টেলিকম ও প্রযুক্তি
কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কলড্রপ এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব।
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান বিশেষ করে কলড্রপ সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভ মূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা গ্রাহক পাচ্ছে কিনা। আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার মোবাইল অপারেটরগুলো করছে কিনা।
‘কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। এটা আপনারা গ্রহণ করেন বা না করেন আমি আপনাদের পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কারণ প্রথম ছয় মাস, আমরা জানুয়ারিতে শপথ নিয়েছি। আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই।
‘ইন্টারনেটের যে গতি, আপনারা যতই ব্যাখ্যা দেন যে ওকলার এটা ঠিক না বা স্পিড টেস্টিং মেকানিজম অনেক সময় বায়াস হয়। আমার কথা পরিষ্কার, যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে। ’
পলক আরও বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব।
কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।
ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, আসলে অপারেটররা যা বলছে তা সত্যি কিনা। আমরা সাংবাদিক বন্ধুদের রিপোর্টগুলো নিয়মিত আমলে নেব যে, কল ড্রপ কেন হচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে।
এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেক যাতে নদীটা পার হন। আমরা বলব, সাঁতরিয়ে নদীটা পার হন।
‘কলড্রপ যাতে বিশ্বের অন্যতম একটা ভালো বেঞ্চমার্কে পৌঁছাতে পারি। সেটা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলড্রপে সময় নষ্ট হয়, এনার্জি নষ্ট হয়, সে বিরক্ত হয়। পাশাপাশি আপনাদেরও কিন্তু টেকনিক্যাল এবং ফাইন্যান্সিয়াল লস হয়। এসব বিষয় খেয়াল করে সমাধোনে যেতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন সমাধান করতে হবে। ’
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা নিয়ে পলক বলেন, ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্রাজুয়েলি রোল আউট করা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইল ইন্টারনেটে ‘প্যাকেজ শর্ত’ তুলে দিলো বিটিআরসি
মোবাইল ইন্টারনেটে বেঁধে দেয়া ৪০টি প্যাকেজ অফারের লিমিট তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এখন থেকে ঘণ্টা হিসেবেও প্যাকেজ কিনতে পারবেন গ্রাহকরা। থাকছে গ্রাহককেন্দ্রিক বিভিন্ন মেয়াদের প্যাকেজও।
রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিটিআরসির জারি করা নির্দেশিকায় প্যাকেজের ক্ষেত্রে এসব সুযোগ দেয়া হয়েছে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে সর্বশেষ নির্দেশিকায়, মোবাইল গ্রাহকদের ৭, ৩০ দিন ও আনলিমিটেড মেয়াদে সর্বোচ্চ ৪০ টি ডাটা প্যাকেজ অফারের সীমা বেঁধে দেয় বিটিআরসি। যা নিয়ে অসন্তোষ জানিয়ে আসছিল মোবাইল অপারেটররা।
আপত্তির মুখে প্রায় ১৫ মাসের মাথায় ইন্টারনেট প্যাকেজ বিক্রির ক্ষেত্রে অপারেটরদের ওপর থাকা শর্তগুলো শিথিল হলো। নতুন নির্দেশিকায় অপারেটররা তিন ধরনের প্যাকেজ দিতে পারবে। নিয়মিত প্যাকেজগুলোর মেয়াদ সর্বনিম্ন ১৫ দিন, গ্রাহককেন্দ্রিক বিশেষ প্যাকেজের মেয়াদ সর্বনিম্ন ৩ দিন এবং রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট প্যাকেজ সর্বনিম্ন সাত দিন মেয়াদি হবে।
এই তিন প্যাকেজের বাইরেও গ্রাহকের স্বার্থ এবং আর্থসামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপারেটররা নিজস্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী প্যাকেজ নির্ধারণ করতে পারবে। তার আওতায় ঘণ্টাভিত্তিক এবং এক থেকে তিন দিন মেয়াদি প্যাকেজ করার সুযোগ দিয়েছে বিটিআরসি।
নির্দেশনা অনুযায়ী, প্রতি ঘণ্টার জন্য সর্বোচ্চ ২০০ এমবি, এক দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৩ জিবি, দুদিনের জন্য সর্বোচ্চ ৫ জিবি এবং তিন দিনের জন্য সর্বোচ্চ ৮ জিবি প্যাকেজ দিতে পারবে অপারেটররা।
গ্রাহক যাতে তার সুবিধা অনুযায়ী প্যাকেজ গ্রহণ করতে পারে, সে জন্য ‘ফ্লেক্সিবল প্ল্যান’ হিসেবেও একটি পাকেজ থাকবে। এ ছাড়া মেয়াদবিহীন প্যাকেজও থাকবে। তবে সে ক্ষেত্রে সময়সীমা নির্ধারণ করে দিতে হবে। যেকোনো প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার এক দিন আগে গ্রাহককে এসএমএসের মাধ্যমে সে বিষয়ে জানাতে হবে।
কোনো ডেটা প্যাকেজের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর অব্যবহৃত ডেটা থেকে গেলে, তা ‘ক্যারি ফরওয়ার্ড’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই যদি গ্রাহক একই প্যাকেজ আবার কেনে, তাহলে পরের প্যাকেজে অব্যবহৃত ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
নতুন নির্দেশিকা অনুযায়ী, রাত ১২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘণ্টা–মিনিটভিত্তিক কোনো প্যাকেজ অফার করতে পারবে না মোবাইল অপারেটররা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
নতুন বছরের শুরুতেই যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ
মেটার মালিকানাধীন বিশ্বের জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করেন এই অ্যাপ। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ছবি, এবং ভিডিও শেয়ার করতে, পোল পরিচালনা করা যায়। এ ছাড়া ব্যক্তিগত কাজ ছাড়াও ব্যবসায়িক, অফিসের কাজে এই অ্যাপটি নিয়মিত ব্যবহার করা হচ্ছে।
২০২৫ সালের শুরুতে কিছু ফোনে আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যাবে না। মূলত পুরোনো অপারেটিং সিস্টেম, ফোনের হার্ডওয়্যারের সীমাবদ্ধতা, নতুন ফিচার, নিরাপত্তা আপডেটের সঙ্গে সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেটা।
২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে যেসব ফোনে বন্ধ হচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ
স্যামসাং: Galaxy S3, Galaxy Note 2, Galaxy Ace 3, Galaxy S4 Mini
সনি: Xperia Z, Xperia SP, Xperia T, Xperia V
মোটোরোল: Moto G (1st Gen), Razr HD, Moto E 2014
এইচটিসি: One X, One X+, Desire 500, Desire 601
এলজি: Optimus G, Nexus 4, G2 Mini, L90
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
রোববার রাতে ৩ ঘণ্টা থাকবে না ইন্টারনেট
কক্সবাজারে দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণের কারণে আগামী রোববার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ইন্টারনেট সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানায় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস পিএলসি (বিএসসিপিএলসি)।
এতে বলা হয়, আগামী সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত ৩টা (১ ডিসেম্বর দিবাগত রাত ৩টা) থেকে ভোর ৫টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত মোট ২ ঘণ্টা ৫৯ মিনিট কক্সবাজারে স্থাপিত দেশের প্রথম সাবমেরিন ক্যাবল সিস্টেমের (SMW4) চেন্নাই প্রান্তে চেন্নাই ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট এবং সিঙ্গাপুর প্রান্তে টুয়াস ল্যান্ডিং স্টেশনের নিকট কনসোর্টিয়াম কর্তৃক ক্যাবলের ত্রুটি নিরসনের লক্ষ্যে রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।
এই সময়ে SMW4 এর মাধ্যমে কক্সবাজার থেকে চেন্নাই রুটে এবং সিঙ্গাপুর রুটে যুক্ত সার্কিটগুলোর মাধ্যমে সেবা সাময়িকভাবে ব্যাহত হবে। এ কারণে গ্রাহকদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছে বিএসসিপিএলসি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি
বর্তমানে টেলিযোগাযোগ ও ইন্টারনেট সেবা জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ) স্বীকৃত। আমাদের দেশে বর্তমানে আমাদের দৈনন্দিন সব কাজকর্ম, অফিস-আদালত, ব্যবসা-বাণিজ্য, দেশের অর্থনীতি, পরিবেশ-প্রকৃতি, বিনোদন-সংস্কৃতি সব মাধ্যম ইন্টারনেট নির্ভর। করোনা মহামারিতে আমাদের দেশের অর্থনীতি, রাষ্ট্রব্যবস্থা ইন্টারনেটের ওপর নির্ভরশীল হয়েছিল।
ইন্টারনেট না থাকায় আমরা কী পরিমাণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারি তা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি জুলাই ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের সময়। মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ ছিল প্রায় ১৩ দিন, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট বন্ধ ছিল ৮ দিন, আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বন্ধ ছিল প্রায় ১৫ দিন। বিভিন্ন ব্যবসায়ী-অর্থনীতিবিদদের প্রাথমিক হিসাব অনুযায়ী, প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ক্ষতি হয়েছিল কেবল ইন্টারনেট বন্ধের কারণে। ব্যাংক বীমা চিকিৎসা সবকিছু বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। অর্থাৎ ইন্টারনেট এখন আর শুধু বিনোদন কিংবা কথা বলার বা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যম নয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই ইন্টারনেট এখন স্বীকৃত মৌলিক মানবাধিকার। তাই বাংলাদেশে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা দরকার।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি হলে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘সংবিধানে ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার ও ডাটা সুরক্ষা অন্তর্ভুক্তি’ শীর্ষক নাগরিক মতামত আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আলোচনায় বেসিসর সাবেক সভাপতি ফাহিম মাশরুর বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশ ইন্টারনেট নির্ভর। বিশ্বের সঙ্গে সব যোগাযোগসহ দেশের প্রায় সব কাজই এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে করা হয়। আর্থিক লেনদেন থেকে শুরু করে সব ধরনের কাজই হয় এখানে। সুতরাং ইন্টারনেট এখন সাধারণ কিছু না। এটি মানুষের মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। তাই ইন্টারনেটকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দাবির সঙ্গে আমি একমত পোষণ করছি।
আইআইজিএবির সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের কথা জানি, ন্যাশনাল আইডি কার্ডের বিষয়ে জানি। ইন্টারনেটে যেন আমার ডাটাটা সুরক্ষিত থাকে, এটা নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য সরকারকে প্রস্তাব দিতে হবে এবং যুক্তি দিয়ে বোঝাতে হবে। দায়িত্ব নিয়ে সরকারকে কাজ করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ বলেন, ইন্টারনেটে মৌলিক অধিকার দেওয়ার যে প্রস্তাব এসেছে, সেটার সঙ্গে আমি একমত। যে কারণে আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে গেছে। যে কারণে এ প্রজন্ম ফার্মের মুরগি তকমা ছাড়িয়ে রাজপথে নেমেছে। সেই মাধ্যমটাকে ছোট করার কোনো সুযোগ নেই। রাজনৈতিক দলের পয়সা উৎপাদনের কিছু ক্ষেত্রের মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেটের ব্যবসা ও ডিশের ব্যবসা। এ অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে আমরা দাবি করছি এ ব্যবসাগুলোকে কর্পোরেট করে ফেলার। কারণ এখান থেকে রাজনৈতিক দলের নেতারা কোটি কোটি টাকা আয় করেন।
তিনি বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনাদের এ দাবির সামারি আমাদেরকে দেবেন। আমরা সেগুলো প্রয়োজনীয় জায়গায় পৌঁছাব।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে কল রেকর্ড করবেন যেভাবে
বর্তমানে সারাবিশ্বে সবচেয়ে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হোয়াটসঅ্যাপ। যার মাধ্যমে টেক্সট মেসেজের পাশাপাশি অডিও ও ভিডিও কল করা যায়। তবে অ্যাপটিতে কল রেকর্ড করার কোনো অপশন নেই। তবে আপনি চাইলে সহজেই যে কারো ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন।
যেভাবে রেকর্ড করবেন হোয়াটসঅ্যাপ কল
মূলত হোয়াটসঅ্যাপে এমন কোনো অফিসিয়াল ফিচার নেই, যার মাধ্যমে কল রেকর্ড করা যায়। তবে সহজ কিছু উপায় রয়েছে। যার মাধ্যমে আপনি যে কারও ভয়েস কল রেকর্ড করতে পারবেন। এর জন্য প্রথমে আপনাকে গুগল প্লে স্টোর থেকে একটি কল রেকর্ডিং অ্যাপ ডাউনলোড করতে হবে। উদাহরণস্বরূপ, কিউব এসিআর (Cube ACR) আরো অনেক কল রেকর্ডার অ্যাপ রয়েছে সেখান থেকে আপনার পছন্দ মতো একটি অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে পারেন।
অ্যাপটি ইনস্টল হয়ে গেলে, হোয়াটসঅ্যাপে যান এবং যে কাউকে ভয়েস কল করুন। আপনি হোয়াটসঅ্যাপ কল শুরু করার সঙ্গে সঙ্গেই কিউব এসিআর নিজে থেকেই তার কাজ শুরু করবে এবং আপনার কলের রেকর্ডিং ফোনের ইন্টারনাল স্টোরেজে সেভ হবে।
আপনি যদি দেখতে চান আপনার রেকর্ড করা কলগুলো কোথায় আছে এবং আপনি সেগুলো যদি আবার শুনতে চান, তাহলে আপনাকে ফাইল ম্যানেজারে যেতে হবে। আপনি যদি এখানে রেকর্ডিং খুঁজে না পান, তবে আপনি কিউব এসিআর অ্যাপে গিয়ে রেকর্ডিং দেখতে পারেন। শুধু অ্যান্ড্রয়েড ফোনেই নয়, আপনি চাইলে এই অ্যাপ আইফোনেও ব্যবহার করতে পারবেন।