ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি পরীক্ষার দিনে বৃষ্টি হলে সময় বাড়ানোর নির্দেশ
২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে আজ (৩০ জুন) রোববার। প্রথমদিনে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিতে কেন্দ্রে পৌঁছাতে দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। সার্বিক বিষয় মাথায় রেখে বৃষ্টির সময়ে পরীক্ষা নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।
আজ রবিবার (৩০ জুন) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. আবুল বাশারের সই করা জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে এসব নির্দেশনা দেওয়া হয়।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায় যে, আগামী কয়েকদিন প্রচুর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। পরীক্ষার দিনগুলোতে বৃষ্টি থাকলে প্রয়োজনে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই কেন্দ্রের মূল ফটক খুলে দিয়ে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে হবে।
এতে আরও বলা হয়, অনিবার্য কারণে কোনো কেন্দ্রের পরীক্ষা শুরু করতে আধাঘণ্টা কিংবা এক ঘণ্টা দেরি হলে জরুরি পরিস্থিতি বিবেচনায় সেই আধাঘণ্টা বা এক ঘণ্টা সময় সমন্বয় করে পরীক্ষা শেষ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।
এইচএসসি পরীক্ষার প্রথমদিনে আজ রাজধানীর বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরে পরীক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগে পড়তে দেখা গেছে। অধিকাংশ পরীক্ষার্থী কাকভেজা হয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন। অনেকে বৃষ্টি ও যানজটের কারণে দেরিতে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছেছেন।
বেশিরভাগ শিক্ষার্থী ভেজা শরীরে তিন ঘণ্টার পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। এতে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন বলে উদ্বেগ জানিয়েছেন অভিভাবকরা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিচার চায় ইবি শিক্ষার্থীরা
সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ঘটে যাওয়া বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ‘প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ’ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ডাকে প্রায় কয়েকশো শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে একটি মিছিল নিয়ে জিয়া মোড় থেকে ডায়না চত্বরে এসে সমবেত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা, ‘জেগেছে জেগেছে, ছাত্র সমাজ জেগেছে’, ‘দিয়েছিতো রক্ত, আরও দিব রক্ত’, ‘ছাত্র সমাজের অঙ্গীকার, রুখে দিব অনাচার’, ‘একসাথে চলে না, শিক্ষা-সন্ত্রাস’, ‘আবু সাইদ মুগ্ধ, শেষ হয়নি যুদ্ধ’সহ নানা স্লোগানে উত্তপ্ত হয় ক্যাম্পাস।
আন্দোলনে যোগ দেওয়া শিক্ষার্থী হাসানুল হক বান্না বলেন, ফাহাদ ও তোফাজ্জল একই গাছের দুই ডাল। ফাহাদের বিচার হয়নি কিন্তু তোফাজ্জলের বিচার ৫ই আগষ্টের পরবর্তী এই বাংলাদেশে এর উপযুক্ত বিচার করতে হবে।
এ বিষয়ে ইবি শাখার সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, এই আন্দোলন আমাদের চলমান থাকবে। যতদিন বৈষম্য বিহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা না হবে ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে। একটি সুযোগ সন্ধানী গোষ্ঠী মব জাস্টিস এর নাম করে উস্কে দিচ্ছে, নৈরাজ্য তৈরীর চেষ্টা করছে তা ছাত্র সমাজের আন্দোলনের মাধ্যমে প্রতিহত করা হবে। এই সমাবেশ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে এসব নৈরাজ্য থামানোর উদাত্ত আহ্বান জানাই।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে শহীদদের স্মরণে গ্রীন ভয়েসের বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করেছে অরাজনৈতিক, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী ও পরিবেশবাদী যুব সংগঠন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) গ্রীন ভয়েস। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের মফিজ লেকের পাড়ে ফুল, ফল ও বনজ গাছের চারা রোপণ করা হয়।
এ সময়ে গ্রীন ভয়েস সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বলের সভাপতিত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখার সমন্বয়ক এবং গ্রীন ভয়েস ইবি শাখার সাবেক সভাপতি এস এম সুইট এ বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধন করেন। এসময় ইবি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহের জোট (ঐক্যমঞ্চের) আহবায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ, গ্রীন ভয়েস ইবি শাখার সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমন এবং কার্যনির্বাহী ও সহযোগী সদস্যবৃন্দ।
এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ আহাম্মেদ ইমন বলেন, প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও জুলাই মাসে বৃক্ষরোপণ করেছি। ছাত্র জনতার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন তাদের ত্যাগ কখনো ভুলবার নয়। আমরা বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে তাদের স্মরণ রাখতে চাই। ক্যাম্পাসের সবুজায়ন নিশ্চিত করতে বৃক্ষনিধন বন্ধ করা এবং প্রাকৃতিক ও সার্বিক পরিবেশ রক্ষার জন্য নতুন প্রশাসনের কাছে আমরা দাবি উপস্থাপন করবো।
এ সংগঠনের সভাপতি মাজিদুল ইসলাম উজ্জ্বল বলেন, “২৪ এর গণ অভ্যুত্থান এর শহীদদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও দ্বায়িত্ববোধের জায়গা থেকে আমরা এই বৃক্ষরোপণের আয়োজন করেছি। এর মাধ্যমে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং আশা করি এই বৃক্ষরোপণ পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।”
এসময় ঐক্যমঞ্চের আহবায়ক ইয়াশিরুল কবির সৌরভ বলেন, বৃক্ষরোপণ একটি মহৎ কাজ। বাংলাদেশকে সবুজায়ন করতে বৃক্ষরোপণ করা খুবই জরুরি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রীন ভয়েস বিভিন্ন কর্মসূচিতে প্রায় বৃক্ষরোপণ করে থাকে। ২৪ এর গণ অভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে যে বৃক্ষরোপণ করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে শহীদের আত্মার শান্তি কামনা করছি। ঐক্যমঞ্চের পক্ষ থেকে গ্রীন ভয়েসকে ধন্যবাদ জানাই এবং অন্যান্য সংগঠন গুলোকেও শহীদের স্মরণে এ ধরনের কাজের আহ্বান জানাই।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং গ্রীন ভয়েস ইবি শাখার সাবেক সভাপতি এস এম সুইট বলেন, “২৪ এর শহীদের জন্য আমরা তেমন কিছু করতে পারিনি, এক্ষেত্রে গ্রীন ভয়েস শহীদদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি করেছে। এজন্য তাদেরকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। ২৪ এর গণ অভ্যুত্থান এর স্পিরিট কে ধারণ করে, আমাদের ১৭৫ একরের ক্যাম্পাসের সকল ক্ষেত্রে বৈষম্য দূর করার লড়াই অব্যাহত রাখবো। সকল সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ও ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধভাবে আমরা এক বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠা করতে চাই।”
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শামীম হত্যার অভিযোগে জাবির ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শামীম মোল্লাকে গণপিটুনিতে হত্যার ঘটনায় ৮ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে পাঠানো এক অফিস আদেশে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
অফিস আদেশে জানানো হয়েছে, কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জানানো যাচ্ছে যে, ১৮ তারিখ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ৩৯তম ব্যাচের ইতিহাস বিভাগের প্রাক্তন শিক্ষার্থী শামীম মোল্লার অনাকাঙ্খিত মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে প্রক্টরিয়াল বডির প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রাথমিকভাবে প্রাপ্ত প্রমাণাদির (ভিডিও ফুটেজ ও ফটোগ্রাফ) উপর ভিত্তি করে ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হওয়ায় অভিযুক্ত শিক্ষার্থীদের অপরাধ বিবেচনা করে তাদেরকে সাময়িক বহিষ্কার করা হলো।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছেন—বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের ২০১৬-২০১৭ (৪৬ ব্যাচ) সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রাজন মিয়া, একই বিভাগের ২০১৫-২০১৬ (৪৫ ব্যাচ) সেশনের শিক্ষার্থী রাজু আহাম্মদ, ২০২০-২০২১ (৫০ ব্যাচ) সেশনের ইংরেজী বিভাগের শিক্ষার্থী মো. মাহমুদুল হাসান রায়হান এবং ২০১৪-২০১৫ (৪৪ ব্যাচ) সেশনের ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ।
এছাড়াও বহিষ্কৃত বাকি শিক্ষার্থীরা হলেন—জাবির ২০১৯-২০২০ (৪৯ ব্যাচ) সেশনের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী হামিদুল্লাহ্ সালমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৯-২০২০ (৪৯ ব্যাচ) সেশনের মো. আতিকুজ্জামান আতিক, কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৭-২০১৮ (৪৭ ব্যাচ) সেশনের সোহাগ মিয়া এবং বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০১৯-২০২০ (৪৯ ব্যাচ) সেশনের শিক্ষার্থী মো. আহসান লাবীব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবিতে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় তদন্ত কমিটি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) গত ১৫ জুলাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের কয়েক দফা হামলা ও ১৭ জুলাই পুলিশি হামলার ঘটনায় আট সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গঠিত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. এ বি এম আজিজুর রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, গত ১৫ জুলাই সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে এবং একই দিন রাত ১২টার দিকে জাবি উপাচার্য ভবনে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা এবং ছররা গুলিবর্ষণ এবং ১৭ জুলাই বিকেল ৩টার সময় প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা ও ছররা গুলিবর্ষণ সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ কাহালীকে সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার (সাধারণ প্রশাসন ও আইন) মো. মাহতাব-উজ-জাহিদকে সদস্য সচিব করে এ কমিটি গঠিত হয়েছে।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শামছুল আলম, ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাফরুহী সাত্তার, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. ছালেহ আহাম্মদ খান, রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আতাউর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম এবং প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. বোরহান উদ্দীন।
অফিস আদেশে গঠিত তদন্ত কমিটিকে ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ঢাবিতে সব ধরনের রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে উপাচার্য লাউঞ্জে অনুষ্ঠিত জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান রাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আমরা দেড় ঘণ্টা ধরে মিটিং করেছি। জরুরি সিন্ডিকেটের সভায় অংশ নেওয়া সব সদস্যদের সম্মতিক্রমে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ নির্দেশনা আনুষ্ঠানিকভাবে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আশা করি, সবাই ক্যাম্পাসে শান্তিশৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন।
এদিকে, ঢাবিতে রাজনীতি নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। সংগঠনটির অন্যতম সমন্বয়ক সার্জিস আলম তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল প্রকার রাজনীতি বন্ধের সিদ্ধান্ত। নতুন এক বাংলাদেশ সৃষ্টির অগ্রযাত্রা শুরু হোক আজ থেকে।