জাতীয়
প্রত্যেক উপজেলায় বড় কবরস্থান নির্মাণ করা হবে: তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, উপজেলায় সরকারি পর্যায়ে বড় কবরস্থান নির্মাণের কোনো প্রকল্প বর্তমানে চলমান নেই। তবে আগামীতে নতুন উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব (ডিপিপি) প্রস্তুত করে দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে বড় কবরস্থান নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
রবিবার (৩০ জুলাই) জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের লিখিত জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
নিরাপদ পানি সরবরাহ নিয়ে চট্টগ্রাম-১১ আসনের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, বর্তমানে দেশের ৯৮ ভাগ মানুষ নিরাপদ পানি সরবরাহের আওতায় আছে। অবশিষ্ট জনগণ দূরবর্তী স্থান থেকে নিরাপদ পানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) অভীষ্ট-৬ অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে সবার জন্য নিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের টেকসই ব্যবস্থাপনা ও প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। এজন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে গ্রামাঞ্চলে ৮ লাখ ৪৬ হাজার ৩০৯টি পানির উৎস স্থাপন, ২ লাখ ৩০ হাজার ৩৮টি রেইন ওয়াটার হারভেস্টর (পানি দিয়ে সেচ) স্থাপন, ৫৬০টি রুরাল পাইপড ওয়াটার স্কিম নির্মাণ ও ১৫ হাজার ১৯৯টি মিনি/কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট স্থাপন। এছাড়া শহরাঞ্চলে গৃহীত কার্যক্রমগুলোর মধ্যে রয়েছে ৩৯টি পানি শোধনাগার নির্মাণ, ৮০৯টি উৎপাদক নলকূপ স্থাপন ও ২ হাজার ৭৪২ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপন।
কিশোরগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য আফজাল হোসেনের এক প্রশ্নের জবাবে তাজুল ইসলাম জানান, অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও নাগরিক সুবিধা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন এলজিইডির আওতায় দেশব্যাপী পল্লী ও নগর অঞ্চলে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ, সংস্কার ও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৪ হাজার ৭৮০ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন, ১৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ, ২১ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট নির্মাণ, ১৯ হাজার মিটার ব্রিজ/কালভার্ট রক্ষণাবেক্ষণ, ৯০টি গ্রোথ সেন্টার/হাটবাজার উন্নয়ন, ৫০টি সাইক্লোন শেল্টার নির্মাণ, ২৫টি উপজেলা কমপ্লেক্স ভবন, ৪০০ কিলোমিটার খাল খনন/পুনঃখনন, ৫০ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়া নগর অঞ্চলে ৫০৭ কিলোমিটার সড়ক/ফুটপাত নির্মাণ, ১৮০ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ, ৩৫টি ল্যাট্রিন নির্মাণ, ২টি বাস/ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, ৩৫ কিলোমিটার সড়ক মেরামত ও ৪ হাজার ৩৫০টি স্ট্রিট লাইট স্থাপন করা হয়েছে।

জাতীয়
ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন: সৈয়দা রিজওয়ানা

নির্বাচন অনুষ্ঠানের সময় নিয়ে বিভিন্ন দলের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ ও রাজনীতি আছে জানিয়ে উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
রোববার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা এ কথা জানান। রিজওয়ানা হাসান পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দায়িত্বে রয়েছেন।
এনসিপির একজন নেতা বলেছেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে না। বিএনপি চাচ্ছে যথাসময়ে নির্বাচন। নির্বাচন পিছিয়ে যাবে কি না, সরকারের পরিকল্পনা কী- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, সরকারের পরিকল্পনা তো প্রধান উপদেষ্টা নিজে পরিষ্কার করে বলেছেন। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের তাদের নিজস্ব হিসাব-নিকাশ আছে, নিজস্ব রাজনীতি আছে। এটার সঙ্গে তো সরকারের অবস্থান বদলের কোনো সম্পর্ক নেই। সরকার বলেছে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হবে এবং সেই মোতাবেক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুতি নিতে বলেছে, এটাই হচ্ছে সরকারের অবস্থান। ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধেই নির্বাচন হবে।
সরকার কোনো রাজনৈতিক দলের কথা শুনে নয়, সরকার সরকারের মতো আলাপ-আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয় বলেও জানান উপদেষ্টা।
কাফি
জাতীয়
রিকশাচালক আজিজুরকে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি: পুলিশ

১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুলের তোড়া হাতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন রিকশাচালক আজিজুর রহমান। পরে তাকে তুলে দেওয়া হয় ধানমন্ডি থানা পুলিশের হাতে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রিকশাচালক আজিজুরকে হত্যা মামলার আসামি বলে ভুয়া তথ্য প্রচার করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
ডিএমপি বলছে, ধানমন্ডি ৩২ থেকে আটক রিকশাচালককে হত্যা মামলার আসামি করা হয়নি। ধানমন্ডি থানার এপ্রিল মাসে হওয়া একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে ১৬ আগস্ট তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
রবিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তালেবুর রহমান বলেন, গত ১৫ আগস্ট, ধানমন্ডি-৩২ এলাকা থেকে মো. আজিজুর রহমান (২৭) নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়। পরে ধানমন্ডি থানার এপ্রিল মাসে হওয়া একটি মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে ১৬ আগস্ট তাকে আদালতে পাঠানো হয়।
১৫ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে ফুলের তোড়া হাতে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়ে
তিনি বলেন, এরইমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে মো. আজিজুর রহমানের গ্রেফতার ও মামলা নিয়ে অহেতুক ভুল তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে আজিজুর রহমানকে যে মামলায় সন্দিগ্ধ আসামি হিসেবে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে তা পেনাল কোডের একটি নিয়মিত মামলা। কিন্তু অনেকেই বিষয়টি হত্যা মামলা হিসেবে প্রচার করছেন, যা মিথ্যা ও উদ্দেশ্যমূলক।
এমতাবস্থায়, বর্ণিত বিষয়ে কোনোরকম বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হলো।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দেখা গেছে, রিকশাচালক আজিজুর একটি ফুলের তোড়া হাতে রিকশা চালিয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসেন। এরপর উপস্থিত জনতা তাকে আটক করে। এক পর্যায়ে গণধোলাইয়ের শিকার হন তিনি।
ফুলের তোড়ায় যা লেখা ছিল
ওই ফুলের তোড়ার ওপর লেখা ছিল, ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫১তম মৃত্যুবার্ষিকীতে সাধারণ রিকশাওয়ালা হিসাবে বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসে শ্রদ্ধা জানাতে নিজের সৎ উপার্জনের টাকা দিয়ে ফুল কিনে এসেছি। আমি কোন দল করি না। শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোবাসি।
ওই কাগজে আজিজুর রহমানের বাবার নাম লেখা ছিল আতিয়ার রহমান। তার বাড়ি ঝিনাইদহ সদর থানার ঘোড়াশাল ইউনিয়নের ঘোড়াশাল গ্রামে।
আজিজুর রহমান ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আসার সঙ্গে সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন। তখন তিনি বলেন, আমি আওয়ামী লীগ বা শেখ হাসিনাকে ফেরাতে আসিনি। আমি বঙ্গবন্ধুকে ভালোবাসি। তাই আমার হালাল টাকা দিয়ে কেনা ফুল নিয়ে এসেছি।
এর কিছুক্ষণ পরেই ধানমন্ডি ৩২ এ থাকা বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা তাকে ঘিরে ধরেন এবং মারধর করেন। এ সময় তার রিকশাটি রাস্তার পাশে উল্টে ফেলে রাখা হয়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
জাতীয়
প্রধানমন্ত্রী হলে থাকা যাবে না দলীয় প্রধানের পদে

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলে কেউ দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না, এমন বিধানসহ বিভিন্ন প্রস্তাব উঠে এসেছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এর খসড়ায়। এ ছাড়া কেউ সর্বোচ্চ ১০ বছরের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এবং সংসদ হবে দুই কক্ষবিশিষ্ট— এমন সুপারিশও খসড়ায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রণীত সনদের চূড়ান্ত খসড়া ইতোমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর হাতে পৌঁছেছে। এতে সংবিধান, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও দুর্নীতি দমন বিষয়ে প্রস্তাবিত সংস্কারের দিকগুলো তুলে ধরা হয়েছে।
ঐকমত্য ও ভিন্নমত
খসড়ায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, জোট ও নাগরিকশক্তির সম্মিলিত আলোচনার মাধ্যমে এসব প্রস্তাবে আংশিক ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে কিছু সুপারিশে একাধিক দল আপত্তিও জানিয়েছে।
সনদের ভূমিকায় উল্লেখ করা হয়—১৯৭১ সালের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে প্রতিশ্রুত সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থা গত ৫৩ বছরেও বাস্তবায়িত হয়নি। রাষ্ট্রক্ষমতার একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও অপব্যবহারের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি তৈরি হয়।
এতে আরও বলা হয়েছে, গত দেড় দশকে আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান বিকৃতি, দমনমূলক আইন প্রণয়ন, নির্বাচন ব্যবস্থা ধ্বংস, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনকে দলীয়করণ এবং দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় সম্পদ লুণ্ঠনের সুযোগ তৈরি করেছে। তবে ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে জনগণের আন্দোলনে স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থা পতনের পর রাষ্ট্রকাঠামো পুনর্গঠনের প্রবল প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে।
রাষ্ট্রভাষা, নাগরিকত্ব ও সংবিধান সংস্কার
খসড়ায় প্রস্তাব করা হয়েছে—
১. প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রভাষা হবে বাংলা।
২. নাগরিকরা পরিচিত হবেন ‘বাংলাদেশি’ হিসেবে।
৩. সংবিধান সংশোধনে সংসদের দুই কক্ষের দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন লাগবে।
৪. তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তনে গণভোটের বিধান থাকবে।
৫. অনুচ্ছেদ ৭ (ক) ও ৭ (খ) বিলুপ্ত হবে।
৬. জরুরি অবস্থার ঘোষণা মন্ত্রিসভার অনুমোদন সাপেক্ষে হবে এবং এ বৈঠকে বিরোধী দলের নেতাও উপস্থিত থাকবেন।
৭. জরুরি অবস্থাতেও জীবনের অধিকার ও বিচার-সংক্রান্ত অধিকার খর্ব করা যাবে না।
রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকার
সংবিধানে ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক সুবিচার, গণতন্ত্র ও ধর্মীয় স্বাধীনতা-সম্প্রীতি’ রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পাশাপাশি যুক্ত হবে—বাংলাদেশ একটি বহু-জাতি, বহু-ধর্মী, বহু-ভাষী ও বহু-সংস্কৃতির দেশ, যেখানে সব সম্প্রদায়ের সহাবস্থান ও মর্যাদা নিশ্চিত হবে।
মৌলিক অধিকারগুলোর তালিকা সংশোধন ও সম্প্রসারণেরও সুপারিশ করা হয়েছে। তবে পাঁচটি দল মূলনীতির অংশে ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দিয়েছে।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন হবে সংসদের দুই কক্ষের সদস্যদের গোপন ভোটে। প্রার্থী হওয়ার সময় তিনি কোনো সরকারি বা রাজনৈতিক পদে থাকতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বাড়ানোর প্রস্তাবও রাখা হয়েছে। তাঁর এখতিয়ারে মানবাধিকার কমিশন, তথ্য কমিশন, প্রেস কাউন্সিল, আইন কমিশন, বাংলাদেশ ব্যাংক ও এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের প্রধান ও সদস্য নিয়োগ অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
রাষ্ট্রপতির অভিশংসনের ক্ষেত্রে নিম্নকক্ষে দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থন পেলে তা উচ্চকক্ষে যাবে এবং সেখানেও দুই-তৃতীয়াংশ সমর্থনে প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। ক্ষমা প্রদানের আগে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তির পরিবারের সম্মতি নেওয়ার বিধানও প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও দলীয় প্রধানের পদ
খসড়ায় বলা হয়েছে, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ১০ বছর প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধানের পদে থাকতে পারবেন না।
তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা
বিদ্যমান সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে যেসব বিধান সংযুক্ত করার কথা বলা হয়েছে––
(১) মেয়াদ অবসানের কারণে অথবা মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্যকোনো কারণে সংসদ ভেঙে যাওয়ার পরবর্তী নব্বই (৯০) দিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
(২) সংবিধানের ৫৮ (খ) সংশোধনপূর্বক সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ১৫ দিন পূর্বে এবং মেয়াদ অবসান ব্যতীত অন্য কোনো কারণে সংসদ ভেঙে গেলে ভঙ্গ হওয়ার পরবর্তী পনেরো (১৫) দিনের মধ্যে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হবে।
(৩) মেয়াদ অবসানের ক্ষেত্রে সংসদের মেয়াদ অবসান হওয়ার ৩০ দিন পূর্বে জাতীয় সংসদের স্পিকারের তত্ত্বাবধানে এবং সংসদ সচিবালয়ের ব্যবস্থাপনায় — ১. প্রধানমন্ত্রী, ২. বিরোধী দলীয় নেতা, ৩. স্পিকার, ৪. ডেপুটি স্পিকার (বিরোধীদলের) এবং ৫. সংসদের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধি— (যদি সংসদে আসন সংখ্যার বিবেচনায় একাধিক দল দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দলের অবস্থানে থাকে তাহলে সেসব দলের মধ্য থেকে নির্বাচনে সর্বোচ্চ পরিমাণে ভোটপ্রাপ্ত দলটিই দ্বিতীয় বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে বিবেচিত হবে) মোট পাঁচ (৫) সদস্য সমন্বয়ে একটি ‘নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বাছাই কমিটি’ গঠিত হবে।
কমিটির যে কোনো বৈঠক ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় সভাপতিত্ব করবেন স্পিকার।
(৪) কমিটি গঠিত হওয়ার পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলসমূহ, সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দলসমূহ এবং জাতীয় সংসদের স্বতন্ত্র সদস্যদের কাছ থেকে সংবিধানের ৫৮গ অনুচ্ছেদে বর্ণিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তির নাম প্রস্তাবের আহ্বান করবেন এবং এক্ষেত্রে প্রতিটি দল এক জন এবং একজন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য একজন ব্যক্তির নাম প্রস্তাব করতে পারবে।
(৫) রাজনৈতিক দলসমূহ এবং স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যগণ পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংসদ সচিবালয়ে তাদের প্রস্তাবিত নাম দাখিল করবেন।
(৬) পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটির সদস্যগণ সভায় মিলিত হয়ে নিজেদের অনুসন্ধানে প্রাপ্ত এবং রাজনৈতিক দলসমূহ ও স্বতন্ত্র সংসদ সদস্যদের কাছ থেকে প্রস্তাবিত নামসমূহ নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করত বাংলাদেশের যে সকল নাগরিক সংবিধানের ৫৮গ অনুচ্ছেদ এর অধীনে উপদেষ্টা হওয়ার যোগ্য তাদের মধ্য হতে একজনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে বেছে নেবেন এবং তিনি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন।
জাতীয়
আজ ১১ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গ্যাস পাইপলাইনের রক্ষণাবেক্ষণ ও স্থানান্তর কাজের জন্য আজ ঢাকার আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় ১১ ঘণ্টা গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
শনিবার (১৬ আগস্ট) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বলা হয়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ঢাকা অংশের মৃধা বাড়ী-শনির আখড়া-নামা শ্যামপুর অংশে বিদ্যমান গ্যাস পাইপলাইন স্থানান্তর কাজের জন্য রোববার (১৭ আগস্ট) সকাল ৮টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত জুরাইন, ধোলাইর পাড়, জিয়া সরনী, দনিয়া, শনির আখড়া, মাতুয়াইল, নামা শ্যামপুর, পলাশনগর ও মৃধাবাড়ী এলাকায় বিদ্যমান সব শ্রেণীর গ্রাহকের গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এছাড়া এ সময়ে এর আশপাশের এলাকায় গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে। গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেছে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
জাতীয়
সব কূটনৈতিক মিশন থেকে রাষ্ট্রপতির ছবি সরানোর নির্দেশ

বিদেশে বাংলাদেশের সব কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের কার্যালয় ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশ দিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
কয়েকটি মিশনের কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, এই নির্দেশনা কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা ই-মেইলের মাধ্যমে পাঠানো হয়নি। বরং টেলিফোনে অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরে ওই কূটনীতিকদের অন্য মিশনগুলোতে খবরটি পৌঁছে দিতে বলা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, অঞ্চলভিত্তিক কয়েকজন রাষ্ট্রদূত/হাইকমিশনারকে কূটনৈতিক মিশন, কনস্যুলেট, কূটনীতিকদের অফিস ও বাসভবন থেকে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের ছবি সরানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
দক্ষিণ এশিয়া, এশিয়া প্যাসিফিক, আফ্রিকা ও ইউরোপের কয়েকটি মিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, এখনো অনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ ধরনের নির্দেশ পাননি। তবে অন্তত দুটি মিশনের প্রধান নিশ্চিত করেছেন যে তারা সরকারের কাছ থেকে এমন বার্তা পেয়েছেন।
বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে কর্মরত একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ঢাকা থেকে ফোনে আমাদের জানানো হয়েছে রাষ্ট্রপতির ছবি সরাতে হবে। এটি লিখিতভাবে আসেনি, তবে আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্য মিশনগুলোতেও বিষয়টি জানিয়ে দেওয়ার। একই সঙ্গে তদারকির দায়িত্বও থাকবে।’
আরেকজন কূটনীতিক জানান, তাদের অঞ্চলে দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত সরাসরি জানালেও কাছাকাছি আরেকটি মিশনের মাধ্যমে বার্তাটি তাদের কাছে পৌঁছেছে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি দেশে কর্মরত একজন কূটনীতিক বলেন, এমন কোনো বার্তা এখনো আমি পাইনি। তবে হাইকমিশনার পেয়েছেন কি না জানি না।