জাতীয়
প্রত্যেক উপজেলায় বড় কবরস্থান নির্মাণ করা হবে: তাজুল ইসলাম
![প্রত্যেক উপজেলায় বড় কবরস্থান নির্মাণ করা হবে: তাজুল ইসলাম নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/tazul-islam-parlament-sonsod.jpg)
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে বড় কবরস্থান নির্মাণের কোনো প্রকল্প বর্তমানে চলমান নেই। তবে আগামীতে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বড় কবরস্থান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
রবিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
নিরাপদ পানি সরবরাহ নিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আছে। অবশিষ্ট জনগণ দূরবর্তী স্থান থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অভীষ্ট-৬ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামাঞ্চলে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৯টি পানির উৎস স্থাপন, ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৮টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টর (পানি দিয়ে সেচ) স্থাপন, ৫৬০টি রুরাল পাইপড ওয়াটার স্কিম নির্মাণ ও ১৫ হাজার ১৯৯টি মিনি/কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপন। এছাড়া শহরাঞ্চলে গৃহীত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৯টি পানি শোধনাগার নির্মাণ, ৮০৯টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন ও ২ হাজার ৭৪২ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন এলজিইডির আওতায় দেশব্যাপী পল্লী ও নগর অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭৮০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ৪০০ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া নগর অঞ্চলে ৫০৭ কিলোমিটার সড়ক/ফুটপাত নির্মাণ, ১৮০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৩৫টি ল্যাট্রিন নির্মাণ, ২টি বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, ৩৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও ৪ হাজার ৩৫০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
হজক্যাম্প-বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে ৪ মাস
![হজক্যাম্প-বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সড়ক বন্ধ থাকবে ৪ মাস নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/airport-road.jpg)
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ কাজের জন্য এয়ারপোর্ট-দক্ষিণখান সড়কের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সড়ক চার মাস বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে রাস্তাটি বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে এটি বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ।
সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পথচারী আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ চলা অবস্থায় প্রকল্পের আওতাধীন এয়ারপোর্ট-দক্ষিণখান রোডের অন্তর্গত হজ ক্যাম্প থেকে বিমানবন্দর রেললাইন পর্যন্ত সংযোগ সড়ক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের তারিখ থেকে পরবর্তী ১২০ দিন পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
এতে আরও বলা হয়, সব ধরনের যানবাহন ও পথচারীদের ওই সময়ে বিকল্প সড়ক হিসেবে ‘কাওলা সড়ক’ ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হলো। সাময়িকভাবে রাস্তা বন্ধ রাখার জন্য কর্তৃপক্ষ আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৭
![দেশে ফিরেছেন ৪০ হাজার ১১৫ হাজি, মৃত্যু বেড়ে ৫৭ নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/hajj.jpg)
চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে আরও একজন বাংলাদেশি হাজির মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৭ জনে। হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন।
মঙ্গলবার ভোর রাতে হজ পোর্টালের সবশেষ বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়।
বুলেটিনে বলা হয়, পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পুরুষ ৪৪ এবং নারী ১৩ জন। তাদের মধ্যে মক্কায় ৪৬ জন, মদিনায় ৪ জন, মিনায় ৬ জন ও জেদ্দায় একজন মারা গেছেন। সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী মারা যাওয়া ব্যক্তিদের সে দেশে দাফন করা হচ্ছে।
বুলেটিনে আরও বলা হয়। পবিত্র হজ পালন শেষে এখন পর্যন্ত ৪০ হাজার ১১৫ জন হাজি দেশে ফিরেছেন। সৌদি থেকে ১০২টি ফ্লাইটে এসব হাজি বাংলাদেশে এসেছেন। এর মধ্যে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স ৩৬টি, সৌদি এয়ারলাইন্স ৪০টি এবং ফ্লাইনাস এয়ারলাইন্স ২৬টি ফ্লাইট পরিচালনা করে।
হজ শেষে গত ২০ জুন থেকে দেশে ফেরার ফ্লাইট শুরু হয়। ওইদিন বাংলাদেশ বিমানের প্রথম ফিরতি ফ্লাইট ৪১৭ হাজি নিয়ে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। আগামী ২২ জুলাই পর্যন্ত হাজিদের ফিরতি ফ্লাইট অব্যাহত থাকবে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ থেকে মোট ৮৫ হাজার ২২৫ জন (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। আগামী বছর (২০২৫) বাংলাদেশের জন্য এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জনের কোটা দিয়েছে সৌদি আরব।
এদিকে, চলতি বছর প্রখর তাপপ্রবাহ ও অসহনীয় গরমের জেরে হজ করতে গিয়ে সৌদি আরবে রেকর্ড মৃত্যু হয়েছে। হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ৫৭ বাংলাদেশির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ধর্ম মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরুর আগে ১৭ জন, বাকি ৪০ জন হজের আনুষ্ঠানিকতার শুরুর পর মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৪ জনের পরিচয় প্রকাশ করেছে হজ পোর্টাল। সর্বশেষ ২৯ জুন ফরিদপুর নগরকান্দার সৈয়দ লিয়াকত আলী (৬৭) নামে একজন হাজি মারা গেছেন।
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি হজ করতে গিয়ে যদি মারা যান, তাহলে তার মরদেহ সৌদি আরবে দাফন করা হয়। নিজ দেশে আনতে দেওয়া হয় না। এমনকি পরিবার-পরিজনের কোনো আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় না। মক্কায় হজ যাত্রী মারা গেলে মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা হয়।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন
![ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগে আগ্রহী চীন নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/chaina.jpg)
বেপজাধীন ইপিজেডসমূহ ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশে সফররত চীনের কুয়ানঝু মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি প্রতিনিধিদল। সোমবার (১ জুলাই) অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সদস্য ও কুনফ্যাং ইন্টেলিজেন্ট মেশিনারি কোম্পানি লিমিটেডের চেয়ারম্যান জিনশ্যান জুয়ের নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের প্রতিনিধিদলটি ঢাকার বেপজা নির্বাহী অফিস পরিদর্শনকালে এ আগ্রহ ব্যক্ত করেন
এর আগে চলতি বছরের ৩০ এপ্রিল বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল চীনের ফুজিয়ান প্রদেশের কুয়ানঝু সিটিতে আয়োজিত বাংলাদেশের ইপিজেডসমূহ এবং বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্ভাবনা শীর্ষক সেমিনারে বাংলাদেশের ইপিজেডে চীনা বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছিলেন। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিনিধিদলটি বেপজাধীন ইপিজেডসমূহ এবং বেপজা অর্থনেতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের লক্ষ্যে বাংলাদেশ সফর করছেন।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান এবং বাংলাদেশে বিশেষত ইপিজেডে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করায় তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশ। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার সময়ে বাংলাদেশে তেমন কোনো কারখানা ছিল না। কিন্তু বর্তমানে বিশ্বে দেশটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানিকারক।
বাংলাদেশকে বিনিয়োগের আদর্শ গন্তব্য উল্লেখ করে তিনি বলেন, কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ বিনিয়োগের জন্য একটি আদর্শ স্থান।
বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান এ বছরের এপ্রিল মাসে চীনে বিনিয়োগ উন্নয়নমূলক সেমিনার আয়োজনে সহায়তা করার জন্য কুয়ানঝু মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জিনশ্যান জু বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। আমরা কুয়ানঝু মেরিটাইম সিল্ক রোড ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য বিনিয়োগ সম্ভাবনা অন্বেষণে বাংলাদেশে এসেছি। দেশটি খুব দ্রুত উন্নয়ন করছে এবং নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য একটি আকর্ষণীয় বিনিয়োগ গন্তব্য।
বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) আশরাফুল কবীর বলেন, বেপজা বাংলাদেশের একটি অগ্রগামী বিনিয়োগ উন্নয়নমূলক সংস্থা। ৪৪ বছর ধরে পেশাদারত্ব, আন্তরিকতা ও নিষ্ঠার সঙ্গে ইপিজেডসমূহে বিনিয়োগকারীদের সেবা দিয়ে আসছে সংস্থাটি। তিনি চীনা বিনিয়োগকারীগণকে ইপিজেড ও বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন-অতিরিক্ত দায়িত্ব) ফজলুল হক মজুমদার পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে বেপজার সার্বিক কার্যক্রম, পরিচালন পদ্ধতি এবং বেপজা কর্তৃক ইপিজেডের বিনিয়োগকারীদের প্রদেয় সুবিধাদি, প্রণোদনা বিষয়ে প্রতিনিধিদলকে অবহিত করেন।
এর আগে প্রতিনিধিদলটি ইপিজেড পরিচালনা পদ্ধতি, অবকাঠামোগত সুবিধা, শ্রমিকের মজুরি কাঠামো, কাস্টমস পদ্ধতি, বিদ্যুৎ, পানি ও গ্যাস ও ভূমির ভাড়া ও মূল্য প্রভৃতি সম্পর্কে সম্যক ধারণা লাভের জন্য ৩০ জুন চট্টগ্রাম ইপিজেড ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প নগরে স্থাপিত বেপজার সর্ববৃহৎ উদ্যোগ বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চল পরিদর্শন করেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ আজ
![এলপি গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ আজ নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/12/lpg-1.jpg)
তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম জুলাই মাসে বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই)। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে।
গতকাল সোমবার বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, এ দিন বিকেল ৩টায় সৌদি আরামকো ঘোষিত চলতি মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী চলতি (জুলাই) মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির দাম সমন্বয় সম্পর্কে বিইআরসির নির্দেশনা ঘোষণা করা হবে।
এর আগে কয়েক দফায় বাড়ানো হয় এলিজির দাম। পরে গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারে মূল্য ৪০ টাকা কমিয়ে নির্ধারণ করা হয়েছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা। এরপর ২ মে আরও ৪৯ টাকা কমিয়ে কমিয়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ধরা হয় ১ হাজার ৩৯৩ টাকা। সবশেষ গত ৩ জুন ৩০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
আজ থেকে বাড়ছে ওয়াসার পানির দাম
![আজ থেকে বাড়ছে ওয়াসার পানির দাম নগদ লভ্যাংশ](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/water-wasa.jpg)
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আজ ১ জুলাই থেকে বাড়ছে ওয়াসার পানির দাম। এ নিয়ে গত ১৬ বছরে ১৬ বার পানির দাম বাড়িয়েছে ওয়াসা। এবার ১০ শতাংশ বাড়িয়ে সাধারণ গ্রাহকদের জন্য এক হাজার লিটার পানির দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৬ টাকা ৭০ পয়সা। বাণিজ্যিক গ্রাহকদের জন্য একই পরিমাণ পানির দাম ৪৬ টাকা ২০ পয়সা, আগে এই দাম ছিল ৪২ টাকা।
আইন অনুযায়ী, প্রতি বছর ৫ শতাংশ হারে পানির দাম বাড়াতে পারে ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি ঢাকা ওয়াসার বোর্ডসভায় অনুমোদন পেতে হয়। পানির দাম এর চেয়ে বেশি বাড়াতে হলে অনুমোদন নিতে হয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কাছ থেকে। কিন্তু এবার তার কোনোটিই হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। ২০১৭ সাল থেকে টানা তিন বছর ৫ শতাংশ করে পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা।
২০২০ সালে সরকারের অনুমোদনের পর আবাসিক গ্রাহকদের জন্য পানির দাম ২৫ শতাংশ বৃদ্ধি করা হয়েছিল। ২০২১ সালেও ঢাকা ওয়াসা আবাসিক ও বাণিজ্যিক পর্যায়ে পানির দাম বাড়িয়েছিল। সবশেষ ২০২২ সালের জুলাইয়ে ঢাকা ওয়াসা পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়ায়। কিন্তু তখন ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। বিধি প্রণয়ন না করে ওয়াসার পানির মূল্যবৃদ্ধি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দেন হাইকোর্ট। এরপর পানির দাম বাড়ানোর বিষয়টি স্থগিত ছিল। এরপরও গত বছরের ১ আগস্ট ওয়াটার এটিএম বুথের পানির দাম বাড়িয়েছে ঢাকা ওয়াসা। সে সময় ওয়াটার এটিএম বুথের প্রতি লিটার পানির মূল্য ৭০ পয়সা ধার্য করা হয়। এর সঙ্গে যোগ হয় ১০ পয়সা ভ্যাট।
এদিকে ওয়াসার পানির দাম বাড়ানোয় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন গ্রাহকরা। গ্রাহকদের দাবি, পানির দাম না বাড়িয়ে ওয়াসার উচিত আগে নগরবাসীকে পরিমাণ মতো পানি সরবরাহ করা। তা না করে পানির দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।