টেলিকম ও প্রযুক্তি
সচল সাবমেরিন ক্যাবল, ফের মিলবে দ্রুতগতির ইন্টারনেট
দীর্ঘ দুই মাস ৮ দিন পর চালু হয়েছে কুয়াকাটায় অবস্থিত দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিইউ-৫। এর ফলে এখন থেকে আবারও আগের মতো দ্রুতগতির এবং স্বাভাবিক ইন্টারনেট সেবা চালু হয়েছে।
শুক্রবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যান্ডউইডথ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলস পিএলসির (বিএসসিপিএলসি) মহাব্যবস্থাপক (চালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ) সাইদুর রহমান।
তিনি জানান, কুয়াকাটার সিমিইউ-৫ সাবমেরিন ক্যাবলের ব্যান্ডউইথ সিঙ্গাপুর প্রান্তে পুনরায় সংযোগ দেওয়া হয়েছে। সিমিইউ-৫ কনসোর্টিয়াম কর্তৃক শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ১০টা ৪০মিনিটে ক্যাবলটির মেরামত কাজ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে। এর ফলে বিএসসিপিএলসির সিমিইউ-৫ এর মাধ্যমে সংযোগ করা সার্কিটগুলো চালু করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কয়েকদিন ধরে গ্রাহকদের ইন্টারনেট ব্যবহারে অসুবিধার জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
মূলত, চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল (শুক্রবার) দিবাগত রাত ১২টায় বিএসসিপিএলসির আওতাধীন দেশের দ্বিতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিইউ-৫ সিঙ্গাপুর থেকে পশ্চিম প্রান্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমায় আকস্মিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সিমিইউ-৫ কনসোর্টিয়াম ইন্দোনেশিয়ায় সমুদ্রের তলদেশে ক্যাবল মেরামতের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হয়।
তবে এই সময় সিসিইউ-৫ এর মাধ্যমে বিচ্ছিন্ন হওয়া প্রায় ১৬০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইথ সিসিইউ-৪ ক্যাবলে স্থানান্তর করেছে বিএসসিপিএলসি।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবল কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিপিএলসি) সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ নামের দুটি আন্তর্জাতিক সাবমেরিন কেবল কনসোর্টিয়ামের (কোম্পানি) সদস্য। যেটি বাংলাদেশে সাবমেরিন কেবলসের অধিক ক্ষমতা ও পর্যাপ্ততা নিশ্চিত করে। বর্তমানে সিমিউই-৪ এবং সিমিউই-৫ কেবল দুটির মাধ্যমে বাংলাদেশের ইন্টারনেট এবং আন্তর্জাতিক ভয়েস ট্র্যাফিক চলছে। সিমিউই-৪ এর জন্য বিএসসিসিএলের কেবল ল্যান্ডিং স্টেশন রয়েছে কক্সবাজারে। আর সিমিউই-৫ এর জন্য বিএসসিসিএলের ল্যান্ডিং স্টেশন চালু হয়েছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটাতে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
কলড্রপ নিয়ে ১ জুলাই থেকে অ্যাকশন: প্রতিমন্ত্রী পলক
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, কলড্রপ এখন নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব।
রবিবার (৩০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের গ্রাহক সেবার মান বিশেষ করে কলড্রপ সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ মোবাইল ফোন অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পলক বলেন, মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আজকের বৈঠকের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান নিশ্চিত করা, তারা যে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে সেই সেবা পাচ্ছে কিনা এবং সুলভ মূল্যে উচ্চ গতির ইন্টারনেট দেওয়ার যে উদ্দেশ্য সেটা গ্রাহক পাচ্ছে কিনা। আমরা যে সুবিধাগুলো দিচ্ছি সেগুলোর যথাযথ ব্যবহার মোবাইল অপারেটরগুলো করছে কিনা।
‘কলড্রপ একটা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের মোবাইল গ্রাহকেরা যেমন এ বিষয় নিয়ে অসন্তুষ্ট। বিটিআরসি যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব একটা সন্তোষজনক নয়। ’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধুমাত্র কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না। এটা আপনারা গ্রহণ করেন বা না করেন আমি আপনাদের পরিষ্কার বার্তাটি দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি। কারণ প্রথম ছয় মাস, আমরা জানুয়ারিতে শপথ নিয়েছি। আমরা একটা স্মার্ট টেলিকম ইকোসিস্টেম বাংলাদেশকে উপহার দিতে চাই।
‘ইন্টারনেটের যে গতি, আপনারা যতই ব্যাখ্যা দেন যে ওকলার এটা ঠিক না বা স্পিড টেস্টিং মেকানিজম অনেক সময় বায়াস হয়। আমার কথা পরিষ্কার, যেভাবেই হোক আমরা গ্লোবাল বেঞ্চমার্কে উন্নীত হতে চাই। কারণ এটা আমাদের দেশের ব্র্যান্ডিংয়ের একটা বড় প্রভাব ফেলে। ’
পলক আরও বলেন, কলড্রপের জন্য গ্রাহকের যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা আমরা আরও কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে যাব। যেহেতু আমরা আরও কঠোর অবস্থানে যাবে, ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা সেটা যেন করা হয়। সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণটাই আমরা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে মোবাইল নেটওয়ার্ক অপারেটরগুলো একটা চাপে থাকে যে, তারা যদি সেবা না দেয় তাহলে তাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা মনিটরিং এবং অডিট নিয়মিত করব। বেঞ্চমার্ক যাই থাকুক, কলড্রপ রেট কাগজে-কলমে যাই থাকুক, আমাদের গ্রাহকের সন্তুষ্টির ওপর জোর দেব।
কল ড্রপ নিয়ে ঢাকার কয়েকটি এলাকার ড্রাইভ টেস্টের ফলাফল পর্যালোচনা করে পলক বলেন, আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে অ্যাকশনে যাব। শহর বা গ্রাম যেখানেই হোক আমরা মিডিয়ার যে রিপোর্ট, সেগুলো আমলে নেব এবং সেখানে আমরা ড্রাইভ দেব।
ফাইন্যান্সিয়াল অডিট এবং টেকনিক্যাল অডিটের ওপর জোর দেওয়া হবে জানিয়ে পলক বলেন, আসলে অপারেটররা যা বলছে তা সত্যি কিনা। আমরা সাংবাদিক বন্ধুদের রিপোর্টগুলো নিয়মিত আমলে নেব যে, কল ড্রপ কেন হচ্ছে। ইন্টারনেটের গতি কেন কম হচ্ছে, গ্রাহকের প্রতিক্রিয়া কী সেগুলো আমলে নিয়ে ড্রাইভ দেব। আমরা কারিগরি পরিদর্শন দল গঠন করেছি, তারা সেগুলো টেস্ট করছে।
এক্ষেত্রে অপারটেরদের সহায়তাও দেওয়া হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা অপারেটরদের হাত-পা বেঁধে নদীতে ফেলে সাঁতার শেখাব না, আমরা সাঁতার শিখিয়ে সক্ষমতা দিয়ে দেক যাতে নদীটা পার হন। আমরা বলব, সাঁতরিয়ে নদীটা পার হন।
‘কলড্রপ যাতে বিশ্বের অন্যতম একটা ভালো বেঞ্চমার্কে পৌঁছাতে পারি। সেটা আমাদের মূল লক্ষ্য। কলড্রপে সময় নষ্ট হয়, এনার্জি নষ্ট হয়, সে বিরক্ত হয়। পাশাপাশি আপনাদেরও কিন্তু টেকনিক্যাল এবং ফাইন্যান্সিয়াল লস হয়। এসব বিষয় খেয়াল করে সমাধোনে যেতে হবে। সমস্যা যত কঠিনই হোক না কেন সমাধান করতে হবে। ’
পঞ্চম প্রজন্মের মোবাইল সেবা নিয়ে পলক বলেন, ফাইভজি রোল আউটেরও একটা নির্দিষ্ট টার্গেট বিটিআরসি এবং চারটি মোবাইল অপারেটরকে দিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা এয়ারপোর্ট, সি পোর্ট এবং কিছু বিজনেস ডিস্ট্রিক্টস, কিছু গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক-শিল্পাঞ্চলে ফাইভজি রোল আউট করা। তারপর গ্রাজুয়েলি রোল আউট করা।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
ফেসবুক-হোয়াটসঅ্যাপ-মেসেঞ্জারে চালু হলো মেটা এআই
হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার সমস্ত প্ল্যাটফর্মেই চালু হলো মেটার নিজস্ব চ্যাটবট মেটা এআই। আসলে গোটা বিশ্বে মেটার বাজারের একটা বড় অংশই ভারতের। তাই ভারতে চ্যাটবট চালু করে ইউজারদের জন্য আরও সুবিধা এনে দেওয়া নিয়ে অনেকদিন ধরেই চিন্তাভাবনা চলছিল। গত কয়েকমাস ধরেই ভারতে এই চ্যাটবটটি আনা নিয়ে পরীক্ষা করছিল মেটা। অবশেষে এবার চালু হল পরিষেবা।
যে ইউজারদের মেটা এআই আপডেট হয়ে যাবে, তারা সার্চবক্সে একটি নীল-বেগুনি সার্কেল দেখতে পাবেন। ইনস্টাগ্রাম, মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে এই সেবা পাওয়া যাবে। তবে যেহেতু এই প্রক্রিয়া এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, তাই অনেকেই হয়তো এই আপডেট পাননি। সেক্ষেত্রে আপাতত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।
ধরা যাক ফেসবুকে আপনার ফিডে এমন একটা কিছু পেলেন যেটা বেশ কৌতূহল উদ্রেককারী। সেক্ষেত্রে আপনি মেটা এআইকে এসম্পর্কে আরও তথ্য চাইতে পারেন। সঙ্গে সঙ্গে আপনার কাছে এই সংক্রান্ত তথ্য চলে আসবে। হোয়াটসঅ্যাপে মেটাকে ট্যাগ করেও কোনও প্রয়োজনীয় তথ্য চাইতে পারেন। এছাড়াও মেটা.এআই-তে সার্চ করেও চ্যাটবটের সঙ্গে কথা বলা যায়। পছন্দমতো ছবিও আপনাকে সরবরাহ করবে চ্যাটবট।
আপনি যদি মেটা এআই নিয়ে আগ্রহী না হন তাহলেও আপনাকে মোটেই বাধ্য করা হবে না। এমনকি আপনি যদি কোনও প্ল্যাটফর্মে এআই বাটন দেখতে না চান, তাহলে সেটিংসে গিয়ে ডিজাবল করে দিতে পারেন। এজন্য হোয়াটসঅ্যাপের সেটিংসে গিয়ে ‘চ্যাটস’, সেখান থেকে ‘শো মেটা আই বাটন’-এ গিয়ে বন্ধ করে দিলেই হবে। আর ফেসবুকে সেটিংসে গিয়ে ‘প্রাইভেসি’, তারপর ‘ইওর প্রাইভেসি কন্ট্রোলস’-এ যান। এবার ‘ম্যানেজ ইওর এআই সেটিংস’-এ গিয়ে একইভাবে বন্ধ করতে হবে। একইভাবে ইনস্টাগ্রামে সেটিংস থেকে ‘প্রাইভেসি’, সেখান থেকে ‘এআই ফিচার্স’-এ বন্ধ করতে হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
স্মার্ট বাংলাদেশে মাথাপিছু আয় হবে সাড়ে ১২ হাজার ডলার
স্মার্ট বাংলাদেশে ২০৪১ সালে মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়ে সাড়ে ১২ হাজার ডলারে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ এক দশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়নে বৈপ্লবিক অগ্রগতি করে দেখিয়েছে। আগামী ১৭ বছরের মধ্যে জ্ঞান ও প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। যেখানে বাংলাদেশের অর্থনীতি হবে ট্রিলিয়ন ডলারের। মাথাপিছু আয় বেড়ে হবে ১২ হাজার ৫০০ ডলার। আমাদের কমপক্ষে ৫০টি ইউনিকর্ন ও ৫০ বিলিয়ন ডলারের আইসিটি শিল্প থাকবে।
বুধবার (২৬ জুন) রাজধানীর গুলশানের এক হোটেলে সরকারের ডিজিটাল রূপান্তর বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। যৌথভাবে এ কর্মশালার আয়োজন করে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগ এবং আন্তর্জাতিক টেলিযোগাযোগ ইউনিয়ন (আইটিইউ)।
জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, সরকার, অ্যাকাডেমিয়া, শিল্প, এনজিও, আন্তর্জাতিক এনজিও এবং মিডিয়ার মতো বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়ন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, আমরা তাকাবো এমন এক পৃথিবীর দিকে, যেখানে বিজ্ঞান ও কারিগরি জ্ঞানের বিস্ময়কর অগ্রগতির যুগে মানুষের সৃষ্টি ক্ষমতা ও বিরাট সাফল্য আমাদের জন্য এক শঙ্কামুক্ত উন্নত ভবিষ্যৎ গঠনে সক্ষম। পারমাণবিক যুদ্ধের হুমকি থেকে উন্নত ভবিষ্যত ও বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তি এবং সংস্থান ভাগ করে নেওয়ার ওপর ভিত্তি করে, যাতে সর্বত্র মানুষ একটি শালীন জীবনের ন্যূনতম শর্ত উপভোগ করতে শুরু করতে পারে।
এসময় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, আইটিইউয়ের আঞ্চলিক পরিচালক (এশিয়া-প্যাসিফিক) অতসকো ওকোডা, বিটিআরসির চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ, এটুআইয়ের প্রকল্প পরিচালক ও এজেন্সি টু ইনোভেটের প্রধান নির্বাহী মামুনুর রশীদ, বেসিস সভাপতি রাসেল টি আহমেদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ৩ ফিচার, যেসব সুবিধা পাওয়া যাবে
প্রতিনিয়ত নতুন নতুন ফিচার নিয়ে আসে জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। তাই ব্যবহারকারীরাও আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষায় থাকেন। এবার নতুন তিনটি ফিচার নিয়ে এসেছে মেটার মালিকানাধীন এই মেসেজিং অ্যাপ। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সমস্ত ব্যবহারকারীরা নতুন ফিচার গুলো ব্যবহার করতে পারবেন।
মূলত হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলিং ফিচার বহু পুরনো। কিন্তু প্রতিদিনই প্রযুক্তির উন্নতি হচ্ছে। ফলে মেসেজিং প্ল্যাটফর্মও তাদের ভিডিও কলিং ফিচারকে আপডেট করে তাতে নতুন নতুন বৈশিষ্ট যোগ করার জন্য তৎপর। ভিডিও কলিংয়ে গুগল মিট এবং জুম থেকে এগিয়ে যেতেই হোয়াটসঅ্যাপ তিনটি ফিচার নিয়ে এসেছে।
এখন থেকে অডিওসহ স্ক্রিন শেয়ারিং করা যাবে। বিটা ভার্সনে এই ফিচার আগেই ছিল। এখন সেটাই অফিসিয়াল। ব্যবহারকারীরা বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের সঙ্গে সিনেমা বা কনটেন্ট শেয়ার করতে চাইলে ভিডিও কলে স্ক্রিন শেয়ার করতে পারবেন। বন্ধুরা মিলে ভার্চুয়ালি সিনেমা দেখতে পারবেন একসঙ্গে।
হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলের আরেকটি বড় আপডেট হলো- শুধু কম্পিউটার বা মোবাইল নয়, যেকোনো ডিভাইসেই হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে থাকতে পারবেন ৩২ জন। মিটিং, সেমিনার বা আড্ডা দিতে অসুবিধা হবে না।
হোয়াটসঅ্যাপের ভিডিও কলে স্পিকারকে হাইলাইট করা যাবে। গ্রুপ ইন্টারঅ্যাকশনের সময় স্ক্রিনে স্পিকারকে প্রথম দেখা যাবে।
হোয়াটসঅ্যাপের দাবি, ভিডিও কলের গুণমান উন্নত করার দিকেও নজর রয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এই নিয়েও কাজ চলছে। যে সব ব্যবহারকারী হাই স্পিড ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তারা এই সব ফিচারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা পাবেন বলেও দাবি করেছে মেটা। পাশাপাশি ইন্টারনেটের স্পিড কম হলেও যাতে ব্যবহারকারীদের কল এবং ভয়েসে কোনো সমস্যা না হয় সেদিকেও গুরুত্ব দিচ্ছে হোয়াটসঅ্যাপ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
মোবাইল হ্যাক হয়েছে কি না বোঝা যাবে এই লক্ষণ দেখলেই
স্মার্টফোনের ব্যবহার বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে হ্যাকিংয়ের ঝুঁকিও বাড়ছে প্রতিনিয়ত। তবে ফোন যে হ্যাক হলে সেটিও বোঝা যাবে বেশ কিছু লক্ষণ থেকে।
সাইবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ফোন হ্যাক হলে, অস্বাভাবিক ব্যাটারি খরচ হবে, ডেটা খরচও বাড়বে। এর সঙ্গে মোবাইলে নিজে থেকেই নানা অ্যাপ ডাউনলোড হতে থাকবে। এই লক্ষণগুলো দেখলে সাবধান। এছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে। এখানে তারই তালিকা দেওয়া হলো।
অস্বাভাবিক ব্যাটারি খরচ
ফোন হ্যাক হলে ব্যাটারি খরচ বেড়ে যাবে। এটি ব্যাকগ্রাউন্ডে ক্ষতিকারক সফটওয়্যার চলার ইঙ্গিত দেয়। ফলে বেশি ব্যাটারি খরচ হয়।
ফোন অতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া
টানা ব্যবহার করলে স্মার্টফোন গরম হয়ে যায়। এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে ফোন গরম থাকা ডিভাইসে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার চলার লক্ষণ হতে পারে।
ডেটা খরচ বৃদ্ধি
ডেটা খরচ অপ্রত্যাশিতভাবে বেড়ে গেলে বুঝতে হবে ফোন ইউজারের অজান্তেই তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাঠাচ্ছে। ফলে ডেটা খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে।
অদ্ভুত কার্যকলাপ
অ্যাপ নিজে থেকেই খুলে যাচ্ছে, বা অন্যের কাছে আপনাআপনিই মেসেজ কিংবা ফোন যাচ্ছে, তাহলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাক হয়েছে।
পপ আপ এবং বিজ্ঞাপন
ফোন হ্যাক হলে পপ আপ এবং বিজ্ঞাপনের স্রোত বয়ে যায়। এমনকি কোনও ব্রাউজার ব্যবহার না করলেও এমনটা হতে পারে। এটাকে অ্যাডওয়্যার সংক্রমণের লক্ষণ বলে ধরা হয়।
অচেনা অ্যাপ
অচেনা অ্যাপ আপনাআপনিই ডাউনলোড হতে থাকলে সেটা ফোন হ্যাক হওয়ার অন্যতম গুরুতর লক্ষণ।
ফোন আচমকা স্লো হয়ে যাওয়া
ফোন যদি আচমকা স্লো হয়ে যায় অর্থাৎ কাজ করার গতি কমে যায়, তাহলে ম্যালওয়্যার হগিং রিসোর্সের ফলে এমনটা হতে পারে বলে মনে করা হয়।
বিলের অপ্রত্যাশিত চার্জ
প্রিমিয়াম পরিষেবা বা আন্তর্জাতিক কলের জন্য চার্জ বেড়ে গেলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাকারদের কবলে পড়েছে।
কাফি