অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে: অর্থমন্ত্রী
![মূল্যস্ফীতি সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে: অর্থমন্ত্রী আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/econo-minister.jpg)
সংসদ অধিবেশনে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেছেন, আগামী অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি পৌনে ৭ শতাংশে এবং মধ্য মেয়াদে সোয়া ৭ শতাংশে পৌঁছাবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির হারও সাড়ে ৬ শতাংশে নেমে আসবে। শনিবার (২৯ জুন) জাতীয় সংসদের অধিবেশনে ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট আমরা এমন এক সময়ে প্রণয়ন করছি যখন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, চলমান মধ্যপ্রাচ্য সংকটসহ নানা বৈশ্বিক সংকটের কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশও মূল্যস্ফীতি-সহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে নানাবিধ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। তাই এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণসহ সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনয়নকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছি।
তিনি বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে মুদ্রানীতিতে ইতোমধ্যে সংকোচনমূলক নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে; নীতি সুদহার (রেপো) উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বাড়িয়ে ৮.৫ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে এবং ব্যাংক সুদের হার সম্পূর্ণরূপে বাজারভিত্তিক করা হয়েছে। তাছাড়া রপ্তানি উৎসাহিতকরণ এবং প্রবাস আয়ে গতি সঞ্চারের মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডলারের বিনিময় হারের ক্ষেত্রে ক্রলিং পেগ পদ্ধতি প্রবর্তন করা হয়েছে। মুদ্রানীতির সংকোচনমূলক উদ্যোগের সঙ্গে সংগতি রেখে আমরা রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করেছি, যেমন বাজেট ঘাটতি হ্রাসকরণ, কম গুরুত্বপূর্ণ ব্যয় নিরুৎসাহিতকরণ এবং বিভিন্ন খাতে কৃচ্ছতাসাধনের উদ্যোগ। আমাদের গৃহীত এসব নীতি-কৌশলের ফলে আশা করছি আগামী অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশে নেমে আসবে।
তিনি আরও বলেন, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে সংকোচনমূলক নীতি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা থাকলেও এ কথা অনস্বীকার্য যে দীর্ঘমেয়াদে এ পন্থা অবলম্বন করা হলে প্রবৃদ্ধির গতি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। অথচ ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হলে আমাদের প্রয়োজন ধারাবাহিক উচ্চ প্রবৃদ্ধি। এ অবস্থায় অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জন এবং প্রবৃদ্ধির গতি ধরে রাখা– এ দুটি আপাত বিপরীতমুখী লক্ষ্যের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার কঠিন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে আমরা এবারের বাজেট প্রণয়ন করেছি। আমরা দৃঢ়ভাবে আশা রাখি যে প্রধানমন্ত্রীর সুদক্ষ, অভিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে আমরা সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ব্যবধান ঘুচিয়ে শিগগিরই উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথে ফিরতে পারব।
আবুল হাসান মাহমুদ আলী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ইতোমধ্যে আমরা নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছি, স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের সব যোগ্যতা অর্জন করেছি এবং ধারাবাহিক উন্নয়নের একটি টেকসই ভিত্তি অর্জন করেছি। গত দেড় দশকে জিডিপির গড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬.৭ শতাংশেরও বেশি; জিডিপির মানদণ্ডে ২০২৩ সালের হিসাব অনুযায়ী বাংলাদেশ এখন বিশ্বের ৩৩তম বৃহৎ অর্থনীতি। এই ভিত্তির ওপর ভর করে ২০৪১ সালের মধ্যে ‘উন্নত-সমৃদ্ধ-স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে আওয়ামী লীগ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহার সাজিয়েছে। এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে আমরা মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি। এবারের বাজেটে সম্পদ সঞ্চালনের ক্ষেত্রে আমরা নির্বাচনী ইশতেহারে উল্লিখিত অগ্রাধিকারগুলো অর্জনের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ভৌত ও সামাজিক অবকাঠামো সৃষ্টি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দক্ষতা উন্নয়ন, আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবন উৎসাহিতকরণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা ইত্যাদি খাতে প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা প্রয়োজনীয় বরাদ্দ রেখেছি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেটে মোট বরাদ্দ বৃদ্ধির হার ১১.৬ শতাংশ হলেও শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে প্রায় ২৫ শতাংশ এবং স্বাস্থ্য খাতে বাড়ানো হয়েছে ৩৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের লক্ষ্য নিয়ে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, স্থানীয় সরকার ও পল্লি উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ইত্যাদি খাতে প্রয়োজনীয় বরাদ্দ প্রদানের চেষ্টা করেছি। পাশাপাশি খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ওপর আমরা যথাযথ গুরুত্ব প্রদান করেছি।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য হলো দেশে শিল্পায়ন ও দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য যে কাঙ্ক্ষিত অনুকূল ও সহায়ক পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে, তার সর্বোচ্চ ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাপক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। আমরা বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)’র মাধ্যমে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। তাছাড়া ব্যবসা সহজীকরণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নয়ন কর্মসূচির অধীনে আগামী ২০২৪-২৫ থেকে ২০২৬-২৭ পর্যন্ত সময়ে ১১০টি সংস্কার বাস্তবায়নের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রস্তাবিত বাজেটে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান সহায়ক অবকাঠামো উন্নয়নে আমরা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সম্পদ সঞ্চালনের পরিকল্পনা করেছি। এসব উদ্যোগের ফলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি আগামী অর্থবছরে ৬.৭৫ শতাংশে এবং মধ্যমেয়াদে ৭.২৫ শতাংশে পৌঁছাবে বলে আমরা আশা রাখছি।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
অর্থনীতি
বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
![বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/Ahsanul-Islam-2.jpg)
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
আজ সোমবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) সভায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা জানান।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোরারোপ করেছেন। বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে কাজ করছে মন্ত্রণালয়। রপ্তানির বাজার বহুমুখী করতে কমার্শিয়াল কাউন্সিলরদের বিশেষ করে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের ট্রেড নেগোশিয়েশনে সক্ষমতা বাড়াতে ইউএনডিপি, অস্ট্রেলিয়া, জাপান সহযোগিতা করতে আগ্রহী। এছাড়া ট্যারিফ কমিশনকে আরও সক্ষম করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক আগ্রহ জানিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমাদের সবাইকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন নতুন অর্থবছরের প্রথম দিনে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী যে ভিশন দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে সবাই একযোগে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুনে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়
![জুনে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয় আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/Dollar-Reserve-Remittance-1.jpg)
ডলার সংকটের মাঝে আশার আলো দেখাচ্ছে প্রবাসীদের আয়। সমাপ্ত জুন মাসে আড়াই বিলিয়ন বা ২৫৪ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। যা গত ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ডলার ১১৮ টাকা ধরে) যার পরিমাণ প্রায় ২৯ হাজার ৯৯৫ কোটি টাকা। এছাড়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছে প্রায় ২৪ বিলিয়ন (২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন) ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলছে, নানা উদ্যোগের ফলে বৈধপথে রেমিট্যান্স বাড়ছে। আগামীতেও এ ধারা অব্যাহত থাকবে। তবে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে এ মাসে বড় অঙ্কের রেমিট্যান্স এসেছে বলে দাবি বিশ্লেষকদের।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের সবশেষ মাস জুনে ২৫৪ কোটি ২০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। এটি তিন বছরের (৩৫ মাস) মধ্যে সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স। এর আগে সবশেষ ২০২০-২১ অর্থবছরের জুলাই মাসে আড়াই বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছিল। ওই মাসটিতে এসেছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
সদ্যবিদায়ী অর্থবছরের মে মাসে এসেছে ২২৫ কোটি ৩৮ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। সে হিসাবে মে মাসের তুলনায় জুনে ২৮ কোটি ৮২ লাখ ডলার বেশি এসেছে। আর গত বছরের একই মাসের তুলনায় বেশি এসেছে ৩৪ কোটি ৩০ লাখ ডলার। গত বছরের জুন মাসে এসেছিল ২১৯ কোটি ৯০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স।
অন্যদিকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছে ২৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার বা ২ হাজার ৩৯১ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর আগের অর্থবছরে এসেছিল ২ হাজার ১৬১ কোটি ডলার। সে হিসাবে এক বছরের ব্যবধানে রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৩১ কোটি ডলার। অর্থবছরের হিসাবে সর্বোচ্চ ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে
![হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/onion-1.jpg)
দিনাজপুরের হিলিতে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে। ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরুর কারণে সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
গতকাল হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দুদিনের ব্যবধানে দেশী পেঁয়াজের দাম কমেছে কেজিতে ৫ টাকা। আগে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ছিল ৯০ টাকা। বর্তমানে তা কমে ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া বাজারের প্রতিটি দোকানেই মসলাপণ্যটির যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে।
অন্যদিকে হিলির বাজারগুলোয় আমদানীকৃত ভারতীয় পেঁয়াজেরও যথেষ্ট সরবরাহ রয়েছে। তবে সে তুলনায় দাম ঊর্ধ্বমুখী। বর্তমানে এ পেঁয়াজ কেজিতে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ঈদের আগে দাম ছিল কেজিতে ৭০ টাকা।
এ বিষয়ে হিলি বাজারের পেঁয়াজ বিক্রেতা আবুল হাসনাত বলেন, ঈদের ছুটির পর হিলিসহ দেশের অন্যান্য স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়েছে। এতে দেশের বাজারে পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ছে, যা দেশী পেঁয়াজের দাম কমার পেছনে ভূমিকা রেখেছে।
আবুল হাসনাত আরো বলেন, কৃষকরা আগের তুলনায় পেঁয়াজ বিক্রি বাড়িয়েছেন। আড়তদাররাও মজুদ করা পেঁয়াজ বাজারে ছাড়ছেন। এতে মোকামে সরবরাহ বাড়ায় পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। মোকামগুলোয় মণপ্রতি ২০০ টাকা কমেছে। বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। এসব কারণে এখন আমরা আগের তুলনায় কম দামে পেঁয়াজ বেচাকেনা করতে পারছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন
![এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন এমডি আনোয়ার হোসেন আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/aa.jpg)
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প এসএমই ফাউন্ডেশনের নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হিসেবে যোগদান করেছেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব (গ্রেড-১) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
সোমবার (০১ জুলাই) এসএমই ফাউন্ডেশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আনোয়ার হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের লোকপ্রশাসন বিভাগ থেকে স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর এবং নর্দান ইউনিভার্সিটি থেকে পাবলিক পলিসি অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিষয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ১৯৯৩ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ১১তম ব্যাচের কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেন। প্রায় ৩১ বছরের দীর্ঘ সরকারি কর্মজীবনে তিনি মাঠ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালন ছাড়াও জনপ্রশাসন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগে অতিরিক্ত সচিব হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
২০২০ সালের অক্টোবর থেকে ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩-তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্রের (বিটাক) মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বিটাকের মহাপরিচালক হিসেবে এসএমই ফাউন্ডেশনের পরিচালক পর্ষদের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন আনোয়ার হোসেন।
সরকারি দায়িত্বের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণে অংশ নিতে তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এআইআইবি থেকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেলো সরকার
![এআইআইবি থেকে ৪০ কোটি ডলার বাজেট সহায়তা পেলো সরকার আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/AIIB.jpg)
এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইবি) থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৪০ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ সরকার। প্রতি ডলার সমান ১১৭ টাকা ১১ পয়সা হিসেবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এই সহায়তার পরিমাণ প্রায় ৪ হাজার ৬৮৪ কোটি টাকা।
সোমবার (১ জুলাই) অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। জানা গেছে, বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি’র অতিরিক্ত সচিব মিরানা মাহরুখ এবং এআইআইবির ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট রাজাত মিশ্রা এআইআইবি’র এ ঋণচুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন।
ক্লাইমেট রেজিলেন্ট ইনক্লুসিভ ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের আওতায় সংস্থাটি এ ঋণ দিয়েছে বলে জানা গেছে। এআইআইবি’র এ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য হলো, পরিবেশের পরিবর্তন প্রতিরোধকল্পে মজবুত ভিত্তি তৈরি ও অভিযোজনের মাত্রা বৃদ্ধি, জলবায়ুভিত্তিক টেকসই উন্নয়নে সহায়তা দেওয়া, জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির মাত্রা ও প্রভাব হ্রাস, গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমন হ্রাস এবং দেশের অর্থনীতিকে জলবায়ুভিত্তিক নিম্ন কার্বন অর্থনীতিতে রুপান্তর করা।
এআইআইবি থেকে গৃহীত এ ঋণ পাঁচ বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ২৫ বছরে পরিশোধযোগ্য। ঋণের সুদের হার হিসেবে এককালীন শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ পরিশোধ করা হবে।