সারাদেশ
বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার কল্লোল
![বিপুল সম্পত্তির পাহাড় গড়েছেন সাব-রেজিস্ট্রার কল্লোল নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/kollol.jpg)
বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোল নামে-বেনামে বিপুল সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। নানা উপায়ে কিনেছেন বিলাসবহুল দামি গাড়ি ও একাধিক বহুতল ভবন। ঢাকায় এবং বরিশালে ৩টি ফ্লাটসহ সরকারি জমিতে করেছেন পাঁচ তলা ভবন। নামে বেনামে কিনেছেন একরের পর একর জমি। স্ত্রীর নামেও কিনেছেন একাধিক জমি, করেছেন মাছের ঘেরসহ এগ্ৰো ফার্ম।
বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে তার জমি ও সম্পদের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরিশাল নগরীর প্রাণকেন্দ্র পোর্ট রোড এলাকায় সরকারি খাস জমিতে করেছেন ৫তলা ভবন। ঢাকায় কিনেছেন ২টি ফ্লাট, বরিশাল নগরীর হাসপাতাল রোড এলাকার অগ্রণী হাউজিং লিমিটেডের ড্রিম প্যালেসে কিনেছেন কোটি টাকার ফ্ল্যাট। (ফ্ল্যাট নং- ৩-অ)। এছাড়া সদর উপজেলার সায়েস্তাবাদে ১ একর ২৫ শতাংশ জমিতে স্ত্রীর নামে করেছেন সোনার বাংলা মৎস্য খামার ও এগ্রো ফার্ম।
শহরতলীর কাগাসুরা মুকুন্দপট্টি রাস্তার দুই পাসে ৮০ শতাংশ জমি কিনে করেছেন সুগন্ধা এগ্রো এন্ড ফিশারিজ। একই এলাকায় কাগাসুরা বাজারের পাশে একশো শতাংশ জমি কিনে তার উপর করেছেন মালটা বাগান। নগরীর ৪নং ওয়ার্ডে কিনেছেন ১২ শতাংশ প্লট ও লাকুটিয়া বাজার এলাকায় ২০ শতাংশ জমির ওপর করেছেন সুগন্ধা পোল্ট্রি খামার। এছাড়া তালতলী বাজারে স্ত্রীর নামে রয়েছে ইট বালু ও রড সিমেন্টের দোকান।
এছাড়াও নিজের, স্ত্রীর ও ছেলের নামে রয়েছে প্রচুর সম্পদ। চাকরির সুবাদে যখন যেখানে বদলি হয়েছেন সেখানেই কিনেছেন জমি ও ফ্লাট। তার সব সম্পত্তির পরিমাণ কয়েকশো কোটির বেশি বলে জানান স্থানীয়রা। একজন সাব-রেজিস্ট্রারের এত সম্পত্তির উৎস্য খতিয়ে দেখার দাবিও জানান স্থানীয়রা।
সায়েস্তাবাদ এলাকার বাসিন্দা সাহাবুদ্দিন জানান, একজন সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে এতো বিশালাকার জমি কীভাবে কিনেছেন তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। দেশে এখন সবকিছুই সম্ভব, আর যা কিছু অবৈধ উপায়ে হচ্ছে তা সব সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীরাই করছেন।
কাগাসুরা বাজার এলাকার শহিদুল ইসলাম বলেন, শুনেছি সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার এই জমি কিনে মাল্টা বাগান করেছেন। এই বাগান দেখাশোনার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেওয়া রয়েছে এখানে। মাঝে মাঝে সাব-রেজিস্ট্রার এখানে এসে ঘুরে যান। এছাড়াও এই এলাকায় তার আরও কয়েকটি বিশালাকার প্লট রয়েছে।
সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের বিভিন্ন এলাকার সম্পদ ও জমির খোঁজ নিতে গেলে তার ছেলে ফোন দিয়ে এ প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করে চা খেয়ে কথা বলে সংবাদ প্রকাশ না করার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে বরিশাল সদর উপজেলার সাব-রেজিস্ট্রার অসীম কল্লোলের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, এত সম্পত্তি আমার নেই, তবে বরিশালে ১টি, ঢাকায় ২টি ফ্লাটসহ ৫তলা ভবন আছে। এছাড়া কিছু জায়গা রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এসব সম্পত্তি ইনকাম ট্যাক্সের ফাইলে আছে। ফাইলের বাইরে এক শতাংশ জমিও নেই। সরকারকে প্রতি বছর এসব সম্পত্তির ট্যাক্স দিই। তাছাড়া এসব নিয়ে দুই-তিনবার দুর্নীতি দমন কমিশন থেকে ডাকা হয়েছিল। তারা সম্পদের বিবরণী খতিয়ে দেখেছে।
বরিশাল জেলা প্রশাসক শহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, সাব-রেজিস্ট্রার হয়ে যদি অবৈধভাবে কোনো কিছু করে থাকেন তাহলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
সারাদেশ
সাজেকে ৬ শতাধিক পর্যটক আটকা
![সাজেকে ৬ শতাধিক পর্যটক আটকা নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/sajek.jpg)
ঝড়বৃষ্টির কারণে পাহাড়ি ঢল নেমে খাগড়াছড়ি সাজেকে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। এতে মেঘের রাজ্য খ্যাত সাজেক ভ্যালিতে প্রায় ৬ শতাধিক পর্যটক আটকা পড়েছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) মধ্যরাত থেকে বাঘাইহাট বাজারে পাহাড়ি ঢলের পানি বাড়ায় সড়ক এবং বেইলি ব্রিজ তলিয়ে সাজেকের সাথে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে বাঘাইহাট থেকে কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়নি এবং সাজেক থেকেও পর্যটকবাহী স্কট ছেড়ে আসেনি।
সাজেক জিপ সমিতির লাইনম্যান ইয়াসিন আরাফাত জানান, গতকাল মধ্যরাত থেকে বাঘাইহাট বাজার এবং মাচালং বাজারে ঢলের পানি বাড়তে শুরু করে। এই মুহূর্তে বাঘাইহাট বাজারে কোমর সমান পানি আছে। তাই সাজেক সড়কে কোনো যানবাহন চলছে না, ফলে গতকাল যে পর্যটকরা সাজেকে এসেছিলেন তারা ফিরতে পারেননি। খাগড়াছড়ি থেকেও কোনো গাড়ি সাজেকের উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসেনি।
সাজেক মেঘপুঞ্জি রিসোর্টের ব্যবস্থাপক পুষ্প চাকমা জানান, গত কয়েকদিন যাবৎ সাজেকে টানা বৃষ্টিপাত চলছে। আজও বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির কারণে খুব বেশি পর্যটক সাজেকে আসেননি। এই মুহূর্তে ৬ শতাধিক পর্যটক সাজেকে অবস্থান করছেন। আজ এবং আগামীকাল যাদের অগ্রিম বুকিং ছিল সেগুলো আমরা রিফান্ড করে দিচ্ছি। বৃষ্টির কারণে পর্যটকরা বাইরে বেড়াতে পারছেন না। সবাই রিসোর্টের কটেজেই অবস্থান করছেন।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিরীন আক্তার জানান, টানাবৃষ্টিতে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা সড়ক ও বাঘাইছড়ির বাঘাইহাট বাজার পানিতে ডুবে যাওয়ায় ৬ শতাধিক পর্যটক সাজেকে আটকা পড়েছে। তবে পানি নামতে শুরু করলে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
পাহাড় ধস, ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন
![পাহাড় ধস, ঢাকা-চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/pahar.jpg)
খাগড়াছড়ির আলুটিলার সাপমারা এলাকায় ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পাহাড় ধসে ঢাকা ও চট্টগ্রামের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোর ৫টার দিকে পাহাড় ধসের এ ঘটনা ঘটে। সড়কের ওপর মাটি জমে থাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
এতে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচের যাত্রীরা আটকা পড়েছেন। ভোগান্তিতে পড়েছেন ঢাকা ও চট্টগ্রাম যাতাযাতকারী যাত্রীরা। সড়ক থেকে মাটি সরানোর কাজ করছে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এছাড়া দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেডকোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। ডুবে গেছে মেরুং বাজার। টানা বর্ষণে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়ন ও কবাখালি ইউনিয়নে প্রায় ২৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। টানা বর্ষণে মাইনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কেও যানচলাচল বন্ধ রয়েছে।
খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্সের লিডার মো. জসিমউদ্দীন জানান, সাপমারা এলাকায় সড়কের মাটি সরানোর কাজ চলছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়ি চলাচলের উপযোগী হবে। তবে আলুটিলা সড়কের আরও কিছু স্থানে পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে। খাগড়াছড়িতে বৃষ্টি চলমান। বৃষ্টি বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তলিয়ে যাওয়া সড়কগুলো দিয়ে যানবাহন চলাচল সম্ভব হবে না। এছাড়া অতিবৃষ্টি এবং পাহাড়ি ঢলে জেলার নিচু এলাকাগুলো প্লাবিত হচ্ছে। বসতবাড়িতেও প্রবেশ করছে পানি।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
সিগন্যাল ত্রুটিতে মাঝপথে থামলো সোনার বাংলা এক্সপ্রেস
![সিগন্যাল ত্রুটিতে মাঝপথে থামলো সোনার বাংলা এক্সপ্রেস নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/tra.jpg)
কুমিল্লার লাকসামের সিগন্যাল ত্রুটির কারণে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী বিরতিহীন দ্রুত গতির সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেন হঠাৎ থেমে যায় গেছে। বিরতিহীন ট্রেন মাঝপথে হঠাৎ থেমে যাওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। তবে এ সময় অন্য কোনো ট্রেন না আসায় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেলো ট্রেনটি।
সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় লাকসাম রেলওয়ে জংশনের আউটার সিগন্যালে পৌর শহরের উত্তর লাকসাম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিরতিহীন দ্রুত গতির চট্টগ্রাম থেকে ঢাকাগামী সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের কোথাও যাত্রাবিরতি নেই। কিন্তু জংশন স্টেশনে প্রবেশ মুখের সিগন্যাল পয়েন্টে লালবাতি জ্বলতে থাকায় ট্রেনটি হঠাৎ আউটারে দাঁড়িয়ে যায়। পরে সবুজ সংকেত দেখালে ১০ মিনিট পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এ ঘটনায় ট্রেনে থাকা যাত্রীদের মধ্যে উৎকণ্ঠা সৃষ্টি হয়। ট্রেনটি লাকসাম-গৈয়ারভাঙ্গা রোডের লেভেলক্রসিংয়ে অবস্থান করায় ওই সড়কেও দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লাকসাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাহবুবুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না।
সিগন্যাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা কেবিন মাস্টার ইকবাল হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, সিগন্যাল কন্ট্রোল বোর্ড কাজ না করায় এ ঘটনা ঘটে। বোর্ডটি ডার্ক হয়েছিল। পরে সিগন্যাল বোর্ড ঠিক হলে সবুজ সংকেত দেখালে ট্রেনটি ১০ মিনিট পর ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়।
একই ধরনের সিগন্যাল ত্রুটির কারণে গত বছরের ১৬ এপ্রিল লাকসাম-চট্টগ্রাম রুটের হাসনাবাদ রেলস্টেশনে দাঁড়িয়ে থাকা মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কা লেগে অর্ধশত যাত্রী আহত হন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
মঙ্গলবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
![মঙ্গলবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায় নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2022/09/gas.jpg)
চট্টগ্রামে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পের নির্মাণকাজের জন্য মঙ্গলবার দুপুর ১২টা থেকে দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। সোমবার (১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস বিতরণ কোম্পানি লিমিডেট।
এতে বলা হয়েছে, বারিক বিল্ডিং, আগ্রাবাদ সিডিএ, নিমতলা, বন্দর, মাতারবাড়ী, সদরঘাট, নিউমার্কেট, মাঝিরঘাট ও পাথরঘাটার আশপাশের এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ ছাড়া দেওয়ানহাট, টাইগারপাস, লালখান বাজার, জিইসি, কোতোয়ালি, ডিসি রোড, জেল রোড, আন্দরকিল্লা ও চাক্তাইয়ের আশপাশের এলাকায় গ্যাসের চাপ কম থাকবে।
চট্টগ্রাম নগরের লালখান বাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ‘৬ কিলোমিটার এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ফকিরহাট র্যাম্প নির্মাণকাজের জন্য গ্যাসলাইনের গতিপথ পরিবর্তন করতে হচ্ছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
সারাদেশ
বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙনের মুখে বসতভিটা
![বিপৎসীমার ওপরে তিস্তার পানি, ভাঙনের মুখে বসতভিটা নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/tista.jpg)
রংপুরের কাউনিয়ায় বেড়েই চলেছে তিস্তার পানি। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। এ অবস্থায় ভাঙন আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যার পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র জানিয়েছে, সোমবার (১ জুলাই) বিকেল ৩টায় কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তিস্তা নদীর পানি। এর আগে দুপুর ১২টায় বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ২৮ দশমিক ৭৫ সেন্টিমিটার।
অন্যদিকে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে বিকেল ৩টায় পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমার ৪৫ সেন্টিমিটার নিচে)। এর আগে দুপুর ১২টায় ৫১ দশমিক ৭২ সেন্টিমিটার, সকাল ৯টায় ৫১ দশমিক ৭৪ সেন্টিমিটার এবং ভোর ৬টায় ৫১ দশমিক ৮০ সেন্টিমিটার পানিপ্রবাহ রেকর্ড করা হয়। এ পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার।
এদিকে পানি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কাউনিয়া উপজেলার নদী তীরবর্তী এলাকায় ডুবে গেছে বাদামসহ বিভিন্ন ফসলি জমি। নদীতে পানি বাড়া-কমায় ভাঙনের মুখে পড়েছে বিভিন্ন এলাকা। এরইমধ্যে ভাঙনকবলিত পরিবারের অনেকে বসতঘর সরিয়ে নিয়েছেন। উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গদাই ও পাঞ্জরভাঙ্গা গ্রামের কয়েকশ বসতভিটা ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।
কাউনিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহিদুল হক বলেন, তিস্তা নদীর বৃদ্ধি ও ভাঙনের বিষয়ে আমরা সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছি। কোথাও কোনো সমস্যা হলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখন পর্যন্ত বন্যার আভাস পাওয়া যায়নি। তারপরও সরকারিভাবে সবধরনের আগাম প্রস্তুতি নেওয়া আছে, যাতে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানে ভারী বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে ডালিয়া ব্যারাজের পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডালিয়া ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা হয়েছে। গত কয়েকদিনের তুলনায় সোমবার সকাল থেকে কাউনিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করেছে। ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
কাফি