অর্থনীতি
সোনার দাম কমেছে, সোমবার থেকে কার্যকর
![সোনার দাম কমেছে, সোমবার থেকে কার্যকর একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/04/gold-10.jpg)
দেশের বাজারে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে সর্বোচ্চ ১ হাজার ৭৩ টাকা কমিয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম কমানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা। সোমবার (১ জুলাই) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে। আজ প্রতি ভরি ভালো মানের সোনা এক লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম কমেছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী, সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৭ হাজার ২৮২ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১১ হাজার ৯৫১ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ৯৫ হাজার ৯৬০ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৭৯ হাজার ৩৩৯ টাকায় বিক্রি করা হবে।
সোনার দাম কমলেও অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী বর্তমানে ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম দুই হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা।
রবিবার (৩০ জুন) সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনা ১ লাখ ১৮ হাজার ৩৫৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ১ লাখ ১২ হাজার ৯৭৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের ৯৬ হাজার ৮৩৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা ৮০ হাজার ৬২ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানালেন ভোক্তার ডিজি
![ডিমের দাম বাড়ার কারণ জানালেন ভোক্তার ডিজি একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/egg-dim-1.jpg)
দেশে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। তবে হুট করে বেড়ে যাওয়া ডিমের দামের কারণ জানালেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান। তিনি বলেন, হাতবদলের মাধ্যমে ডিমের দাম বাড়ে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে ডিমের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়ে ডিম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী, ডিম ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।
সভায় ভোক্তার ডিজি বলেন, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের গবেষণায় দেখা যায়, একটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৮৮ পয়সা। কিন্তু খুচরা বাজারে প্রতিটি ডিমের দাম অনেক বেশি। ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির সাথে বিপণন সংশ্লিষ্ট লোকজন জড়িত। অধিদপ্তরের অভিযানে দেখা যায়, একই ট্রাকে ডিম রেখে তিন বার হাত বদলের মাধ্যমে বিক্রি করে প্রতিটি ডিম মূল্য গড়ে প্রায় ১ টাকা বাড়ানো হয়।
তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য বাড়ালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ডিমের বাজারে অভিযান পরিচালনা করে। অধিদপ্তর কর্তৃক পরিচালিত অভিযানের ফলে ডিমের অস্বাভাবিক মূল্য কমেছে। কিন্তু এটা স্বাভাবিক আচরণ নয়।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, পাকা ভাউচার ছাড়া ডিমের কোন লেনদেন হবে না। পাকা ভাউচার পাওয়া গেলে আমরা ট্র্যাক করতে পারবো ডিমের ক্রয়মূল্য ও বিক্রয়মূল্য কত এবং কত লাভ করা হয়েছে। এখন অভিযান পরিচালনাকালে পাকা ভাউচার না পাওয়া গেলে আইনানুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভোক্তার ডিজি বলেন, এই সেক্টরকে সুসংগত করতে সবার সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিম বিক্রয়ের কারসাজির ক্ষেত্রে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবসা নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা
![আয়ুর্বেদিক-হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের নীতিমালা চান ব্যবসায়ীরা একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/homeopathic1.jpg)
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের বিকাশ, উন্নয়ন এবং রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সরকারের নীতি সহায়তা চান এ খাতের ব্যবসায়ীরা। দেশে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ তৈরির উপকরণ ও কাঁচামাল সহজলভ্য করা, বিলুপ্ত প্রায় ঔষধি গাছ সংরক্ষণ এবং ভেষজ বনায়ন গড়ে তোলা, হার্বাল পণ্যের ব্র্যান্ডিং, পণ্য উন্নয়ন, মান নিয়ন্ত্রণসহ প্রযুক্তির প্রয়োগ ও গবেষণায় সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) এফবিসিসিআইয়ের মতিঝিল কার্যালয়ে আয়ুর্বেদিক এবং হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্প বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সভায় এই আহ্বান জানান ব্যবসায়ী নেতারা।
সভায় সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান এবং বাংলাদেশ হার্বাল প্রোডাক্টস ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. আলমগীর মতি। কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচারক এবং ইউনিভার্সেল টেকনোলজি বাংলাদেশ লিমিটেডের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মাহবুবুল আলম। তিনি বলেন, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক খাতের বাণিজ্যিক এবং রপ্তানি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এফবিসিসিআই নীতিগত সহায়তা প্রদান করবে।
খাতের প্রতিবন্ধকতাসমূহ চিহ্নিতকরণ এবং তার সমাধানে নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি। এ জন্য, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক শিল্পের উদ্যোক্তাদের কাছে যৌক্তিক প্রস্তাবনা আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি।
এ সময় এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, হার্বাল ওষুধ, খাদ্যদ্রব্য এবং কসমেটিকস শিল্পে শতভাগ স্থানীয় ভ্যালু অ্যাডিশনের সুযোগ রয়েছে। সারাবিশ্বেই হার্বাল এবং হালাল পণ্যের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে। এই বাজার ধরতে হলে উদ্যোক্তাদের প্রযুক্তি ও গবেষণায় বিনিয়োগে মনযোগী হতে হবে।
আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথিক ওষুধ শিল্পের মেডিক্যাল রেকর্ড এবং ডেটা কালেকশনের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেন কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ প্রীতি চক্রবর্তী।
আয়ুর্বেদিক শিল্পের অবকাঠামো, হিমাগার ও সরবরাহ ব্যবস্থা উন্নয়ন এবং সরকারি উদ্যোগে সারা দেশে ঔষধি বনায়ন গড়ে তোলার ওপর আলোকপাত করেন কমিটির চেয়ারম্যান ডা. আলমগীর মতি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
আগামীতে পণ্যভিত্তিক মেলা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
![আগামীতে পণ্যভিত্তিক মেলা হবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/AHCHANUL-ISLAM-1.jpg)
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, আগামীতে পণ্যভিত্তিক মেলা হবে। মেলায় দেশি-বিদেশি ব্যবসায়ীদের অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে, এতে করে মেলার উদ্দেশ্য পূরণ হবে। আগামী সেপ্টেম্বরে পূজার সময় কলকাতায় দেশীয় শাড়ির মেলা করা হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর টিসিবি ভবনের কনফারেন্স রুমে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর পরিচালনা পর্ষদের ১৪৬তম সভায় এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
তিনি বলেন, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) দায়িত্বশীল ভূমিকায় দেশের রপ্তানি বাণিজ্যের উন্নতি হচ্ছে। দেশের ৬৩ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি একটা সময় অবিশ্বাস্য ছিল। সরকারের লক্ষ্য পরের তিন অর্থবছরে রপ্তানি ১১০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা। সেলক্ষ্য পূরণে পরিবর্তন ও সহযোগিতা লাগবে। রপ্তানির সংখ্যার তুলনায় কীভাবে স্থানীয় রিসোর্স ব্যবহার করা যায়, কতবেশি কর্মসংস্থান করা যায় সেদিকে লক্ষ্য দিতে হবে।
এসময় পর্ষদের সদস্য হিসেবে হামিম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, ডিসিসিআই সভাপতি আশরাফ আহমেদ, এমসিসিআই সভাপতি কামরান টি রহমান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
একনেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন
![একনেকে ৫ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/eknek.jpg)
ঢাকা অঞ্চলের কৃষি উন্নয়নসহ ১১ প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫ হাজার ৪৫৯ কোটি ৮৭ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৫ হাজার ২১৪ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ১৪০ কোটি ৪৪ লাখ টাকা এবং বাস্তবায়নকারী সংস্থা থেকে ১০৫ কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এসব প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনা। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম এবং পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জমান সরকার।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্প গুলো হচ্ছে, ঢাকা অঞ্চলের কৃষির উন্নয়ন প্রকল্প, বরগুনা ও মুন্সীগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প, রায়পুরা ১২০ মেগাওয়াট এসি পিক গ্রিড টাইড সোলার পাওয়ার প্ল্যান্টের জন্য ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প। বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী (২য় সংশোধিত) প্রকল্প, কিশোর উন্নয়ন কেন্দ্র কিশোরগঞ্জ, জয়পুরহাট ও চট্টগ্রাম স্থাপন প্রকল্প, ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন (প্রথম সংশোধিত) প্রকল্প। কুমিল্লা-সালদা ও কসবা (সৈয়দাবাদ) সড়কে (এন১১৪) জাতীয় মহাসড়ক মানে উন্নীত করা প্রকল্প, নগরাঞ্চলের ভবন সুরক্ষা প্রকল্প, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা, তুরাগ ও বালু নদীর তীর ভূমিতে পিলার স্থাপন, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণ (দ্বিতীয় পর্যায়, দ্বিতীয় সংশোধিত) প্রকল্প, দেশের বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ পুলিশের থানার প্রশাসনিক কাম ব্যারাক ভবন নির্মাণ প্রকল্প।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য ড. এমদাদউল্লাহ মিয়ান, কৃষি, পানি সম্পদ ও পল্লি প্রতিষ্ঠান বিভাগের সদস্য আব্দুল বাকী এবং পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব শাহনাজ আরেফিন।
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শহীদুজ্জান সরকার বলেন, একটি একনেক বা মন্ত্রী পরিষদ বৈঠক হওয়া মানে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া নয়, এই বৈঠক হওয়া মানে একটি লম্ফ। এ অর্থবছর অষ্টম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার শেষ বছর। সামনে আমরা এলডিসিতে উত্তরণ করছি। একনেকে প্রকল্প পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন পর্যায়ে গেলে উন্নয়নকে আমরা এগিয়ে নিতে পারব। আমরা উন্নয়নকে এগিয়ে নিতেই কাজ করে যাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপিজির দাম বাড়লো
![এলপিজির দাম বাড়লো একীভূত](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/11/LPG-2205050922.jpg)
ভোক্তা পর্যায়ে বাড়ানো হলো তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম। জুনের তুলনায় জুলাইয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। নতুন দাম আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টা থেকেই কার্যকর হবে।
আজ বিকেল ৩টায় এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন এ দাম ঘোষণা করেন বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান মো. নূরুল আমিন। এসময় বিইআরসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, ১২ কেজির এলপিজির দাম ১ হাজার ৩৬৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ৫.৫ কেজির এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ৬২৭ টাকা, ১২.৫ কেজির ১ হাজার ৪২৩ টাকা, ১৫ কেজির ১ হাজার ৭০৮ টাকা, ১৬ কেজির ১ হাজার ৮২২ টাকা, ১৮ কেজির ২ হাজার ৪৯ টাকা, ২০ কেজির ২ হাজার ২৭৭ টাকা, ২২ কেজির ২ হাজার ৫০৫ টাকা, ২৫ কেজির ২ হাজার ৮৪৭ টাকা, ৩০ কেজির ৩ হাজার ৪১৬ টাকা, ৩৩ কেজির ৩ হাজার ৭৫৭ টাকা, ৩৫ কেজির ৩ হাজার ৯৮৫ টাকা এবং ৪৫ কেজির এলপিজির দাম ৫ হাজার ১২৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি কেজি ১১০ দশমিক শূত্য ৩ টাকা এবং গ্যাসীয় অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির ভোক্তাপর্যায়ে মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার শূন্য দশমিক ২৪৪৫ টাকায় বা প্রতি ঘনমিটার ২৪৪ দশমিক ৫০ টাকায় সমন্বয় করা হলো। এছাড়া ভোক্তাপর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ মূল্য প্রতি লিটার ৬২ দশমিক ৭০ টাকা সমন্বয় করা হয়েছে।
গত ৩ জুন ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম মে মাসের তুলনায় ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। আর মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এপ্রিল মাসের তুলনায় ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এলপিজির দাম টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছিল। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।