শিল্প-বাণিজ্য
বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার বৃদ্ধির পূর্বাভাস
বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার ২০২৯ সালের মধ্যে বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। ‘গ্লোবাল ডেইরি প্রডাক্টস মার্কেটস আউটলুক ২০২৯’ নামের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বাজার বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটস। খবর গ্লোবনিউজওয়্যার, ডেইরি নিউজ টুডে।
পূর্বাভাসে প্রতিষ্ঠানটি জানায়, ২০২৯ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধপণ্যের বাজার ৭৯ হাজার কোটি ডলার অতিক্রম করবে, গত বছর যার পরিমাণ ছিল ৫৮ হাজার ১৮ কোটি ডলার। ২০২৪-২৯ সালের মধ্যে দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার ৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ হারে বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
মূলত দুগ্ধজাত পণ্যের বৈচিত্র্যের কারণে ক্রেতারা তা ক্রয়ের পরিমাণ বাড়িয়েছে। নিজেদের চাহিদা, পছন্দ ও গুণমান অনুযায়ী তারা গ্রিক দই, পনির অথবা ক্রিমি মিল্ক থেকে শুরু করে অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য কিনতে পারে।
রিসার্চ অ্যান্ড মার্কেটসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বে জনসংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারের চাহিদা ব্যাপক হারে বাড়ছে। আর সামনের দিনগুলোয় এ ধারা অব্যাহত থাকবে। এছাড়া মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতাও দিন দিন বাড়ছে। তাই প্রাণিজ প্রোটিন পরিহার করে তারা খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করছে দুধ ও দুগ্ধজাত পণ্য। এ কারণে চাহিদা বেড়ে বিশ্বব্যাপী দুগ্ধজাত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণ হচ্ছে।
এদিকে বিশ্বের বৃহত্তম দুগ্ধ কোম্পানি হিসেবে প্রথম স্থান অধিকার করেছে ল্যাকটালিস গ্রুপ। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে কোম্পানিটি এ তথ্য জানিয়েছে। প্রতিবেদনে কোম্পানিটি জানায়, ল্যাকটালিস গ্রুপের আয়ের ৩৯ শতাংশই আসে পনির থেকে। এছাড়া এ কোম্পানির ১৯ শতাংশ আসে দুধ থেকে, ১৫ শতাংশ আসে চিলড ডেইরি প্রডাক্টস ও ১২ শতাংশ আয় হয় মাখন ও ক্রিম থেকে। আয়ের ৮ শতাংশ অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য থেকে আসে।
চীন বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ দুগ্ধপণ্য আমদানিকারক। আর যুক্তরাষ্ট্র হলো দেশটির দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের দুগ্ধজাত পণ্যের কোম্পানিগুলোকে চীনা বাজারে প্রবেশ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এক বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির ভাইস কমার্স মিনিস্টার ওয়াং শউয়েন।
তিনি বলেন, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র একে অন্যের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের দুগ্ধজাত পণ্য আমদানির দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস। যুক্তরাষ্ট্রসহ সারা বিশ্বের কোম্পানিগুলোকে চীনা বাজারে প্রবেশ, বিনিয়োগ ও বাণিজ্য চালাতে চীন স্বাগত জানায়।’
ক্যালসিয়াম, রিবোফ্লাভিন, ভিটামিন ডি, ভিটামিন এ, নিয়াসিন, পটাসিয়াম ও ফসফরাসসমৃদ্ধ হওয়ায় দুগ্ধজাত পণ্যের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সুবিধা রয়েছে। নিয়মিত দুগ্ধজাত পণ্য গ্রহণ করলে হাড় ও অন্ত্র সুস্থ থাকে। এছাড়া এতে কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজ (সিভিডি) ও টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে। অন্যদিকে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় পনিরের ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণেও বাজার সম্প্রসারণ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
তরল দুধের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়াল আড়ং
দামবৃদ্ধির তালিকায় এবার যুক্ত হলো তরল দুধ। প্যাকেটজাত তরল দুধের দাম লিটারে ১০ টাকা বাড়িয়েছে প্রক্রিয়াজাতকারী বেসরকারি খাতের কোম্পানি ব্র্যাক ডেইরি।
এক লিটার তরল দুধের দাম বাড়িয়ে ৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছে কোম্পানিটি। আধা লিটারের দুধের দাম ৫০ টাকা করা হয়েছে।
এছাড়া আড়ংয়ের স্ট্যান্ডার্ডাইজড দুধ আধা লিটার ৫৫ টাকা, এক লিটার ১০০ টাকা, পাস্তুরিত দুধ আধা লিটার প্যাকেট ৬০ টাকা এবং এক লিটার প্যাকেট ১০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
জানা গেছে, নানা ক্ষেত্রে ব্যয়বৃদ্ধির কারণে ব্র্যাক ডেইরি চলতি সপ্তাহ থেকে আড়ং দুধের মূল্য লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়ানোর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা ১ নভেম্বর থেকে কার্যকর হয়েছে।
এদিকে গবাদি পশুর খাদ্যের মূল্য বেড়ে যাওয়ায় কৃষক পর্যায়ে দুধের উৎপাদন খরচ বেড়েছে। সেজন্য কৃষক পর্যায়ে কাঁচা দুধের মূল্য লিটারপ্রতি পাঁচ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
ব্র্যাক ডেইরি জানিয়েছে, পণ্যের সর্বশেষ মূল্যবৃদ্ধি হয়েছিল ২০২২ সালের জুলাই মাসে। দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে বাজারে সংশ্লিষ্ট কাঁচামাল যেমন: প্যাকেজিং, কার্টন ও খুচরা জিনিসের মূল্য ২০ শতাংশ থেকে ৪০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পাশাপাশি জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও দুধ সংগ্রহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও বিতরণ খাতে বাড়তি ব্যয় হচ্ছে। বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় দুধ শীতলকরণসহ প্রক্রিয়াজাত কারখানায় অনেক বেশি সময় জেনারেটর ব্যবহার করতে হচ্ছে। এছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধি হওয়ায় আনুষঙ্গিক ব্যয়ও উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
চালের আমদানি শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ
আমদানি শুল্ক কমানোর পরও চাল আমদানিতে সাড়া মিলছে না। এ জন্য বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) চাল আমদানিতে সব ধরনের শুল্ক–কর প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে।
বিটিটিসি আজ মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কাছে এ সুপারিশ করেছে। বিটিটিসি বলেছে, সম্প্রতি বন্যায় চালের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় স্থানীয় বাজারে চালের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল করার স্বার্থে সুনির্দিষ্ট মেয়াদে চাল আমদানিতে প্রযোজ্য আমদানি শুল্ক–কর সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাহার করা যেতে পারে।
বিটিটিসি চেয়ারম্যান মইনুল খান আজ গণমাধ্যমকে বলেন, বন্যার কারণে সাত–আট লাখ টন চাল উৎপাদন কম হয়েছে। চালের বাজার ঠিক রাখতে শুল্ক প্রত্যাহার করা এখন জরুরি।
চালে আমদানি শুল্ক (সিডি), নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (আরডি), অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ও আগাম কর (এটি) মিলে ছিল ৬২ দশমিক ৫০ শতাংশ শুল্ক-কর। এনবিআর ২০ অক্টোবর এআইটি ছাড়া চাল আমদানিতে তিন ধরনের শুল্ক কমিয়েছে। সিডি ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ ও আরডি ২০ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করেছে এনবিআর। এ ছাড়া আগাম কর ৫ শতাংশের পুরোটাই প্রত্যাহার করেছে সংস্থাটি।
শুল্ক–কর কমানোর প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর বলেছিল, এতে বাজারে শুধু চালের সরবরাহ বাড়বে না; বরং আমদানি পর্যায়ে প্রতি কেজি চালের দাম ১৪ টাকা ৪০ পয়সা কমবে। আমদানি যেহেতু এখনো হয়নি, তাই বাজারেও এর প্রভাব পড়েনি। ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের তথ্য অনুযায়ী, আজ মঙ্গলবার বাজারে সরু অর্থাৎ নাজিরশাইল ও মিনিকেট বিক্রি হয়েছে ৭২ থেকে ৮০ টাকা কেজি। এ ছাড়া মাঝারি, অর্থাৎ পাইজাম চাল ৫৮ থেকে ৬৩ এবং মোটা, অর্থাৎ স্বর্ণা বা চায়না ইরি চাল ৫২ থেকে ৫৫ টাকা কেজি বিক্রি হয়েছে।
বিটিটিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, শুল্ক কমানোর পর ভিয়েতনাম থেকে ২৬ টন চাল আমদানির জন্য ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়েছে ২৭ অক্টোবর। এলসি খোলার এমন কম প্রবণতা চালের বর্ধিত চাহিদা পূরণের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হবে।
চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে আজ ২৯ অক্টোবর পর্যন্ত ১ হাজার ৯৫৭ টন চাল আমদানি হয়েছে। আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৯৩৪ দশমিক ১৮ টন চাল আমদানি হয়েছিল। তার আগে, অর্থাৎ ২০২২-২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১২ লাখ ৩৭ হাজার ১৬৮ টন চাল। আর ২০২১-২২ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৪৮ টন। এনবিআর থেকে নেওয়া এসব তথ্য বিটিটিসির প্রতিবেদনে উল্লেখ রয়েছে।
এদিকে খাদ্য অধিদপ্তর গতকাল সোমবার চালের মজুত, নিরাপত্তা মজুত, সম্ভাব্য ঘাটতি—এসব চিত্র জানিয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১০ লাখ টন চাল আমদানির কার্যক্রম গ্রহণ জরুরি। অর্থবছরের বাকি সময়ে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে এ বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি করা কঠিন হতে পারে। তাই উন্মুক্ত দরপত্রের পাশাপাশি সরকার থেকে সরকার (জিটুজি) পর্যায়ে চাল আমদানির উদ্যোগ নেওয়া দরকার। বন্যায় আমন ধানের ক্ষয়ক্ষতি বিবেচনায় বেসরকারি পর্যায়েও চাল আমদানিতে উৎসাহিত করতে হবে মনে করছে খাদ্য অধিদপ্তর।
খাদ্য অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘বন্যার কারণে এবার চাল উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। চালের মজুত বৃদ্ধির বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক হওয়ার জন্য তাই খাদ্য মন্ত্রণালয়কে আমরা চিঠি দিয়েছি।’
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত সরকারের হাতে ১০ লাখ টন চালের মজুত ছিল। আগামী ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আমন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টন এবং জুন পর্যন্ত বোরো সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ৬ লাখ টন। সেই হিসাবে ২০২৫ সালের ১ জুলাই পর্যন্ত সম্ভাব্য মজুত দাঁড়াবে ২১ লাখ টন।
খাদ্য অধিদপ্তর সূত্র জানায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩ লাখ ৫০ হাজার টন চাল আমদানির জন্য বাজেট বরাদ্দ রয়েছে ২ হাজার ৯০৮ কোটি টাকা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
শিল্প উপদেষ্টার সঙ্গে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজের (বিসিআই) সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরীর (পারভেজ) নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেছেন।
রবিবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯ টায় শিল্প ভবনে এ সাক্ষাত অনুষ্ঠিত হয়। সভার শুরুতে উপদেষ্টাকে বিসিআই পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ হতে ‘আমার পণ্য আমার দেশ’ লোগো সম্বলিত একটি স্যুভেনির উপহার দেওয়া হয়।
সভাপতি বিসিআই প্রথমে উপদেষ্টাকে বিসিআইর কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করেন এবং তিনি বিসিআইর পরিচালনা পর্ষদের সকলকে উপদেষ্টার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। অত:পর বিসিআই সভাপতি শিল্প খাতে বর্তমান চ্যালেঞ্জ বিশেষ করে জ্বালানি সংকট (গ্যাস বিদ্যুৎ) বিষয়ে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন।
বিসিআই সভাপতি বলেন, শিল্প উৎপাদন ব্যহত হলে তার প্রভাব অন্নান্য খাতেও পড়ে বিশেষ করে সেবা খাত, কৃষি খাত ইত্যাদি। তিনি ব্যবসা ক্ষেত্রে ক্রমাগত ব্যাংক সুদহার বৃদ্ধি, এনবিআর কর্তৃক এইচএস কোড জটিলতা, কারখানা বন্ধ থাকায় মালিকদের বেতন দিতে সমস্যা। বর্তমান দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি ইত্যাদি বিষয়সমূহ উপদেষ্টার নজরে আনেন। তিনি বিসিআই-শিল্প মন্ত্রনালয় এক সাথে শিল্প মেলা আয়োজন, বাংলাদেশ থেকে হালাল পণ্য রপ্তানীর সম্ভাবনার পূর্ণ ব্যাবহার এবং হালাল সার্টিফিকেট প্রদানে বিসিআইকে অনুমতি প্রদান করার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেন।
তিনি শিল্প ক্ষেত্রে দক্ষ জনবলের অভাব দূরকরণে এবং এলডিসি গ্রাজুয়েশন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় দক্ষ কর্মী ও ব্যবস্থাপকের অভাব পূরনে প্রশিক্ষন কারিকুলাম ও যন্ত্রপাতি চাহিদার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আপডেট করার বিষয়ে শিল্প মন্ত্রণালয় এবং বে-সরকারি খাত এক সাথে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বর্তমান পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিল্প মালিকদের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়ে মাননীয় উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষন করেন।
সভায় উপস্থিত শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বিসিআই সভাপতির বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলেন, শিল্প মন্ত্রণালয় আপনার বিষয় সমূহ সমাধানে নিজে এবং অন্নান্য মন্ত্রণালয়কেও সমস্যা সমূহ সমাধানে উদ্যোগ গ্রহনের জন্য সুপারিশ করবেন। তিনি বিসিআইর সাথে সম্ভাব্য ক্ষেত্রে এক সঙ্গে কাজ করার আগ্রহ ব্যাক্ত করেন।
উপদেষ্টা বিসিআইর পরিচালকদের বক্তব্য শোনেন এবং বলেন, দেশের শিল্প সমূহের অবস্থা সম্পর্কে আমরা অবগত রয়েছি। আমরা চাই দেশে বিনিয়োগ বৃদ্ধি পাক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি পাক দেশীয় শিল্প যাতে টিকে থাকতে পারে সে জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। দক্ষ কর্মী তৈরীর ক্ষেত্রে কোর্স কারিকুলাম প্রণয়ন ও দক্ষ প্রশিক্ষক সৃষ্টিতে আমরা আপনাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব আহবান করছি। আমি শিল্প মালিকদের কাছে আহবান করবো যাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা যায় এর জন্য রাষ্ট্র সব ধরনের সহায়তা করবে। তিনি শ্রমিক-মালিক সু-সম্পর্ক বজায় রেখে শিল্প প্রতিষ্ঠান পরিচালনার আহবান জানান এবং সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহবান জানান। পরিশেষে উপস্থিত সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
সভায় বিসিআইর উর্দ্ধতন সহ-সভাপতি প্রীতি চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি মোহাম্মদ ইউনুস, পবিচালকবর্গ, ড. দেলোয়ার হোসেন রাজা, জিয়া হায়দার মিঠু, শাহ আলম লিটু, মো. খায়ের মিয়া, মো. সেলিম জাহান, মো. মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল ড. মো. হেলাল উদ্দিন, এনডিসি এবং শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, মোহাম্মদ সালাউদ্দিন ও মো. সলিম উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সকলের বক্তব্য ধৈর্য্য সহকারে শোনার এবং বিভিন্ন বিষয়ে ব্যাখ্যা প্রদানের জন্য উপদেষ্টা ও সিনিয়র সচিবকে বিসিআই সভাপতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
প্যারিস আন্তর্জাতিক খাদ্য মেলা শুরু
ফ্রান্সের প্যারিসের অদূরে পাঁচ দিনব্যাপী ৬০তম প্যারিস আন্তর্জাতিক খাদ্য মেলা-২০২৪ শুরু হয়েছে।
প্যারিস নর্ড ভিলেপিন্ট প্রদর্শনী কেন্দ্রে ১৯ অক্টোবর শুরু হওয়া এ মেলা চলবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ৬০০টি ফরাসিসহ সাড়ে সাত হাজারের বেশি স্টল থাকছে এ মেলায়। ২০৫টি দেশ প্রতিনিধিত্ব করেছে এতে।
স্ব স্ব দেশ তাদের পন্যের প্রদর্শনী, মতমিনিময় ও অর্ডার সংগ্রহ করে থাকে।
এবার মেলায় বাংলাদেশ থেকে মাত্র ২টি স্টল নিয়েছে প্রাণ ও সিটি গ্রুপ। তবে অন্যান্য অনেক কোম্পানীকে বিচ্ছিন্নভাবে ভিজিটর হিসাবে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়। শুধুমাত্র প্রান গ্রুপ প্রতি বছরের ন্যায় এবার বেশ বড আকারে স্টলসহ অংশগ্রহণ করে। এতে সিটি গ্রুপ প্রথমবারের মত অংশগ্রহণ করে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
শিল্প-বাণিজ্য
চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে পোশাক শিল্প এখন স্থিতিশীল: বিজিএমইএ
পোশাক শিল্প একটি চ্যালেঞ্জিং সময় পার করে বর্তমানে স্থিতিশীলতা অর্জন করেছে। সরকার, মালিক, শ্রমিক, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীসহ সবার সহযোগিতায় বিজিএমইএ বোর্ড বিপর্যয়কর পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম।
আজ শনিবার উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, সবাই আমাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছেন। তার জন্য বিজিএমইএ বোর্ড সরকার
ও সেনাবাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তাছাড়া ক্রেতারাও বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের ওপর আস্থা রেখেছে। বিজিএমইএ বোর্ডের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সরকারের নির্দেশনায় পোশাক কারখানাগুলোর নিরাপত্তায় সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথবাহিনী গঠন হয়েছে এবং যৌথবাহিনী গার্মেন্টস অধ্যুষিত অঞ্চলগুলোর নিরাপত্তা নিশ্চিতে নিয়মিতভাবে টহল পরিচালনা করেছে। বিজিএমইএ সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় কমিউনিটি পুলিশিং চালু করেছে।
তিনি আরও বলেন, পোশাক কারখানাগুলোতে আগস্ট মাসের বেতন পরিশোধে অনিশ্চয়তা দেখা দেওয়ায় বিজিএমইএ থেকে এ ব্যাপারে সহযোগিতা চেয়ে অর্থ উপদেষ্টাকে চিঠি দেওয়া হয়। বিজিএমইএ বোর্ড বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গেও দেখা করেছে। তারপর বিজিএমইএ এর অনুরোধের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আগস্ট মাসের বেতনভাতা পরিশোধের জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছে।
বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শ্রম অসন্তোষে আশুলিয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৯টি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বেতন বেতনভাতা পরিশোধের সক্ষমতা ছিল না। বিজিএমইএ থেকে অর্থ মন্ত্রণালয়কে সেপ্টেম্বর মাসের বেতন ভাতা পরিশোধের লক্ষ্যে ৩৯টি পোশাক কারখানাকে সুদবিহীন সহজ শর্তে ঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
এ সময় বোর্ডের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ এবং সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
কাফি