগেজ রাখার কেবিনে কালো স্কসটেপ মোড়ানো দুটি ভারী বস্তু পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে ওই বিমানে দায়িত্বরত সকলের সামনে ভিডিও ধারণপূর্বক কালো স্কসটেপে মোড়ানো বস্তু দুটি কাস্টমস হলের ইনভেন্টরি টেবিলে নিয়ে এসে বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন সংস্থার উপস্থিতিতে কালো স্কসটেপ কেটে ৩৮ পিস (প্রতি পিস দশ তোলা) গোল্ডবার পাওয়া যায়, যার ওজন ৪ কেজি ৪২০ গ্রাম।
তিনি জানান,উদ্ধার হওয়া গোল্ডবারের আনুমানিক বাজারমূল্য ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত সার্কেল বিমানবন্দর এ-শিফট এর সদস্যগণের তৎপরতায় ও তল্লাশির কারণে এই স্বর্ণ চোরাচালানটি রোধ করা সম্ভব হয়েছে। আটক স্বর্ণগুলো কাস্টম হাউস, ঢাকার মূল্যবান শুল্ক গুদামে জমা দেওয়া হয়েছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধশিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা দাবি
![আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধশিল্পের উন্নয়নে নীতিমালা দাবি মনোস্পুল পেপার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/FBCCI.jpg)
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধশিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং রপ্তানি সম্ভাবনা কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চেয়েছেন এ খাতের ব্যবসায়ীরা। এসময় তারা দেশে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায় ঔষধি গাছ সংরক্ষণ এবং ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলার দাবি জানান। পাশাপাশি হারবাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগের আহ্বান জানান।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধশিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এ আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআই পরিচারক এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়্যারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।
প্রধান অতিথি হিসেবে সভায় ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রপ্তানি সম্ভাবনা কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা দেবে। এ খাতের প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত করে তার সমাধানে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এজন্য আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, হারবাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারাবিশ্বেই হারবাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে মনযোগী হতে হবে। এ সময় আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের টেকসই উন্নয়নে সব অংশীজনকে সঙ্গে নিয়ে দ্রুত একটি কৌশলপত্র তৈরির উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধশিল্পের মেডিকেল রেকর্ড এবং ডেটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইনচার্জ প্রীতি চক্রবর্তী। হারবাল পণ্যের মান নিয়ন্ত্রণেও এ খাতের উদ্যোক্তাদের দায়িত্বশীল হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
আয়ুর্বেদিক শিল্পের অবকাঠামো, হিমাগার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ঔষধি বনায়ন গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাড়ে ৬৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায়
![চট্টগ্রাম কাস্টমসের সাড়ে ৬৮ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় মনোস্পুল পেপার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/08/chittagong-customs-1.jpg)
বৈশ্বিক অর্থনীতিতে নানা সংকটের মাঝেও গত অর্থবছরে (২০২৩-২০২৪) রেকর্ড রাজস্ব আদায় করেছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস। সদ্য সমাপ্ত অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের তুলনায় রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি বেড়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। তবে কাস্টমসের মোট রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ কম প্রবৃদ্ধি হয়েছে। টাকার হিসেবে ৯ হাজার ৫৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম রাজস্ব আদায় হয়েছে।
কাস্টমস কর্তারা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-ফিলিস্তিন যুদ্ধসহ বৈশ্বিক অর্থনীতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। ডলার সংকটে কারণে অনেক ব্যবসায়ী প্রত্যাশা মতো ব্যাংকে ঋণপত্র (এলসি) খুলতে পারেনি। এছাড়া সরকারও বিভিন্ন বিলাসী পণ্য আমদানিতে উচ্চ শুল্ক আরোপ করেছে। যার প্রভাবে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আয় করতে পারেনি কাস্টমস। নানা সংকটের মাঝেও রাজস্ব আদায় বেড়েছে তা ইতিবাচক।
চট্টগ্রাম কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩–২০২৪ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয় ৭৭ হাজার ৬১৬ কোটি টাকা। আদায় হয় ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ টাকা।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম কাস্টমসে ২০২০–২০২১ অর্থবছরের প্রথমবারের মতো ৫১ হাজার কোটি রাজস্ব আদায় হয়। পরের অর্থবছরের ২০২১–২০২২ অর্থবছরের আদায় হয় ৫৯ কোটি টাকা এবং ২০২২–২০২৩ অর্থবছরে ৬১ হাজার ৪৬৪ কোটি ৭২ লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের উপ–কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, চট্টগ্রাম কাস্টমসে সমাপ্ত অর্থবছরে ৬৮ হাজার ৫৬২ কোটি ৭২ লাখ রাজস্ব আদায় হয়েছে। তবে আমাদের রাজস্ব আদায় আরও কিছু বাড়বে। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠানের আদায়ে হিসাব এখনো সন্নিবেশিত করা হয়নি। সেটি যোগ হলে প্রায় ৬৯ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ জন হজযাত্রী
![দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ জন হজযাত্রী মনোস্পুল পেপার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/haz-end.jpg)
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন শেষে দেশে ফিরেছেন ৪৩ হাজার ৮৩ জন হাজি। এছাড়া আরও এক বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর বাংলাদেশি মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৮ জনে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৫ জন এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় চারজন, মিনায় ছয়জন ও জেদ্দায় দুইজন মারা গেছেন।
বুধবার (৩ জুলাই) ভোরে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪৩ হাজার ৮৩ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০৯টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৪১টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪২টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ জন হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৫৮ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪১ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে সবার পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ২৯ জুন মক্কায় লিয়াকত আলী নামে (৬৪) নামে একজন হাজি মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এসি পদমর্যাদার আট কর্মকর্তাকে বদলি
![এসি পদমর্যাদার আট কর্মকর্তাকে বদলি মনোস্পুল পেপার](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/08/DMP-1.jpg)
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) পদমর্যাদার আট কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের সই করা এক অফিস আদেশে এই বদলি ও পদায়ন করা হয়।
বদলি কর্মকর্তাদের মধ্যে দারুসসালাম জোনের মফিজুর রহমান পলাশকে ট্রাফিক-মিরপুর জোনে, পিআরঅ্যান্ডএইচআরডি বিভাগের মো. মনিরুল হককে দারুসসালাম জোনে, এয়ারপোর্ট জোনের আসমা আক্তার সোনিয়াকে ডিএমপির সদর দপ্তর ও প্রশাসন বিভাগে, দক্ষিণখান জোনের রাকিবা ইয়াসমিনকে পিআরঅ্যান্ডএইচআরডি বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
এছাড়া লালবাগ বিভাগের পেট্রোল-কোতোয়ালি মো. তারিকুল ইসলাম মাসুদকে দক্ষিণখান জোনে, উত্তরা বিভাগের পেট্রোল-উত্তরা পূর্ব এম ফখরুল হাসানকে এয়ারপোর্ট জোনে, ট্রাফিক-মিরপুর বিভাগের মো. হালিমুল হারুনকে ভিআইপি অ্যান্ড ভিভিআইপি প্রটেকশন বিভাগে এবং মো. সাজ্জাদ হোসেনকে লালবাগ বিভাগের পেট্রোল হিসেবে বদলি করা হয়েছে।