জাতীয়
চামড়ার যোগান বেশি হওয়ায় ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না: ভোক্তা ডিজি
![চামড়ার যোগান বেশি হওয়ায় ন্যায্যমূল্য পাওয়া যাচ্ছে না: ভোক্তা ডিজি আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/vokta-dg.jpg)
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ. এইচ. এম. সফিকুজ্জামান বলেছেন, দেশে চামড়ার চাহিদার চেয়ে যোগান বেশি হওয়ায় এবং রক্ষণাবেক্ষণ ব্যবস্থা না থাকায় কাঁচা চামড়ার ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। তিনি বলেন, চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিত করা একটি ইমানি দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালন করতে না পারায় সমাজের দরিদ্র ও অসহায় মানুষ তাদের প্রাপ্য হক থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
শনিবার (২৯ জুন) রাজধানীর এফডিসিতে কাচাঁ চামড়ার ন্যায্য দাম নিশ্চিতকরণ নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদ বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ভোক্তা ডিজি। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বাজারে প্রতি বছর ২০ লাখ চামড়ার চাহিদা থাকলেও চামড়ার যোগান হচ্ছে ২ কোটি। কোরবানির ঈদের সময় ঢাকায় ৪ লাখ উদ্বৃত্ত চামড়া থাকে, যা প্রক্রিয়াকরণ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করা যায় না।
তিনি বলেন, পরিবেশ সুরক্ষার যে লক্ষ্য নিয়ে হাজারীবাগ থেকে সাভারে ট্যানারি স্থানান্তর করা হয়েছে, পোস্তগোলায় চামড়া প্রক্রিয়াকরণ অব্যাহত থাকায় সে লক্ষ্য বাস্তবায়িত হয়নি। এ বছর কোরবানির চামড়া ঢাকার বাইরে থেকে ঢাকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা মানা হয়নি। কাঁচা চামড়ার দাম নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট দেখা না গেলেও এর প্রভাব রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে হবে।
ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে কাঁচা চামড়ার ন্যায্য দাম নিয়ে আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রাইম ইউনিভার্সিটির বিতার্কিকদের পরাজিত করে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন।
প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মোহাম্মদ রইস, ড. এস এম মোর্শেদ, উন্নয়ন বিশেষজ্ঞ ইশরাত শবনম, স্থপতি ফৌজিয়া ভূইয়া ও সাংবাদিক সেলিম মালিক। প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র দেওয়া হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
জাতীয়
তিনদিনের সফরে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
![তিনদিনের সফরে রাঙ্গামাটি যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/president-2.jpg)
তিনদিনের সফরে পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি ৮-১০ জুলাই সকাল পর্যন্ত রাঙ্গামাটিতে অবস্থান করবেন বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছেন।
জানা যায়, ৮ জুলাই সকালে হেলিকপ্টারযোগে রাঙ্গামাটি যাবেন রাষ্ট্রপতি। পরে আরণ্যক হলিডে রিসোর্টে রাত্রিযাপন করবেন। রাঙ্গামাটি অবস্থানকালে রাষ্ট্রপতি পাহাড়িদের কোমর তাঁতে বোনা ঐতিহ্যবাহী পোশাকের মার্কেট পরিদর্শন করবেন বলে জানা গেছে।
৯ জুলাই হাউজবোটে কাপ্তাই হ্রদ ভ্রমণ করে কাপ্তাই উপজেলায় যাবেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। সেখানে বাংলাদেশের একমাত্র পানিবিদ্যুৎ কেন্দ্র কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিদর্শ করবেন। পরে নয়নাভিরার আসামবস্তি সড়ক হয়ে রাঙ্গামাটিতে ফিরবেন রাষ্ট্রপতি। ১০ জুলাই সকালে রাঙ্গামাটি ত্যাগ করবেন তিনি।
এদিকে রাষ্ট্রপতির আগমন উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা করেছে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসন। সোমবার (১ জুলাই) জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে এসব তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাস
![প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে ইউনিয়ন পরিষদ বিল পাস আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/tazul-islam-parlament-sonsod.jpg)
ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগের বিধান রেখে আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। সোমবার জাতীয় সংসদে ‘স্থানীয় সরকার (সংশোধন) বিল–২০২৪’ পাস হয়। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বিলটি পাসের জন্য সংসদে তোলেন। বিলের ওপর আনা জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে প্রেরণ ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলো নিষ্পত্তি শেষে বিলটি কণ্ঠভোটে পাস হয়।
পাস হওয়া বিলে বলা হয়েছে, কোনো এলাকাকে ইউনিয়ন ঘোষণার পর বা পরিষদের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর কার্যাবলি সম্পাদনের জন্য সরকার একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা বা উপযুক্ত ব্যক্তিকে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করবে এবং নির্বাচিত পরিষদ গঠন না হওয়া পর্যন্ত প্রশাসক ইউনিয়ন পরিষদের সার্বিক দায়িত্ব পালন করবেন। প্রশাসক নিয়োগ হবে কেবল এক মেয়াদে দিনের জন্য। কোনো দৈবদুর্বিপাক, অতিমারি, মহামারি ইত্যাদি বিশেষ ক্ষেত্রে নির্বাচিত পরিষদ গঠন করা সম্ভব না হলে সরকার ওই মেয়াদ যৌক্তিক সময় পর্যন্ত বাড়াতে পারবে।
বিলে বলা হয়েছে, কোনো চেয়ারম্যান বা চেয়ারম্যানের দায়িত্বপ্রাপ্ত কোনো সদস্য বা প্রশাসক যদি নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করতে ব্যর্থ হন, তাহলে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হবে। বিদ্যমান আইনে এটি ১০ হাজার টাকা। এ ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব পদটির নাম হবে ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ১৩ গরুর সন্ধান পেল দুদক
![সাদিক এগ্রোতে নিষিদ্ধ ১৩ গরুর সন্ধান পেল দুদক আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/sadik-agro.jpg)
উচ্চবংশীয় গরু ও দেশের সর্বোচ্চ দামের ছাগলকে জড়িয়ে আলোচনায় আসা সাদিক এগ্রোর সাভারের ফার্মে নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির ১৩টি গরুর সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে সাভারের ভাকুর্তা ইউনিয়নের ভাঙা ব্রিজ এলাকার ফার্মে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ সময় সাদিক এগ্রো ওই ফার্মের একটি ঘরে পরিকল্পিতভাবে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে আলোচিত ছাগলকাণ্ডের ১৫ লাখ টাকা দামের সেই ছাগলকে। এ ছাড়াও ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরসহ প্রায় আড়াইশ গরু রয়েছে। একই সঙ্গে ১২টি উট ও দুটি ঘোড়াসহ কয়েকশ হাঁস-মুরগি ফার্মে দেখা যায়।
দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালে বিদেশ থেকে আসা নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরু কাস্টমস থেকে জব্দ করে সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে গত রোজার ঈদে গরুগুলোর মাংস বিক্রির জন্য কমিটি করা হয় এবং মাংস বিক্রি করা হয়েছে। তবে আমরা খবর পাই সাদিক এগ্রোতে ব্রাহমা প্রজাতির গরু আছে। এরপর অভিযান চালিয়ে এই ফার্মের একটি শেডে ৫টি ব্রাহমা প্রজাতির গরু ও ৭টি বাছুরের সন্ধান মিলেছে। এরপর একটি ঘরে কাপড়ে আচ্ছাদনের ভেতরে ১৫ লাখ টাকা দামের ছাগলটি দেখা গেছে। সাদিক এগ্রোতে কিছু নথি পাওয়া গেছে, যা আমরা জব্দ করেছি। এ ছাড়া নিষিদ্ধ ব্রাহমা প্রজাতির গরুর আমদানি ও উৎপাদন নিষিদ্ধ। তাই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জানা গেছে, ২০১৬ সালে দেশে আমেরিকান ব্রাহমা গরু আমদানি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৮টি ব্রাহমা গরু দেশে আনে সাদিক এগ্রো। সেসময় গরু আমদানির বৈধ কাগজ উপস্থাপন করতে না পেরে তিনটি জাল নথি জামা দিয়েছিল সাদিক এগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন। জাল নথি দিয়ে গরু আনার ওই ঘটনায় তখন মামলা হয়। আদালতের রায় আসে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষে। ফলে ওই ১৭টি ব্রাহমা গরু বাজেয়াপ্ত করে রাখা হয় কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে। এ রকম আরও অনেক অভিযোগ রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
তেল আমদানিতে সৌদির কাছে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ
![তেল আমদানিতে সৌদির কাছে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/soudi.jpg)
দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি আরব থেকে বিনিয়োগের পাশাপাশি দেশটি থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা চেয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১ জুলাই) সৌদি আরবের রিয়াদে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং সৌদির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহানের নেতৃত্বে দু’দেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে এসব সুবিধা চাওয়া হয়েছে।
বৈঠকে বাংলাদেশে আরও সৌদি বিনিয়োগের বিষয়টি প্রাধান্য পায়। বিশেষ করে, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে এবং দেশের অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থায় সৌদি বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদকে (জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল-জেবিসি) দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে তাদের কার্যক্রম আরও গতিশীল করার বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সৌদি আরব থেকে তেল আমদানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্তির বিষয়েও আলোচনা করেন তারা।
সৌদি আরবে ৩০ লাখ বাংলাদেশির কর্মসংস্থানের সুযোগ দেওয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরো স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে একটি যৌথ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়।
হাছান মাহমুদ সৌদি আরবে ব্যবসারত বাংলাদেশি প্রবাসীদের রেজিস্ট্রেশনের বিশেষ সুযোগ প্রদানের অনুরোধ জানান। পাশাপাশি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সহায়তা চাইলে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে গাজাতে ইসরায়েলের বর্বরতা নিরসনকল্পে মুসলিম বিশ্বের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা।
দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে সৌদি যুবরাজ ও প্রধানমন্ত্রী মুহাম্মদ বিন সালমানের আসন্ন বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও আলোচনা হয়। পাশাপাশি আগামী বছর সৌদি-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর যথাযথ উদযাপনে যৌথ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাংলাদেশ-সৌদি আরব যৌথ কমিশনের বৈঠককে মন্ত্রী পর্যায়ে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করবে কানাডা: মন্ত্রী
![দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করবে কানাডা: মন্ত্রী আর্থিক প্রতিবেদন](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/05/saber-h-chowdury1.jpg)
কানাডা বাংলাদেশে চলমান পরিবেশ এবং জলবায়ু সহযোগিতা জোরদার করবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে বাংলাদেশ কানাডা একযোগে কাজ করবে। মন্ত্রী এসময় জ্ঞান বিনিময়, কারিগরি সহায়তা এবং যৌথ প্রকল্পের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
সোমবার (১ জুলাই) বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার লিলি নিকোলস সচিবালয় অফিসে তার সঙ্গে সাক্ষাৎকালে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ, জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমন এবং অভিযোজন নিয়ে আলোচনা করা হয়। উভয় পক্ষ পরিবেশগত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার এবং টেকসই ভবিষ্যতের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা অগ্রসর করার প্রতিশ্রুতি জোরদার করেন।
মন্ত্রী জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা এবং মুজিব ক্লাইমেট প্রসপারিটি প্ল্যানসহ জলবায়ু এজেন্ডা বাস্তবায়নে একটি সামগ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের গ্রাউন্ড জিরো হিসেবে উল্লেখ করেন এবং বৈশ্বিক সংহতি ও সহানুভূতির গুরুত্বের ওপর জোর দেন।
তিনি ব্লকচেইন, আইওটি, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং বিকল্প জলবায়ু প্রযুক্তির মতো ফ্রন্টিয়ার প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন। পরিকল্পনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- এই উদ্যোগগুলো বাস্তবায়নের জন্য একটি কার্যকরী দল গঠন এবং এমসিপিপিতে বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি। তিনি কানাডা-বাংলাদেশ জলবায়ু অংশীদারিত্ব এবং ভবিষ্যতের কপগুলোতে প্রতিনিধিত্বের আশা প্রকাশ করেন।
এসময় হাই কমিশনার নিকোলস জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহযোগিতার জন্য কানাডার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন, সহায়তার পুনরাবৃত্তি এড়াতে খাতভিত্তিক কর্মকাণ্ডের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, কানাডা প্রযুক্তি, গবেষণা, অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং যুব কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে এবং অংশীদারিত্ব বাড়াতে চায়। তিনি প্রযুক্তি স্থানান্তর, জলবায়ু-স্মার্ট কৃষি, জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং অভিযোজন প্রকল্পগুলোর মতো অগ্রাধিকারগুলি উল্লেখ করেন।
কাফি