জাতীয়
দেশে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা ১৬ লাখ বেশি
জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ সালের তথ্য অনুযায়ী, দেশের মোট জনসংখ্যা ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬। এর মধ্যে পুরুষ আট কোটি ১৭ লাখ ৬৯ হাজার ২৬৬, আর নারী আট কোটি ৩৩ লাখ ৮১ হাজার ২২৬ জন। অর্থাৎ দেশে পুরুষের চেয়ে নারী বেশি ১৬ লাখ ১১ হাজার ৯৬০ জন।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন জেলায় জনশুমারির জেলাভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হয়। এর আগে গত বছরের নভেম্বরে জনশুমারির জাতীয় রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়।
তথ্যে দেখা যায়, শুধু চট্টগ্রামেই পুরুষের চেয়ে নারী বেশি ১১ লাখ ৩০ হাজার ৭৪৪ জন। আর ঢাকাতে নারী বেশি সাত লাখ ৫১ হাজার ৭২৮ জন।
চট্টগ্রামের তথ্যে দেখা যায়, চট্টগ্রাম জেলায় জনসংখ্যা ১৫ লাখ ৫৩ হাজার বেড়ে ৯১ লাখ ৬৯ হাজার ৪৬৫ হয়েছে।
প্রতি বর্গকিলোমিটারে বাস করে এক হাজার ৭৩৬ জন। ২০১১ সালে তা ছিল এক হাজার ৪৪২ জন। জেলায় জনসংখ্যার বার্ষিক গড় বৃদ্ধির হার ১.৬৫ শতাংশ। ২০১১ সালে এ হার ছিল ১.৪০ শতাংশ।
চট্টগ্রামে কমছে কৃষিনির্ভর পেশার পরিমাণ। জেলায় কৃষিক্ষেত্রে কাজ করা জনসংখ্যা ১৭.৪৬ শতাংশ। আর শিল্প খাতে ২৮.৭৪ শতাংশ ও সেবা খাতে ৫৩.৮০ শতাংশ জড়িত। চট্টগ্রামে মুসলিম ৮৭.৫৩, হিন্দু ১০.৭২, বৌদ্ধ ১.৬৩ ও খ্রিস্টান জনসংখ্যা ০.০৯ শতাংশ। অন্যান্য ০.০৩ শতাংশ।
জেলায় অবিবাহিত নারীর (২৬.৫২ শতাংশ) চেয়ে পুরুষের (৪২.৪৩ শতাংশ) সংখ্যা বেশি। চট্টগ্রামে পুরুষের সংখ্যা ৪৫ লাখ ৭০ হাজার ১১৩ ও নারীর সংখ্যা ৪৫ লাখ ৯৮ হাজার ৯২৬। প্রতি ১০০ জন নারীর অনুপাতে পুরুষ ৯৯.৩৭। চট্টগ্রামে সাক্ষরতার হার ৮১.০৬ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৭৯.২৬ শতাংশ ও পুরুষ ৮২.৮৮ শতাংশ।
বিগত জনশুমারির চেয়ে এবারের শুমারিতে সাক্ষরতার হার প্রায় ৩১ শতাংশ বেড়েছে। জেলায় ১৫-২৪ বছর বয়সী জনসংখ্যার প্রায় ৩০.৩৮ শতাংশ তরুণ-তরুণীর পড়ালেখা, কাজ বা কোনো ট্রেনিং কার্যক্রমে যুক্ত নেই। এর মধ্যে নারী ৪৬.৬২ শতাংশ, পুরুষ ১২.১৬ শতাংশ।
চট্টগ্রামে ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৭৭.০৭ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৬৮.৫০ শতাংশ, পুরুষ ৮৫.৯৮ শতাংশ। অন্যদিকে ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫০.৮২ শতাংশ। এর মধ্যে নারী ৪২.৪৩ শতাংশ, পুরুষ ৫৯.৫৪ শতাংশ।
মৌলভীবাজার জেলায় অবিবাহিত নারীর চেয়ে পুরুষের সংখ্যা বেশি। অবিবাহিতদের মধ্যে পুরুষ ৪৪.৫ শতাংশ, নারী ২৯.৩০ শতাংশ। বর্তমানে জেলায় বিবাহিতদের মধ্যে নারী ৫৮.৪৮ শতাংশ, পুরুষ ৫৪.১৮ শতাংশ। জেলায় মোট জনসংখ্যা ২১ লাখ ২৩ হাজার ৪৪৪। নারী ১১ লাখ দুই হাজার ৬১৭ জন এবং পুরুষ ১০ লাখ ২০ হাজার ৭৩২ জন। পুরুষ ৪৮.০৭ শতাংশ ও নারী ৫১.৯৩ শতাংশ। মোট জনসংখ্যার মধ্যে শহরে দুই লাখ ৯৭ হাজার ১৯০ ও গ্রামে ১৮ লাখ ২৬ হাজার ২৫৭ জন বসবাস করে। ১৯৮১ সালে মৌলভীবাজারে জনসংখ্যা ছিল ১৪ লাখ ২৯ হাজার, ১৯৯১ সালে ছিল ১৩ লাখ ৭৭ হাজার।
সুনামগঞ্জ জেলায় মোট জনসংখ্যা ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৬। এর মধ্যে পুরুষ ১১ লাখ ২৫ হাজার ৪১১ ও নারী ১১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ জন। হিজড়া ২০২ জন। প্রতিবন্ধী ব্যক্তির সংখ্যা ৩৪ হাজার ৮০৩।
জেলার ৯৮.৭২ শতাংশ লোক বিদ্যুত্সুবিধা ভোগ করছে। ১৬.৭০ শতাংশ লোকজন এখনো ঝুলন্ত পায়খানা ব্যবহার করে। ১.৩৬ শতাংশ মানুষ পুকুর, নদী ও খাল ও লেকের পানি ব্যবহার করে। ৭৩.৯৬ শতাংশ মানুষ কাঁচা ঘর, ১০.৪৫ শতাংশ পাকা ঘর, ১৪.৫৬ শতাংশ সেমিপাকা ও ১.০২ শতাংশ ঝুপড়ি ঘর ব্যবহার করে। জেলার সবচেয়ে বেশি ছাতকে ২৮.৮৩ ও জগন্নাথপুরে ২০.৩৫ শতাংশ লোক বিদেশে বাস করে।
সবচেয়ে কম শাল্লায় ০.৯৬ শতাংশ এবং ধর্মপাশায় ১.১১ শতাংশ লোক বিদেশে বসবাস করে। ১৫ বছরের ঊর্ধ্বে ৭৭.৬০ শতাংশ পুরুষ ও ৪৮.০৮ শতাংশ নারী নিজস্ব মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। একই বয়সে ৩৭.২১ শতাংশ পুরুষ ও ১৭.৪৯ শতাংশ নারী ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। জেলায় প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৭১৯ লোক বসবাস করে।
হবিগঞ্জ জেলায় মোট জনসংখ্যা ২৩ লাখ ৫৯ হাজার। ১০ বছর আগে যা ছিল ২০ লাখ ৮৯ হাজার। জেলায় এখনো খোলা জায়গায় টয়লেট ব্যবহার করে ২২ শতাংশ মানুষ। এই জেলায় সাক্ষরতা হার ৭০.৬৩ শতাংশ। জেলায় পুরুষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি। ১০০ নারীর বিপরীতে পুরুষের সংখ্যা ৯৪। ২৮ অবিবাহিত নারীর বিপরীতে অবিবাহিত পুরুষ ৪২ জন। বিধবা ও বিপত্নীকে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি। তালাকপ্রাপ্তের মাঝে পুরুষের চেয়ে নারীর সংখ্যা বেশি।
রাজবাড়ী জেলার মোট জনসংখ্যা ১১ লাখ ৮৯ হাজার ৮১৮। এর মধ্যে পুরুষ পাঁচ লাখ ৮২ হাজার ১২৩, নারী ছয় লাখ ৭৬ হাজার ২০ ও হিজড়া ৭৫ জন। জেলায় পুরুষের চেয়ে নারী ২৫ হাজার ৪৯৭ জন বেশি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নতুন অর্থবছরে মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভার ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ও নিয়মিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১ জুলাই) সকাল ১০টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার তেজগাঁওয়ের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা (উপপ্রধান তথ্য অফিসার) সুমন মেহেদী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বৈঠকের শুরুতে জাপানের নাগাসাকি পিস পার্কে শান্তি স্তম্ভ স্থাপন করায় নাগাসাকির মেয়রের দেওয়া সার্টিফিকট অব অ্যাপ্রিসিয়েশন প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র হ ম মুক্তাদির। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় ইন্টারন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশনের দপ্তর থেকে প্রাপ্ত চ্যাম্পিয়ন পুরস্কার প্রধানমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব মন্ত্রিসভার বৈঠক নিয়ে সচিবালয়ে ব্রিফ করেছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
স্বচ্ছতার সঙ্গে বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোকে যত্ন ও স্বচ্ছতার সঙ্গে পাস হওয়া নতুন অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেট বাস্তবায়নের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১ জুলাই) মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বৈঠক হয়। প্রধানমন্ত্রী এতে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশনার কথা জানান।
রবিবার (৩০ জুন) সংসদ অধিবেশনে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার জাতীয় বাজেট পাস হয়েছে।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অধিবেশনে এ বাজেট কণ্ঠভোটে পাস হয়, যা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে।
এরও আগে শনিবার (২৯ জুন) বিকেলে সংসদে অর্থবিল উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী এবং পরে সেটি সংসদে পাস হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাজস্ব আদায়ের নতুন মাইলফলক দক্ষিণ সিটির
রাজস্ব আদায়ে আবারও নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ হাজার ৬১ কোটি ৫৯ লাখ টাকা রাজস্ব আদায়ের মাধ্যমে নতুন এই মাইলফলক সৃষ্টি করল প্রতিষ্ঠানটি।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপসের কাছে করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক ২০২৩-২৪ অর্থবছরের রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত সংক্ষিপ্ত বিবরণী হস্তান্তর করেন।
মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস এসময় প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হককে ফুল দিয়ে বরণ করেন।
রাজস্ব আদায় সংক্রান্ত হস্তান্তরিত সংক্ষিপ্ত বিবরণীতে দেখা যায় যে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে গৃহ কর (হোল্ডিং ট্যাক্স) বাবদ ৪০৩ কোটি ১৮ লাখ, বাজার সালামি খাতে ১৪৮ কোটি ৪০ লাখ, বাণিজ্য অনুমতি (ট্রেড লাইসেন্স) ফি বাবদ ৭৭ কোটি ২৭ লাখ, স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর কর হতে ১৩২ কোটি ২৬ লাখ টাকা আয় করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।
এসময় উৎফুল্ল মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস রাজস্ব বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, কোন ধরনের কর বৃদ্ধি না করার যে ওয়াদা আমি ঢাকাবাসীকে দিয়েছিলাম তা সম্পূর্ণরূপে রক্ষা করে এবং দুর্নীতি, অনিয়ম, গাফিলতি রোধ করার মাধ্যমে আমরা ঢাকাবাসীর আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। ফলে রাজস্ব আদায়ে আমরা নতুন নতুন মাইলফলক সৃষ্টি করে চলেছি। এরই ধারাবাহিকতায় ও সবার কর্মতৎপরতায় এবার আমরা বিগত বছরের রাজস্ব আদায়ের পরিমাণকেও ছাড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছি। এর মাধ্যমে আমরা নিজস্ব অর্থায়নে আগের চাইতে আরও বেশি উদ্যোগ ও কর্মযজ্ঞ বাস্তবায়ন করতে পারব। ঢাকাবাসীকে আরও বৃহৎ পরিসরে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতে পারব।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, সচিব আকরামুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, বিগত ২০১৯-২০, ২০২০-২১, ২০২১-২২ ও ২০২২-২৩ অর্থবছরের যথাক্রমে রাজস্ব আদায় ছিল ৫১৩.৯৬ কোটি, ৭০৩.৩১ কোটি, ৮৭৯.৬৬ কোটি ও ১০৩১.৯৭ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় করেছিল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাদেক এগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা, সাভার ডেইরি ফার্মে অভিযান
সাদেক অ্যাগ্রোকে অনৈতিক সহযোগিতা দেয়ার অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসময় দুদক কর্মকর্তারা বিভিন্ন নথি যাচাই-বাছাই করে এবং বেশ কিছু নথির ফটোকপি নিয়ে যান।
সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে নয় সদস্যের একটি দল এই অভিযান পরিচালনা করেন।
অভিযান প্রসঙ্গে দুদকের সহকারী পরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে আমদানি নিষিদ্ধ ১৮টি ব্রাহ্মা জাতের গরু জব্দ করা হয়। পরবর্তীতে সেই গরুগুলো সাভারে কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে হস্থান্তর করা হয়। সেই গরুগুলো একটি নির্দিষ্ট সময় পরে মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে নিলামের মাধ্যমে ডেইরি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের কাছে দেওয়া হয়।
সম্প্রতি সাদেক অ্যাগ্রোতে ব্রাহ্মা জাতের গরু পাওয়া যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিযোগ ওঠে, কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামার থেকে নিলামের মাধ্যমে বিক্রিত ব্রাহ্মা জাতের গরুগুলোকে অসৎ পন্থা অবলম্বন করে সাদেক অ্যাগ্রো কিনে নেয়। সেই অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে আজ এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
রাষ্ট্রপতির কাছে তিন দেশের রাষ্ট্রদূতদের পরিচয়পত্র পেশ
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা।
সোমবার (১ জুলাই) সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদের গার্ড অব অনার প্রদান করে।
পরে গ্রিসের রাষ্ট্রদূত আলীকি কৌতসোমিতোপাওলৌ, লিথুনিয়ার রাষ্ট্রদূত ডায়ানা মিকিভিসিইয়েন ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূত লিওনার্দো মেনজেজি রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেন।
নতুন রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি বহুপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দেয়। তুলনামূলক সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বিনিয়োগসহ বিভিন্ন সম্ভাবনাময় খাতের উন্নয়নে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার কথা বলেন রাষ্ট্রপতি।
বাংলাদেশে বিরাজমান বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের উল্লেখ করে তিনি অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি এবং আইসিটিসহ সম্ভাবনাময় খাতগুলোতে বিনিয়োগ করতে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের বিনিয়োগকারীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের পর বাংলাদেশ যাতে জিএসপি প্লাস বাণিজ্যিক সুবিধা পায়, সেই বিষয়ে তিনি ইউরোপীয় ইউনিয়নের সমর্থন ও সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতি তৈরি পোশাক, পাট, পাটজাত পণ্য, চামড়া ও সিরামিকসহ আন্তর্জাতিক মানের পণ্যের আমদানি বাড়াতে নতুন রাষ্ট্রদূতদের কাজ করার আহ্বান জানান। সাক্ষাৎকালে গ্রিস, লিথুনিয়া ও মালাউইয়ের রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতের ইতিবাচক পরিবর্তনের প্রশংসা করেন। তারা বাংলাদেশের সঙ্গে নিজ নিজ দেশের বাণিজ্য বিনিয়োগসহ সব ধরনের সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করার কথা জানান।
নতুন রাষ্ট্রদূতরা দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবরা উপস্থিত ছিলেন।