জাতীয়
বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাবির অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: প্রধানমন্ত্রী

দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান-বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চার পাশাপাশি আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে এ কথা বলেন তিনি।
সোমবার (১ জুলাই) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন হচ্ছে জেনে সন্তোষ প্রকাশ করে শেখ হাসিনা বলেন, এ উপলক্ষে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
তিনি বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য-‘তরুণ প্রজন্মের দক্ষতা বৃদ্ধিতে উচ্চ শিক্ষা’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী জানান, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ ভারত ভেঙে অত্র অঞ্চলে যে রাষ্ট্র ব্যবস্থার সৃষ্টি হয় সেই রাষ্ট্রটি বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসভূমি ছিল না-এ সত্যটি অনুধাবন করতে পেরেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের তৎকালীন তরুণ ছাত্র শেখ মুজিবুর রহমান। যিনি সবার আগে বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে আন্দোলন গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন এবং কালক্রমে হয়ে উঠেছেন বাঙালি জাতির পিতা, ‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালির ইতিহাসের মহানায়ক ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি।
সেই থেকে ইতিহাস-ঐতিহ্য সম্পর্কিত জ্ঞান ও বিজ্ঞানের নিবিড় চর্চা এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সক্রিয় ভূমিকা রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ নামক একটি জাতিরাষ্ট্র সৃষ্টিতে এ প্রতিষ্ঠানটির অনবদ্য অবদান চিরকাল স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
১৯৫২’র ভাষা-আন্দোলন, জাতির পিতা ঘোষিত ১৯৬৬’র ছয়-দফার ভিত্তিতে স্বায়ত্তশাসন আন্দোলন এবং তার (বঙ্গবন্ধু) আহ্বানে ১৯৭১’র মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং পরবর্তীকালে সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলন, অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতিক সত্তার বিকাশ ও দেশের গণমানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারীরা অগ্রভাগে থেকে অব্যাহতভাবে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতার দূরদর্শী নির্দেশনায় ১৯৭৩ সালে বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্স ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন গঠন করা হয়, যার মূল বার্তা ছিল- বিশ্ববিদ্যালয়ে চিন্তার স্বাধীনতা ও মুক্ত-বুদ্ধি চর্চার পরিবেশ সৃষ্টি করা।
আওয়ামী লীগ যখনই সরকার গঠন করে তখনই জাতির পিতার শিক্ষা দর্শনের আলোকে দেশের শিক্ষা খাতের উন্নয়ন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে ১২টি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, চিকিৎসা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ অনেকগুলো বিজ্ঞান ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করি। গবেষণা ও প্রযুক্তির জন্য অনুদান ১০০ কোটিতে উন্নীত করি। আমরা জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন, বঙ্গবন্ধু বৃত্তি এবং জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপের প্রবর্তন করি।
তিনি বলেন, গত সাড়ে ১৫ বছরে আমরা দেশে উচ্চশিক্ষার সুযোগ ও গুণগত মান বৃদ্ধিতে ব্যাপক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত আমরা ২৩টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং ৫৪টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০১০, বাংলাদেশে উচ্চশিক্ষার কৌশলী পরিকল্পনা: ২০১৮-২০৩০ সহ প্রয়োজনীয় নীতিমালা এবং কলেজ পর্যায়ের উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে ২০২৩-২০৩১ মেয়াদি ন্যাশনাল স্ট্রাটেজিক প্ল্যান প্রণয়ন করেছি। আমরা বিদেশ থেকে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ প্রবর্তন করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মান নিয়ন্ত্রণের জন্য আমরা অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল এ্যাক্ট-২০১৬ পাস করেছি।
শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি, দেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সংযোগ স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ রিসার্চ এন্ড এডুকেশন নেটওয়ার্ক স্থাপন করা হয়েছে। এর ফলে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির ছাত্র ও শিক্ষক আন্তর্জাতিক একাডেমিক কমিউনিটি এবং তথ্য ভান্ডারের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।
তিনি বলেন, প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে দেশপ্রেমে উজ্জীবিত ও চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা আহরণে সক্ষম প্রজন্ম গড়ার লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সংকট নিরসনে হল ও ভবন নির্মাণ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে শিক্ষা, গবেষণার উন্নয়ন ও সম্প্রসারণে নতুন নতুন বিভাগ, ইনস্টিটিউট ও গবেষণা কেন্দ্র খোলা হয়েছে। বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৩টি অনুষদ, ১৩টি ইনস্টিটিউট, ৮৪টি বিভাগ, ৫৮টি ব্যুরো ও গবেষণা কেন্দ্র, ছাত্র-ছাত্রীদের ১৯টি আবাসিক হল, ৪টি হোস্টেল এবং ১৮৮টি উপাদানকল্প কলেজ ও ইনস্টিটিউট রয়েছে। এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৪৪ হাজার ৮৯৫ জন এবং পাঠদান ও গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন প্রায় ১ হাজার ৯৮১ জন শিক্ষক।
শেখ হাসিনা বলেন, অধিকতর উন্নত গবেষণার মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভবিষ্যতে যেকোনো সংকট উত্তরণে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে এবং দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে শিক্ষা-গবেষণা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তিসহ জ্ঞানের সব শাখায় এগিয়ে যাবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দেশপ্রেম, সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে তাদের অর্জিত জ্ঞান, মেধা-মনন ও সৃজনশীলতা প্রয়োগ করে ২০৪১ সালের মধ্যে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলাদেশ তথা তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিজ নিজ অবস্থান থেকে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সব কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি ফিলিপাইন সরকারের পূর্ণ সমর্থন

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি পূর্ণ সমর্থন জানিয়েছে ফিলিপাইন সরকার। সোমবার (৭ এপ্রিল) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত নিনা পি. ক্যাংলেট ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট বংবং মার্কোস এবং ফিলিপাইনবাসীর পক্ষ থেকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে পূর্ণ সমর্থনের কথা জানান।
সাক্ষাতে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে, দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বাণিজ্যিক সহযোগিতা সম্প্রসারণ এবং বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।
কৃষি ও শিক্ষা খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির সম্ভাবনা উভয় পক্ষ গুরুত্বের সঙ্গে তুলে ধরেন এবং ভবিষ্যতে ফিলিপাইন-বাংলাদেশ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে গাজা: ইলিয়াস কাঞ্চন

দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজা মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নিরাপদ সড়ক চাই’র (নিসচা) চেয়ারম্যান চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।
সোমবার (৭ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে গাজায় গণহত্যার প্রতিবাদে গণশক্তি সভার আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, দখলদার ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচার হামলায় গাজাজুড়ে নিহত নারী-শিশুদের আর্তনাদে বাতাস ভারী হয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের হামলা শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী। নতুন করে গাজায় শুরু করা হামলায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৫০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে ৩ হাজারের বেশি। এ নিয়ে গত ১৭ মাসের যুদ্ধে গাজায় নিহতের সংখ্যা ৫০ হাজার ছাড়িয়েছে। আহত হয়েছে লক্ষাধিক। সেই সঙ্গে গাজায় লাখ লাখ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন।
তিনি বলেন, গাজায় ১৫ জন জরুরি সেবাকর্মী হত্যার বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাদের দায় স্বীকার করেছে। তাছাড়া গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে সবচেয়ে বেশি লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে শিশুরা। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ১৭ হাজারেরও বেশি শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। আজ সময় এসেছে বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধভাবে এই দখলদারদের প্রতিরোধ করতে হবে।
গণশক্তি সভার সভাপতি সাংবাদিক সাদেক রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা তাজুল ইসলাম, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা সাখাওয়াত হোসেন, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতা লিটন এরশাদ, সাবেক কর কমিশনার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান, ড.কাজী মনিরুজ্জামান, বিশিষ্ট আইনজীবী এডভোকেট শাহ মোহাম্মদ মাহফুজুল হক, ড. মো. হুমায়ুন কবির, বিশিষ্ট কলামিস্ট ক্যাপ্টেন অব. জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক ছাত্রনেতা খন্দকার মিজানুর রহমান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব মোহাম্মদ আবু হানিফ, নিরাপদ সড়ক চাই এর যুগ্ম সম্পাদক গনি মিয়া বাবুল, নিরাপদ সড়ক চাই এর সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুর রহমান, গণ মুক্তিযোটের কো চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন, অধ্যাপক মেহেদী হাসান, বিশিষ্ট গবেষক আলাউদ্দিন কামরুল,বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী রুহুল আমিন, আ ফ ম ইউসুফ প্রমূখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
১২ এপ্রিল ঢাকার রাজপথে বিক্ষোভ করবেন আজহারি

গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) ঢাকায় সশরীরে বিক্ষোভ করবেন জনপ্রিয় ইসলামিক স্কলার মাওলানা মিজানুর রহমান আজহারি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এ কথা জানান তিনি।
ভিডিও বার্তায় আজহারি বলেছেন, প্যালেস্টাইন সলিডারিটি মুভমেন্ট বাংলাদেশের আয়োজনে ফিলিস্তিনের গাজায় সংগঠিত শতাব্দীর বর্বরোচিত গণহত্যার প্রতিবাদে ‘মার্চ ফর গাজা’ শিরোনামে এক বিশাল বিক্ষোভ সমাবেশ ও গণজমায়েতের আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১২ এপ্রিল (শনিবার) শাহবাগ থেকে শুরু হয়ে মানিক মিয়া এভিনিউয়েতে গিয়ে এই মার্চটি শেষ হবে। ইনশাআল্লাহ আমি নিজে সশরীরে এই বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত থাকব। আপনারাও দলে দলে যোগদান করুন।
তিনি আরও বলেন, মানবতার পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে, গাজাবাসীদের পক্ষে দল-মত-জাতি-পেশা নির্বিশেষে এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণের জন্য সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে আজ (সোমবার) বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘নো ওয়ার্ক-নো স্কুল’ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
২২ বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ ইসির

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ২২টি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কর্মপরিকল্পনার মধ্যে দু-একটি ছাড়া বাকিগুলো আগামী অক্টোবরের মধ্যে শেষ করবে ইসি।
সোমবার (৭ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, রাজনৈতিক দল ও পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন, আইন-বিধি সংস্কার, ভোটার তালিকা ও ভোটকেন্দ্র স্থাপনসহ প্রাথমিকভাবে ২২টি বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন। দু-একটি বিষয় ছাড়া সবগুলো কাজ আগামী অক্টোবরের মধ্যে সমাপ্ত করার পরিকল্পনা ইসি সচিবালয়ের।
এর আগে ইসি জানায়, ডিসেম্বর টাইমলাইন করেই এগিয়ে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। ডিসেম্বর সামনে রেখেই যেন শিডিউল ঘোষণা করতে পারে সেই হিসেবে এগিয়ে যাচ্ছে কমিশন। রাজনৈতিক দল তাদের মতো করে কথা বললে নির্বাচন কমিশন বাস্তবতা মেনে কাজ করছে। ডিসেম্বর মাসে নির্বাচন করতে গেলে যে যৌক্তিক সময় লাগবে সেই সময়ে শিডিউল ঘোষণা করা হবে। নির্বাচন কমিশন কারও সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনায় নেবে না বলে জানায় সংস্থাটি।
যেসব বিষয় নিয়ে কাজ করবে কমিশন- অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ, নির্বাচনী আইনের সংস্কার, বিধিমালা ও নীতিমালা সংশোধন, নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদ, ভোট কেন্দ্র স্থাপন, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, পর্যবেক্ষক এবং সাংবাদিক নীতিমালা প্রণয়নসহ পর্যবেক্ষক সংস্থা নিবন্ধন, বিদেশি পর্যবেক্ষক ও সাংবাদিকদের অনুমতি সংক্রান্ত কার্যক্রম, নির্বাচনী দ্রব্যাদি সংগ্রহ, বিভিন্ন প্রকার ম্যানুয়াল নির্দেশিকা পোস্টার পরিচয়পত্র ইত্যাদি মুদ্রণ, স্বচ্ছ ব্যালট বক্স ও নির্বাচনী দ্রব্যাদি ব্যবহার উপযোগীকরণ, নির্বাচনী বাজেট প্রস্তুত বাজেট বরাদ্দ সংক্রান্ত কার্যক্রম ফলাফল প্রদর্শন প্রচার ও প্রকাশ বিষয়ক ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিজিটাল মনিটর স্থাপন ও যন্ত্রপাতি সংযোজন, আন্তঃমন্ত্রণালয় যোগাযোগ ও সভা বিষয়ক কার্যক্রম, নির্বাচনের জন্য জনবল ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কার্যক্রম, প্রশিক্ষণ ও ব্রিফিং, প্রচার ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম, রাজনৈতিক দলের নির্বাচনে প্রচারণা, টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থা সুসংহতকরণ, বেসরকারি প্রাথমিক ফলাফল প্রচার সংক্রান্ত কার্যাবলী, আইসিটি সহায়তা সংক্রান্ত কার্যক্রম এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
পদক্ষেপ নেওয়া হবে, যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি বাড়বে: প্রেস সচিব

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে রপ্তানি বাড়বে, কমবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, প্যানিক হওয়ার কিছু নেই। আমরা বারবার বলছি যে আমরা এমন কিছু পদক্ষেপ নেবো যাতে বাংলাদেশের রপ্তানি বাড়বে, কমবে না।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে প্রেস ব্রিফিংকালে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুল আলম বলেন, ৬ এপ্রিল ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভালো সভা হয়। সেখানে বিজিএমই’র সাবেক সভাপতি ফারুক হাসান, বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমসহ অন্যদের মধ্যে তপন চৌধুরী, নাসিম মঞ্জুর, লুবানা হক উপস্থিত ছিলেন। তাদের আশ্বস্ত করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে যে সমস্ত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে তাতে রপ্তানি বরং বাড়বে, কমবে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেওয়া চিঠি একটি বড় মেসেজ বলে তিনি উল্লেখ করেন।