স্বাস্থ্য
জুনে ডেঙ্গুতে প্রাণ গেলো ৮ জনের
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি মাসে (জুন) ডেঙ্গুতে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডেঙ্গবিষয়ক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৪৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। চলতি মাসে মোট ভর্তি হয়েছেন ৭৯৮ জন।
চলতি বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৩ হাজার ৬৫১ জন। এরমধ্যে সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ৩ হাজার ৪০৭ জন। মারা গেছেন ৪৪ জন।
বিশেষজ্ঞরা জানান, ডেঙ্গু এখন সিজনাল নেই, সারা বছরই হচ্ছে। বৃষ্টি শুরু হলে এটা বাড়ছে। ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা নিরোধক ওষুধ ব্যবহারের পাশাপাশি সিটি করপোরেশনে পক্ষ থেকে সব জায়গায় প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে। একইসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন বছরব্যাপী নানান উদ্যোগ নিলেও কীটতত্ত্ববিদ ড. মনজুর চৌধুরী বলেন, মশানিধনে শুধু জেল-জরিমানা আর জনসচেনতনা বাড়িয়ে কাজ হবে না। সঠিকভাবে জরিপ চালিয়ে দক্ষ জনবল দিয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে দেশের ইতিহাসে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী আক্রান্ত এবং ১ হাজার ৭০৫ জনের মৃত্যু হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
চট্টগ্রাম এভারকেয়ারে প্রথমবারের মতো ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড চালু
বন্দরনগরীর সর্ববৃহৎ হাসপাতাল, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রাম হৃদরোগের আধুনিক চিকিৎসার অংশ হিসেবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ইন্ট্রাভাসকুলার আল্ট্রাসাউন্ড (আইভিইউএস) সেবা চালু করেছে। এই উন্নত ডায়াগনস্টিক সরঞ্জামটি রক্তনালীগুলোর ভিতর থেকে উচ্চ-রেজুলিউশনের ইমেজিং সরবরাহ করে করোনারি ধমনী রোগে আক্রান্ত রোগীদের আরও সঠিক রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসার সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আইভিইউএস-এ একটি ক্ষুদ্র আল্ট্রাসাউন্ড প্রোবকে ক্যাথেটারের ভিতর দিয়ে প্রবেশ করানো হয় যা ধমনীর দেয়াল, প্লাক জমা ও রক্ত প্রবাহের রিয়েল-টাইম ছবি প্রদান করে। এই বিস্তারিত দৃশ্যায়ন প্রচলিত অ্যানজিওগ্রাফির চেয়েও উন্নত। যার ফলে অ্যানজিওপ্লাস্টি পদ্ধতির সময় ব্লকেজের তীব্রতা ও স্টেন্ট স্থাপনের সর্বোত্তম অবস্থান সম্পর্কে আরও সঠিক মূল্যায়ন সম্ভব হয়।
এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামমের ক্লিনিক্যাল ও ইন্টারভেনশনাল কার্ডিওলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ও বিভাগীয় সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডা. শেখ মো. হাসান মামুন বলেন, এভারকেয়ার হসপিটাল চট্টগ্রামে আইভিইউএস সেবা চালু করা আমাদের বিশ্বমানের কার্ডিয়াক কেয়ার প্রদানের প্রতিশ্রুতির একটি মাইলফলক। এই প্রযুক্তির সাহায্যে, আমাদের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞরা আরও তথ্যপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন। ফলে রোগীর ফলাফল আরও উন্নত হবে এবং একইসাথে জটিলতা কম হবে বলে আমি আশা করি।
আইভিইউএস রোগীদের জন্য উল্লেখযোগ্য সুবিধা নিয়ে এসেছে। এটি আরও ভালো চিত্র সরবরাহ করে চিকিৎসকদের সঠিক রোগ নির্ণয় করতে ও ব্যক্তিগত চিকিত্সা পরিকল্পনা তৈরি করতে সহায়তা করে। এটি রোগীর নির্দিষ্ট অবস্থার উপর ভিত্তি করে আরও ভাল যত্নের দিকে পরিচালিত করে। আইভিইউএস স্টেন্ট স্থাপনে আরও সুনির্দিষ্টভাবে সহায়তা করে, স্টেন্ট ব্লকেজ হওয়ার মতো জটিলতার ঝুঁকি হ্রাস করে। এছাড়াও, রিয়েল-টাইম ইমেজিংয়ের সাহায্যে চিকিৎসকরা প্রক্রিয়া চলাকালীন সমস্যাগুলি চিহ্নিত করতে ও সমাধান করাসহ রোগীর সুরক্ষা উন্নত করতে পারেন।
চট্টগ্রামের এভারকেয়ার হসপিটালে আইভিইউএস’র প্রবর্তন চিকিৎসা সেবার প্রতি হাসপাতালের প্রতিশ্রুতির অংশ এবং এই অঞ্চল জুড়ে রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা প্রদানের প্রচেষ্টাকেই তুলে ধরে।
উল্লেখ্য, এভারকেয়ার চট্টগ্রাম, বন্দরনগরীর সর্বপ্রথম ৪৭০ শয্যাবিশিষ্ট মাল্টি-ডিসিপ্লিনারী সুপার-স্পেশিয়ালিটি টারশিয়ারি কেয়ার হসপিটাল। এখানে আছে ২৪/৭ জরুরী বিভাগ, সর্বাধুনিক আইসিইউ সেবা এবং ২৭টি বিশেষ ও উপ-বিশেষ বিভাগ, যা গোটা অঞ্চলের ধারণক্ষমতার শূন্যস্থান পূরণে সক্ষম। প্রায় ৪ লক্ষ ৯২ হাজার বর্গফুট আয়তনের উপর নির্মিত এই হসপিটালের সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ মেডিকেল সেবা ও পাঁচ শতাধিকেরও বেশি মেডিকেল প্রোফেশনাল চট্টগ্রামের সকল স্তরের রোগীদের সর্বোচ্চ মানের সেবা নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
একদিনে ডেঙ্গুতে আরও ৫ মৃত্যু
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ২১৩ জনে। গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন পাঁচ ডেঙ্গুরোগী। এ নিয়ে চলতি বছরে মশাবাহিত রোগটিতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৭২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় রয়েছেন ৩৫৩ জন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ১০২ জন, বরিশালে ৮০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ২২৪ জন, খুলনায় ৭২ জন, ময়মনসিংহে ১৩ জন, রাজশাহীতে ২৫ জন ও রংপুরে ৩ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২০ হাজার ২১৩ জন। এদের মধ্যে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৫ দশমিক ৮ শতাংশ নারী। এ সময়ে ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১১৩ জনের মধ্যে ৫৪ দশমিক ৯ শতাংশ নারী এবং ৪৫ দশমিক ১ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মারা যান ১০৫ জন।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। এদের মধ্যে ২৮১ জন মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ২৬৭ জন
দেশে ক্রমেই বাড়ছে ডেঙ্গুর প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে আরও ২৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এতে চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ১৯ হাজার ৩৪২ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় একজন ডেঙ্গুরোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছর এডিস মশাবাহিত এ রোগে মৃত্যু বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৮ জনে।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমারজেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক নিয়মিত প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সারাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে ২৬৭ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২০৬ জন রয়েছেন। এছাড়া ঢাকা বিভাগে ৩১ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৯ জন, খুলনায় ১০ জন, ময়মনসিংহে ১০ জন ও রাজশাহীতে একজন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সারাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৯ হাজার ৩৪২ জন। তাদের মধ্যে ৬১ দশমিক ৮ শতাংশ পুরুষ এবং ৩৮ দশমিক ২ শতাংশ নারী।
১ জানুয়ারি থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১০৮ জনের মধ্যে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ নারী এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ পুরুষ।
প্রতি বছর বর্ষাকালে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দেয়। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। গত বছর দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এরমধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।
আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। গত বছর এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এ রোগে মারা যান, যা দেশের ইতিহাসে একক কোনো বছরে ডেঙ্গুতে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর এডিস মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
গণঅভ্যুত্থানে নিহত ৬৩১, আহত ১৯ হাজার ২০০
সারাদেশে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সংঘাত-সহিংসতায় অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। আন্দোলনে হতাহতদের পরিপূর্ণ তালিকা তৈরি করতে গত ১৫ আগস্ট স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।
বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) কমিটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ১৫ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অন্তত ৬৩১ জন ছাত্র-জনতা প্রাণ হারিয়েছেন এবং আহত হয়েছেন ১৯ হাজার ২০০ জনের বেশি। ৪৫০ জনেরও বেশি মানুষকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল এবং এই ২১ দিনের মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮১ জন মারা গেছেন।
এতে আরও বলা হয়েছে, আহতদের মধ্যে ১৬ হাজার জনের বেশি সারাদেশে সরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এবং অন্তত তিন হাজার জন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সাবেক সিনিয়র সচিব ও কমিটির প্রধান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, বেসরকারি হাসপাতাল থেকে তথ্য সংগ্রহ করা চ্যালেঞ্জিং। কারণ, তারা সরকারি হাসপাতালের মতো কঠোরভাবে ডেটা সংরক্ষণ করে না। কিছু ক্ষেত্রে ভুক্তভোগীদের পরিবারের সদস্যরা ভয়ে হাসপাতালে নাম রেজিস্ট্রি করতে চায় না।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি একটি খসড়া তালিকা। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এর ডেটা আরও আপডেট করছেন। কাজ সম্পন্ন হয়ে গেলে এই তালিকা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে এবং সেখানে আরও বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য সংযুক্ত থাকবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বরিশাল, খুলনা, ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের বেসরকারি ক্লিনিকে যারা চিকিৎসা নিয়েছেন তাদের বিষয়ে সরকারকে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন। চট্টগ্রামে আহতের সংখ্যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুই হাজার।ঢাকা বিভাগে প্রাণহানিও ঘটেছে সর্বোচ্চ। এ বিভাগে নিহত হয়েছেন ৪৭৭ জন। নিহতের সংখ্যা সবচেয়ে কম বরিশালে একজন। চট্টগ্রাম ও খুলনায় নিহতের সংখ্যা যথাক্রমে ৪৩ ও ৩৯ জন।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য
স্বাস্থ্য খাতের সংস্কারে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি
দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় সংস্কার, চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ১২ সদস্যের বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা-১ শাখা থেকে জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার বিষয়ভিত্তিক প্রয়োজনীয় সংস্কার ও চিকিৎসা সেবার গুণগত মানোন্নয়ন এবং স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের জন্য বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি বিশেষজ্ঞ প্যানেল গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এম এ ফয়েজকে সভাপতি এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সাবেক পরিচালক অধ্যাপক আব্দুল্লাহ শাফি মজুমদারকে সদস্য সচিব করা হয়েছে।
বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্য করা হয়েছে বাংলাদেশ ডায়াবেটিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি প্রফেসর ডা. এ কে আজাদ খান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য প্রফেসর ডা. মো. সায়েদুর রহমান, রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইডিসিআর) সাবেক পরিচালক প্রফেসর ডা. মাহমুদুর রহমান, সিনিয়র প্রসূতি ও স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. ফেরদৌসি বেগম, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক প্রফেসর ডা. ফিরোজ কাদেরকে।
কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) প্রফেসর ডা. সানিয়া তাহমিনা, ঢাকা কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রফেসর ডা. শাকিল আহমদ, ইনজুরি প্রতিরোধ ও গবেষণা সেন্টারের সিইও প্রফেসর ডা. ফজলুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মেডিসিন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এমএ জলিল চৌধুরী, শমরিতা মেডিকেল কলেজের প্রফেসর ডা. সরকার মাহবুব আহমদ শামিম।
বিশেষজ্ঞ প্যানেলের কার্যপরিধি বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে বলা হয়—
(১) দেশের বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার প্রয়োজনীয় বিষয়ভিত্তিক সংস্কারের জন্য নীতি-নির্ধারণ।
(২ ) সব স্তরে চিকিৎসা শিক্ষার বিশ্বমানের স্বীকৃতি এবং উচ্চ শিক্ষাকে আধুনিকায়নের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।
(৩) নগর, গ্রাম ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করার জন্য বিদ্যমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কার ও কার্যকর।
(৪) স্বাস্থ্য ব্যবস্থার কাঠামো শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে সব স্বাস্থ্য কেন্দ্রে জনবল ও যন্ত্রপাতির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় নীতি-নির্ধারণী ও কাঠামোগত সংস্কার সম্পর্কিত পরামর্শ প্রদান।
(৫) দেশের প্রধান প্রধান চিকিৎসা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো যেমন- বিএমডিসি, বিএমআরসি, বিএনএমসিসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের রেগুলেটরি কাঠামোর প্রয়োজনীয় সংস্কার ও শক্তিশালীকরণের বিষয়ে পরামর্শ প্রদান।